লোকব্যক্তিদের জীবনি ।। Biography Of The People

"ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা" জনপ্রিয় এই গানের শিল্পী হচ্ছেন, শেফালী ঘোষ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী এবং আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী শেফালী ঘোষ সম্পর্কে চলুন জেনে আসি কিছু কথা।

শেফালী ঘোষঃ ১৯৪১ সালের ১১ জানুয়ারী বোয়ালখালীর কানুনগো পাড়ায় জন্ম নেন তিনি। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। গান শেখার জন্য ১৯ বছর বয়সে চট্টগ্রাম আসেন। সেখানে পরিচয় হয় সংগীতানুরাগী ননী গোপাল দত্তর সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের এক ছেলে সন্তান হয়।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়ে অমর হয়ে আছেন তিনি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের "A" গ্রেডের শিল্প ছিলেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৭৭ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত "বসুন্ধরা" চলচ্চিত্রে "মানু ও সুন্দর মানু, কি ছবি বানাইবা তুঁয়ি আঁই নু বুজি" গানটি গেয়ে লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছেন। ১৯৭৯ সালে লন্ডনের রয়্যাল আলবার্ট হলে তার একক সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রিশবার সফল ও সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। তার একক গানের প্রকাশিত ক্যাসেটের সংখ্যা ৯০টি।

শেফালী ঘোষের গাওয়া বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওরে সাম্পানওয়ালা, কিরে অডা কি গাইলি্ল, মারে বাদ দি বউরে, নাতিন বরই খা, বদ্দা ভাবীরে ধরি কিলাইয়ে, যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, তোরা কন্ কন্ যাবি আঁর সাম্পানে ইত্যাদি। তিনি চট্টগ্রামের আরেক অঞ্চলিক গানের সম্রাট শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের সঙ্গেও প্রচুর দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

২০০৬ সালের ২১ ডিসেম্বর আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী শেফালী ঘোষের জীবনাবসান ঘটে।

এক লোক গাছে চড়ে একটি ডাল কাটতেছিল। কিন্তু লোকটি এত বোকা, যে ডালে বসে ছিল সেই ডালটি কাটতে ছিল। তা দেখে একটি লোক বলল আরে বোকা তুমি তো পড়ে যাবে। কিন্তু লোকটি সেই লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের মনে ডাল কাটতে ছিল। একটু পরে সে সত্যি সত্যি ডাল ভেঙ্গে পড়ে গেল। যে বোকা লোক ডাল কাটতে ছিল সে কিন্তু আমাদের সবার চেনা পন্ডিত কালিদাস। ভাবছেন কিভাবে এত বোকা লোক পন্ডিত হয়? তাহলে চলুন তাঁর সম্পর্কে একটু জেনে নেই।

পন্ডিত কালিদাসঃ কালিদাস ছিলেন সংস্কৃত ভাষার একজন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। খৃস্টীয় চতুর্থ বা পঞ্চম শতাব্দীতে হিমালয়ের কাছে গুপ্ত সম্রাজ্যে জন্মগ্রহন করেন। তিনি জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন অনেক বোকা ও সহজ সরল। প্রথম দিকে বিয়ে করেছিলেন একজন বিদূষী নারীকে। সে নারী তাকে সবসময় তাঁর মূর্খতা নিয়ে হাসি তামাসা ও মজা করতো। রাগে দুঃখে কালিদাস আত্মহত্যা করতে নদীতে ঝাপ দেন। তখন স্বরসতী দেবী তাকে বর দেন। সেই বরের কল্যাণে সে রাজা বিক্রমাদিত্যের সভাকবি হিসেবে মনোনীত হোন। তিনি পন্ডিত হিসেবে খ্যাতি পান তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির কারণে।

কালিদাস তাঁর হেঁয়ালি বা ধাঁধার জন্য আমাদের কাছে অধিক পরিচিত। কিন্তু তিনি ধাধাগুলো সংস্কৃত ভাষায় লিখে গিয়েছিলেন। কালিদাস পন্ডিতের লেখা না বুঝলেও তার রচিত (পরিবর্তিত হয়ে আসা হয়ত) ধাঁধাঁ সমূহ বাংলা ভাষার অলংকার হয়ে যুগযুগ ধরে মানুষের মনে আনন্দ বয়ে বেড়াবে বলে আমি মনে করি। আজ থেকে এক হাজার বছর পরেও কোন বাংলাভাষী পিতা তার সন্তানকে যখন ধাঁধাঁ ধরবে, তখন কবি কালিদাস তথা কালিদাস পন্ডিতের নাম মুখে আসবে। এটাই মনে হয় কবি কালিদাসের সাফল্য। বাংলায় কে অনুবাদ করেছেন তা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না।

"শকুন্তলা" গল্পের কথা আশা করি সবার মনে আছে। সেই গল্পটি কালিদাস পন্ডিতের লেখা। বাংলায় এটি অনুবাদ করেছেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১৯৬৬ সালে তামিল ভাষায় কালিদাশের জীবনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় চলচিত্র "মহাকবি কালিদাস।"

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মহা পন্ডিত সিংহলের এক গনিকার হাতে নিহত হন।


১৯৪২ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শেরে এ বাংলা একে ফজলুল হক। তখন ১১ বছরের এক বালক গান করে "সদা মন চাহে মদিনা যাব...।" তাঁর গান শুনে শেরে বাংলা কেঁদে উঠেন। সাথে সাথে সেই বালককে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তাকে পাজামা পাঞ্জাবী কিনে দেন। আর সেই বালকটি হল আব্দুল আলীম।

আব্দুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই মুর্শিদাবাদ এর তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি মুর্শিদী গান ও পল্লীগীতি গানের জন্য প্রসিদ্ধ। এই পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গান তাঁর রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি ঢাকা সঙ্গীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা পিজি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হলুদিয়া পাখি, এই যে দুনিয়া, সর্বনাশা পদ্মা নদী ইত্যাদি তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম।


এন্টনি ফিরিঙ্গি প্রথম ইউরোপীয় বাংলা ভাষার কবিয়াল। তিনি একজন পর্তুগীজ। তাঁর আসল নাম হ্যান্সম্যান এন্টনি। কর্মসূত্রে কলকাতায় আসেন। তখন বিয়ে করেন হিন্দু বিধবা ব্রাহ্মণ রমনীকে। ফিরিঙ্গি হলেও হিন্দু উৎসবগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন। কলকাতায় এসে তিনি কবিগানের সাথে পরিচিত হন। এর প্রতি এত আকৃষ্ট হোন যে নিজে একটি কবিগানের দল গঠন করেন।

একজন বিদেশী সাহেব বাঙ্গালী পোশাকে কবিগান গাচ্ছে তা দেখার জন্য প্রচুর লোক সমাগম হত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কবিগান এর আয়োজন এখন কমে যাচ্ছে। পরদেশের লোক আমাদের সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয় কিন্তু আফসোস! আমরা তা রক্ষা করে ধরে রাখতে পারি না।


আপনারা কি জানেন এই উপমহাদেশে প্রথম "মহাত্মা" উপাধি কে পায়? গান্ধিরও ২৫ বছর আগে লালন শাহকে প্রথম মহাত্মা উপাধি দেয়া হয়। মহাত্মা লালন শাহ এর জীবনী লিখতে গেলে কলমের কালি ফুরিয়ে যাবে কিন্তু তাঁর জীবনি লেখা শেষ হবে না। তাঁর জীবনি লেখার যোগ্যতা আমার নেই। তারপরও একটু সাহস করে লেখার চেষ্টা করেছি।


খনা এক কিংবদন্তীর নাম। তাকে নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানারকম কাহিনী। তার আবির্ভাব সম্পর্কে সঠিকভাবে তেমন তথ্য জানা যায় না তবে ধারণা করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব ঘটেছিল। কিংবদন্তি অনুযায়ী তাঁর বসবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের দেউলি গ্রামে। শোনা যায় তাঁর পিতার নাম ছিল অনাচার্য। সে সময় চন্দ্রকেতু রাজার আশ্রম চন্দ্রপুরে বাস করতেন খনা। এক শুভক্ষনে জন্ম হওয়ায় তার নাম দেওয়া হয় ক্ষনা বা খনা। কথিত আছে তার আসল নাম লীলাবতী আর তার ভবিষ্যতবাণীগুলোই খনার বচন নামে বহুল পরিচিত।


আপনাদের জন্য কুইজ, বলুনতো ছবির এই ব্যক্তির নাম কি?? একটু সহজ করে দেই, ওনার সংগৃহীত গল্প শুনে আমরা ছোটবেলায় ঘুমিয়ে পড়তাম।


বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম, বসন্ত বাতাসে সইগো, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, বন্দে মায়া লাগাইছে সহ বহু জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। আমরা তাঁর গানের সাথে পরিচিত হলেও ব্যক্তি শাহ আব্দুল করিমকে কতটুকু চিনি? ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি আমাদের ছেড়ে পরলোকে চলে যান। ভাঁটি অঞ্চলে বেড়ে উঠা এই শিল্পীর গান ভাঁটি থেকে শহরে এবং শহরের গণ্ডী পেরিয়ে বহিবিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছে। অনেকে তাঁর গান নিয়ে পিএইচডি করছেন। কিন্তু কেউ তাঁর পরিবারের খোঁজ রাখছিনা! কেমন আছে তার পরিবার?


যে মরমী কবির নাম সুনামগঞ্জের সীমানা পেরিয়ে সারাদেশে এবং বহির্বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি হাছন রাজা। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় দার্শনিক কংগ্রেসের কলিকাতা অধিবেশনে ও ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড প্রদত্ত হিবার্ট লেকচারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাছন রাজার ভাবদর্শনের কথা উল্লেখ করলে তাঁর খ্যাতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিস্তৃত লাভ করে। পরিণত বয়সে জীবদ্দশায় ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর গানের বই হাছন উদাস সিলেট থেকে মুদ্রিত হয়।


পাগলা কানাইঃ লালন সাইঁয়ের সম সাময়িক নিরক্ষর কবি পাগলাই কানাই ১৭৭২ সালে জন্ম নেন এবং ১৮৯০ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তার কবিতা ও গান নিয়ে গবেষণা করেছেন দেশ বিদেশের অসংখ্য গুণী ব্যক্তি। এ পর্যন্ত কবির রচিত ৫১৭টি গান সংগ্রহ করা গেছে। তবে বড় ধরণের পরিচিতি আমরা লক্ষ্য করিনি আজও। এর জন্য কারা দায়ি সে বিষয়ে রয়েছে অনেক তর্ক। ক’জনা আমরা মরমী এ কবির বিষয়ে জানতে ইচ্ছে করেছি বা করি।

পুশকিন মিউজিয়ামে ঈশপ এর এই ভগ্ন মূর্তি সংরক্ষিত আছে
কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই গল্পের স্রষ্টা ঈশপ সম্পর্কে আমরা বিশেষ কিছু জানি না। ক্রীতদাস থেকে রাজ্যর রাজার উপদেষ্টা হওয়া এই মনিষী সম্পর্কে চলুন একটু জেনে নেই।

৬২০ BC এর দিকে তিনি গ্রীসের ফ্রিজিয়াস এক ক্রীতদাস পরিবারে জন্ম নেন। গ্রীসেরই এ্যাথস নামের এক ধনী বনিকের দাস ছিলেন তিনি। আরো জানা যায় তিনি বিকলাঙ্গ ছিলেন।

দ্য বুক অব জেনথাস ও দ্য ফিলোসপার হিজ, স্ল্যাভ ঈশপ ইত্যাদি বই থেকে জানা যায় মিশরের এক দেবী ঈশপকে গল্প বলার ক্ষমতা দেন। মানুষকে গল্প শোনাতে শোনাতে তিনি পাড়ি দেন ফিজিয়া থেকে সামোসে। এভাবেই গল্প বলিয়ে হিসেবে তার নাম সে সময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এখানেই তিনি বিখ্যাত বনিক এ্যাথসের ক্রীতদাস হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে এবং তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তার প্রভু এ্যাথস তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। এদিকে লিভিয়ার রাজা ক্রুসাস লোকমুখে ঈশপের কথা শুনে তাকে আমন্ত্রণ করে রাজসভার বিশেষ পদে বসান। এ সময় তার মজার ও বুদ্ধিদীপ্ত গল্প কথক হিসেবে জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়।

রাজা ক্রুসাস একবার তাকে ডেলফি’র অ্যাপলো মন্দিরে পাঠান বিশেষ এক কাজে। এই মন্দিরে সে সময়ে সবাই যেতো দৈববানীর আশায়। ঈশপ মন্দিরের দৈববানী নিযে কিছু রসিকতা করায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। উঁচু এক পাহাড় থেকে চোখ বেঁধে নিচে ফেলে দেয়ায় মৃত্যু হয় তার।

কিন্তু আজো মৃত্যু হয়নি তার বুদ্ধিদীপ্ত ও উপদেশমূলক গল্পগুলোর। বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস থেকে শুরু করে সর্ব সাধারণ তার গল্পের ভক্ত। তার মৃত্যুর পর গ্রীসের দার্শনিক জিমট্রিয়াস তার গল্পগুলো সংগ্রহ করে রাখেন। সেই থেকে ঈশপের গল্প আজো সারাবিশ্বের অমূল্য সম্পদ।

লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে লোরক সোসাইটি হতে।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।

লোরক সোসাইটির একটি খোলা চিঠিঃ
শুভেচ্ছা নিবেন। অনেকেই বলে থাকেন সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের পোশাক। যদি আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকি তাহলে এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা কখনো কী ভেবে দেখেছেন? লোকসংস্কৃতি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলার লোকগান, লোকছড়া, লোকগল্প, লোকখেলা কতই না আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ। আমাদের শৈশব ছিল ছড়াময়। দাদি-নানির মুখে গল্প শুনে আমরা ঘুমিয়ে পড়তাম। লোকসংস্কৃতির এই উপাদান একসময় রাজা থেকে প্রজা, আমির থেকে গরিব, বুড়ো থেকে শিশু সবার আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম ছিল। কিন্তু বিশ্বায়ন এর প্রভাবে ও দিন দিন যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আজ লোকসংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন। এখনকার সময়ের কোন বালককে যদি গোল্লাছুট খেলার কথা বলা হয় তাহলে সে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে আরও কিছু দিন পর আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির কঙ্কাল বিশেষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা হয়ে যাব বস্ত্রহীন জাতির মত।

দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ ও নিজের সংস্কৃতিকে ভালবেসে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ তরুণী “লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ ও প্রচার করা এবং লোকসংস্কৃতির হারানো অতীত ফিরিয়ে আনা। আমরা চাই বিশ্বের দরবারে আমাদের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে। আমাদের এই শুভ উদ্যোগে আপনার সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন। আপনার একটু চেষ্টা রক্ষা করতে পারে আমাদের লোক সংস্কৃতিকে। তাই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আসুন আমাদের লোরকের পতাকা তলে। আমরা তরুণেরাই পারি আমাদের লোকসংস্কৃতিকে রক্ষা করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ আলামিন (সভাপতি)
লোরক সোসাইটি।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info