আইসক্রিম ।। Ice Cream

আইসক্রিম নিয়ে আপনাদের নতুন করে কিছু বলার নেই। আপনারা আইসক্রিম ভক্তরা সবাই এর স্বাদ অনেক আগেই পেয়ে গেছেন। আইসক্রিমের কথা শুনলেই, জিভে পানি এসে যায় অনেকের। এমন মজার খাবারের কথা শুনলে কার না জিভে জল আসে। অনেকে হয়ত এই লেখাটা পড়তে পড়তে আইসক্রিমে জিভ বুলিয়ে নিচ্ছেন। আর যারা এই মুহূর্তে আইসক্রিমে জিভ ছোঁয়াতে পারছেন না, তারা এখানে আপাতত একটু চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন।

পৃথিবীর মজার খাবার কি? এই প্রশ্নের উত্তরে আপনাদের অনেকেই আইসক্রিমের কথা বলবে। দুধ আর ক্রিম দিয়ে বানানো এই খাবারটি সারাবিশ্বেই প্রিয় খাবার। তবে মজার কথা হলো, বর্তমানে সবার হাতে হাতে আইসক্রিম সহজলভ্য হলেও এক সময় এই সহজ সাধারণ খাবারটি বানানো এতো সহজ ছিলো না। এখন তো একটা বাচ্চা ছেলেও আইস ক্রিম বানাতে পারবে। সে সময় ফ্রিজ বা রেফিজ্রারেটর না থাকায় আইস ক্রিম বানানো খুব কষ্টসাধ্য ছিল। সেকালের মানুষরা শুধু মাত্র বিশেষ কোন উৎসব বা অনুষ্ঠানেই আইসক্রিম খেত। তখন আইস ক্রিম ছিল রাজা বাদশাদের খাবার।

আইসক্রিমে দুধ, ক্রিম ছাড়াও আরও অনেক কিছু থাকে। যেমন বিভিন্ন রকম ফ্লেভার, চিনি ইত্যাদি। আবার কখনো কখনো দুধের বদলে এতে সয়া ক্রিম (সয়াবিন থেকে পাওয়া যায়), সয়া দুধ, রাইস মিল্কও ব্যবহার করা হয়। এভাবে পৃথিবীতে বর্তমানে ১০০০ রকমের আইসক্রিম বানিয়েছে আইসক্রিম নির্মাতা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যত প্রকার আইসক্রিম থাকুক না কেন, ভ্যানিলা ফ্লেভারের আইস ক্রিমই বোধহয় সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া চকোলেট, স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইস ক্রিমও সমান জনপ্রিয়।


কোথা থেকে, কেমন করে এলো আইসক্রিম?
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, আইসক্রিমের বয়স এক হাজার বছরেরও বেশি। তবে প্রাচীনকালের আইসক্রিম বর্তমানের মতো ছিলো না। তাই সেগুলো আইসক্রিম বলা ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়েও একটা ছোটখাটো বিতর্কের আয়োজন করা যেতে পারে। আসলে সে যুগে ফলের সাথে বরফ কুচি মিশিয়ে খেতেন রাজা বাদশারা। সেখানে ক্রিমের বালাই ছিলো না। আর ক্রিম না থাকলে তাকে কি আইসক্রিম বলা ঠিক হবে?

মানুষ বরফ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হবার হাত থেকে বাঁচাতে জানত তার চেয়েও অনেক আগে থেকে। আজ থেকে চার হাজার বছর আগের প্রাচীন কালের মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমানের ইরাক) আইসহাউসের সন্ধান পাওয়া গেছে। পিরামিডের দেশ মিশরের ফারাওরা তাদের কাছে বরফ বিক্রি করত। কিন্তু তখনও তারা আইস ক্রিম বানানোর পদ্ধতি জানতো না। তাই এই তারা আইসক্রিমের মতো মজাদার একটি খাবার থেকে বঞ্চিত ছিলো। সে তুলনায় আমরা কতো ভাগ্যবান, তাই না?

এদিকে খ্রিস্টের জন্মের ৫০০ প্রায় বছর আগে গ্রিকরা মধু ও ফল মিশিয়ে বরফ বাজারে বিক্রি করত বলে জানা যায়। আর এ ব্যাপারে পারদর্শী ছিলো পারস্যের লোকেরা। অনেকে মনে করেন, পারস্যই আইসক্রিমের আসল জন্মস্থান। খ্রিস্টপুর্ব ৪০০ অব্দে তারা গোলাপজল ও সেমাই দিয়ে ঠান্ডা জমাট বাঁধা একটা খাবার তৈরি করত। সেই খাবারটা খেতে যে কেমন ছিলো কে জানে! কিন্তু নিঃসন্দেহে বলা যায়, সেটা বেশ সুস্বাদু খাবার ছিলো। না হলে কী সে খাবার রাজা বাদশাদের প্রিয় হয়! এই বিশেষ খাবার রাজা বাদশাদের গরমকালের খাবার ছিল। এদিকে রোমান সম্রাট নিরো (৩৭-৬৮ খ্রিস্টাব্দ) পাহাড় থেকে বরফ এনে তার উপর ফলমুল রেখে খেতে পছন্দ করতেন।

আরবে বাগদাদের খলিফার কাছেও আইস ক্রিম প্রিয় খাদ্য ছিল। আরবরাই আইসক্রিমের সাথে প্রথম চিনি যোগ করে বলে জানা যায়। এমনকি বানিজ্যিকভাবে তারাই প্রথম আইসক্রিম তৈরি করে। খ্রিস্টিয় ১০ম শতকে তাদের আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি ছিল বলে জানা যায়। জমাটবাঁধা আঁখের রস বা দুধ ফলের ও বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে আইসক্রিম তৈরি কর হয়। অনেকে বলেন, তাদের মাধ্যমেই পশ্চিম দেশের ইটালির সিসিলিতে এই খাবারের প্রচলন শুরু হয়।


লেখিকা ম্যাগিলান তাওসেইন্ট সামাত তার ‘হিস্ট্রি অব ফুড’ বইয়ে লিখেছেন, চীনারা প্রথম শরবত ও আইসক্রিম তৈরির যন্ত্র তৈরি করেছিল। তারা এই যন্ত্রের সাহায্যে আখের রস ও বরফ মিশিয়ে গ্রীষ্মকালে আইসক্রিম তৈরি করে বিক্রি করত। চীনারা সং রাজবংশের রাজত্বকালে (৯৬০-১২৭৯ খ্রিঃ) ফলের রস পানির সাথে মিশিয়ে আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি শিখেছিলো। এরপর ইউন রাজবংশের সময়ে (১২৭৯-১৩৬৮খ্রিঃ) যাযাবর মঙ্গল জাতির কাছ থেকে তারা আইসক্রিমে দুধ ব্যবহার করতে শেখে। এরপর তারাও আইসক্রিমে দুধ ব্যবহার করতে শুরু করে।

এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে আইসক্রিমের সাথে পরিচয় ঘটে ১৬ শতকে মোঘল আমলে। মোঘল সম্রাটরা ফলের সরবতে বরফ মিশিয়ে খেতেন। আর এজন্য মধ্য এশিয়ার সুদূর হিন্দুকুশ থেকে দিল্লিতে বরফ নিয়ে আসতেন তারা। ধারণা করা হয়, এই সময় ভারতে কুলফি আইস ক্রিমের প্রচলন শুরু হয়।

পশ্চিমের দেশগুলোতে এখন আইসক্রিম একটি জনপ্রিয় খাবার হলেও আইসক্রিমের সাথে এদের পরিচয় ঘটে অনেক পরে। অনেকে বলেন, আরবদের কাছ থেকে পশ্চিমারা প্রথম আইসক্রিমের সাথে পরিচিত হয়। আবার এমন ধারণা প্রচলিত আছে, ইতালির বিখ্যাত পর্যটক মার্কো পোলো (১২৫৪-১৩২৪) চীনাদের কাছে আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতি শেখেন। মার্কোপোলো দেশে ফিরে এই মজার খাবার তৈরি করেন। এভাবে আইসক্রিমের সাথে পরিচয় ঘটে পশ্চিমাদের। কিন্তু আসলে যে কোনটা সত্যি কে জানে!

ইতালির নাগরিক ক্যাথরিন ডি মেদিচি ১৫৩৩ সালে ডিউক ডি’অরলেন্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি তার ইতালিয়ান বাবুর্চিকে সাথে করে ফ্রান্সে নিয়ে আসেন। এই বাবুর্চির মাধ্যমেই পরে ফরাসিরা আইসক্রিমের সাথে পরিচিত হয়। এর প্রায় ১০০ বছর পর ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লস (১৬০০-১৬৪৯ খ্রিঃ) আইসক্রিম খেয়ে মুগ্ধ হন। সে সময় ইংল্যান্ডে এটা রাজকীয় খাবার ছিলো, সাধারণ মানুষ এর সাথে পরিচিত ছিল না। শোনা যায়, রাজা চার্লস তার নিজের আইমক্রিম নির্মাতাকে সারাজীবনের পেনশন দিয়েছিলেন। কেন জানেন? যাতে তিনি আইসক্রিম বানানোর গোপন ফর্মুলা সারাজীবন গোপন রাখেন। আমেরিকায় প্রথম আইসক্রিম আবিষ্কার করেছিল ইকুয়েডরের প্রাচীন ইনকারা । তারা ইমবাবুরা ভলকানো থেকে বড় ব্রোঞ্জের পাত্রে বরফ সংগ্রহ করে তার সাথে নানা রকম ফলের রস মেশাতো। এরপর আমেরিকায় ইউরোপের সাম্রাজ্য বিস্তারের সময় ইউরোপিয়ানরা আইসক্রিমের রেসিপি আমেরিকায় নিয়ে আসে। সেসময় অনেক ইউরোপীয় দোকানে আইসক্রিম বিক্রি হত। শোনা যায়, আমেরিকান লেখক বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন এবং টমাস জেফারসন নিয়মিত আইসক্রিম খেতেন।


তবে প্রাচীনকালের এসব আইসক্রিম বর্তমান সময়ের মতো ছিল না সেটা তো আগেই বলেছি। আধুনিক আইসক্রিম মানে বর্তমানে আমরা যেসব আইসক্রিম খেয়ে থাকি তার উদ্ভব ২০ শতকে। ২০ শতকে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর উদ্ভাবনের ফলে আইসক্রিম তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে। আর এ কারণেই দিনে দিনে আইসক্রিম মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। রাজা বাদশাদের খাবার সাধারণ মানুষের খাবার হয়ে ওঠে। এখন তো সারা বিশ্বে প্রায় ১০০০ রকমের আইসক্রিম পাওয়া যায়।

জাতীয় আইসক্রিম মাস ও দিবসঃ
আইস ক্রিম আমেরিকায় খুবই জনপ্রিয় খাবার। প্রায় প্রতিদিনই এখানে আইসক্রিম ভক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবছর শুধু আমেরিকাতেই ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী আইসক্রিম বিক্রি হয়। আবার দেশের দুগ্ধ খামারে উৎপাদিত দুধের শতকরা ৯ ভাগই ব্যবহৃত হয় আইসক্রিম তৈরিতে।

শুধু তাই নয়, আমেরিকার অসংখ্য নাগরিক আইস ক্রিম উৎপাদনের সাথে জড়িত। যা তাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই জনগনের পছন্দের মূল্য দিতেই সেদেশের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ১৯৮৪ সালে জাতীয় আইসক্রিসমাস ও জাতীয় আইসক্রিম দিবস প্রবর্তন করেন। তারপর থেকে প্রতিবছর জুলাই মাস জাতীয় আইসক্রিম মাস এবং জুলাই মাসের তৃতীয় রবিবার জাতীয় আইসক্রিম দিবস হিসেবে পালিত হয়।

যদি বলা হয়, বিভিন্ন স্বাদের থেকে একটি আইসক্রিম বেছে নেন, তাহলে কোনটা নেবেন? দাঁড়ান, উত্তরটা দেবার আগে কিছু কথা জেনে নেন। আমেরিকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল আইস ক্রিম অ্যাসোসিয়েশন এক জরিপ চালিয়েছিল এই মজাদার খাবার নিয়ে। তারা জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম থাকলেও ১৫টি স্বাদের আইসক্রিমই সবচেয়ে জনপ্রিয়।

এই ১৫টি আইসক্রিম হচ্ছে, ভ্যানিলা, চকোলেট, বাটার পিকান, স্ট্রবেরি, নিওপলিটান, চকোলেট চিপ, ফ্রেঞ্চ ভ্যানিলা, কুকিস অ্যান্ড ক্রিম, চেরি, চকোলেট অ্যালমন্ড, কফি, রকি রোড এবং চকোলেট মার্শম্যালো। তারমধ্যে ভ্যানিলা হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারণ জরিপে অংশগ্রহনকারী আইসক্রিম ভোক্তা বা ভক্তদের শতকরা ২৯ জন জানিয়েছে তারা ভ্যানিলা পছন্দ করে। এদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চকোলেট স্বাদের আইসক্রিম। শতকরা ৮.৯ জন জানিয়েছে তারা চকোলেট স্বাদের আইসক্রিম পছন্দ করে। এবার তোমার পছন্দের আইসক্রিমের নামটা বলতে পারেন।


যত অজানা কথাঃ
আমেরিকায় প্রতিবছর একজন মানুষ গড়ে ২৩ লিটার আইসক্রিম খায়। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর প্রতিজন মানুষ ১৮ লিটার এবং নিউজিল্যান্ডে ২০ লিটার আইসক্রিম খেয়ে থাকে। ফিনল্যান্ডে এই সংখ্যা ১৩.৭ লিটার এবং ইংল্যান্ডে ৬ লিটার। ১৯০৪ সালে সেইন্ট লুইস ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে প্রথম কোন আইসক্রিমের প্রচলন শুরু হয়। (অবশ্য এই তথ্য নিয়ে বির্তক আছে)। ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম বাইসাইকেলে আইসক্রিম বিক্রি শুরু হয়। ওয়ালম নামের এক ব্যক্তি এই ভাবে আইসক্রিম বিক্রি শুরু করেন। তিনি সাইকেলে চড়ে বলতেন ‘আমাকে থামিয়ে একটা কেনো’। সালটা ছিল ১৯২৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্রাইসাইকেলে আইসক্রিম বিক্রি শুরু হয়। উনিশ শতকের আগে পুকুর, নদী ও খাল থেকে বরফ সংগ্রহ করে আইসক্রিম তৈরি করা হতো। সানডি আইসক্রিম রোববারে বানানো হত এবং শধু রোববারেই খাওয়া হত। তাই সানডে থেকে এর নাম সানডি হয়েছে।

সবচেয়ে বড় আইসক্রিমঃ
আপনাদের অনেকের হয়ত আইসক্রিম খেতে গিয়ে মনে হয় আইসক্রিমগুলো এত ছোট কেন? ঠিক এরকমই চিন্তা করেছিল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একদল লোক। তাই তারা দেরি না করে, বারো ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বিশাল আইসক্রিম বানিয়ে ফেলেছিল। ১৯৮৫ সালে তৈরি এই আইসক্রিমের ওজন ছিল ৪,৬৬৭ গ্যালন। এটাই ছিল বেশ কিছুদিন পৃথিবীর সবচে বড়ো আইসক্রিম। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ২০০৬ সালে চীনারা ঘটিয়েছিল আরেকটি মজার ঘটনা। তারা গিনেজ বুকে নিজেদের নাম তুলতে বানিয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসক্রিম কেক। তারা সে বছর ১৬ জানুয়ারি ৪.৮ মিটার (১৫.৭ ফুট) দীর্ঘ, ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) প্রশস্ত ও এক মিটার (৩.৩ ফুট) উচু আইসক্রিম কেক বানিয়ে ফেলে। এই আইসক্রিম কেকটির ওজন ছিল ৮টন (৭২৫৭ কেজি)। চীনাদের ভাগ্য ভালো যে, সেটাই ছিল পৃথিবীর সবচে বড় আইসক্রিম এবং তারা সেটাকে গিনেজ বুকে স্থানও পেয়েছিল।

নিজেই বানান আইসক্রিমঃ
ধরেন আপনার খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু আশে পাশে কোথাও আইসক্রিম নেই। তাহলে কী করবেন? যদি নিজেই আইসক্রিম বানাতে পারলে সেটাই সবচে ভালো হবে। এতে আপনি নিজেতো ইচ্ছে মতো আইসক্রিম খেতে পারবেনই, পাশাপশি বাবা-মা, ভাই-বোন বা বন্ধুদেরও আইসক্রিম বানিয়ে খাওয়াতে পারবেন। আইসক্রিম বানানো এক্কেবারে সোজা। চলেন চেষ্টা করে দেখি।

যা যা লাগবেঃ
০১) এক টেবিল চামচ চিনি।
০২) আধা কাপ দুধ।
০৩) ১/৪ চা চামচ ভ্যানিলা (যদি থাকে)।
০৪) ৬ টেবিল চামচ লবন।
০৫) একটি ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগ।
০৬) একটি বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।
০৭) এবং বরফ।

যা যা করতে হবেঃ
০১) বড় প্লাস্টিকের ব্যাগটি বরফ দিয়ে ভর্তি করেন। এরপর এর মধ্যে লবনগুলো দিয়ে ব্যাগের মুখ শক্ত করে আটকে দেন।
০২) এবার ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগে দুধ, চিনি ও ভ্যানিলা নিয়ে ব্যাগটি শক্ত করে বন্ধ করেন।
০৩) বড় প্লাস্টিক ব্যাগের মুখ খুলে এই ছোট ব্যাগটি সাবধানে ভিতরে রাখেন। আবার বড় ব্যাগটি বন্ধ করে দেন।
০৪) এবার প্লাস্টিকের ব্যাগটি ধরে ৫ মিনিটের মতো ঝাঁকিয়ে নেন।
০৫) এবার ছোট ব্যাগটি বের করে দেখেন আপনার আইসক্রিম তৈরি।

লেখিকাঃ শারমীন আফরোজ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info