আমারা অনেকেই নোবেল প্রাইজের কথা জানেন। কিন্তু ইগনোবেল প্রাইজের কথা খুব কম সংখ্যকই জানি। ইগনোবেল Ig Nobel প্রাইজ অনেকটা প্যারোডী নোবেল প্রাইজ। ইগনোবেল Ig Nobel পুরস্কার দেয়া হয় হাস্যকর সব আবিষ্কারের জন্য এবং আসল নোবেল পুরস্কারের ব্যঙ্গ হিসেবেই। প্রতিবছর মজার কিন্তু প্রয়োজনীয় এমন ১০টি ক্ষেত্রে এ পুরষ্কার দেয়া হয়। এই পুরুষ্কারের মূলমন্ত্র হল “গবেষনা যা প্রথমে মানুষকে হাসায় কিন্তু পরক্ষণে চিন্তা করতে বাধ্য করে”।
এই পুরষ্কারটির আয়োজক হাভার্ড ইউনিভার্সিটির বিদ্রূপাত্মক বিজ্ঞান ম্যাগাজিন এননালস অব ইম্প্রোবাবল রিসার্চ (এআইআর)। প্রতিবছর অক্টোবার মাসের শুরুতে নোবেল পুরষ্কার ঘোষনার আগে এই পুরষ্কারের ঘোষনা দেয়া হয় এবং সেপ্টেম্বারে শেষের দিকে হাভার্ডের স্যান্ডার্স থিয়েটার হলে এই পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শান্তি, রসায়ন, মনস্তত্ত্ব বা ওষুধ, অ্যানাটমিসহ মোট ১০টি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এই পুরষ্কারটির আয়োজক হাভার্ড ইউনিভার্সিটির বিদ্রূপাত্মক বিজ্ঞান ম্যাগাজিন এননালস অব ইম্প্রোবাবল রিসার্চ (এআইআর)। প্রতিবছর অক্টোবার মাসের শুরুতে নোবেল পুরষ্কার ঘোষনার আগে এই পুরষ্কারের ঘোষনা দেয়া হয় এবং সেপ্টেম্বারে শেষের দিকে হাভার্ডের স্যান্ডার্স থিয়েটার হলে এই পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শান্তি, রসায়ন, মনস্তত্ত্ব বা ওষুধ, অ্যানাটমিসহ মোট ১০টি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাপানের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র কাজুতাকা কুরিহারা ও কোজি সুকুদার ‘স্পিচ জ্যামার’ যন্ত্রটা অনেকটা ‘বিপদঘণ্টির’ মতো। অন্যদের সুযোগ না দিয়ে কেউ একনাগাড়ে অনর্গল কথা বলতে থাকলেই, বিকট আওয়াজে সেই কথাগুলোরই প্রতিধ্বনি শোনাতে শুরু করে যন্ত্রটা। কেউ যদি বাড়তি সময় নিয়ে কথা বলে, তাদের জন্য অন্তত যন্ত্রটি দারুণ কার্যকর। শব্দবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছরের প্রাপকদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন সরকারের অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিসও। প্রতিবেদনের জন্য প্রতিদেন, তার জন্য প্রতিবেদন, আবার তারও জন্য প্রতিবেদন দেওয়ায় বিশেষ ‘কৃতিত্বের’ অধিকারী তারা। সেই প্রতিবেদন পেশের জন্য এবার সাহিত্যের ইগ নোবেলে ভূষিত হয়েছে ওই দপ্তর।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রমাণ হয়ে গেল স্যামন মাছের দামও ‘লাখ টাকা’। এ মাছের মস্তিষ্কের গঠন বিচার করেই চার মার্কিন বিজ্ঞানী পেয়ে গেলেন ইগ নোবেল।
রং না করেই চুল সবুজ হয়ে যায় কীভাবে? এই ছিল জোহান প্যাটারসনের গবেষণার বিষয়বস্তু। সবুজ রঙের চুল! এও আবার হয় নাকি? এ রকমই হয়েছে সুইডেনের অ্যান্ডারসল্ভ শহরে। হঠাৎ করেই অনেকের সোনালি চুল বদলে সবুজ। সে রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে প্যাটারসন দেখেন, পানির পাইপে তামার প্রলেপ কাঁচা রয়েছে। আর তাতেই বদলে গিয়েছে চুলের রং। এ জন্য তিনি রসায়নে ইগ নোবেল পেয়েছেন।
নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী অ্যানিটা এরল্যান্ড আর তাঁর সহকর্মীরা অবশ্য খুব বেশি মাথা খাটাননি। বরং মাথাটা বাঁ দিকে হেলিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন, আইফেল টাওয়ারটা এভাবে ‘ছোট’ দেখায়। তাতেই পেয়েছেন মনস্তত্ত্বে বিশেষ সম্মান।
শিম্পাঞ্জিরা যে জাতভাইয়ের ছবি দেখেই প্রত্যেককে আলাদা করে চিনতে পারে, তার প্রমাণ দিয়ে অ্যানাটমির পুরস্কারটা পান নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী।
ধনসম্পদের জন্য দেশে দেশে যুদ্ধ। কত না মানুষ প্রাণ হারায় গোলার মুখে। নিজের দেশের এমন কিছু গোলা থেকেই হিরে সংগ্রহ করে রুশ বিজ্ঞানীরা পেলেন ‘শান্তি’ পুরস্কার।
কফি হাতে হাঁটতে হাঁটতে কাপ থেকে কফি কেন উথলে পড়ে? তরল পদার্থের এমন স্বভাবের জটিল কারণ বিশ্লেষণ করে চার বিজ্ঞানী ইগ নোবেল পেলেন ‘ফ্লুইড ডায়নামিকস’-এ।
লেখকঃ বুইড়া মাস্তান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লেখকঃ বুইড়া মাস্তান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন