সম্ভব্য বর্তমান বিশ্বের সব থেকে সুন্দরী মেয়ে

পৃথিবীর প্রতিটি মেয়েই নিজ দুনিয়ায় সব থেকে সুন্দরী এবং সুন্দরের কোন সংজ্ঞা নেই। তারপরেও বলতেই হয় যে বাহ্যিক সৈন্দর্য্য একটু হলেও আমাদের সকলকে আকৃষ্ট করে।

আর কোন মেয়ে না নিজেকে সুন্দরী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়? এমন কোন মেয়েকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে?

আজ আপনাদের এমন এক মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব, যার সৈন্দয্যই তার জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ বড় সমস্যার। এই মেয়ে এতটাই সুন্দর যে তাকে ঘর থেকে বের হতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না, আর বাইরে গেলেও মা তার সবসময়ের সঙ্গী।

এতক্ষন যার কথা বলছিলাম, সে রাশিয়ার ২৬ বছরের সুন্দরী 'এঞ্জেলিকা কেনোভা' (Angelica Kenova)। যার পেশা মডেলিং আর তাকে পুতুলের মত যত্ন করে বড় করে তুলেছেন তার পরিবার।


মস্কোর এঞ্জেলিকার ভাষ্য, 'আমার মা-বাবা আমাকে রাজকুমারীর মত আদর করে বড় করেছেন। আমাকে কোন দিন বাইরে একা যেতে দেন নাই এবং আমার কোন ছেলে বন্ধুও নাই। আসলে পূর্ণবয়স্ক অনান্য মেয়েদের মত আমার বড় হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা আমার নেই।'


'এই কারনে আমি বাস্তব দুনিয়ার জন্য সম্ভাবত প্রস্তুত নই। আমি আসলে জীবন্ত পুতুল', তার মতে।


একজন মডেল হিসেবে তার কর্মতালিকা আর তার খাবার তালিকা সম্পূর্নভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তার পিতা-মাতা দ্বারা। আর তার কার্যতালিকা বেশ করা কড়া ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয় বলেই এখন পর্যন্ত তার দৈহিক সৈন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।


তার এই দৈহিক সৈন্দর্যের জন্য, কোন প্রকার প্লাস্টিক সার্জারি করা হয় নাই। বরং সপ্তাহে পাঁচ দিন, টানা তিন ঘন্টা ব্যায়াম করার ফলেই সে এই দৈহিক সৈন্দর্যের অধিকারিণী হয়েছেন বলেই তিনি দাবি করেন।


'আমি কখনই প্লাস্টিক সার্জারি করি নাই', তিনি বলেন। আরো বলেন, 'প্লাস্টিক সার্জারি তখনই প্রয়োজন হয় যখন দৈহিক সৈন্দর্যে কোন বড় ধরনের খুঁত থাকে'।


ছোটবেলা থেকেই বার্বি পুতুলের মত পোশাক পরতে ভালবাসেন তিনি।


আমার বয়স যখন ৬ বছর হল, তখন থেকেই আমার মা আমাকে অনেক গুলি বার্বি পুতুল কিনে দেন এবং আমাকে বার্বিদের মত পোশাক পরাতে তিনি অনেক বেশি ভালবাসতেন।


একারনেই সে ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন যে, সে বার্বি পুতুলের মত সুন্দরী হবেন। যাতে তার মাকে তিনি খুশি করতে পারেন।


সেই ছোট থেকে এখন পর্যন্ত তিনি তার পছন্দের কোন পোশাক পরতে পারেন না। তার সব পোশাক পছন্দ করেন তার মা। আর তার মায়ের পছন্দ যে কতটা ঠিক তা তাকে দেখেই বোঝা যায়।


তিনি বলেন, 'মাকে ছাড়া আমি কোন পোশাক নিজের জন্য কিনতে পারি না।'


যদিও মাঝে মাঝে সে কারো সাথে বাইরে ঘুরতে যায়, তাহলে তার মা তার সাথেই যায়। একা একা তার বাইরে যাওয়া সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ।


এঞ্জেলিকা বেশ অভিমানের সুরেই বলেন, 'আমার মা-বাবা চান না আমি পারিবারিক বাসস্থান ছেড়ে বাইরে থাকি'।


যদিও সে একদিন বাড়ি থেকে বের হতে চান, এবং সাড়া বিশ্বকে দেখতে চান নিজের মত করে।


অন্য মেয়েদের মত সেও নিজের জীবন সঙ্গীকে খুঁজে পেতে চান, নিজের মত করে।


'আমি সত্যিকারের ভালবাসার অপেক্ষায় আছি', তিনি আরো বলেন, 'আমি মিষ্টি চেহারার ছেলেদের একদম পছন্দ করি না'।

এঞ্জেলিকার ছোট বেলার ছবি
'আমার মা-বাবা সাড়া জীবন আমাকে কাঁচের মহলে বড় করেছেন, আমি আশা করি একদিন আমি এই মহলের কাঁচের দেওয়াল ভেঙ্গে বের হব এবং স্বাধীন ভাবে নিজের জীবন যাপন করব। স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা আমার সব সময়ই থাকবে।'-এঞ্জেলিকা কেনোভা।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info