পূর্বের পর্বঃ হারিয়ে যাওয়া ধনদৌলত (১ম পর্ব)
প্রত্যেকটি দেশেরই থাকে তাদের নিজস্ব কিছু সম্পদ। যেগুলোর মূল্যমান হয়তো কখনো টাকার অঙ্কে খুব বেশি, আবার কখনো টাকার মূল্যের চাইতেও অনেক উপরে। শুধু কোন একটি দেশেরই নয়, এমন মূল্যবান সম্পদ রয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসেও। যার দাম মানব সভ্যতার প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই অসীম। কালের গর্ভে বা নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়ে গেছে মানব সভ্যতার অসংখ্য অমূল্য নিদর্শন, অসংখ্য অমূল্য সম্পদ। কখনো হদিশ মিলেছে, কখনো মেলেনি। আর ঠিক এমনই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের দশ মূল্যবান সম্পদ নিয়ে লেখা হল আজ। মানব সভ্যতার হারিয়ে যাওয়া এই সম্পদগুলো আক্ষরিক অর্থেই আজও খুঁজে পায়নি কেউ। আজ রইলো ২য় পর্ব।
প্রত্যেকটি দেশেরই থাকে তাদের নিজস্ব কিছু সম্পদ। যেগুলোর মূল্যমান হয়তো কখনো টাকার অঙ্কে খুব বেশি, আবার কখনো টাকার মূল্যের চাইতেও অনেক উপরে। শুধু কোন একটি দেশেরই নয়, এমন মূল্যবান সম্পদ রয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসেও। যার দাম মানব সভ্যতার প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই অসীম। কালের গর্ভে বা নানান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়ে গেছে মানব সভ্যতার অসংখ্য অমূল্য নিদর্শন, অসংখ্য অমূল্য সম্পদ। কখনো হদিশ মিলেছে, কখনো মেলেনি। আর ঠিক এমনই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের দশ মূল্যবান সম্পদ নিয়ে লেখা হল আজ। মানব সভ্যতার হারিয়ে যাওয়া এই সম্পদগুলো আক্ষরিক অর্থেই আজও খুঁজে পায়নি কেউ। আজ রইলো ২য় পর্ব।
০৬. ভিক্টোরিয়ার গদাঃ
সংসদীয় এই গদা ছিল স্পীকার এবং ভিক্টোরিয়ার মানুষের সাংবিধানিক আধিকারের প্রতীক। ১৮৯১ সালের ৯ অক্টোবর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায় গদাটি। সংসদীয় প্রকৌশলী থমাস জেফরিকে সেদিন দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। সে সময় তার হাতে ছিল একটি বড় থলে। পরবর্তীতে তার ঘরেও এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে জেলে যেতে হয়নি জেফরিকে।
সংসদীয় এই গদা ছিল স্পীকার এবং ভিক্টোরিয়ার মানুষের সাংবিধানিক আধিকারের প্রতীক। ১৮৯১ সালের ৯ অক্টোবর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায় গদাটি। সংসদীয় প্রকৌশলী থমাস জেফরিকে সেদিন দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। সে সময় তার হাতে ছিল একটি বড় থলে। পরবর্তীতে তার ঘরেও এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে জেলে যেতে হয়নি জেফরিকে।
০৭. দ্যা ক্রাউন জুয়েলস অব ইংল্যান্ডঃ
ইংল্যান্ডের এই ক্রাউন জুয়েলসকে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর আর দামী পাথরে মোড়ানো মুকুট মনে করা হয়। লন্ডন টাওয়ারের ওপর সবসময় রাখা হতো এই মুকুটটি। রাখা হতো বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রহরীদের আওতায়। এখনো পর্যন্ত অনেকবার চুরি গিয়েছে, পরিবর্তিত হয়েছে, এমনকি নতুন করে তৈরিও হয়েছে এই মুকুট। তবে কিং জনের মুকুট হারাবার গল্পটি অন্যরকম। ১২১৬ সালে কিং জন লিংক্লনশায়ারের ওয়াশ উপসাগর পার হচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে তার ব্যাগ পানিতে ভেসে যায়। ভাবছেন কি ছিল ঐ ব্যাগে? কি আবার? তার মুকুট! পানিতে ভেসে হারিয়ে যায় সেটি একেবারে চিরকালের মতো।
ইংল্যান্ডের এই ক্রাউন জুয়েলসকে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর আর দামী পাথরে মোড়ানো মুকুট মনে করা হয়। লন্ডন টাওয়ারের ওপর সবসময় রাখা হতো এই মুকুটটি। রাখা হতো বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রহরীদের আওতায়। এখনো পর্যন্ত অনেকবার চুরি গিয়েছে, পরিবর্তিত হয়েছে, এমনকি নতুন করে তৈরিও হয়েছে এই মুকুট। তবে কিং জনের মুকুট হারাবার গল্পটি অন্যরকম। ১২১৬ সালে কিং জন লিংক্লনশায়ারের ওয়াশ উপসাগর পার হচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে তার ব্যাগ পানিতে ভেসে যায়। ভাবছেন কি ছিল ঐ ব্যাগে? কি আবার? তার মুকুট! পানিতে ভেসে হারিয়ে যায় সেটি একেবারে চিরকালের মতো।
০৮. নিউয়র্কের ডাকুর লুকানো ধনদৌলতঃ
ঊনিশ শতকের শুরুর দিকটায় নিউয়র্কের ডাকু হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল 'Dutch Schultz'। শুরুতে ছোটখাট অপরাধের সাথে জড়িত থাকলেও শেষের দিকে এসে কিন্তু বেশ নাম কামিয়েছে। আর বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মধ্যে তার সব থেকে বড় ব্যবসা ছিল মদ তৈরির ব্যবসা। বেআইনি ভাবে তৈরি করা এই মদের ব্যবসা এতটাই সফল ছিল যে ১৯৩১ সালে তিনি প্রতিবছর ২০ মিলিয়ন ডলার লাভ করছিলেন। কিন্তু সরকারের ক্রমাগত চাপ ও প্রতিদন্ধিদের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন সমস্যা কারনে তিনি তার এই বিশাল অংকের অর্থ লুকিয়ে ফেলেন অজানা এক জায়গায়। অবশ্য এর পরপরই তিনি গ্রেফতার হন। কিন্তু কোন ভাবেই তার এই সম্পত্তির কথা স্বীকার করেন নাই। অবশ্য প্রমানের অভাবে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে তার উপকারের থেকে অপকারই হল বটে। কেননা এর পরেই তিনি শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হন এবং নিহত হন। আর তার মৃত্যুর পরে, তার লুকায়িত অর্থের সন্ধান আজ পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয় নাই।
ঊনিশ শতকের শুরুর দিকটায় নিউয়র্কের ডাকু হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল 'Dutch Schultz'। শুরুতে ছোটখাট অপরাধের সাথে জড়িত থাকলেও শেষের দিকে এসে কিন্তু বেশ নাম কামিয়েছে। আর বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মধ্যে তার সব থেকে বড় ব্যবসা ছিল মদ তৈরির ব্যবসা। বেআইনি ভাবে তৈরি করা এই মদের ব্যবসা এতটাই সফল ছিল যে ১৯৩১ সালে তিনি প্রতিবছর ২০ মিলিয়ন ডলার লাভ করছিলেন। কিন্তু সরকারের ক্রমাগত চাপ ও প্রতিদন্ধিদের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন সমস্যা কারনে তিনি তার এই বিশাল অংকের অর্থ লুকিয়ে ফেলেন অজানা এক জায়গায়। অবশ্য এর পরপরই তিনি গ্রেফতার হন। কিন্তু কোন ভাবেই তার এই সম্পত্তির কথা স্বীকার করেন নাই। অবশ্য প্রমানের অভাবে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে তার উপকারের থেকে অপকারই হল বটে। কেননা এর পরেই তিনি শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হন এবং নিহত হন। আর তার মৃত্যুর পরে, তার লুকায়িত অর্থের সন্ধান আজ পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয় নাই।
০৯. সোনার খনিঃ
১৮৪০ সালে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় এই খনিটি। এরপর সেখানে শুরু হয় দূর্ধর্ষ মারামারি। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে মেক্সিকো চলে আসে ওখানকার বাসিন্দারা। এরপর আর অনেকদিন খোঁজ পাওয়া যায়নি খনিটির। অনেকদিন পরে ১৮৭০ সালে জ্যাকব নামে একজন আবার খুঁজে পায় খনিটি। তবে এবারেও সঙ্গীর সাথে রেষারেষি আর মৃত্যুতেই শেষ হয় ব্যাপারটি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর খনিটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১৮৪০ সালে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় এই খনিটি। এরপর সেখানে শুরু হয় দূর্ধর্ষ মারামারি। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে মেক্সিকো চলে আসে ওখানকার বাসিন্দারা। এরপর আর অনেকদিন খোঁজ পাওয়া যায়নি খনিটির। অনেকদিন পরে ১৮৭০ সালে জ্যাকব নামে একজন আবার খুঁজে পায় খনিটি। তবে এবারেও সঙ্গীর সাথে রেষারেষি আর মৃত্যুতেই শেষ হয় ব্যাপারটি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর খনিটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১০. অ্যাটম বোমের মানচিত্রঃ
১৯৪৫ সালে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বোমা ফেলার সময় আঁকা হয়েছিল মানচিত্রটি। তাতে দেখানো হয়েছিল ঠিক কোথায় কোথায় ফেলা হবে এটম বোম। তেমন কিছু নয়, একেবারেই সাধারণ। তবে অন্য কারো কাছে হয়তো সেটা নিজের আক্রোশ মেটানোর জন্যে বা ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহে রাখার জন্যে যথেষ্ট। আর তাই হঠাৎ করেই একদিন খেয়াল করা হয় যে মানচিত্রটি আর নেই জাদুঘরে। খুব একটা খোঁজা হয়নি সেটা। তবে খুঁজলেও পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ আছে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
১৯৪৫ সালে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বোমা ফেলার সময় আঁকা হয়েছিল মানচিত্রটি। তাতে দেখানো হয়েছিল ঠিক কোথায় কোথায় ফেলা হবে এটম বোম। তেমন কিছু নয়, একেবারেই সাধারণ। তবে অন্য কারো কাছে হয়তো সেটা নিজের আক্রোশ মেটানোর জন্যে বা ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহে রাখার জন্যে যথেষ্ট। আর তাই হঠাৎ করেই একদিন খেয়াল করা হয় যে মানচিত্রটি আর নেই জাদুঘরে। খুব একটা খোঁজা হয়নি সেটা। তবে খুঁজলেও পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ আছে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন