বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি তো অনেকেই দেখেছেন। সবুজ গাছে হরেক রকম জিনিস ঝোলানোর পরে যখন লাইটগুলো জ্বলে আর নেভে তখন পুরো গাছটাকে দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগে। আপেল, পাখি, মোমবাতি, ঘুঘু , মাছ, ফুল, ফল আর স্বর্গদূত দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর মজাটাই আলাদা। নানা রংয়ের আলোয় সাজানো এই ক্রিসমাস ট্রির প্রচলন কিন্তু একদিনে হয়নি কিংবা বলা যায় শুরু থেকে ছিলোও না। তবে কিভাবে হলো এর প্রচলন? চলেন জেনে আসি ক্রিসমাস ট্রির আদিকথা।
ক্রিসমাসে যতোটা মজা হয় তার অনেকটাই কিন্তু জুড়ে থাকে এই ক্রিসমাস ট্রি সাজানো। ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে যে গাছটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় সেটি হলো ফার গাছ। এটি মূলত দেবদারু জাতীয় গাছ। এই গাছেই বিভিন্ন রংয়ের আলোক সজ্জা আর বিভিন্ন দ্রব্যে সাজিয়ে রাখা হয়। ক্রিসমাস ট্রি সত্যিকারের হতে পারে আবার সেটি কৃত্রিমও হতে পারে। প্রথমদিকে এটি কেবল রাজ দরবারের বিষয় ছিলো। পরে অবশ্য সবার মধ্যেই এই ট্রি সাজানোর প্রথাটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
ক্রিসমাস ট্রি’তে আলোর ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন অর্নামেন্ট দিয়ে সাজানো হয়। এই গাছের উপরে একটি তারা বা স্বর্গদূত বসানো হয়। এই স্বর্গদূতটি বেথেলহেমে জন্ম নেয়া যিশুখ্রিস্টের প্রতীক। জানা যায়, ১৬ শতকে জার্মানিতে ক্রিসমাসের এই ট্রি সাজানোর প্রচলন হয়েছিল। তবে, ক্রিসমাস ট্রিকে সাজানোর এই বিষয়টি কোথায় থেকে কেমন করে এলো সেটি কেউই স্পষ্ট বলতে পারে না।
ক্রিসমাস ট্রি’তে আলোর ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন অর্নামেন্ট দিয়ে সাজানো হয়। এই গাছের উপরে একটি তারা বা স্বর্গদূত বসানো হয়। এই স্বর্গদূতটি বেথেলহেমে জন্ম নেয়া যিশুখ্রিস্টের প্রতীক। জানা যায়, ১৬ শতকে জার্মানিতে ক্রিসমাসের এই ট্রি সাজানোর প্রচলন হয়েছিল। তবে, ক্রিসমাস ট্রিকে সাজানোর এই বিষয়টি কোথায় থেকে কেমন করে এলো সেটি কেউই স্পষ্ট বলতে পারে না।
ইউরোপের ঐতিহ্যের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর শুরুটা। খ্রিস্টান লোক বিশ্বাস অনুসারে, ক্রিসমাস ট্রির ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে জার্মানির গেইসমার শহরের এক সাধু বনিফেস এর সঙ্গে। সেইন্ট বনিফেস (৬৭২-৭৫৪ সালে) একটি প্রাচীন ওক গাছের মূলে একটি দেবদারু জাতীয় ফার গাছের বেড়ে ওঠা দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি এটাকে যিশুখ্রিস্টের প্রতি বিশ্বাসের চিহ্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তবে আপনারা যে প্রথায় ক্রিসমাস ট্রি সাজান সেটি অবশ্য বেশি দিনের পুরোনো নয়। এই প্রথাটির প্রচলন করেছিলেন মার্টিন লুথার। স্বর্গোদ্যানের ট্রি অফ লাইফ এর চিহ্ন হিসেবে এই প্রথার প্রচলন করেন তিনি।
এই ট্রির সঙ্গে মোমবাতির জ্বালানোর প্রথা শুরু হয়েছিলো ১৮ দশকের শেষদিকে। জার্মানির রাইনল্যান্ডের প্রটেস্টানদের কাছে থেকে এই প্রথার শুরু হলেও রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে পড়ে।
তবে আপনারা যে প্রথায় ক্রিসমাস ট্রি সাজান সেটি অবশ্য বেশি দিনের পুরোনো নয়। এই প্রথাটির প্রচলন করেছিলেন মার্টিন লুথার। স্বর্গোদ্যানের ট্রি অফ লাইফ এর চিহ্ন হিসেবে এই প্রথার প্রচলন করেন তিনি।
এই ট্রির সঙ্গে মোমবাতির জ্বালানোর প্রথা শুরু হয়েছিলো ১৮ দশকের শেষদিকে। জার্মানির রাইনল্যান্ডের প্রটেস্টানদের কাছে থেকে এই প্রথার শুরু হলেও রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে পড়ে।
১৭৮১ সালে ক্রিসমাস ট্রির প্রচলন শুরু হয় কানাডায়। এসময় কানাডার কুইবেকে বার্নসউইক সৈন্যদের হাত ধরে এটির শুরু। জেনারেল ফ্রেডরিক অ্যাডলফ রিডেসেল এবং তার স্ত্রী ব্যারোনেস ভন রিডেসেল সোরেলে একটি ক্রিসমাস পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তারা একটি ফার গাছ মোমবাতি এবং বিভিন্ন ফল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছিলেন। ১৯ শতকের শুরুতে এই প্রথা রাশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রাশিয়ার প্রিন্সেস হেনরিয়েটা অফ নাসু ওয়েলবার্গ ১৮১৬ সালে ভিয়েনায় ক্রিসমাস ট্রিকে পরিচয় করিয়ে দিলে অস্ট্রিয়াতেও এর প্রচলন শুরু হয়। এরপর ফ্রান্সে ১৮৪০ সালে ডাচেস ডিওরলিয়েন্স এই ট্রির প্রচলন ঘটান।
ব্রিটেনে এই প্রথার প্রচলন ঘটে তৃতীয় জর্জের সময়ে। এদিকে, কুইন ভিক্টোরিয়া তার ছোটোবেলাতেই এই প্রথার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। ১৮৩২ সালে ‘ক্রিসমাস ইভ’ নামের সাময়িকীতে সে সময় ১৩ বছর বয়সী রাণী ভিক্টোরিয়া লিখেছিলেন, ‘ডিনারের পর আমার ড্রয়িং রুমে গিয়েছিলাম। সেখানে দুটি বড়ো রাউন্ড টেবিল ছিলো। আর এই টেবিলের ওপর দুটি গাছ লাগানো ছিলো। সেই গাছে বিভিন্ন আলোকসজ্জা এবং চিনির অলংকরণ করা ছিলো।’
ব্রিটেনে এই প্রথার প্রচলন ঘটে তৃতীয় জর্জের সময়ে। এদিকে, কুইন ভিক্টোরিয়া তার ছোটোবেলাতেই এই প্রথার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। ১৮৩২ সালে ‘ক্রিসমাস ইভ’ নামের সাময়িকীতে সে সময় ১৩ বছর বয়সী রাণী ভিক্টোরিয়া লিখেছিলেন, ‘ডিনারের পর আমার ড্রয়িং রুমে গিয়েছিলাম। সেখানে দুটি বড়ো রাউন্ড টেবিল ছিলো। আর এই টেবিলের ওপর দুটি গাছ লাগানো ছিলো। সেই গাছে বিভিন্ন আলোকসজ্জা এবং চিনির অলংকরণ করা ছিলো।’
উইন্ডসর ক্যাসেলে বৃটিশ রাজপরিবারে ক্রিসমাস ট্রি নকশা করে কাটার প্রচলন হয়। এরপর সেখান থেকেই ক্রিসমাস ট্রি বিভিন্ন ডিজাইনে কাটা শুরু হয় এবং এরপর তা সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়ে।
ক্রিসমাস ট্রি কেবল প্রতীকি এবং আনন্দের জন্য সাজানো হয়, তাই নয়। কিছু শহরে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় দাতব্য কাজে অর্থ উত্তোলনের জন্যও। এটি অনেক সময় বিশেষ উপলক্ষে উপহার হিসেবেও দেয়া হয়। যেমন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারের ক্রিসমাস ট্রি নরওয়ের অসলো থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নরওয়ের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের উপহার হিসেবেই এটি দেওয়া হয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে প্রতিবছর ক্রিসমাস ট্রি আলোকসজ্জিত করা হয় এর দক্ষিণ লনে। এই ট্রির ওপরে ১৯৭৯ সালে স্টার বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। আবার কিছু কিছু দেশে অন্য গাছকেও ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন, নিউজিল্যান্ডে ‘পহুটুকুওয়া ট্রি’ কে ক্রিসমাস ট্রি বলা হয়। এই ট্রিতে বড়োদিনের সময়ই ফুল ফোটে। সবুজ কাণ্ডের সঙ্গে লাল ফুল এই ট্রিকে আরো সুন্দর করে তোলে।
ক্রিসমাস ট্রি কেবল প্রতীকি এবং আনন্দের জন্য সাজানো হয়, তাই নয়। কিছু শহরে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় দাতব্য কাজে অর্থ উত্তোলনের জন্যও। এটি অনেক সময় বিশেষ উপলক্ষে উপহার হিসেবেও দেয়া হয়। যেমন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারের ক্রিসমাস ট্রি নরওয়ের অসলো থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নরওয়ের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের উপহার হিসেবেই এটি দেওয়া হয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে প্রতিবছর ক্রিসমাস ট্রি আলোকসজ্জিত করা হয় এর দক্ষিণ লনে। এই ট্রির ওপরে ১৯৭৯ সালে স্টার বসিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। আবার কিছু কিছু দেশে অন্য গাছকেও ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন, নিউজিল্যান্ডে ‘পহুটুকুওয়া ট্রি’ কে ক্রিসমাস ট্রি বলা হয়। এই ট্রিতে বড়োদিনের সময়ই ফুল ফোটে। সবুজ কাণ্ডের সঙ্গে লাল ফুল এই ট্রিকে আরো সুন্দর করে তোলে।
ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এবং খুলে ফেলা হয় নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী। ঐতিহ্য অনুসারে, ২৪ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভ এর আগে ট্রি সাজানো যায় না। আর এটি সরিয়ে ফেলা হয় ১২ তম রাতে অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি। আর অনেকেই মনে করেন এই নিয়ম না মানা হলে অমঙ্গল হতে পারে।
তবে প্রথাগতভাবে না হলেও এখন ক্রিসমাস ট্রিকে আরো আগে সাজানো হয়। জার্মানিতে এটা ঐতিহ্য অনুসারে ২৪ ডিসেম্বরে সাজানো হয় এবং ৭ জানুয়ারি খুলে ফেলা হয়। তবে ক্যাথলিকদের রীতিতে এটি জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাজিয়ে রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এটি ডিসেম্বরের শুরুতে সাজিয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পর্যন্ত রাখা হয়।
শুনলেন তো ক্রিসমাস ট্রি’র ইতিহাস। তবে এখন আর দেরি নয়। ঝটপট চিন্তা করে ফেলো কিভাবে সাজাবেন আপনাদের ক্রিসমাস ট্রি।
লেখকঃ মিন্টু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
তবে প্রথাগতভাবে না হলেও এখন ক্রিসমাস ট্রিকে আরো আগে সাজানো হয়। জার্মানিতে এটা ঐতিহ্য অনুসারে ২৪ ডিসেম্বরে সাজানো হয় এবং ৭ জানুয়ারি খুলে ফেলা হয়। তবে ক্যাথলিকদের রীতিতে এটি জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাজিয়ে রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এটি ডিসেম্বরের শুরুতে সাজিয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পর্যন্ত রাখা হয়।
শুনলেন তো ক্রিসমাস ট্রি’র ইতিহাস। তবে এখন আর দেরি নয়। ঝটপট চিন্তা করে ফেলো কিভাবে সাজাবেন আপনাদের ক্রিসমাস ট্রি।
লেখকঃ মিন্টু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন