বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট ।। Bangladesh First Postal Ticket

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশ করে আমাদের মুজিবনগর সরকার। আর এটা প্রকাশিত হয় ২৯ জুলাই ১৯৭১ সালে। মোটমাট ৮টা ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছিল সেসময়। আর সবগুলোরই ডিজাইনার ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ডিজাইনার বিমান মল্লিক। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, এই ডাকটিকেটগুলোতে ‘বাংলাদেশ’ কথাটা কিন্তু একসঙ্গে লাগানো নেই। ‘বাংলা দেশ’ এভাবে লেখা আছে। এই ঐতিহাসিক ডাকটিকেটগুলো আমাদের সম্পদ। আমাদের গর্ব। এদের মধ্যে ধেকে ৩টা ডাকটিকিট বিজয়ের পর ২০ ডিসেম্বর পুনর্মূদ্রণ করা হয়। দুইটা ডাকটিকিট ছিলো বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত। দাম ছিলো যথাক্রমে ১০ টাকা ও ১০ পয়সা। আর আরেকটা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ। সেটার দাম ছিলো ৫ টাকা। এখন চলো তাহলে আমাদের সেই শাশ্বত ডাকটিকেটগুলোতে কি কি মোটিফ ছিল, তা জেনে নেই। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রকাশিত ডাকটিকেটগুলোর বিবরণ দেখে নেন তবে,


০১) প্রথমটি ছিলো ‘বাংলাদেশের মানচিত্র’ সম্বলিত গাঢ় লাল, নীল ও বেগুনী রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ১০ পয়সা।

০২) ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকাণ্ড’কে সামনে রেখে রক্তলাল ছাপের ওপর হলুদ লেখা ঢাকা ইউনিভার্সিটি। গাঢ় সবুজ রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ২০ পয়সা।

০৩) ‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালি জাতি’ শীর্ষক হালকা বাদামী লেখা, ধূসর এবং গোলাপী রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ৫০ পয়সা।

০৪) ‘বাংলাদেশের মানচিত্রসহ জাতীয় পতাকা’ সম্বলিত সবুজ রঙের উপর লাল সূর্যের মধ্যে হলুদ বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ১ টাকা।

০৫) ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ‘শতকরা ৯৮ ভাগ’ ভোট প্রদানের ঘটনাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ব্যালট বাক্সের প্রতীকের মধ্যে সাদা এবং ম্যাজেন্টা রঙের ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ২ টাকা।

০৬) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলকে মনে রেখেই করা হয় ‘স্বাধীনতার ঘোষণাসহ শিকল ভাঙার চিত্র’। গাঢ় সবুজ ও নীল রঙের এই ডাকটিকেটের মূল্য ছিলো ৩ টাকা।


০৭) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি’ সংবলিত সোনালি-সদৃশ, কমলা, গাঢ় বাদামী ও হাফটোন কালো রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ৫ টাকা।

০৮) ‘বাংলাদেশকে সমর্থন করুন’ শীর্ষক ম্যাজেন্টা রঙের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র সোনালি রঙের টিকেটে নীল রঙের লেখা। এর মূল্য ছিলো ১০ টাকা।

লেখকঃ তাহসান আহমেদ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info