কৌতুকটা নিশ্চয়ই শুনেছেন অনেকেই। তৃতীয় বিশ্বের এক দেশের মন্ত্রী গেছেন উন্নত বিশ্বের এক দেশ সফরে। তো, সেই দেশের মন্ত্রী মহোদয় ‘গরিব’ দেশের মন্ত্রীকে নিয়ে গেছেন তাঁর দেশের উন্নয়ন দেখাতে। তিনি এক প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মাটি খোঁড়ার ব্যবস্থা করলেন। একটু খুঁড়তেই দেখা গেল, টেলিফোনের তার বের হয়ে আসছে। মন্ত্রী তখন সগর্বে বুক ঠুকে বললেন, ‘দেখেছেন, আমাদের দেশের লোকেরা সেই আদিকালেও টেলিফোন ব্যবহার করতেন।’
এর কিছুদিন পরে সেই উন্নত দেশের মন্ত্রী ফিরতি সফরে গেলেন ‘গরিব’ দেশটিতে। যাওয়ার পর তৃতীয় বিশ্বের মন্ত্রী ঠিক তাঁর মতো করে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মাটি খোঁড়ার ব্যবস্থা করলেন। অনেকটুকু মাটি খোঁড়ার পর কিছুই বের হলো না। সফরকারী মন্ত্রীর ঠোঁটের কোনায় তখন বিদ্রূপের হাসি। তবে একটুও না দমে তৃতীয় বিশ্বের করিৎকর্মা মন্ত্রী বললেন, ‘দেখলেন তো, কোথাও কোনো টেলিফোনের তার নেই। মানে সেই আদিকাল থেকে আমরা মোবাইল ব্যবহার করতাম!’
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে একেবারেই বাস্তবতা বিবর্জিত কৌতুক গুলোকে বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গ যে নামেই ডাকুন না কেন, সারা দুনিয়াতেই এগুলো মজা করার জন্য বহুল প্রচলিত। তত্ত্ব-তথ্য ও যুক্তির আলোকে দেখলে যে কেউ এই কৌতুকে আপত্তি জানাতেই পারে, কারণ বিজ্ঞান বা পৃথিবীর ইতিহাস কোথাও এ ধরনের কথার কোনো সত্যতা নেই।
কিন্তু এবার বোধহয় সেই যুক্তি-তত্ত্বকথা ভুল হয়ে কৌতুকটিই সত্যি হতে বসেছে। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার পুরাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ববিদরা তো বলছেন তাই!
সম্প্রতি খনন কার্য চালাতে গিয়ে অস্ট্রিয়ার পুরাতত্ত্ববিদরা এমনই একটি মোবাইল ফোনের খোঁজ পেয়েছেন। তাদের দাবি, মোবাইল আকৃতির এই ধাতব পদার্থটির বয়স ৮০০-এর কম নয়! ওই ফোনের গায়ে আবার রয়েছে সুমেরীয় লিখন-শৈলী, যা কীলকাকার বর্ণমালা নামে পরিচিত।
ফোনের গায়ের সুমেরীয় লেখা পুরাতত্ত্ববিদদের কৌতূহল বাড়িয়েছে। কারণ, বহু বছর আগেই কীলকাকার এই বর্ণমালা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় প্রাচীনকালে এই হরফ ব্যবহৃত হতো।
অস্ট্রিয়ার নৃতত্ত্ব ও পুরাতত্ত্ববিদদের অনেকেরই দাবি, ফোনটি ১৩০০ শতকের। কারণ, ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার মাধ্যমে এই সত্য নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। তবে বর্তমান ইরান ও ইরাকের লিপির সঙ্গে ফোনে ব্যবহৃত লিপির অনেকও মিলও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া এই মোবাইল ফোনই, নাকি অন্য কোনো ডিভাইস, তা নিয়ে এখনো দন্ধ কাটেনি গবেষকদের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের দৌলতে সায়েন্স ফিকশনের ‘সময় পরিভ্রমণ’ তত্ত্বটি সত্যি বলেই মনে করছেন অনেক গবেষক। এদিকে ‘গুজবেরও’ ডালপালা ছড়িয়েছে অনেক। অনেকে ছবি ও খবরটি শেয়ার করে খবর প্রকাশ করছেন, প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে ভিনগ্রহীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ভিনগ্রহীরা এই পৃথিবীতেও আসত নিয়মিত। তারাই এই মোবাইল পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল। তবে এই কথাটির কোনো সত্যতা এখনো প্রমাণ করতে পারেননি কেউ।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
এর কিছুদিন পরে সেই উন্নত দেশের মন্ত্রী ফিরতি সফরে গেলেন ‘গরিব’ দেশটিতে। যাওয়ার পর তৃতীয় বিশ্বের মন্ত্রী ঠিক তাঁর মতো করে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মাটি খোঁড়ার ব্যবস্থা করলেন। অনেকটুকু মাটি খোঁড়ার পর কিছুই বের হলো না। সফরকারী মন্ত্রীর ঠোঁটের কোনায় তখন বিদ্রূপের হাসি। তবে একটুও না দমে তৃতীয় বিশ্বের করিৎকর্মা মন্ত্রী বললেন, ‘দেখলেন তো, কোথাও কোনো টেলিফোনের তার নেই। মানে সেই আদিকাল থেকে আমরা মোবাইল ব্যবহার করতাম!’
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে একেবারেই বাস্তবতা বিবর্জিত কৌতুক গুলোকে বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গ যে নামেই ডাকুন না কেন, সারা দুনিয়াতেই এগুলো মজা করার জন্য বহুল প্রচলিত। তত্ত্ব-তথ্য ও যুক্তির আলোকে দেখলে যে কেউ এই কৌতুকে আপত্তি জানাতেই পারে, কারণ বিজ্ঞান বা পৃথিবীর ইতিহাস কোথাও এ ধরনের কথার কোনো সত্যতা নেই।
কিন্তু এবার বোধহয় সেই যুক্তি-তত্ত্বকথা ভুল হয়ে কৌতুকটিই সত্যি হতে বসেছে। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার পুরাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ববিদরা তো বলছেন তাই!
সম্প্রতি খনন কার্য চালাতে গিয়ে অস্ট্রিয়ার পুরাতত্ত্ববিদরা এমনই একটি মোবাইল ফোনের খোঁজ পেয়েছেন। তাদের দাবি, মোবাইল আকৃতির এই ধাতব পদার্থটির বয়স ৮০০-এর কম নয়! ওই ফোনের গায়ে আবার রয়েছে সুমেরীয় লিখন-শৈলী, যা কীলকাকার বর্ণমালা নামে পরিচিত।
ফোনের গায়ের সুমেরীয় লেখা পুরাতত্ত্ববিদদের কৌতূহল বাড়িয়েছে। কারণ, বহু বছর আগেই কীলকাকার এই বর্ণমালা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় প্রাচীনকালে এই হরফ ব্যবহৃত হতো।
অস্ট্রিয়ার নৃতত্ত্ব ও পুরাতত্ত্ববিদদের অনেকেরই দাবি, ফোনটি ১৩০০ শতকের। কারণ, ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার মাধ্যমে এই সত্য নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। তবে বর্তমান ইরান ও ইরাকের লিপির সঙ্গে ফোনে ব্যবহৃত লিপির অনেকও মিলও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া এই মোবাইল ফোনই, নাকি অন্য কোনো ডিভাইস, তা নিয়ে এখনো দন্ধ কাটেনি গবেষকদের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের দৌলতে সায়েন্স ফিকশনের ‘সময় পরিভ্রমণ’ তত্ত্বটি সত্যি বলেই মনে করছেন অনেক গবেষক। এদিকে ‘গুজবেরও’ ডালপালা ছড়িয়েছে অনেক। অনেকে ছবি ও খবরটি শেয়ার করে খবর প্রকাশ করছেন, প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে ভিনগ্রহীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ভিনগ্রহীরা এই পৃথিবীতেও আসত নিয়মিত। তারাই এই মোবাইল পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল। তবে এই কথাটির কোনো সত্যতা এখনো প্রমাণ করতে পারেননি কেউ।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কতদিন আগের ঘটনা এটা? :o
উত্তরমুছুনমনে হয় না...!!!!!! আবার হতেও পারে...
মুছুন