The Child Eater of Bern, Switzerland:
শিশুখাদক এই মূর্তিটি সুইজারল্যান্ডের Bern শহরের Kornhausplatz (Granary Place)-এ অবস্থিত। আদতে এটি একটি ঝর্ণা। ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এই ঝর্ণার নাম Kindlifresserbrunnen যার অর্থ Fountain of the Eater of Little Children । এটি Old City of Bern's fountains নামেও পরিচিত। ১৫৪৫-৪৬ খৃস্টাব্দে Hans Gieng নামে এক ব্যাক্তি প্রথম এটি তৈরি করেছিল। কাঠের তৈরি এই মূর্তিটির তখন নাম ছিল Platzbrunnen (Place Fountain)। ১৬৬৪ সালের দিকে এসে এর নাম দেয়া হয় Kindlifresserbrunnen। Kindli শব্দটি একটি Swiss German শব্দ। জার্মান ভাষায় Kind শব্দের অর্থ শিশু। এই ঝর্নাটিতে Jewish hat পরিহিত এমন একটি রাক্ষস বসে আছে যে একটি উলঙ্গ শিশুকে গিলে খাচ্ছে। তার ব্যাগে রয়েছে আরও কয়েকটি শিশু। বলা হয়ে থাকে এই রাক্ষস ইহুদি দেবতা Jew-এর বিরুদ্ধে রক্তের বদলা নিতে যাচ্ছিল। অন্য সুত্রে বলা হয় এটি গ্রীক দেবতা Cronus-এর প্রতিরূপ। যে শিশুদের চিবিয়ে খেত। তবে বেশিরভাগ লোকের ধারণা এটি দুষ্টু ও অবাধ্য ছেলেদের ভয় দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে Hans Rudolf Manuel নামের এক স্থাপত্য শিল্পী এই ঝর্ণার ভিত্তিতে আরও ড্রাম বাদক দল স্থাপন করা হয় যেন এই রাক্ষসটি কোন যুদ্ধ যাত্রায় যাচ্ছে। সাহিত্যিক Jacques Chessex রচিত উপন্যাস L'ogre (The Ogre)-তে এই রাক্ষসটি উল্লেখযোগ্য এক চরিত্র।
শিশুখাদক এই মূর্তিটি সুইজারল্যান্ডের Bern শহরের Kornhausplatz (Granary Place)-এ অবস্থিত। আদতে এটি একটি ঝর্ণা। ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এই ঝর্ণার নাম Kindlifresserbrunnen যার অর্থ Fountain of the Eater of Little Children । এটি Old City of Bern's fountains নামেও পরিচিত। ১৫৪৫-৪৬ খৃস্টাব্দে Hans Gieng নামে এক ব্যাক্তি প্রথম এটি তৈরি করেছিল। কাঠের তৈরি এই মূর্তিটির তখন নাম ছিল Platzbrunnen (Place Fountain)। ১৬৬৪ সালের দিকে এসে এর নাম দেয়া হয় Kindlifresserbrunnen। Kindli শব্দটি একটি Swiss German শব্দ। জার্মান ভাষায় Kind শব্দের অর্থ শিশু। এই ঝর্নাটিতে Jewish hat পরিহিত এমন একটি রাক্ষস বসে আছে যে একটি উলঙ্গ শিশুকে গিলে খাচ্ছে। তার ব্যাগে রয়েছে আরও কয়েকটি শিশু। বলা হয়ে থাকে এই রাক্ষস ইহুদি দেবতা Jew-এর বিরুদ্ধে রক্তের বদলা নিতে যাচ্ছিল। অন্য সুত্রে বলা হয় এটি গ্রীক দেবতা Cronus-এর প্রতিরূপ। যে শিশুদের চিবিয়ে খেত। তবে বেশিরভাগ লোকের ধারণা এটি দুষ্টু ও অবাধ্য ছেলেদের ভয় দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে Hans Rudolf Manuel নামের এক স্থাপত্য শিল্পী এই ঝর্ণার ভিত্তিতে আরও ড্রাম বাদক দল স্থাপন করা হয় যেন এই রাক্ষসটি কোন যুদ্ধ যাত্রায় যাচ্ছে। সাহিত্যিক Jacques Chessex রচিত উপন্যাস L'ogre (The Ogre)-তে এই রাক্ষসটি উল্লেখযোগ্য এক চরিত্র।


The Giant Eyeball in Chicago:
এই দৈত্যাকৃতির অক্ষি-গোলকটির অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের Pritzker Park-এ। মানুষের চোখের অক্ষি-গোলকের এই ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতিটি স্থাপন করেছেন University of Illinois-এর অধ্যাপক Tony Tasset। অবশ্য এটির আসল নাম Three-story Steel Reinforced Fiberglass Scuplture of a Human Eyeball। Tony Tasset-এর চোখের মতই এই Eyeball-টা নীল। ৩০ ফুট উচ্চতার বা ব্যাসের একটি স্টিলের ভারী গোলকের উপর ১৫টি চিত্রিত fiberglass বসিয়ে এই Eyeball-টি নির্মাণ করা হয়েছে । বর্তমানে মানুষের কাছে জনপ্রিয় এই দৈত্যাকৃতির অক্ষি-গোলকটির উন্মোচন করা হয় ২০১০ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ।
এই দৈত্যাকৃতির অক্ষি-গোলকটির অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের Pritzker Park-এ। মানুষের চোখের অক্ষি-গোলকের এই ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতিটি স্থাপন করেছেন University of Illinois-এর অধ্যাপক Tony Tasset। অবশ্য এটির আসল নাম Three-story Steel Reinforced Fiberglass Scuplture of a Human Eyeball। Tony Tasset-এর চোখের মতই এই Eyeball-টা নীল। ৩০ ফুট উচ্চতার বা ব্যাসের একটি স্টিলের ভারী গোলকের উপর ১৫টি চিত্রিত fiberglass বসিয়ে এই Eyeball-টি নির্মাণ করা হয়েছে । বর্তমানে মানুষের কাছে জনপ্রিয় এই দৈত্যাকৃতির অক্ষি-গোলকটির উন্মোচন করা হয় ২০১০ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ।
Towers of Bologna:
এই টাওয়ার গুলোর অবস্থান ইতালির Bologna শহরে অবস্থিত। ইউরোপের মধ্যযুগের ১২ থেকে ১৩ শতাব্দীর মধ্য তৈরী করা এই টাওয়ার গুলোর উচ্চতা ৩২ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে । এই টাওয়ার গুলো কেন তৈরী করা হয়েছিল তার ইতিহাস সুস্পষ্ট নয়। ইতিহাসবিদদের মতে বেশিরভাগ ইতালির ধনী পরিবার গুলো চার্চ এবং বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষা ও প্রতি-আক্রমনের জন্য এই টাওয়ার গুলো ব্যবহার করত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর অনেকগুলো টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ে যায় । যে গুলি ঠিকে ছিল সেগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছিলো জেলখানা, দোকান নয়তো আবাসিক ভবন হিসেবে। বিংশ শতাব্দীতে এসেও ভেঙ্গে যায় আরও দুটি টাওয়ার । ১৯১৭ সালে ভেঙ্গে যাওয়া এই টাওয়ার দুটির নাম Artenisi ও Riccadonna। বর্তমানে টিকে থাকা টাওয়ার গুলো হল Azzoguidi বা Altabella(৬১ মিটার), Prendiparte বা Coronata(৬০ মি), Scappi (৩৯ মি), Uguzzoni (৩২ মি), Guidozagni(৩১ মি) , Galluzzi( ৩০ মি) এবং বিখ্যাত টাওয়ার যুগল হল Asinelli (৯৭ মি) এবং Garisenda ( ৪৮ মি)।(ছবির টাওয়ার দুটো) এর মধ্যে Prendiparte টাওয়ারটি পর্যটক হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। Torre dei Prendiparte নামে এই হোটেলে মাত্র দুজন থাকার একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে মাত্র তাও আবার টাওয়ারের ছাদের উপর সম্প্রতি জাপানী স্থপতি Kenzo Tange লীজ নিয়েছেন এই টাওয়ার গুলির।
এই টাওয়ার গুলোর অবস্থান ইতালির Bologna শহরে অবস্থিত। ইউরোপের মধ্যযুগের ১২ থেকে ১৩ শতাব্দীর মধ্য তৈরী করা এই টাওয়ার গুলোর উচ্চতা ৩২ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে । এই টাওয়ার গুলো কেন তৈরী করা হয়েছিল তার ইতিহাস সুস্পষ্ট নয়। ইতিহাসবিদদের মতে বেশিরভাগ ইতালির ধনী পরিবার গুলো চার্চ এবং বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষা ও প্রতি-আক্রমনের জন্য এই টাওয়ার গুলো ব্যবহার করত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর অনেকগুলো টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ে যায় । যে গুলি ঠিকে ছিল সেগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছিলো জেলখানা, দোকান নয়তো আবাসিক ভবন হিসেবে। বিংশ শতাব্দীতে এসেও ভেঙ্গে যায় আরও দুটি টাওয়ার । ১৯১৭ সালে ভেঙ্গে যাওয়া এই টাওয়ার দুটির নাম Artenisi ও Riccadonna। বর্তমানে টিকে থাকা টাওয়ার গুলো হল Azzoguidi বা Altabella(৬১ মিটার), Prendiparte বা Coronata(৬০ মি), Scappi (৩৯ মি), Uguzzoni (৩২ মি), Guidozagni(৩১ মি) , Galluzzi( ৩০ মি) এবং বিখ্যাত টাওয়ার যুগল হল Asinelli (৯৭ মি) এবং Garisenda ( ৪৮ মি)।(ছবির টাওয়ার দুটো) এর মধ্যে Prendiparte টাওয়ারটি পর্যটক হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। Torre dei Prendiparte নামে এই হোটেলে মাত্র দুজন থাকার একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে মাত্র তাও আবার টাওয়ারের ছাদের উপর সম্প্রতি জাপানী স্থপতি Kenzo Tange লীজ নিয়েছেন এই টাওয়ার গুলির।
Floralis Generica, Buenos Aires, Argentina:
স্টিল এবং এলুমিনিয়াম তৈরী এই ফুলের স্থাপত্যটি আর্জেন্টনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের Plaza de las Naciones Unidas-এ অবস্থিত। ২০০২ সালে আর্জেন্টাইন স্থপতি Eduardo Catalano-র তৈরি এই ফুলটির নাম Floralis Generica। যিনি তার পক্ষ থেকে এই ফুল বুয়েন্স আয়ার্সকে উপহার দিয়েছিলেন। এটি তৈরির পর Catalano বলেছিলেন-এটি হল সকল ফুলের প্রতীক, ফুলরা যেমন প্রতিদিন ভোরে তার পাপড়ি মেলে ধরে। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সন্ধায় এই ফুলের ধাতব পাপড়ি গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, খোলা হয় প্রতিদিন সকাল ৮ টায়। উদ্ভোধনের প্রথম ২ মাস কারিগরী ত্রুটির জন্য এর পাপড়ি বন্ধ করা যায়নি। পরবর্তীতে এই ত্রুটি সারানো হয়। বছরের বিশেষ ৪টি রাতে এই ফুলের পাপড়ি খোলা রাখা হয়-২৫শে মে, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২৪শে ডিসেম্বর এবং ৩১শে ডিসেম্বর। Floralis Generica যে পার্কে অবস্থিত সেই পার্কের আয়তন ৪ একর, এর চারিদিকে কাঠের বেড়া রয়েছে। একটি মাঝারি মাপের লেকের মাঝখানে স্থাপিত আকাশমুখী এই ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৬টি এবং উচ্চতা ২৩ মিটার। এলুমিনিয়াম এবং স্টেইনলেস স্টিলে নির্মিত এই ফুলের ওজন ১৮ মেট্রিক টন। রাত্রি বেলায় এই ফুলের পাপড়ি যখন বন্ধ থাকে তখন এর ভেতর থেকে লাল রঙের আলো ছড়ায়। ২০১০ সালে এই ফুলের একটি ধাতব পাপড়ি খোলা-বাঁধায় অসুবিধে ঘটলে, ২৫ বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এর সার্বিক ব্যাবস্থাপনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় আর্জেন্টিনার Lockheed Martin Aircraft কোম্পানিকে।
স্টিল এবং এলুমিনিয়াম তৈরী এই ফুলের স্থাপত্যটি আর্জেন্টনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের Plaza de las Naciones Unidas-এ অবস্থিত। ২০০২ সালে আর্জেন্টাইন স্থপতি Eduardo Catalano-র তৈরি এই ফুলটির নাম Floralis Generica। যিনি তার পক্ষ থেকে এই ফুল বুয়েন্স আয়ার্সকে উপহার দিয়েছিলেন। এটি তৈরির পর Catalano বলেছিলেন-এটি হল সকল ফুলের প্রতীক, ফুলরা যেমন প্রতিদিন ভোরে তার পাপড়ি মেলে ধরে। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সন্ধায় এই ফুলের ধাতব পাপড়ি গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, খোলা হয় প্রতিদিন সকাল ৮ টায়। উদ্ভোধনের প্রথম ২ মাস কারিগরী ত্রুটির জন্য এর পাপড়ি বন্ধ করা যায়নি। পরবর্তীতে এই ত্রুটি সারানো হয়। বছরের বিশেষ ৪টি রাতে এই ফুলের পাপড়ি খোলা রাখা হয়-২৫শে মে, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২৪শে ডিসেম্বর এবং ৩১শে ডিসেম্বর। Floralis Generica যে পার্কে অবস্থিত সেই পার্কের আয়তন ৪ একর, এর চারিদিকে কাঠের বেড়া রয়েছে। একটি মাঝারি মাপের লেকের মাঝখানে স্থাপিত আকাশমুখী এই ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৬টি এবং উচ্চতা ২৩ মিটার। এলুমিনিয়াম এবং স্টেইনলেস স্টিলে নির্মিত এই ফুলের ওজন ১৮ মেট্রিক টন। রাত্রি বেলায় এই ফুলের পাপড়ি যখন বন্ধ থাকে তখন এর ভেতর থেকে লাল রঙের আলো ছড়ায়। ২০১০ সালে এই ফুলের একটি ধাতব পাপড়ি খোলা-বাঁধায় অসুবিধে ঘটলে, ২৫ বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এর সার্বিক ব্যাবস্থাপনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় আর্জেন্টিনার Lockheed Martin Aircraft কোম্পানিকে।
Totem, Leuven, Belgium:
Leuven শহরটি বেলজিয়ামের Flemish Brabant প্রদেশের রাজধানী। এই শহরটি বেলজিয়ামের রাজধানী Brussels থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই শহরের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি হল Katholieke Universitei। ২০০০ সালে যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তখন ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিল তারা এই শহরটিকে একটি উপহার দিবে। সেই সুত্র ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বেলজিয়ামের স্থাপত্যশিল্পী Jan Fabr-কে দায়িত্ব দেন এই বিশাল স্থাপনার জন্য। ২০০৪ সালের অক্টোবরে যখন এই স্থাপনা উন্মোচন করা হয় তখন সবাই দেখতে পায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনের Ladeuzeplein চত্বরে দাঁড়িয়ে আছে গুবরে পোকার বিশাল এই স্থাপনাটি। ২.৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সবুজ পোকাটি বসে আছে একটি ২৩ মিটার উচ্চতার স্টিলের দণ্ডের মাথায়। এই স্থাপনাটির নাম Totem। এই Totem বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতীক। যাকে স্থাপন করা হয়েছে শিল্পকলা এবং বিজ্ঞানের যোগসূত্র হিসেবে।
Leuven শহরটি বেলজিয়ামের Flemish Brabant প্রদেশের রাজধানী। এই শহরটি বেলজিয়ামের রাজধানী Brussels থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই শহরের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি হল Katholieke Universitei। ২০০০ সালে যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তখন ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিল তারা এই শহরটিকে একটি উপহার দিবে। সেই সুত্র ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বেলজিয়ামের স্থাপত্যশিল্পী Jan Fabr-কে দায়িত্ব দেন এই বিশাল স্থাপনার জন্য। ২০০৪ সালের অক্টোবরে যখন এই স্থাপনা উন্মোচন করা হয় তখন সবাই দেখতে পায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনের Ladeuzeplein চত্বরে দাঁড়িয়ে আছে গুবরে পোকার বিশাল এই স্থাপনাটি। ২.৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সবুজ পোকাটি বসে আছে একটি ২৩ মিটার উচ্চতার স্টিলের দণ্ডের মাথায়। এই স্থাপনাটির নাম Totem। এই Totem বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতীক। যাকে স্থাপন করা হয়েছে শিল্পকলা এবং বিজ্ঞানের যোগসূত্র হিসেবে।
The Giant Turd, Ponta Grossa, Brazil:
Ponta Grossa শহরটি ব্রাজিলের Paraná প্রদেশের চতুর্থ জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহর। এই শহরটির অন্য নাম Princesa dos Campos (Princess of the Fields)। যে শহরটি বিখ্যাত Ponta Grossa State University-র জন্য। এই শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থানটির নাম Parque Estadual da Vila Velha (State Park of Old Town)। প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে গঠিত পাথুরে পর্বতমালাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে এই পার্কটি। আর বিখ্যাত প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিখ্যাত মেলা ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতানুষ্ঠানের উৎসব Münchenfest-এর জন্য। সবকিছুইতো ঠিকই আছে! কিন্তু গণ্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে এই ঝর্ণাটি! একটি দণ্ডের উপর মানুষের ইয়ের মত কি যেন? নামটাও তাই The Giant Turd বা Shit fountain। অবশ্য ব্রাজিলে এটি Cocozaoনামেও পরিচিত। পর্তুগীজ ভাষায় যার অর্থ মানুষের মল! কিন্তু যিনি বানিয়েছেন তিনি তো বলছেন ভিন্ন কথা এই ঝর্ণাটি বানানোর সময় পাথরটি নেয়া হয়েছে Parque Estadual da Vila Velha থেকে। আর এটিকে এমনভাবে বানানো হয়েছে রাত্রিতে পানিসহ এই ঝর্ণাকে এই এলাকার বিখ্যাত গাছ Araucaria pine-এর মত লাগে। কিন্তু এই শহরের নাম যদি city of turd বা মলের শহর নামে পরিচিত হয়। কারই বা ভাল লাগে? তাই ২০০৯ সালের এই শহরের কিছু বাসিন্দা আগুন লাগিয়ে দেয় এই স্থাপনায় । শহরের মেয়রের কাছে বার্তা পাঠায় এটিকে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য। আর বুঝেনইতো এসব ক্ষেত্রে যা হয়। আগে ব্রাজিলের লোকেরা এই শহরকে যে নামে ডাকতো এখন বিশ্বব্যাপী সেই নামটাই ছড়াল। বেচারারা!!!
Ponta Grossa শহরটি ব্রাজিলের Paraná প্রদেশের চতুর্থ জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহর। এই শহরটির অন্য নাম Princesa dos Campos (Princess of the Fields)। যে শহরটি বিখ্যাত Ponta Grossa State University-র জন্য। এই শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থানটির নাম Parque Estadual da Vila Velha (State Park of Old Town)। প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে গঠিত পাথুরে পর্বতমালাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে এই পার্কটি। আর বিখ্যাত প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিখ্যাত মেলা ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতানুষ্ঠানের উৎসব Münchenfest-এর জন্য। সবকিছুইতো ঠিকই আছে! কিন্তু গণ্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে এই ঝর্ণাটি! একটি দণ্ডের উপর মানুষের ইয়ের মত কি যেন? নামটাও তাই The Giant Turd বা Shit fountain। অবশ্য ব্রাজিলে এটি Cocozaoনামেও পরিচিত। পর্তুগীজ ভাষায় যার অর্থ মানুষের মল! কিন্তু যিনি বানিয়েছেন তিনি তো বলছেন ভিন্ন কথা এই ঝর্ণাটি বানানোর সময় পাথরটি নেয়া হয়েছে Parque Estadual da Vila Velha থেকে। আর এটিকে এমনভাবে বানানো হয়েছে রাত্রিতে পানিসহ এই ঝর্ণাকে এই এলাকার বিখ্যাত গাছ Araucaria pine-এর মত লাগে। কিন্তু এই শহরের নাম যদি city of turd বা মলের শহর নামে পরিচিত হয়। কারই বা ভাল লাগে? তাই ২০০৯ সালের এই শহরের কিছু বাসিন্দা আগুন লাগিয়ে দেয় এই স্থাপনায় । শহরের মেয়রের কাছে বার্তা পাঠায় এটিকে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য। আর বুঝেনইতো এসব ক্ষেত্রে যা হয়। আগে ব্রাজিলের লোকেরা এই শহরকে যে নামে ডাকতো এখন বিশ্বব্যাপী সেই নামটাই ছড়াল। বেচারারা!!!
Leshan Giant Buddha : Largest carved stone Buddha in the world:
Tang সাম্রাজ্যের (৬১৮ – ৯০৭ খৃস্টাব্দ) আমলে তৈরি এই বৃহদাকার বৌদ্ধ মূর্তিটির নাম Lèshān Dàfó।Mount Emei পর্বতটি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের Leshan শহরের নিকটেই অবস্থিত। এই পর্বতের চূড়া কেটেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশাল বৌদ্ধমূর্তিটি। যার পায়ের কাছে প্রবাহিত হচ্ছে Qingyi নদী। ৭১৩ খৃষ্টাব্দে Haitong নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মূর্তিটির তৈরি শুরু করেন।কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরপরই এই মূর্তি তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৭০ বছর পর এক সেনাধ্যক্ষের বদান্যতায় এই মূর্তি তৈরির কাজ পুনরায় শুরু হয়। ৮০৩ সালে এই মূর্তি নির্মাণ শেষ হয়। ৭১ মিটার ( ২৩৩ ফুট) উচ্চতার এই বৌদ্ধমূর্তিটির নাম ‘’মৈত্রেয়” । বিশ্রামরত অবস্থায় মহামতি বৌদ্ধের হাত দুটো তাঁর হাঁটুর উপর বসানো। যাঁর কাঁধের চওড়া ২৮ মিটার এবং পায়ের পাতার আঙ্গুলের সবচেয়ে ছোট নখটিই এত বড় যে সেখানে একজন মানুষ এঁটে যাবে। এই মূর্তি নির্মাণের সময় যে সকল পাথর খোদাই করে সরানো হয়েছিলো তা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে তা মূর্তির পাদদেশে নদীর তীরে এনে রাখা হয়েছে যাতে নদীতে জাহাজ চলার সময় পানির ধাক্কায় এই মূর্তির ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। Leshan Giant Buddha নামে পরিচিত এই মূর্তিটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ খোদাইকৃত বৌদ্ধমূর্তি এবং তদুপরি প্রাক-আধুনিক সর্বোচ্চ উচ্চতার মূর্তি। স্থানীয়রা বলেন-এই পর্বতই বৌদ্ধ এবং বৌদ্ধই পর্বত। Emei পর্বত এমনিতেই দর্শনীয় স্থান এর উপর Leshan Giant Buddha এই অঞ্চলকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। ১৯৯৬ সালে UNESCO পুরো এলাকাকে World Heritage Site-এ অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮ সালে ১২ই মে এই অঞ্চলে সঙ্ঘটিত ৮.০ মাত্রার The Great 2008 Sichuan earthquake বা ২০০৮ সিচুয়ান ভুমিকম্প কোন ক্ষতি করতে পারেনি ধ্যানরত এই বৌদ্ধমূর্তির। পৃথিবীর ইতিহাসে ২১তম ভয়াবহ এই ভুমিকম্পে গৃহহারা হয়েছিলো ৪৮ লক্ষ মানুষ । মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৬৯১৯৭ জন যেখানে শুধু সিচুয়ান প্রদেশের লোকই ছিল ৬৮৬৩৬ জন। আহতের সংখ্যা ৩,৭৪,১৭৬ জন এবং নিখোঁজ হয়েছিলো ১৮,২২২ জন।
লেখকঃ মামুনুর রশিদ এবং রাজিব হুমায়ুন তন্ময়।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
Tang সাম্রাজ্যের (৬১৮ – ৯০৭ খৃস্টাব্দ) আমলে তৈরি এই বৃহদাকার বৌদ্ধ মূর্তিটির নাম Lèshān Dàfó।Mount Emei পর্বতটি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের Leshan শহরের নিকটেই অবস্থিত। এই পর্বতের চূড়া কেটেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশাল বৌদ্ধমূর্তিটি। যার পায়ের কাছে প্রবাহিত হচ্ছে Qingyi নদী। ৭১৩ খৃষ্টাব্দে Haitong নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মূর্তিটির তৈরি শুরু করেন।কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরপরই এই মূর্তি তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৭০ বছর পর এক সেনাধ্যক্ষের বদান্যতায় এই মূর্তি তৈরির কাজ পুনরায় শুরু হয়। ৮০৩ সালে এই মূর্তি নির্মাণ শেষ হয়। ৭১ মিটার ( ২৩৩ ফুট) উচ্চতার এই বৌদ্ধমূর্তিটির নাম ‘’মৈত্রেয়” । বিশ্রামরত অবস্থায় মহামতি বৌদ্ধের হাত দুটো তাঁর হাঁটুর উপর বসানো। যাঁর কাঁধের চওড়া ২৮ মিটার এবং পায়ের পাতার আঙ্গুলের সবচেয়ে ছোট নখটিই এত বড় যে সেখানে একজন মানুষ এঁটে যাবে। এই মূর্তি নির্মাণের সময় যে সকল পাথর খোদাই করে সরানো হয়েছিলো তা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে তা মূর্তির পাদদেশে নদীর তীরে এনে রাখা হয়েছে যাতে নদীতে জাহাজ চলার সময় পানির ধাক্কায় এই মূর্তির ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। Leshan Giant Buddha নামে পরিচিত এই মূর্তিটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ খোদাইকৃত বৌদ্ধমূর্তি এবং তদুপরি প্রাক-আধুনিক সর্বোচ্চ উচ্চতার মূর্তি। স্থানীয়রা বলেন-এই পর্বতই বৌদ্ধ এবং বৌদ্ধই পর্বত। Emei পর্বত এমনিতেই দর্শনীয় স্থান এর উপর Leshan Giant Buddha এই অঞ্চলকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। ১৯৯৬ সালে UNESCO পুরো এলাকাকে World Heritage Site-এ অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮ সালে ১২ই মে এই অঞ্চলে সঙ্ঘটিত ৮.০ মাত্রার The Great 2008 Sichuan earthquake বা ২০০৮ সিচুয়ান ভুমিকম্প কোন ক্ষতি করতে পারেনি ধ্যানরত এই বৌদ্ধমূর্তির। পৃথিবীর ইতিহাসে ২১তম ভয়াবহ এই ভুমিকম্পে গৃহহারা হয়েছিলো ৪৮ লক্ষ মানুষ । মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৬৯১৯৭ জন যেখানে শুধু সিচুয়ান প্রদেশের লোকই ছিল ৬৮৬৩৬ জন। আহতের সংখ্যা ৩,৭৪,১৭৬ জন এবং নিখোঁজ হয়েছিলো ১৮,২২২ জন।
লেখকঃ মামুনুর রশিদ এবং রাজিব হুমায়ুন তন্ময়।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন