পৃথিবীর সবথেকে ক্ষুদে পূর্ন বয়স্কা নারী ।। World Smallest Woman

জ্যোতি আমজি মাত্র ৬২ সেমি লম্বা এ সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে আকৃতির নারী। তার বর্তমান ওজন মাতে ১২ পাউন্ড অর্থাৎ ৫.৫ কেজি মাত্র, তার জন্মের পরে তার ওজন নিতান্ত বৃদ্ধি পাইনি বললে চলে। ১৮তম জন্মদিন যে কারো জন্য খুব খুশির হলেও এটা তার জন্য ছিল একটি অবিস্মরনিয় দিন। একননা এই দিন সে বিশ্বের সব থেকে ক্ষুদে নারীর ক্ষেতাব জিতেন। মাত্র ২ ফিট উচ্চতার এই কিশোরি ইন্ডিয়ার নাগপুরে থাকেন। সেখানে সে একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ত। এক নামে সকলে তাকে চিনে। এমন জনপ্রিয়িতা কজনার কপালে জুটে। তাহলে চলেন এবার জেনে নেই তার সম্পর্কে কিছু তথ্য উপাথ্য।


সব থেকে বড় কথা হল জ্যোতি ৬১.৯৬ সেমি উচ্চতা ছুয়েছেন তার ১৮ বসর বয়সে, আর তাই গীনেস বিশ্ব রেকর্ড কর্মকর্তা ঐ দিন জ্যোতিকে ঘোষনা করেন পৃথীবির সব থেকে ক্ষুদ্র আকৃতির নারী। এই দিন পৃথিবীর সব থেকে ক্ষুদে কিশোরি অর্জন করল পৃথিবী সব থেকে ক্ষুদে নারীর খেতাব।


এই ছবিটি তোলা হয়ে ছিল তার নাগপুরের বাড়িতে। পিছে যে টেডি বেয়ার দেখতে পারছেন সেটা প্রায় তার সমান উচ্চতার। জ্যোতির এই রেকর্ড গড়ার আগে এর মালিক ছিলেন আমেরিকার ব্রিডগেট জডার্ন, যিনি কিনা জ্যোতির তুলনায় মাত্র ২.৭৬ ইঞ্চি লম্বা এই ২২ বছরের আমেরিকান। ব্রিডগেট সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ছিলেন কেননা এই দিন যে জ্যোতি জন্মদিন আর ঐ দিনই সে ১৮ বছরের পূর্ন নারীতে পরিনত হয়েছিলেন।

এই দিন জ্যোতি তার সব থেকে সুন্দর শাড়িতে উপস্থিত হয়েছেলেন সবার সামনে। আর এই দিনকে আরো উজ্জ্বল করে তুলল তার এই রেকর্ডটি হাতিয়ে নেওয়ার মধ্যথেকে। যদিও জর্ডান আর জ্যোতির মধ্যে বেশ হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হয়ে ছিল, কেননা পার্থিক্যটা যে মাত্র ২.৭৬ ইঞ্চি। অনেক সময় দেখা যায় চুলের কারনে এই উচ্চতার হেরফের হয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে অবশ্য একটু ঝামেলা বেধেছিল কিন্তু সব সংশয়ের অবশান ঘটিয়ে জ্যোটি বনে গেল বিশ্বের সব থেকে ক্ষুদে নারী।

জ্যোটির আনন্দ দেখে সবাই হেসে উঠল। কেননা আমাদের সমাজে বাটুল মানুষদের প্রতিটি পদে পদে আমরা হেয় করে অভ্যস্থ এই মধ্যে এই পাওয়া জ্যোতিকে দিয়েছিল অয়ানবিল আনন্দের স্পর্স। এই রেকর্ডটি যখন সে অরজন করল তখন সে বলেই ফেললো এর পরের টার্গেট বলিউড। দেখা যাক তার এই সপ্ন কতটুকু পূরন হয়।

আসুন এবার জ্যোটির জীবন থেকে নেওয়া কিছু ছবি দেখে নেইঃ

প্রতি বেশীর ছেলে যে কিনা ১৪ মাস বয়সের, জ্যোতিকে তার থেকেও ছোট লাগছে
ঘরের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছে
তার জন্য বানানো ছোট সোফা
বড় দু'বোনের সাথে ভাগাভাগি করে নেয় এই ডেসিং টেবিল
ছোট্ট বেলার খেলার সাথী টেডি বেয়ার
বায়ে বড় বোন এবং ডানে প্রতিবেশির ছেলে সহ জ্যোতি
স্কুলে স্পেসাল চেয়ার টেবিলে জ্যোতি
বাম থেকে শুরু করি, বোন রূপালী (১৮), বোন অর্চনা (২৩), মা রঞ্জনা আমজি (৪৫), পিতা কিশান (৫২) এবং ভাই সাতিশ (২২), ছবিটি ২০০৯ সালে তোলা হয়েছিল।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info