বিশ্বের ১০টি ক্ষুদ্রতম প্রাণী

প্রতিদিনই তো আপনারা হাজার হাজার পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ দেখে থাকেন। সত্যি সত্যি না দেখলেও টেলিভিশনে নিশ্চয়ই দেখেন। ডিসকভারি নয়তো ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল খুললেই তো কতো রকমের পশু-পাখি আর কীট-পতঙ্গ দেখা যায় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এসব জীবজন্তুদের দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর এদের কাজ কারবারও অনেক মজার। তবে সবচাইতে ভালো দিকটা হচ্ছে আমরা এসব প্রাণীদের আচার আচরণ আর জীবনযাত্রা সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। আজকে আপনাদের জ্ঞানের ভান্ডারে আরও কিছু নতুন তথ্যের সংযোজন করে নেন। আজকে আমরা জানবো কিছু ক্ষুদ্রতম প্রাণীদের সম্পর্কে।


০১) পিগমি বানরঃ
এই বানরের নাম 'Pygmy Marmoset'। বাংলায় এর কোন নাম না থাকার কারনে একে আমরা 'পিগমি বানর' নামেই চিনি। এটি পৃথিবীর সব থেকে ক্ষুদ্রতম বানর প্রজাতি। এর ওজন সর্বচ্চ ১১০ গ্রাম থেকে ১৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এর উচ্চতা সর্বচ্চ ১৫ সেঃমিঃ। আর এদের বসবাস আমাজনের গহীন অরণ্যে।


০২) বামন ঘোড়াঃ
এই ঘোড়া নিয়ে পূর্বে 'বামন প্রাণীদের গল্প' লেখায় আলোচনা করা হয়েছিল।


০৩) মৌমাছি হামিংবার্ডঃ
হামিংবার্ডের যত গুলি প্রজাতি আছে তার মধ্যে সব থেকে ছোট প্রজাতির নাম 'মৌমাছি হামিংবার্ড' (Bee Hummingbird)। এই প্রজাতির পাখি গুলির দেখা মেলে কিউবার জংগলে। পাখি গুলির ওজন হয় ১.৬-২ গ্রাম পর্যন্ত। আর লম্বায় ৫-৬ সেঃমিঃ। এটি পৃথিবীর সব থেকে ক্ষুদ্রাকৃতির পাখি।


০৪) ফিলিপাইন টারসিয়ার্সঃ
ফিলিপাইনের টারসিয়ার্স প্রজাতির বানর গুলি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর কাতারে নাম লিখিয়েছে বেশ আগেই। এই প্রানীগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী গুলির মধ্যে সব থেকে ক্ষুদ্রাকৃতির প্রাণী। মানুষের হাতের আংগুলের থেকে লম্বা নয় প্রাণী গুলির আকার।


০৫) ক্ষুদ্রকায় শুকরঃ
কৃত্তিম উপায়ে এই শুকর গুলির জন্ম দেওয়া হয়। এই গুলি মূলত ব্যবহৃত হয় পরীক্ষাগারে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য অথবা পোষা প্রাণী হিসেবে। ১৯৮০ সালের দিকে প্রথম এই শুকর গুলি পরীক্ষাগারে ব্যাবহার করা শুরু হয়। ১৯৮০ সাল পরীক্ষাগারে এর ব্যবহার শুরু হয়, আজ পর্যন্ত এর ব্যবহার চলে আসছে। এই শুকর গুলি ১৬ থেকে ২৬ ইঞ্চি লম্বা হয়।


০৬) ফেলেক শিয়ালঃ
উত্তর আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে খোঁজ মেলে এই শিয়াল গুলির। এই শিয়াল গুলির কান একটু বেশি লম্বা হয়। এরা কান গুলি শুধু শোনার কাজেই ব্যবহার করে না, দেহের অতিরিক্ত তাপ বের করে দিতেও ব্যবহার করে। শিয়াল প্রজাতির মধ্যে এই শিয়াল গুলি সব থেকে ছোট কিন্তু কানের দিক দিয়ে এই প্রজাতির শিয়ালের কান অন্যান্য সকল প্রজাতির শিয়ালের কানের থেকে লম্বা হয়। কান গুলি সর্বোচ্চ ৬ সেঃমিঃ লম্বা হয়।


০৭) পান্ডা গরুঃ
আচ্ছা আপনাদের 'পান্ডা কুকুর' এর কথা মনে আছে? এই গুরু গুলি কিন্তু মোটেও সেরকম না। ২০১১ সালের এক জরিপ অনুসারে সারা বিশ্বে এই গরুর সংখ্যা মাত্র ২৪টি। প্রাকৃতিক ভাবে পরিব্যক্তির (Mutation) কারনেই জন্ম নেই এই গরু গুলি। গরু গুলির পেট বরাবর সাদা মোটা দাগ থাকে যা সম্পূর্ন দেহকে ঘিরে থাকে আর মুখের রঙ্গ অনেকটাই পান্ডার মত।


০৮) পিগমি খরগোসঃ
খরগোস প্রজাতি গুলির মধ্যে পিগমি খরগোস সব থেকে ছোট আকৃতির খরগোস। এদের খোঁজ মিলে উত্তর আমেরিকাতে। পূর্ন বয়স্ক পিগমি খরগোস লম্বায় হয় ২৪-২৯ সেঃমিঃ। মেয়ে পিগমি খরগোস ছেলে পিগমি খরগোসের তুলনায় কিছুটা বড় আকৃতির হয়।


০৯) পেডোসাইপ্রিস মাছঃ
এই ঘোড়া নিয়ে পূর্বে 'বামন প্রাণীদের গল্প' লেখায় আলোচনা করা হয়েছিল।


১০) গোল্ডেন ব্যাঙঃ
পানামার গোল্ডেন ব্যাঙ বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত প্রাণী। দিনে দিনে এর সংখ্যা কমেই চলেছে। প্রথম দিকে ধারনা করা হত এটি একটি ভাইরাসের উপপ্রজাতি, কিন্তু বর্তমানে এটি ভিন্ন একটি প্রজাতি হিসেবে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছে। ব্রাজিলে খুঁজে পাওয়া এই ব্যাঙ গুলিকে 'ব্রাজিলের গোল্ডেন ব্যাঙ' নামেও ডাকা হয়। ব্যাঙ গুলি সাধারনত ৯.৮ মিলিমিটার লম্বা হয়। ব্যাঙ গুলি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৯৬ সালে, কিউবাতে। ব্যাঙ গুলি এখনও সর্বজন স্বীকৃত কোন নাম নেই তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম 'eleutherodactylus iberia'।

লেখকঃ জানা ওজানার পথিক।
hybridknowledge.info

৪টি মন্তব্য:

  1. উত্তরগুলি
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য। আমি ঠিক করে দিছি। আশা করি ভবিষ্যতেও আমার ভুল গুলিকে ধরিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ।

      মুছুন
  2. উত্তরগুলি
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য। আমি ঠিক করে দিছি। আশা করি ভবিষ্যতেও আমার ভুল গুলিকে ধরিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ।

      মুছুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info