ভূমিকম্পে আমাদের যা করনীয় ।। What Should We Do During Earthquake

হঠাৎ করেই ভূমিকম্পের বিষয়টি ঠিক যেনো আমাদের চোখের সামনে চলে এসেছে। কয়েক মাস ধরে মৃদু ভূ-কম্পন আর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ভয়াবহ ভূমিকম্প আমাদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, তার ওপর ভূমিকম্প নিয়ে বড়ো বড়ো মানুষের ভারী ভারী কথা নিশ্চয়ই আপনাদের অনেকের মনেই ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। লেখাটি পড়লে পরে ভূমিকম্প সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা আপনাদের হবে। সেই সঙ্গে ভূমিকম্পের সময় কি কি করতে হবে, তাও জানতে পারবেন। তাহলে চলেন, শুরু করা যাক।


ভূমিকম্প কী?
প্রথমেই শুরু করি, ভূমিকম্প আসলে জিনিসটা কি, সেটা দিয়ে। খুব সোজা বাংলায় বলতে গেলে, ভূ অর্থ পৃথিবী আর কম্পন মানে কাঁপা। তার মানে হলো, পৃথিবী যখন কাঁপে, তখন তাকে ভূমিকম্প বলা হয়। প্রকৃতির নিয়মে ভূ অভ্যন্তরে (মানে মাটির নীচে আরকি) সৃষ্ট আলোড়নের কারণে ভূ পৃষ্ঠের কোনো কোনো অংশ হঠাৎ কেঁপে ওঠে। আর এই কেঁপে ওঠাকেই আমরা বলি ভূমিকম্প। এই ধরণের কম্পন প্রচণ্ড, মাঝারি কিংবা মৃদু- এই তিন ধরণের হতে পারে। পৃথিবীতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬ হাজার ভূমিকম্প হয়। কিন্তু এর বেশিরভাগই মৃদু কম্পন বলে আমরা সাধারণত টের পাইনা। আবার অনেক সময়ই সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হয়, যেগুলো স্থল পর্যন্ত আসার আগেই শেষ হয়ে যায়। তাই আমরা সেভাবে ভূমিকম্পের প্রভাব টের পাইনা। তবে সাগর তলে বড়ো সড়ো ভূমিকম্প হলে সুনামি হতে পারে। আর এতে করে প্রচণ্ড জলোচ্ছাস হয়। এর ফলে উপকূলীয় লোকজন, সমুদ্রে মাছ ধরতে থাকা জেলে, বা জাহাজের মানুষজন আর নৌকাগুলো পড়ে ভয়াবহ বিপদে।

বাংলাদেশ, পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত বলে এদেশে ইদানিং খুব ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। আর বড়ো সড়ো ভূমিকম্প হওয়ার আগে মৃদু ভূমিকম্প বেশ ঘন ঘনই হয়ে থাকে। ১১২ বছর আগে ১৮৯৭ সালে এদেশে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। যা ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল আর্থকোয়াক’ নামে পরিচিত। এমন ভয়াবহ আরেকটি ভূমিকম্পের আশঙ্কাও কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায়না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ভূমিকম্প হয়। কিন্তু দেশে দেশে মাটির গঠনে ভিন্নতা, টেকটোনিক প্লেট, বিল্ডিং কোড, বিল্ডিং স্ট্রাকচার ও বাড়ি বানানোর উপকরণে পার্থক্য থাকায় ভূমিকম্পের প্রভাবও তাই দেশ ভেদে ভিন্ন হয়।


ভূমিকম্প কেন হয়?
আগেই জেনেছেন, মাটির নিচে সৃষ্ট আলোড়নের কারণে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু এই আলোড়নটা কেন হয়? সেই আদিকালের মানুষেরা মনে করতো, আমাদের পুরো পৃথিবী বিশাল আকারের কয়েকটি হাতি ওদের পিঠে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই হাতিরা যখন একটু নড়াচড়া করে উঠে, তখনই হয় ভূমিকম্প। ব্যাপারটা অবশ্য একদিক দিয়ে ঠিকই আছে! শুধু হাতির জায়গায় প্লেট পড়তে হবে। মানে হলো, আমাদের পৃথিবীটা অনেকগুলো প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত। প্লেট মানে কিন্তু থালা নয়। প্লেটকে আপনারা অনেক বড়ো বড়ো ব্লক হিসেবেই ধরে নিতে পারেন (২য় ছবিতে নমুনাটি তো নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন)। এই প্লেটগুলো পরস্পরের সঙ্গে গায়ে গায়ে লাগানো। কোনো কারণে যদি এই প্লেটের স্থানচ্যুতি ঘটে বা পরস্পরের বিপরীত দিকে ওরা নড়তে থাকে, তখনই ভূমিকম্প হয়। এছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময়ও ভূমিকম্প হয়।

ভূমিকম্পের পরিমাপঃ
মোটামুটি ১৫০ বছর আগ পর্যন্ত মানুষ শুধু ভূমিকম্প হয়ে গেলো, এমনটাই দেখতে পেত। কিন্তু, কতো মাত্রার ভূমিকম্প হলো, তা জানতে পারতো না। এর পরেই আবিষকৃত হয় ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র। যাকে বলা হয় সিসমোগ্রাফ বা সিসমোমিটার। এই সিসমোগ্রাফ আরো একটি নামেও পরিচিত, তা হচ্ছে- একসিলারোগ্রাফ। ভূমিকম্পের মাত্রা দুইভাবে পরিমাপ করা হয়। তীব্রতা (Magnitude) আর প্রচণ্ডতা বা ব্যাপকতা (Intensity)। ভূমিকম্পের তীব্রতা সাধারণত রিখটার স্কেলে মাপা হয়। আর রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ এর উপরে উঠলেই যথেষ্ট বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করা হয়। রিখটার স্কেলের মাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলেই ভূ কম্পনের মাত্রা ১০ থেকে ৩০ গুণ বেড়ে যায়!

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রাঃ
  • তীব্রতা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
  • ৫ এর বেশি বিপদের সম্ভাবনা।
  • ৬-৬.৯ ব্যাপক।
  • ৭-৭.৯ ভয়াবহ।
  • ৮ বা এর বেশি অত্যন্ত ভয়াবহ।

ভূমিকম্পে যা যা ক্ষতি হতে পারেঃ
ভূমিকম্পে ক্ষতির বিষয়টা আসলে ভূমিকম্পের পরিমাপের উপর নির্ভর করে। তীব্রতার উপর নির্ভর করে মৃদু, মাঝারি আর প্রচণ্ড- এই তিনভাগে ভাগ করা যায় ভূমিকম্পকে। যতো বেশি তীব্র হবে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ততোই বাড়বে। অনেক দালানই ধ্বসে পড়তে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতি যাই হোক, প্রথম যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে; কখনোই আতঙ্কিত হওয়া চলবেনা। কারণ আতঙ্কিত হলেই বুদ্ধি আর চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পায়। মাথা ঠাণ্ডা রেখে এবার জেনে নাও, ভূমিকম্পের সময় কি কি করা দরকার।

ভূমিকম্পের আগেই যা করবেনঃ
ভূমিকম্পের সময় কি কি করতে হবে জানার আগে চলেন জেনে নিই, তারও আগে আমরা সতকর্তমূলক কি কি ব্যবস্থা রাখতে পারি। মানে, ভূমিকম্প যখন হওয়ার তখন তো হবেই। এর আগে আমাদের যা যা করা দরকার, তা হলোঃ


০১) প্রথমেই আজকের পুরো লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তারপর যা যা করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাড়ির সবাইকে আর বন্ধু-বান্ধবদেরকেও জানাবেন। যারা জানেনা, তাদেরকেও জানাবেন। তাহলে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই আমরা রক্ষা পাবো।
০২) গুরুত্বপূর্ণ কিছু কিছু জিনিস আগে থেকেই হাতের কাছে রেখে দেবেন। যেমন ধরেন, ব্যাটারি চালিত রেডিও, টর্চ লাইট, দুটোর জন্যই অতিরিক্ত ব্যাটারি, বোতলজাত পানি, শুকনো খাবার, কম্বল, হুইসেল, বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাসের লাইন বন্ধ করার যন্ত্র। টর্চ সবসময়ই হাতের কাছাকাছি রাখা দরকার। ঘুমানোর সময় তা বিছানায় বালিশের পাশেই রাখতে পারেন।
০৩) ভারী ভারী কোনো জিনিসকে উপরে ঝুলিয়ে রাখবেন না কিংবা তাকের উপরের দিকে না রেখে নিচের দিকে রাখবেন। বড়ো আয়না ও বড়ো বাঁধানো ছবি এমন জায়গায় ঝোলানো উচিত নয়, যে জায়গাগুলোতে আপনারা সবসময় শোওয়া-বসা করেন।
০৪) দাহ্য পদার্থ, মানে যেগুলো আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে, যেমন তেল বা গ্যাসের কনটেইনারগুলো নিরাপদ দূরত্বে রাখুন। নিরাপদ দূরত্ব মানে চুলা, ফারনেস, ওয়াটার হিটার, ওভেন- এগুলো থেকে দূরে রাখুন।
০৫) বড়ো বড়ো ও লম্বা ফার্নিচারগুলোকে যেমন শেলফ, ফ্রিজ, সোফা এইসব জিনিস দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবন, যাতে কম্পনের সময় তা গায়ের উপর এসে না পড়ে।
০৬) সবার জন্য হেলমেট কিনে রাখতে পারেন। যাতে করে ভূমিকম্পের সময় মাথায় হেলমেট পরা যায়। যদি কোনো কিছু ধ্বসেই পড়ে, তাহলে ক্ষতিটা কম হবে।
০৭) বাড়ির সবার সঙ্গে বসে ‘প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ ঠিক করতে হবে। মানে ভূমিকম্পের সময় কিকি করবেন, কোথায় আশ্রয় নেবেন, কাকে জানাবেন ইত্যাদি।

ভূমিকম্পের সময় যা করবেনঃ
০১) যদি আপনি ঘরের ভিতরে থাকেন, তাহলে আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী, সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো,‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ, কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়তে হবে। এরপর শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে কাভার নিতে হবে (৫ নম্বর ছবির মতো)। এমন ডেস্ক বেছে নিতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় সেই কাভারসহ নড়াচড়া করা যায়। তাদের মতে, ভূমিকম্পে বিল্ডিং খুব বেশি কলাপস বা ভেঙে না পড়লেও আশেপাশের টুকিটাকি জিনিস গায়ের উপর পড়ে হেড-নেক-চেস্ট ইনজুরি হতে পারে। তাই এগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্যই ডেস্ক বা এরকম কিছুর নিচে কাভার নেওয়া জরুরী।
০২) হেলমেট কেনা থাকলে দ্রুত হেলমেট পরে নেন।
০৩) কখনোই জানালার কাছে কিংবা বড়ো আয়না ও ভারী ঝুলন্ত কোনো কিছুর নিচে আশ্রয় নেবে না। ঘরের দেয়ালের পাশেও দাঁড়ানো অনুচিত। যদি একান্তই দাঁড়াতে হয়, তাহলে বাইরের দিকে যে দেয়াল আছে, সেদিকে দাঁড়াম।
০৪) যদি বাড়ির কেউ রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে, তাকেও কভার নিতে হবে। কিন্তু কভার নেওয়ার আগেই দ্রুত চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে। কারণ, যদি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়, তাহলে আগুন জ্বালানো থাকলে গ্যাস লাইন ফেটে সেই আগুন সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
০৫) যদি আপনি বাইরে থাকেন তাহলে খোলা জায়গাতে চলে জাবেন। আশে পাশে বড়ো বিল্ডিং, ব্রিজ, পাওয়ার গ্রিড লাইন, টাওয়ার কিংবা বড়ো গাছ আছে কিনা দেখে নিন। এগুলো থেকে যতোটা পারেন দূরে থেকেন।
০৬) যদি আপনি গাড়ির মধ্যে থাকেন, তাহলে আস্তে আস্তে গাড়ি থামিয়ে ফেলেন। তারপর রাস্তার ধারে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ভিতরেই অবস্থান করেন। এখানেও একই কথা, বড়ো কোনো গাছ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার, ওভার ব্রিজ, এগুলোর নিচে গাড়ি রাখবে্ন না।


ভূমিকম্পের পরে যা করবেনঃ
০১) প্রথমেই দেখেন কেউ আহত হয়েছে কিনা। আহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বেশি আহত হলে হাসপাতালে নিতে হবে।
০২) এবার দেখেন বাড়ির কতোটুকু ক্ষতি হয়েছে। যদি বেশি ক্ষতি হয়, তাহলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। ততোক্ষণ পর্যন্ত বাড়ির ভিতর ঢুকবে্ননা, যতোক্ষণ পর্যন্ত না নিরাপত্তাকর্মীরা এসে বাড়িটাকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করছে।
০৩) বাড়ির ভিতর অন্ধকার হয়ে আসলে টর্চ জ্বালান। আগেই ম্যাচ জ্বালাবে্ন না। কারণ, গ্যাসের পাইপ ফেটে গেলে সারা বাড়িতে আগুন ধরে যেতে পারে ঐ একটা ম্যাচের কাঠির জন্যই।
০৪) যদি গ্যাসের গন্ধ পান, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে হবে গ্যাস লাইন লিক করেছে। তাড়াতাড়ি করে দরজা জানালা খুলে দেন। এবার গ্যাসের মিটার বন্ধ করে দেন। তারপর দ্রুত আপনার এলাকার গ্যাস ডিসট্রিবিউটরকে জানান।
০৫) যদি বিদ্যুত চলে যায়, তাহলে আগে মেইন সুইচ বন্ধ করেন। এবার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে ফেলেন। কারণ, হঠাৎ করে বিদ্যুত চলে আসলে যদি স্পার্ক করে (স্ফুলিঙ্গ হয়) আর যদি গ্যাস লাইন ফাটা থাকে, তাহলেও আগুন ধরে যেতে পারে।
০৬) যদি বাড়ির বাইরে বের হয়ে য়াসেন, তাহলে সিঁড়ি ব্যবহার করবে্ন। লিফট ব্যবহার না করাই ভালো।

ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়লেঃ
০১) ধুলোবালি থেকে বাঁচার জন্য আগে থেকেই সঙ্গে রাখা রুমাল, তোয়ালে বা চাদর দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখেন।
০২) আবারো বলছি, ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধ্বসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে।
০৩) অযথা চিৎকার করবে না। চিৎকার করলে যে শুধু শক্তিক্ষয় হবে, তাই নয়; বরং নাকে-মুখে ধুলোবালি ঢুকে যেতে পারে। ভালো হয় সঙ্গে একটা হুইসেল রাখতে পারলে। মানুষজনের অস্তিত্ব টের পেলে হুইসেল বাজান নয়তো পাইপ কিংবা অন্য কোনো কিছুতে বাড়ি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।


সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি জেনে নেন। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি যাই হোক, প্রথম যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে; কখনোই আতঙ্কিত হওয়া চলবেনা। কারণ আতঙ্কিত হলেই বুদ্ধি আর চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পায়। মাথা ঠাণ্ডা রেখে তারপর চিন্তা করতে থাকবেন, কি কি আপনার করণীয়। আরেকটা ব্যাপার, ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আবারো ছোট ছোট আকারে কয়েকটি মৃদু কম্পন হয়ে থাকে। এগুলোকে বলে আফটার শক বা বড়ো ভূমিকম্পের পরের কম্পন। এই কম্পনের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যদি কোনো ঘরবাড়ি নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে এই আফটার শকেও সেগুলোর বেশ বড়ো ধরণের ক্ষতি হতে পারে। আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইলো।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info