প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষে বসবাস করছি আমরা এখন।দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তিও উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। তার মানে কিন্তু আবার এটা না যে প্রাচীন আমলে প্রযুক্তি বলে কিছু ছিলনা। তখনকার আমলেও এমন কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল যার অনেক কিছু এখনকার প্রযুক্তিবিদদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ছাড়িয়েছে কিন্তু কোন সমাধানে আসতে দেয়নি। চলুন হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন এমন ১০টি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনে নেই যা এখনও রহস্যের আধারে ঘেরা।
Stradivari violins:
১৭ শতকের খুব বিখ্যাত ছিল Stradivari violins। আর এর নির্মাতা ছিল ইটালির Stradivari পরিবার। ভায়োলিন ছাড়াও গিটার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রও বানাত তারা। এটা ছিল ১৬৫০ থেকে ১৭৫০ সাল পর্যন্ত। তখনকার যুগে Stradivari Violins ছিল অনেক দামী এবং আভিজাত্যের প্রতীক। কারণ ঐ সময়ে পৃথিবীর অন্য কেউ এত সুন্দর নিখুঁত শব্দ তৈরি করতে সক্ষম ভায়োলিন বানাতে পারতনা। এখন দুনিয়া জুড়ে ৬০০টির মত ভায়োলিন রয়েছে যা অমূল্য। কিনতে গেলে হয়ত নিলামে যেতে হবে।
Stradivari instruments বানানোর কৌশল ছিল Stradivari পরিবারের গোপন বিষয় যা একমাত্র জানত Antonio Stradivari এবং তার দুই ছেলে Omobono এবং Francesco। তারা তিনজন মারা গেলে বন্ধ হয়ে যায় সব উৎপাদন। অনেক বাদ্যযন্ত্র বিশারদ চেষ্টা করেছে নতুন করে Stradivari Violins বানাতে কিন্তু সবাই ব্যর্থ। কেউ পারেনি সেই Strdivari Violin এর ধারে কাছে যেতে। আজকের দিন পর্যন্ত Stradivari Violins বানানোর কৌশল এক রহস্যের আধার হয়ে আছে যা হারিয়ে গেছে Stradivari পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য মারা যাবার সাথে সাথে।
Nepenthe:
প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্য ছিল শিক্ষা, সংস্কৃত ও প্রযুক্তিতে ছিল অনেক এগিয়ে। তাদের অনেক কিছু ছিল ঈর্ষা করার মত। চিকিৎসা বিদ্যায়ও ছিল তাদের অনেক অগ্রগতি। প্রাচিন গ্রীক সাম্রাজ্যের একটি বিস্ময়কর ঔষধ ছিল Nepenthe, যাকে বলা হত "Chase away sorrow"। যার উল্লেখ পাওয়া যায় হোমারের অডেসিতেও। অনেকে বলে এটা কল্পনা মাত্র, কিন্তু ইতিহাসবিদদের কথা এটা ছিল।মিসরেও এর প্রচলন ছিল, যাকে বলা হত "A drug of forgetfulness"। এখনকার দিনে যা Opium বা Laudanum এর মত কাজ করে।
Nepenthe তৈরির কৌশল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু ঐ সময়ে কি উপাদন দিয়ে Nepenthe তৈরি করা হত তা এক অজানা রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।
The Antikythera Mechanism:
ইতিহাসের এক বিস্ময় হল "The Antikythera Mechanism"। যা ব্রোঞ্জের তৈরি আর উদ্ধার করা হয় ১৯০০ সালের দিকে গ্রীসের সমুদ্র উপকূল থেকে। এটি ৩০টি গিয়ার, ডায়াল এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। একটি ডুবন্ত প্রাচীন জাহাজের মধ্যে পাওয়া যায় এটি। বিজ্ঞানীদের ধারনা এটির তৈরি করা ১ম বা ২য় খ্রীষ্টপূর্ব শতাব্দিতে। এটির কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা না পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীদের অনুমান এটা এক ধরনের ঘড়ি জাতীয় যন্ত্র যা দিয়ে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান এবং আলোক বছর গণনা করা হত।
১৪ শতকের কিছু লেখায় এই The Antikythera Mechanism সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু কোথাও এর গঠন পক্রিয়া নিয়ে কিছু লেখা নেই। ফলে The Antikythera Mechanism থাকলেও বের করা যায়নি এর তৈরি রহস্য।
The Telharmonium:
The Telharmonium কে ধরা হয় দুনিয়ার প্রথম ইলেক্ট্রনিক মিউজিক্যাল যন্ত্র। এটার টোনহুইল দিয়ে সিন্তেথিক মিউজিক্যাল নোট তৈরি করা যেত যা তারের মাধ্যমে লাউডস্পিকারে শোনা যেত।১৮৯৭ সালে এটি তৈরি করেন Thaddeus Cahill। এটা ছিল ঐ পর্যন্ত দুনিয়ার সবথেকে বড় বাদ্যযন্ত্র যার ওজন ছিল ২০০ টন আর রাখার জন্য বড় রুমের দরকার হত। এটার ছিল একগাদা বাটন সহ কীবোর্ড এবং পায়ের প্যাডেল। প্রথম প্রদর্শনেই মানুষের মন জয় করে নেয় এর ক্লিয়ার সাউন্ডএর জন্য।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় এর খরচ এবং আয়তনের জন্য। তাছাড়া এটি চালনায় মানুষের শক্তিও খরচ হতে থাকে অনেক। আর Thaddeus Cahill ও কাউকে এর গঠন সম্পর্কে না জানিয়ে একাই চেষ্টা করতে থাকেন এর থেকে ভাল কিছু করার। মাত্র তিনটি Telharmonium ছিল তখন আর তাই এটার সম্পর্কে অনেক আগ্রহ থাকলেও কেউ জানতে পারেনি এটা বানানোর প্রযুক্তি।
The Library of Alexandria:
যদিও এটি কোন প্রযুক্তির মধ্যে পরে না তারপরেও এর নাম উঠে এসেছে কারন, একসময় এই গ্রন্থাগারের মধ্যে সংরক্ষিত গ্রন্থ এবং এর ধ্বংস হবার কারনে। আলেক্সেন্ডারের গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বে ইজিপ্টে সম্ভাবত Ptolemy Soter এর শাষন আমলে। এটি মানুষের ইতিহাসে প্রথম এমন কোন গ্রন্থাগার যেখানে পৃথিবীর প্রায় সব বিষয়ে বই সংগ্রহ করে রাখা হত। এই সংগ্রহ যে আসলে কত বিশাল ছিল তার সঠিক সংখ্যা কারো জানা না থাকলেও ইতিহাসবিদদের মতে এখানে কমপক্ষে ১ মিলিনিয়নের উপরে স্ক্রোল সংরক্ষন করা ছিল। তৎকালীন সময়ের নাম করা পন্ডিত Zenodotus এবং Aristophones টানা কয়েক বছর কাটিয়ে দেন এই গ্রন্থাগারের সব স্ক্রোল পড়ার জন্য। এমন কথাও শোনা যায় যে, যারা এই শহরে প্রবেশ করত তারা সকলেই কোন না কোন বই এই গ্রন্থাগারে দান করত যাতে তা সংরক্ষিত থাকে এবং গ্রন্থাগারটি আরো সমৃদ্ধ করা সম্ভব হয়।
১ম অথবা ২য় খ্রীষ্টাব্দের সময়ে এই বিশাল গ্রন্থাগারটি আগুনে পুরে ধ্বংস হয়ে যায়। যদিও এই আগুন লাগার আসল কারন কারোরই জানা নেই তারপরেও অনেকের মতে, রোমান সম্রাজ্য জুলিয়াস সিজার দূর্ঘটনা ক্রমে এই গ্রন্থাগারে আগুন লাগিয়ে দেন আবার অনেকে বলেন রোমান সম্রাজ্য আক্রমনকারি Emperor Aurelian, Theodosius I এবং Amr ibn al ‘Aas এর আক্রমনের কারনে ধ্বংস হয় এই গ্রন্থাগার। তবে কেন যে ধ্বংস হয় তা আজো সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয় নাই। যদি আজও এই গ্রন্থাগার টিকে থাকত তাহলে হয়ত আরো অনেক কিছু জানা সম্ভব হত বর্তমান সময়ে।
Damascus Steel:
১১০০ থেকে ১৭০০ শতক পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে খুব শক্ত একধরনের ধাতু ব্যবহার করা হত।যা পরিচিত ছিল "Damascus steel" নামে। এটা দিয়ে মুলত ছুরি ও তলোয়ার বানানো হত। Damascus steel দিয়ে বানানো ছুরি বা তলোয়ার যেমন ছিল শক্ত তেমন ধারাল এবং একই সাথে নমনীয়। আর তাই এর খ্যাতি ছিল বিশ্বব্যাপী।
১৭৫০ সাল পর্যন্ত ছিল এই Damascus steelএর স্বর্নযুগ। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে তলোয়ার বা ছুরির ব্যবহার যেমন কমতে থাকে তেমনি কমতে থাকে ইন্ডিয়া এবং শ্রীলংকা থেকে এর কাচামালের যোগান। ফলে যারা এর বানানোর পদ্ধতি জানত তারা চলে যায় অন্য পেশায় আর তারাও কাউকে আর শেখায়নি বা লিপিবদ্ধ করেনি এটি তৈরি করার নিয়ম। আর এভাবে কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকার কারনে কালের গর্ভে হারিয়ে যায় Damascus steel এর নির্মাণ প্রণালি অথচ অনেক গবেষণা হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য কিন্তু ফলাফল শূন্য।
Apollo & Gemini Space Program Technology:
আসলে সব প্রযুক্তি যে অনেক প্রাচীন তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু প্রযুক্তি আছে যা ৫০ থেকে ৭০ এর দশকের। কিন্তু ইতি মধ্যেই তা হারাতে বসেছে বা অনেকাংশে হাড়িয়ে গেছে। Apollo & Gemini Space Program Technology মূলত NASA এর প্রোজেক্ট। এই দুটি প্রোজেক্টের মূল কাজ ছিল, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা, যাতে মানুষ মহাশুন্যে যেতে পারে। অবশ্য এই প্রোজেক্ট যে ১০০% সফল ছিল তার সাক্ষি ১৯৬৯ সালে মানুষের চাঁদে অবতরন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এই প্রযুক্তি হারালো কিভাবে? আসলে সম্পূর্ন হারিয়ে যায়নি এখনো তবে হারিয়ে দ্বার প্রান্তে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে তৎকালীন সময়ে আমেরিকার প্রতিযোগিতা চলছিল যে কে কার আগে চাঁদে যেতে পারে। প্রথম দিকে সোভিয়েত এগিয়ে যায় এই পথে প্রথম মানুষকে মহাশূন্যে পাঠাবার দৌড়ে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই আমেরিকা চাঁদে মানুষ পাঠায়। কিন্তু তৎকালীন সময়ে এই প্রযুক্তির গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এই রকেটের আলাদা আলাদা অংশ আলাদা আলাদা ভাবে বানানো হত। আর যারা বিভিন্ন অংশ বানাতো তারা কোন দিন অন্য অংশ বানাবার কাজে নিয়যিত লোকদের চোখেও দেখত না। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে প্রতিযোগিতার জন্য তারা তাদের সব কাজের বস্তারিত বর্ননা নথিভুক্ত করেন নাই। ফলে বর্তমানে রকেট বিজ্ঞানীদের কাছে সব থেকে বড় বিশ্বয় হচ্ছে সে সময় NASA এর এই প্রযুক্তি কি ভাবে কাজ করেছিল? কেননা এগুলি কোন ভাবেই এত দুরের পথ অতিক্রম করতে সক্ষম না। আর এ নিয়ে যে বর্তমান সময়ে অনেকেরই মাথার ঘাম পায়ে পরছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Silphium:
বর্তমান সময় জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির কথাতো সবাই জানেন। কিন্তু জানেনকি প্রাচীন পৃথিবীতে এই জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির ব্যাবহার ছিল অনেক আগের থেকেই। রোমান সম্রাজ্যে এর ব্যাপক ব্যাবহার ছিল। তখন এই জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির নাম ছিল Silphium। এই Silphium তৈরি করা হত বিশেষ প্রজাতির মৌরি উদ্ভিদ দিয়ে যা লিবিয়ার কিছু সংখ্যক সমুদ্র সৈকতে খুব সল্প পরিমানে জন্মায়। এই গাছের নাম Silphium, আর গাছের নামের সাথেই মিল রেখে এই জন্মনিয়ন্ত্রন ঔষধের নামকরন করা হয়। এই Silphium গাছের হৃদয় আকৃতির ফল থেকে আবার এমন এক ধরনের ঔষধ তৈরি করা হত যাকে পেনিসিলিনের সাথেও তুলনা করা যায়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে আঁচিল, জ্বর, বদহজম সহ পেটের যে কোন অসুখের জন্য এই Silphium গাছের ফলের ঔষধ ব্যাবহার করা হত। Silphium থেকে যে জন্মনিয়ন্ত্রক ঔষধ তৈরি করা হত তা রোমান নারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল। এছাড়াও এটিকে রোমান সম্রাজ্য এতটাই উপকারি গাছ মনে করত যে এই গাছের ছবি রোমান সম্রাজ্যে প্রচলিত অনেক মুদ্রাতেও ব্যাবহার করা হয়েছে। প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সপ্তাহে রোমান নারীরা এই Silphium থেকে বানানো জন্মনিয়ন্ত্রনকারি ঔষধ খেত, এমনকি কেউ গর্ভবতি হয়ে গেলেও তার গর্ভপাতের জন্য এই ঔষধ ব্যাবহার করা হত, যা এই ঔষধকে ইতিহাসের সব থেকে পুরানো গর্ভপাতের ঔষধের খ্যাতি প্রদান করেছে।
এটি আসলে বিলুপ্ত হয়েছে অনেকটা প্রাকৃতিত ভাবেই। এই ঔষধ কি ভাবে বানাতে হবে। কতটুকু খেলে কি উপকার হবে সবই নথিভূক্ত আছে কিন্তু নেই শুধু একটা জিনিষ আর তা হল Silphium গাছের সেই বিশেষ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রাকৃতিক ভাবেই। ধারনা করা হয় এর ব্যাপক ব্যাবহার কিন্তু সেই তুলনায় এই গাছের চাষ না হবার কারনেই এমনটি ঘটেছে।
Roman Cement:
আধুনিক কংক্রিট ডেভালপ হয় ১৭০০ সালের দিকে, আর এখন সিমেন্ট, বালি, পানি আর ইট মিশালে কংক্রিট তৈরি হয়। কিন্তু এটা কংক্রিট তৈরির ইতিহাস নয়। প্রাচীন যুগে পারসিয়ান, মিশরিয়রা আর রোমানরা জানত কংক্রিট তৈরির ফর্মুলা। কিন্তু রোমানদের তৈরি কংক্রিট ছিল সারা দুনিয়ার বিখ্যাত। তারা Burnt lime, পানি আর পাথর একসাথে মিশিয়ে তৈরি করত কংক্রিট যার গাথুনি ছিল খুবই মজবুত। আর তাই তারা নির্মাণ করেছিল Them The Pantheon, The Colosseum, The Aqueducts আর The Roman Baths।
সব থেকে মজার ব্যাপার ছিল এই সিমেন্ট যারা বানাত কেউ লিখে রাখেনি এর প্রস্তুত প্রনালি, যারা জানত তারা মারা গেলে এক সময় কোথাও জানা যায়নি সেই প্রযুক্তির কথা। ইতিহাসবিদদের সব থেকে বড় প্রশ্ন হল কেন হারিয়ে গেল এর উৎপাদন প্রক্রিয়া। আর এর হারান নিয়ে প্রচলিত আছে নানা মিথ।
Greek Fire:
হারিয়ে যাওয়া প্রযুক্তির মধ্যে সব থেকে রহস্যময় বিষয় হল Greek Fire। যা ব্যবহার করত Byzantine Empire এর সইন্যরা। এটা এমন এক আঠালো আগুন ছিল যা পানির মধ্যেও একটানা জ্বলত। এর সব থেকে বহুল ব্যবহার হয় ১১ শতকে। প্রথম দিকে এটি বড় জারের মধ্যে ঢুকিয়ে গ্রেনেডের মত শত্রুর দিকে ছুরে মারা হত, তারপর এটি ব্যবহার হয় যুদ্ধ জাহাজে। জাহাজের সামনে ব্রোঞ্জের পাইপ ফিট করে সেই পাইপের মধ্য দিয়ে শত্রুর জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হত।
Byzantine Empire এর শাসন আমলের পর কমতে থাকে এর ব্যবহার। এক সময় তা হয়ে যায় ইতিহাস। কিন্তু পড়ে এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু আসলেই কি কি মিশিয়ে এটি তৈরি হত তা এখনও একটি বিস্ময়ের বিষয় হয়ে দাড়িয়ে আছে সবার কাছে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।