বাবাদের বিচিত্র কাজ

মায়েরা আমাদের বড় করে তুলতে অনেক বড় ভূমিকাই পালন করে থাকেন। কিন্তু প্রাণী জগতে এমন অনেক প্রাণীই আছে যাদের মায়েরা ডিম পাড়ার পরে সন্তান বড়ো করে তোলার দায়িত্বটুকু পালন করেন বাবারাই। আশ্চর্য্য লাগছে? চলেন তবে শুনি এমন কিছু তথ্যঃ


লেজে থাকে ডিমঃ
সি ড্রাগন নামের প্রাণীটি তাদের বাচ্চাদেরকে বড় করতে ব্যবহার করে একটু অন্যরকম পদ্ধতি। সি ড্রাগন মায়েরা তাদের ডিম পাড়ে বাবা সি ড্রাগনের লেজে। বাবা সি ড্রাগনের লেজে এক ধরনের পকেটের সৃষ্টি হয়। এই পকেটেই ডিম পাড়ে মায়েরা। আর তারপর? তারপর এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বের সবটুকুই পালন করে বাবা সি ড্রাগন। তবে শুধু ডিম ফুটিয়েই ক্লান্ত হয়ে যায় না বাবা। নতুন ডিম ফুটে বেরোনো বাচ্চাদেরকে নিজের চারপাশে নিয়ে রক্ষা করার দায়িত্বটুকুও পালন করে সে।


পিঠের উপর ডিমঃ
জলে এক ধরনের পোকা ঘুরে বেড়ায়। দেখতে তারা একেবারে কালো। মাছ ধরতে গিয়ে জাল ফেললে জালের সঙ্গে উঠে আসে তারা। আবার গুটি গুটি পায়ে জলের দিকেই হাটতে থাকে। এদেরকে বলা হয় 'জায়ান্ট ওয়াটার বাগ' (Giant Water Bug)। বাবা পোকার পিঠের উপরে ডিম পাড়ে মায়েরা। কমপক্ষে ১০০টি ডিম পাড়ে তারা। ডিম পাড়ার পরে সেগুলোকে আবার একধরনের আঠা দিয়ে ঢেকে দেয় মায়েরা। তারপর তাদের দায়িত্ব শেষ। এবারে ডিম ফোটা পর্যন্ত সেগুলোকে বয়ে বেড়ানোর দায়িত্ব পালন করে বাবা পোকারাই।


ডিমের পাহারাদারঃ
কুনো ব্যাঙ দেখেছেন তো। ঐ যে, যে ব্যাঙ গুলোর সারা গায়ে আঁচিল। সেই ব্যাঙ সমাজে আবার ব্যাপারটাই আলাদা। স্ত্রী প্রজাতির কুনো ব্যাঙ তাদের ডিম গুলো পেড়ে রেখে সেগুলোর পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে রাখে বাবা ব্যাঙের উপরে। বাবা ব্যাঙ সেই ডিমগুলো তার চারপাশে নিয়ে বসে থাকে পাহারাদারের মতো। এভাবে প্রায় এক মাস ডিম পাহারা দেবার কাজটি করে বাবা ব্যাঙ। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পরে তবেই ছুটি হয় বাবা ব্যাঙের।


মুখের ভেতর বাচ্চাঃ
কিন্তু কিছু প্রজাতির প্রাণী আছে যারা বাচ্চাদেরকে মুখের ভেতরে বড়ো করে তোলে। ডারউইন প্রজাতির এক ধরনের ব্যাঙ আছে যাদের বাচ্চারা বাবার মুখেই বড়ো হয়। মা ব্যাঙ ডিম পাড়ার পরে সেই ডিম বাবা ব্যাঙ মুখের ভিতর নিয়ে নেয়। এই ডিম বাবা ব্যাঙের গলার ভিতরে একটি থলেতে থাকে। ডিম ফুটে বাচ্চা বড়ো হবার পরে বাবার মুখ থেকে বের হয়ে আসে। একই ধরনের ঘটনা ঘটায় সিকলিড (cichlid) প্রজাতির মাছও। তারা আবার এক কাঠি উপরেই। বাচ্চারা ঠিকমতো বড়ো না হওয়া পর্যন্ত বিপদ দেখলেই আবার বাবার মুখের ভিতরে ঢুকে পড়ে। বাবাও মুখটি বন্ধ করে বাচ্চাদেরকে রক্ষা করে।


ভালোবাসার সুড়ঙ্গঃ
তিন কাঁটা বিশিষ্ট স্টিকলব্যাক (Stickleback) প্রজাতির মাছ সবার চাইতে আলাদা। এই প্রজাতির বাবা মাছেরা তাদের বাচ্চার জন্য গাছপালার অংশবিশেষ দিয়ে এক সুড়ঙ্গ তৈরি করে। এই সুড়ঙ্গে মা মাছেরা ডিম পেড়ে রেখে যায়। তারপর, ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় বাবার তত্ত্বাবধানে। শুধু তাই না। বাচ্চারা বড়ো না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করে বাবা মাছ। কয়েক সপ্তাহ পরে বাচ্চারা নিজেরা চলার উপযোগী হলে তবেই শেষ হয় বাবা মাছের কাজ।


সবচেয়ে বড়ো বাবাঃ
উটপাখির পরে পৃথিবীতে বড়ো পাখি কিন্তু এমু। তাদের একেকটি ডিম অনেক বড়ো হয়। এমুর একটি ডিমের ওজন এক ডজন মুরগির ডিমের সমান। একটি স্ত্রী এমু মোটামুটি ১৫টি ডিম পাড়ার পর সেগুলো ছেড়ে চলে যায়। তখন এই বিশাল ডিম গুলোকে তা দিয়ে ফোটানোর বিশাল দায়িত্বটি পড়ে বাবার উপরে। প্রায় আট সপ্তাহ ধরে ডিমে তা দিয়ে সেগুলোকে ফোটায় বাবা এমু। এই সময় সে মাঝে মাঝে খাবার জন্য উঠলেও ডিম ছেড়ে কখোনোই বেশি দূর যায় না। একটি এমু ডিম ফুটে বের হবার ২ দিন পর থেকেই নিজের খাবার নিজে খুঁজে নিতে পারে। আর এক সপ্তাহ পরেই দৌড়াতে এবং সাঁতার কাটতে পারে। কিন্তু বাবা এমু বাচ্চাদেরকে তখনই ছেড়ে চলে যায় না। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চাদের বয়স ৬ মাস হয় নি ততদিন তাদেরকে রক্ষা করার জন্য বাবা এমু সঙ্গে সঙ্গেই থাকে।


শেয়ালঃ
শেয়াল আর কুমিরের গল্প পড়ে তো আপনার ভাবেন শেয়াল না জানি কতোই খারাপ, ছেলেমেয়েদের জন্য ওদের মনে কোনো ভালোবাসাই নেই। অথচ শেয়াল বাবারা যে তাদের সন্তানদের কতো ভালোবাসে তা যদি জানতেন! শেয়ালের বাচ্চা হওয়ার পর মা শেয়ালকে সারাদিন সন্তানের কাছাকাছি থাকতে হয় সন্তানকে উষ্ণতা দেয়ার জন্য। আর সে সময়টিতে বাবা শেয়াল, মা ও সন্তানের জন্য প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর খাবারের যোগান দেয়। তাই সারাদিন তাদের খাবার যোগানোর চিন্তাতেই কাটাতে হয়। শুধু তাই না, বাচ্চা হওয়ায় যেনো শেয়াল মায়েদের চেয়ে শেয়াল বাবাদেরই আনন্দ বেশি হয়। বাচ্চার সঙ্গে তারা সারাদিন খেলাধুলা করে কাটিয়ে দেয়। এমনকি মা শেয়ালরা যখন ঘুমিয়ে যায়, তখনও বাচ্চাকে চুপিচুপি ডেকে নিয়ে গিয়ে মহানন্দে খেলতে শুরু করে দেয় বাবা শেয়াল। এমন বাবা কে না ভালোবাসে বলেন। বাচ্চার বয়স তিন মাস হলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। অবশ্য শেয়াল বাচ্চাদেরকে তো আর আপনাদের মতো বিজ্ঞান কি ইতিহাস, গণিত কি ইংরেজি শিখতে হয় না, ওদের শিখতে হয় শিকার আর আত্মরক্ষা করা। আর এই শিক্ষাও ওদের বাবারাই দেয়। তিন মাস পার হলে শেয়াল বাবারা বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যাতে তারা নিজেরাই খাবারের খোঁজ করতে শুরু করে। আর আশেপাশে ঘাস লতাপাতা দিয়ে তারা সেই খাবার লুকিয়ে রাখে। আর যেসব প্রাণী শেয়ালদের ধরে ধরে খায় তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য খেলার ছলে তাদেরকে পালানোর সব বুদ্ধিও শিখিয়ে দেয় বাবাই। তাইতো পশুপাখিদের মধ্যে সেরা বাবাদের তালিকায় শেয়াল আছে।


পেঁচাঃ
পেঁচাকে দেখতে কেমন বিদঘুটে আর ভয়ংকর মনে হয় তাই না? কেমন ভৌতিক চেহারা। আর রাতের বেলায় মাঝে মাঝে গম্ভীর গলায় বিদঘুটে ডাক দিয়ে কী ভয়টাই না পাইয়ে দেয়! অথচ এই পেঁচা বাবারাই কিন্তু আবার সন্তানের প্রতি ভালোবাসার জন্য বিখ্যাত। মা আর সন্তানের খাবার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয় তাদেরকে। পেঁচারা আবার বাসা বানাতে পারে না। তাই বাচ্চা নেয়ার আগেই তাদের একটা বাসা খুঁজে পেতে বের করতে হয়। তারপর মা পেঁচা একসঙ্গে দুই থেকে তিনটা ডিম দেয়। ওরা আবার বাচ্চা দেয় শীতে। তাই ডিম দেয়ার পর এই ডিম যাতে ঠাণ্ডায় নষ্ট না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য সারাদিন মা পেঁচাকে ডিমে তা দিতে হয়। তখন নিজের পাশাপাশি মা পেঁচার জন্যও বাবা পেঁচাকে খাবার জোগাড় করতে হয়। মা পেঁচারা আবার আকার আকৃতিতে বাবা পেঁচাদের চেয়ে প্রায় ২ গুণ বড় হয়। তাই তারা খায়ও বেশি। তারপর ডিম ফোটা শুরু করলে বাবা পেঁচার কষ্ট আরো বেড়ে যায়। কারণ প্রথম এক সপ্তাহের মতো সময় বাচ্চা পেঁচাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। তাই মা পেঁচাকে সারাক্ষণ বাচ্চা পেঁচাদের শরীরে শরীর ঘেঁষে বসে বাচ্চাদের শরীর গরম করতে হয়। এরপর মা পেঁচারা শিকারে বাবা পেঁচাকে সাহায্য করতে শুরু করে। তাতে অবশ্য কষ্ট তেমন কমে না। কারণ বাচ্চা পেঁচারা খুব দ্রুত বড়ো হয় বলে খায়ও অনেক বেশি করে। আপনাদের তো বলতে ভুলেই গেছি, পেঁচারা কিন্তু শিকারী পাখি। আর ওদের প্রিয় শিকার হলো ইঁদুর।


লাম্পসাকারঃ
লাম্পসাকার আরেক আজব চেহারার মাছ। মোটাসোটা শরীরের এই সামুদ্রিক মাছটা দেখতে অনেকটা ব্যাঙাচির মতো। সন্তানপ্রীতির জন্য এই মাছ বলা যায় রীতিমতো বিখ্যাত। বাবা লাম্পসাকার সন্তানের জন্য অনেক কিছুই করে। অন্যান্য মাছেদের মতো সেও লেজ অথবা পাখনা দিয়ে বিশুদ্ধ পানি ডিমের কাছে পাঠায়। ডিমকে সারাদিন পাহারা দেয়। এগুলো তো সব বাবা মাছই করে। বাবা লাম্পসাকাররা একটু আলাদাই, কারণ বাবা লাম্পসাকার বাচ্চার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও ভয় পায় না। ঢেউ যখন ডিম ভাসিয়ে নিয়ে যায় সে ঢেউয়ের সঙ্গে চলে যায় মাইলের পর মাইল। সেসময় আর সব বাবা মাছ ডিম বাঁচানোর জন্য যা যা করে বাবা লাম্পসাকারও তাই করে। কিন্তু ঢেউ চলে আসলে কোনো বাবা মাছই ডিম বাঁচাতে গিয়ে শকুন কি চিলের খাবার হবার জন্য পাড়ে থেকে যায় না। কিন্তু বাবা লাম্পসাকার ডিম ছেড়ে যেতে নারাজ। সে ডিমের কাছাকাছি কোনো পাথরের গায়ে পাখনা দিয়ে নিজেকে আটকে রাখে। আর শিকারী চিল শকুন কিন্তু তখন তাকে খুব সহজেই দেখে খেয়ে ফেলতে পারে। বাবা লাম্পসাকার তার থোড়াই পরোয়া করে। সে কি করে তার আদরের অনাগত সন্তানকে এভাবে ফেলে রেখে যায় বলো!




সি ক্যাটফিশঃ
এই মাছের সঙ্গে বিড়ালের অনেক মিল। মিলটা হলো এই মাছেরও বিড়ালের মতো গোঁফ থাকে। গোঁফওয়ালা মাছগুলোকেই বলা হয় ক্যাটফিশ। আর ক্যাটফিশগুলোর মধ্যে যেগুলো সাগরে থাকে তাদের বলা হয় সি ক্যাটফিশ। বাবা সি ক্যাটফিশরা কিন্তু এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তারা ডিম বহন করে তাদের মুখে করে। মুখে করে তারা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বড়ো করে, তারপর বাচ্চাদের পানিতে ছেড়ে দেয়। আর এসময় তারা কোনোকিছু খেতেও পারে না। এভাবে না খেয়ে তারা এক দুই দিন না, টানা প্রায় দেড় দুই মাস কাটিয়ে দেয়। বাচ্চার বেড়ে ওঠা বলে কথা! এর আগে যে কয়দিন মা সি ক্যাটফিশের পেটে ডিম থাকে সে কয়দিনে অবশ্য সে খুব করে খেয়ে নেয়। মার্বেলের মতো ছোট ছোট প্রায় ৪০ থেকে ৫০টা ডিম মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বাবা ক্যাটফিশ। প্রায় এক মাস পর সেইসব ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চাগুলোকে আবার জন্মের পরপরই পানিতে ছেড়ে দেয়া যায় না। এইটুকু বাচ্চাগুলো একা একা কিভাবে খাবে, আর কিভাবে থাকবে। তাই বাবা ক্যাটফিশ খাওয়া ভুলে আরো দুই তিন সপ্তাহ তাদের মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারপর তাদের পানিতে ছেড়ে দিয়ে তবেই খাওয়ার কথা চিন্তা করে।




ফালারোপেঃ
এ এক ব্যতিক্রমধর্মী পাখি। পাখিদের জগতে সাধারণত দেখা যায়, মেয়ে পাখিদের চেয়ে ছেলে পাখিরা বেশি সুন্দর। কিন্তু ফালারোপে পাখির ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টা উল্টো। ছেলে ফালারোপের চেয়ে মেয়ে ফালারোপেরা অনেক বেশি সুন্দর আর বর্ণিল। ছেলে ফালারোপে দেখতে যেমন অদ্ভুত, তেমনি বাবা ফালারোপের চরিত্রও বেশ অদ্ভুত। আর সব পাখির বাচ্চা হলে বাবা পাখি খাবার জোগাড় করে আর মা পাখি ডিমে তা দেয়া থেকে শুরু করে বাচ্চা বড়ো না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চার সঙ্গেই থাকে। অথচ ফালারোপের নিয়ম একেবারেই উল্টো। বাবা ফালারোপে বাসা বানায়, মা ফালারোপে ডিম পাড়ার পর সেই ডিমে তা দেয় বাবা ফালারোপে, এমনকি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পরে সে সারাদিন বাচ্চার সঙ্গেই থাকে। বাচ্চার সেবাযত্ন করে। আর মা ফালারোপে? সে খাবার জোগাড়ের কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই বিজ্ঞানীরা বাবা ফালারোপেকে বলে আধুনিক বাবা।


জাকানাঃ
জাকানা আরেক অদ্ভুত চরিত্রের পাখি। এরা আবার বলা যায় বহুবিবাহে বিশ্বাসী। কেউ যখন একাই কয়েকটা বিয়ে করে তখন সেটাকে বলা হয় বহুবিবাহ। আর সবচে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছেলে জাকানারা বহুবিবাহ করে না, করে মেয়ে জাকানারা। অর্থাৎ, একটা মেয়ে জাকানা একসঙ্গে অনেকগুলো ছেলে জাকানার সন্তানের মা হয়। চিন্তা করছেন, বাবা জাকানা সেরা বাবা কিভাবে হলো? এক মায়ের যতো সন্তান হয়, সবার দেখাশুনাই তো বাবা জাকানারা করে। মা জাকানা কেবল তাদের থাকার জায়গা পাহারা দেয়। আর বাবা জাকানারা আলাদা আলাদা বাসা বানিয়ে তাদের ভাগের ডিমগুলোর দেখাশুনা করে। সেগুলো তা দেয়া, ডিম ফুটে পুচকে পুচকে জাকানা বের হওয়ার পর সেগুলোর দেখাশুনা করা, এসবই তো বাবা জাকানাদেরকেই করতে হয়। তাদের আপনি সেরা পাখি বাবা না বললে কাদের বলবেন?

লেখকঃ নাবিল।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

৩টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info