পৃথিবীর সবথেকে ক্ষুদে পূর্ন বয়স্ক মানব


"এডওয়ার্ড নিনো হারনান্দেজ" নামের লোকটি অন্যান্ন সাধারন লোকের মতই। ২৪ বছর বয়সি এই যুবকের বাড়ি কলম্বিয়ায়। সে অন্যান্ন সাধারন মানুষের মত যেমন রাতে পার্টি করতে যেমন ভালবাসে তেমনি আর দশটা মানুষের মত সেও চায় নিজের একটি গাড়ি। আর তার পছন্দের গাড়ি হল মার্সিডি বেঞ্জ। আর সব চাওয়া পাওয়া আর অভ্যাস অন্যান্ন মানুষের মত হলেও তিনি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা। আর সেটা হল তাই শরীরের গঠনে। তার উচ্চতা একটা ছোট খাট ভ্রমন ব্যাগের থেকে সামান্য বড় আর ওজন মাত্র ১০ কেজি। গিনেজ বিশ্ব রেকর্ড অনুসারে তিনি হচ্ছেন পৃথিবীর সব থেকে ক্ষুদের পূর্ন বয়স্ক পুরুষ। আর তার উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি। তিনি ৫ ভাই বোনদের মধ্যে সবার বড় হলেও ২ বছর বয়সের পর থেকে তার কোন উচ্চতা বৃদ্ধি হয় নাই।


এই বিশ্ব রেকর্ড আগে যার ছিল তিনি হলেন চায়নার "পিং পিং", সে এডওয়ার্ড নিনো হারনান্দেজ এর থেকে ৪ সেমি বেশী লম্বা ছিলেন। আর তিনি ১৩ মার্চ ২০১১ মৃত্যুবরন করেন।


এডওয়ার্ড নিনো হারনান্দেজ জন্মগ্রহন করেন ১.৫ কেজি ওজন নিয়ে আর তখন তার উচ্চতা ছিল ৩৮ সেমি। সে তার পরিবারের একমাত্র খুদে মানুষ তা কিন্তু নয়। হারনান্দেজের মা বাবার মতে তাদের এক কন্যা সন্তান ছিল যে কিনা হারনান্দেজের মতই ছোট ছিল যদিও সে ১৯৯২ সালে মারা যায় মাত্র ১ বছর বয়সে। এছাড়াও হারনান্দেজের ছোট ভাই যার বয়স ১১ মাত্র তার উচ্চতা মাত্র ৯৩ সেমি। আর তার শারীরিক গঠন অনেকটাই বড় ভাইয়ের মতই।


এক ইন্টার্ভিউতে ফারনান্দেজ বলেন, "তিনি যে আকারে ছোট তাতে তার ভালই লাগে কেননা সে অন্যান্ন সবার থেকে আলাদা।" সাথে তিনি এটাও বলেন যে, "আমার কাছে সব থেকে বিরক্তিকর জিনিষ হল যখন কোন লম্বা মানুষ আমাকে দু'হাত দিয়ে উঁচু করে ধরে।"

যদিও সে খুশি তার এই উচ্চতা নিয়ে কিন্তু তারপরেও তার এই ক্ষুদের শরীরে একটি সমস্যা রয়েছে, তা হল তার চোখের ছানি। আর এই ছানির কারনে তিনি সব কিছু ঘোলা বা ঝাপসা দেখেন। তার মা বলেন, "ফারনান্দেজের অপারেশন করা দরকার কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ নেই যে আমরা তার অপারেশনের খরচ বহন করতে পারব।" এই সমস্যা বাদে এই ক্ষুদে মানবের আর কোন শারীরিক সমস্যা নেই।


এডওয়ার্ড নিনো হারনান্দেজ পরিবারের বড় ছেলে হয়ে যে বাসায় বসে বসে খাবেন তা মনে হয় তার খুব একটা পছন্দ না। এই কারনে অনেক চেষ্টা করে তিনি তার উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে একটা সিনেমাতে কাজ পেয়েছেন। আর তার চরিত্র হল, দেশের সব থেকে বড় "ড্রাগ ডিলারের" মানে সে এলাকার "ডন"।

আমি জানি না ছবি কেমন হবে তবে মন থেকে দোয়া করি যেন তিনি তার চোখের ছানির অপারেশন তারাতারি করিয়ে নেবার টাকা উপার্জন করতে পারে।

এই ছিল এডওয়ার্ড নিনো হারনান্দেজ গল্প। তাহলে এবার চলেন দেখে আসি এই ক্ষুদের মানবের আরো কিছু ছবি।


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info