বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম এবং পুরাতন ডিম ।। Worlds Oldest & Largest Egg

ডিমের মা মারা গিয়েছে অনেক আগেই, শুধু মা না এই ডিমের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ৪০০ বছর আগে, কিন্তু এখনও টিকে আছে ডিম তার নিজের আকৃতিতে। আজ আপনাদের এমনই এক ডিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যা বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম এবং সব থেকে পুরাতন বা বয়স্ক ডিমের সাথে। এই ডিমটি ম্যাডাগাস্কার বিলুপ্ত "হাতি পাখি" (The Giant Elephant Bird) এর। ১৭ শতকে দিকে এই হাতি পাখি বিলুপ্ত হবার পূর্বে এটি ছিল বিশ্বের সব থেকে বড় পাখি। এটি প্রায় ১০ ফুট লম্বা এবং ওজনে প্রায় অর্ধ টনের। এত বড় হলে কি হবে এই হাতি পাখি কিন্তু উড়তে পারত না।


Duncan Phillips ধরে আছেন ডিমটি, এই ডিমটির ব্যাস তিন ফুট। এটি প্রথম আবিস্কার করেন David নামক একজন Victorian Explorers, যিনি মাডাগাস্কার নিয়ে একটি ভিডিও প্রামান্য চিত্র বানাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি এই ডিমটি খুঁজে পান। ডিমটি বর্তমানে আছে John Shepherd নামক একজন প্রাগৈতিহাসিক জীব বিশেষজ্ঞের কাছে। অবশ্য তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিমটি তারা বিক্রি করে দিবেন। অবশ্য এর জন্য বেশ মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে।


এই ডিমটি ফুটবল বা রাগবি বলের থেকেও বড় আর এর বিক্রেতারা এটির দাম সর্বনিম্ন ৫০০০ ইউরো ধরে রেখেছেন। ডিমটি সত্যিকার অর্থেই অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এক সময়ের মাদাগাস্কার এই হাতি পাখির অস্তিত্ব ছিল এই পৃথিবীর বুকে। মানুষের সাথেই তারা বেঁচে ছিল বহু বছর। কিন্তু মানুষের কারনে পরিবেশের পরিবর্তনের কারনে এই হাতি পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে ডোডো পাখির মত।

ডিমটির কিছু বৈশিষ্ট
এই হাতি পাখির বিলুপ্তির প্রধান কারন হিসেবে কয়েকটি কারন ধরা হয়। প্রথমত মাডাকাস্কার অধিবাসিদের কাছে এই পাখির মাংস বেশ প্রিয় ছিল। তাই এই পাখির শিকারের হার ছিল অনেক বেশি এছাড়াই বনের জংলী শুকর গুলি এই হাতি পাখির বাচ্চাদের মেরে ফেলত যার ফলে এদের বংশ বৃদ্ধির হার অনেক কমে যায় মৃত্যুর হারের তুলনায়।


যদিও পাখিটি অনেক বড় ছিল, উচ্চতায় প্রায় ১০ ফুট আর ওজন ছিল অর্ধ টনের মত। কিন্তু এই পাখি যে উড়তে পারত না। উপরের ছবিতে পাখিটির কঙ্কাল আর তার ডিমের সাথে তুলনা করলে অনেকটাই ধারনা পাওয়া যায় পাখিটি কত লম্বা ছিল। এই পাখির পা ছিল অনেকটা অষ্ট্রেলিয়ার উটপাখির (Ostrich) পাখিত মত লম্বা। কিন্তু যত বড় হোক না কেন এই পাখি না পারত উড়তে না পারত জোরে দৌড়াতে আর ছিল অনেকটা বোকা। একারনেই অতি সহজেই এরা পরিনত হত শিকারে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায় বিশ্বের সব থেকে বড় পাখি The Giant Elephant Bird।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info