বিড়াল দ্বীপ


মাত্র ০.৫ কিঃমিঃ চওড়া জাপানের 'Aoshima' দ্বীপকে বলা হয় 'বিড়লের দ্বীপ' বা 'বিড়ালের স্বর্গ'। কেননা এই দ্বীপে মানুষের থেকে বিড়ালের সংখ্যাটাই বেশি। এই দ্বীপে স্থায়ি ভাবে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৫ আর বিড়ালের সংখ্যা শতাধিক। আর এই কারনেই এই দ্বীপকে বলা হয় 'বিড়ালের দ্বীপ।


অতীতে কিন্তু এই দ্বীপে এতপরিমান বিড়াল ছিল না আর এই দ্বীপকে বিড়ালের স্বর্গরাজ্যও বলা হত না। মূলত প্রায় ৩৮০ বছর আগে প্রথম এই দ্বীপে মানুষের পদার্পন পরে। তৎকালীন সময়ে এই দ্বীপের আশেপাশের জলাশয়ে বিপুল পরিমান মাছ পাওয়া যেত। আর এই কারনেই এই এলাকাটা জেলেদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয় ওঠে। কিন্তু সমস্যা হয়ে ওঠে ইঁদুর। এই দ্বীপে আশা জেলেদের জাল ইঁদুর কেটে ফেলত আর এই ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচতেই প্রথমে তারাই বিড়াল নিয়ে আসে এই দ্বীপে। ১৯৫৫ সালে এই দ্বীপের জনসংখ্যা সর্বাধিক ৭৯৮ জনে পৌছায়। কিন্তু এরপরে বিড়ালের সংখ্যা বাড়তে থাকে আর ছোট এই দ্বীপে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে। আর ধীরে ধীরে এই দ্বীপ হয়ে ওঠে বিড়ালের স্বর্গরাজ্য।


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info