প্রকৃতি সকল প্রাণীকেই দিয়েছে তার নিজের মত করে আত্মরক্ষার সুযোগ আর দিয়েছে নিজের খাবার যোগার করে নেয়ার উপযুক্ত যগ্যতা। একটি সিংহ বা চিতা যদি নিচেকে বনের মাঝে লুকাতে না পারতো তাহলে কি সে সহজে তার খাদ্য জোগার করতে পারতো? না, পারতো না। আবার একটা প্রজাপতি বা ব্যাঙ যদি নিজেকে ঠিক মত লুকাতে না পারে তাহলে সে সহজেই অন্যের খাদ্যে পরিণত হয়ে যাবে। তাই প্রকৃতি প্রায় প্রতিটি প্রাণীকেই দিয়েছে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়ে লুকিয়ে থাকার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা। এটাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ছদ্মবেশ। দেখুন প্রাণীগুলি কি করে নিজেদেরকে লুকিয়ে ফেলে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে।
সবুজ গিরিগিটিঃ
গাছের পাতার সাথে মিশে আছে সবুজ একটি গিরিগিটি।
পেঁচাঃ
গাছের শুকনো বাকলের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছে একটি পেঁচা
ব্যাঙঃ
ব্যাঙটি মিশে আছে তার পায়ের নিচের দাগগুলির সাথে।
মথঃ
মথটি বালির সাথে নিজের পাখার রং আর নিজের গায়ের ফুটকুরির সাথে মিশে আছে।
মাকড়সাঃ
মাকড়সাটি ক্যামোফ্লেক্স হিসেবে ব্যাবহার করছে বালি।
পোকাঃ
সবুজ পোকাটি সবুজ পাতার সাথে মিলে গেছে।
গিরিগিটিঃ
গাছের ছালের আর গিরিগিটিটির গায়ের রং ও কারুকাজ ক্যামফ্লেক্স হিসেবে কাজ করছে।
মাকড়সাঃ
এখানেও মাকড়সাটি বলির সাথে নিজেকে কি করে মিশিয়ে নিয়েছে দেখুন।
ব্যাঙঃ
নিচের নুড়ি পাথরের সাথে ব্যাঙগুলি মিশে আছে।
মাছঃ
মাছটি এমন ভাবে নিজের গায়ের রং এর সাথে নিজের চারপাশকে ব্যবহার করছে যে মাছটিকেই দেখা যাচ্ছে না।
চিতাঃ
চিতাটির গায়ের কালো ফুটকুরি গুলি বনের শুকনো ডাল-পালা আর লতা-পাতার সাথে মিশে আছে।
ব্যাঙঃ
ব্যাঙটি পাতার সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে যে তাকে আলাদা করে দেখাই কষ্টকর।
প্রজাপতিঃ
এটি প্রজাপতি নাকি শুকনো পাতা?
বিছাঃ
গাছের পাতার সাথে এমন ভাবে বিছাটা মিশে আছে যে আলাদা করে তাকে দেখায় যায় না।
গঙ্গাফড়িং:
গঙ্গাফড়িংটি এমন ভাবে বসে আছে মনে হচ্ছে একটি ফুল।
সাপঃ
সাপটি নিজেকে বালির সাথে একাকার করে রেখেছে।
অক্টপাশঃ
পানির নিজের বালির সাথে নিজের গায়ের রং মিলিয়ে নিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।
সিংহঃ
শুকনো নলখাগড়া জাতীয় ঘাস বনে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে সিংহটি।
লেখকঃ মরু ভূমির জলদস্যু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন