পৃথিবীর ইতিহাসটাই এমন, যে এর ব্যাপারে একেবারে শক্তপোক্ত কোনো ধারনা রাখা খুবই কঠিন। প্রাচীন সময়ে মানুষের জীবন কেমন ছিল তার ব্যাপারে আমরা শুধু ভাসা ভাসা কিছু তথ্য জানতে পারি, আর বাকি অনেকটাই অনুমান করে নিতে হয়। যেমনঃ ইউ.এফ.ও এর ব্যাপারটা। আমরা ধরে নেই, আধুনিক সময়েই কেবল আমরা ইউ.এফ.ও বা ফ্লাইং সসার দেখতে পাই। এ কারণে অনেকে একে এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমাণ বলে মানেন না, তাদের যুক্তি অনুযায়ী এগুলো হলো দূর থেকে দেখা সাধারণ প্লেন, ক্যামেরার কারসাজি বা সরকারের কোনও গোপন গবেষণার ফসল। কিন্তু প্রাচীন কিছু শিল্পকলার নমুনা দেখলে সেই ধারনা পুরোই পাল্টে যায়, মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ১৫৩৮ সালে তো মানুষের প্রযুক্তি তেমন উন্নত ছিলো না। কিন্তু তখনও মানুষ আকাশে ইউ.এফ.ও দেখেছিলো। অদ্ভুত নয় কি?
১৫৩৮ সালে বেলজিয়ামের ব্রুজেস এলাকায় একটা ট্যাপেস্ট্রি তৈরি করা হয় যার নাম 'সামারস ট্রায়াম্ফ'। সে সময়ে খুব প্রভাবশালী এক শহর ছিলো এই ব্রুগেস। রোমান সময়ের আগে এই শহর প্রতিষ্ঠা হয়। সে সময়ে এক শাসকের ক্ষমতা গ্রহণের চিত্র সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এর চাইতে অনেক অনেক গুণে অদ্ভুত একটা ব্যাপার দেখা যায় এই ট্যাপেস্ট্রির মাঝে। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই ছবির আকাশে বেশ কয়েকটা অজানা আকৃতির বস্তু ভাসমান। আমাদের পরিচিত, পিরিচ আকৃতির ইউ.এফ.ও এর সাথে প্রচণ্ড রকমের মিল দেখা যায় এই বস্তুর। ট্যাপেস্ট্রিতে সাধারণত দেখা যায় প্রভাবশালী ব্যক্তি অথবা কোনও ধর্মীয় ঘটনার ছবি। কিছু ধর্মীয় ট্যাপেস্ট্রিতে আকাশে থাকা দেবদূতের ছবিও দেখা যায়। কিন্তু সে সময়ের অন্যান্য ধর্মীয় ট্যাপেস্ট্রিতে এই ইউ.এফ.ও এর মতো কোনও বস্তু আকাশে দেখা যায় না।
কিছু ইতিহাসবিদ এ ব্যাপারে বলেন, সেই শাসকের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ওই ইউ.এফ.ও ধরণের বস্তু আঁকা হয়। কিন্তু এখানে খটকা লাগে, ইউ.এফ.ও জাতীয় বস্তুর সাথে ক্ষমতার কি সম্পর্ক? আর যদি সেটা ক্ষমতার প্রতীক হয়েই থাকে, তবে এমন অদ্ভুত আকৃতি কেন? সে সময়ের মানুষের কাছে ফ্লাইং সসার যদি ক্ষমতার প্রতীক হয়ে থাকে, তবে ধরে নিতে হবে তখন আকাশে এমন সসার তারা দেখতে পেত এবং এর সাথে দৈবিক ক্ষমতার যোগসূত্র স্থাপন করতো।
এই ঘটনার পেছনে অনেক রহস্য রয়েছে, অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সেই সময় থেকেই কি এলিয়েনরা পৃথিবীতে দেখা দেওয়া শুরু করে? তখন কি তাদের সাথে মানুষের কোনও যোগাযোগ ঘটেছিলো? এমনটাও হতে পারে, যে এলিয়েনরা মানুষের সামনে নিজেদের ক্ষমতার প্রদর্শন করে বলেই তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ইউ.এফ.ও ব্যবহার করে। এখন অনেকেই একে ইউ.এফ.ও মনে করতে নারাজ। কেউ কেউ একে অদ্ভুত আকৃতির মেঘ বলেও উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ইতিহাসের এই ঘটনার আসল ব্যাখ্যা কি, সেটা হয়তো কখনোই নিশ্চিত হয়ে জানা যাবে না।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।


১৫৩৮ সালে বেলজিয়ামের ব্রুজেস এলাকায় একটা ট্যাপেস্ট্রি তৈরি করা হয় যার নাম 'সামারস ট্রায়াম্ফ'। সে সময়ে খুব প্রভাবশালী এক শহর ছিলো এই ব্রুগেস। রোমান সময়ের আগে এই শহর প্রতিষ্ঠা হয়। সে সময়ে এক শাসকের ক্ষমতা গ্রহণের চিত্র সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এর চাইতে অনেক অনেক গুণে অদ্ভুত একটা ব্যাপার দেখা যায় এই ট্যাপেস্ট্রির মাঝে। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই ছবির আকাশে বেশ কয়েকটা অজানা আকৃতির বস্তু ভাসমান। আমাদের পরিচিত, পিরিচ আকৃতির ইউ.এফ.ও এর সাথে প্রচণ্ড রকমের মিল দেখা যায় এই বস্তুর। ট্যাপেস্ট্রিতে সাধারণত দেখা যায় প্রভাবশালী ব্যক্তি অথবা কোনও ধর্মীয় ঘটনার ছবি। কিছু ধর্মীয় ট্যাপেস্ট্রিতে আকাশে থাকা দেবদূতের ছবিও দেখা যায়। কিন্তু সে সময়ের অন্যান্য ধর্মীয় ট্যাপেস্ট্রিতে এই ইউ.এফ.ও এর মতো কোনও বস্তু আকাশে দেখা যায় না।
কিছু ইতিহাসবিদ এ ব্যাপারে বলেন, সেই শাসকের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ওই ইউ.এফ.ও ধরণের বস্তু আঁকা হয়। কিন্তু এখানে খটকা লাগে, ইউ.এফ.ও জাতীয় বস্তুর সাথে ক্ষমতার কি সম্পর্ক? আর যদি সেটা ক্ষমতার প্রতীক হয়েই থাকে, তবে এমন অদ্ভুত আকৃতি কেন? সে সময়ের মানুষের কাছে ফ্লাইং সসার যদি ক্ষমতার প্রতীক হয়ে থাকে, তবে ধরে নিতে হবে তখন আকাশে এমন সসার তারা দেখতে পেত এবং এর সাথে দৈবিক ক্ষমতার যোগসূত্র স্থাপন করতো।
এই ঘটনার পেছনে অনেক রহস্য রয়েছে, অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সেই সময় থেকেই কি এলিয়েনরা পৃথিবীতে দেখা দেওয়া শুরু করে? তখন কি তাদের সাথে মানুষের কোনও যোগাযোগ ঘটেছিলো? এমনটাও হতে পারে, যে এলিয়েনরা মানুষের সামনে নিজেদের ক্ষমতার প্রদর্শন করে বলেই তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ইউ.এফ.ও ব্যবহার করে। এখন অনেকেই একে ইউ.এফ.ও মনে করতে নারাজ। কেউ কেউ একে অদ্ভুত আকৃতির মেঘ বলেও উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ইতিহাসের এই ঘটনার আসল ব্যাখ্যা কি, সেটা হয়তো কখনোই নিশ্চিত হয়ে জানা যাবে না।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
nice one bro
উত্তরমুছুনধন্যবাদ :)
মুছুনdarun akta post .
উত্তরমুছুনধন্যবাদ :)
মুছুন