ইবোলা ভাইরাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পুরো পৃথিবীতে তোলপাড় চলছে। কিন্তু ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর কিছু ভাইরাস রয়েছে যেগুলো প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। আসুন তেমন পাঁচটি ভাইরাসের সাথে পরিচিত হই।
র্যাবিসঃ
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু থাকে কুকুর বা বাদুড়ের মুখের লালায়। যখন এর বাহক কোনো মানুষকে কামড় দেয়, তখন এটি রক্তের সাথে মিশে দেহে প্রবেশ করে।
আমেরিকাতে এই রোগে প্রাণহানির সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসলেও পুরো বিশ্বের চিত্রটা এমন নয়। 'Centers for Disease Control and Prevention' এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রতিবছর এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রায় ৫৫,০০০ মানুষ র্যাবিসের কারণে মারা যায়।'
এই ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচতে কুকুর বা বাদুড়ের কামড়ের সাথে সাথে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু থাকে কুকুর বা বাদুড়ের মুখের লালায়। যখন এর বাহক কোনো মানুষকে কামড় দেয়, তখন এটি রক্তের সাথে মিশে দেহে প্রবেশ করে।
আমেরিকাতে এই রোগে প্রাণহানির সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসলেও পুরো বিশ্বের চিত্রটা এমন নয়। 'Centers for Disease Control and Prevention' এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রতিবছর এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রায় ৫৫,০০০ মানুষ র্যাবিসের কারণে মারা যায়।'
এই ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচতে কুকুর বা বাদুড়ের কামড়ের সাথে সাথে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।


এইচ আই ভিঃ
'Human Immunodeficiency Virus' নামের এই মরনঘাতি ভাইরাস ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে ভয়ংকর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাইরাস ভয়ংকর রোগ এইডস জন্য দায়ী। 'এইচ আই ভি' ভাইরাস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে দিয়ে এটি প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
WHO এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'শুধুমাত্র সরাসরি এইডস নয়, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা না পড়ায় অনেকেই এর পারিপার্শ্বিক কারণগুলোতেও প্রাণ হারিয়েছে।
'এইচ আই ভি' ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে ১৯৮১ সালে। সেই সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শুধু আমেরিকাতেই মারা গেছে ৬,৫০,০০০ জন মানুষ। এছাড়া এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে। (সুত্রঃ Centers for Disease Control and Prevention)
বর্তমানে সচেতনতা এবং সংক্রমণ পরবর্তী প্রতিষেধক পদ্ধতি 'এইচ আই ভি' আক্রান্ত রোগীদের আগের থেকে বেশিদিন বাঁচতে সাহায্য করছে। কিন্তু আদতে এর কোনো পরিপূর্ন প্রতিষেধক নেই।
'Human Immunodeficiency Virus' নামের এই মরনঘাতি ভাইরাস ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে ভয়ংকর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাইরাস ভয়ংকর রোগ এইডস জন্য দায়ী। 'এইচ আই ভি' ভাইরাস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে দিয়ে এটি প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
WHO এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'শুধুমাত্র সরাসরি এইডস নয়, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা না পড়ায় অনেকেই এর পারিপার্শ্বিক কারণগুলোতেও প্রাণ হারিয়েছে।
'এইচ আই ভি' ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে ১৯৮১ সালে। সেই সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শুধু আমেরিকাতেই মারা গেছে ৬,৫০,০০০ জন মানুষ। এছাড়া এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে। (সুত্রঃ Centers for Disease Control and Prevention)
বর্তমানে সচেতনতা এবং সংক্রমণ পরবর্তী প্রতিষেধক পদ্ধতি 'এইচ আই ভি' আক্রান্ত রোগীদের আগের থেকে বেশিদিন বাঁচতে সাহায্য করছে। কিন্তু আদতে এর কোনো পরিপূর্ন প্রতিষেধক নেই।
ইনফ্লুয়েঞ্জাঃ
সাধারনত খুব শক্তিশালী বা ভয়ংকর হিসেবে গণ্য না করা হলেও, ইবোলা এর চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
WHO এর মতে প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জা এর কারণে প্রাণ হারায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা A (H3N2) এর ভয়াবহতা অন্যগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। এছাড়া ২০০৯-১০ সালে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রায় ১,৫১,৭০০ থেকে ৫,৭৫,৪০০ লোক মারা যায়। (সুত্রঃ Centers for Disease Control and Prevention)
স্বাভাবিক জীবনযাপনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়মিত মেনে চললেই এর থেকে বাঁচা সম্ভব। তবে এ কথাও সত্য যে জন্মগত ভাবে আক্রান্ত ইনফ্লুয়েঞ্জা A ও B এর বাহকদের জন্য কোনো প্রতিষেধকই সুফল বয়ে আনতে পারেনা।
সাধারনত খুব শক্তিশালী বা ভয়ংকর হিসেবে গণ্য না করা হলেও, ইবোলা এর চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
WHO এর মতে প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লাখ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জা এর কারণে প্রাণ হারায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা A (H3N2) এর ভয়াবহতা অন্যগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। এছাড়া ২০০৯-১০ সালে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রায় ১,৫১,৭০০ থেকে ৫,৭৫,৪০০ লোক মারা যায়। (সুত্রঃ Centers for Disease Control and Prevention)
স্বাভাবিক জীবনযাপনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়মিত মেনে চললেই এর থেকে বাঁচা সম্ভব। তবে এ কথাও সত্য যে জন্মগত ভাবে আক্রান্ত ইনফ্লুয়েঞ্জা A ও B এর বাহকদের জন্য কোনো প্রতিষেধকই সুফল বয়ে আনতে পারেনা।
ডেঙ্গু ভাইরাসঃ
সাধারনত আমাদের দেশে মশাবাহিত রোগকে অবহেলা করা হয়। তবে ক্ষুদ্র একটি মশা টগবগে একজন মানুষকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকে। পৃথিবীর প্রায় ৪০% লোক বা ২.৫ বিলিয়ন মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর সর্বাধিক পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকো, আফ্রিকা ও এশিয়াতে প্রতিবছর প্রায় ২২০০০ প্রাণহানির কারণ এই ডেঙ্গুজ্বর। আর ম্যালেরিয়া তো পুরো আফ্রিকা এবং এশিয়াতে একটি বড় আতংকের নাম। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন পুরো একটি শহরের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে পারে অপরিচ্ছন্নতায় জন্ম নেয়া এক ঝাঁক ক্ষুদ্র মশা।
সাধারনত আমাদের দেশে মশাবাহিত রোগকে অবহেলা করা হয়। তবে ক্ষুদ্র একটি মশা টগবগে একজন মানুষকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকে। পৃথিবীর প্রায় ৪০% লোক বা ২.৫ বিলিয়ন মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর সর্বাধিক পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকো, আফ্রিকা ও এশিয়াতে প্রতিবছর প্রায় ২২০০০ প্রাণহানির কারণ এই ডেঙ্গুজ্বর। আর ম্যালেরিয়া তো পুরো আফ্রিকা এবং এশিয়াতে একটি বড় আতংকের নাম। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন পুরো একটি শহরের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে পারে অপরিচ্ছন্নতায় জন্ম নেয়া এক ঝাঁক ক্ষুদ্র মশা।
রোটা ভাইরাসঃ
মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাই রোটা ভাইরাসের ভয়ংকর থাবার শিকার হয়। পৃথিবীর প্রায় ৪,৪০,০০০ শিশুর মৃত্যুর কারণ এই ভাইরাস। যার ৮২ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এর জন্য টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাই রোটা ভাইরাসের ভয়ংকর থাবার শিকার হয়। পৃথিবীর প্রায় ৪,৪০,০০০ শিশুর মৃত্যুর কারণ এই ভাইরাস। যার ৮২ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এর জন্য টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন