আমরা সচারাচর সে সমস্ত সেতুগুলি দেখিয়া থাকি তাহারা নট নড়ন-চড়ন হইয়া স্থির পরিয়া থাকে। কিন্তু কিছু কিছু সেতু রহিয়াছে যাহারা নট নড়ন-চড়ন হইয়া পরিয়া থাকে না মোটেই, বরং বেশ নড়ন চড়ন দিয়া থাকে। আজিকের এই লেখা সেই সমস্ত নড়ন-চড়ন সেতুদিগকে লইয়াই।
যাহাদের নজরে আগের দুইটি পর্ব আসে নাই তাহারা চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করিয়া দেখিয়া আসিতে পারেন।
যাহাদের নজরে আগের দুইটি পর্ব আসে নাই তাহারা চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করিয়া দেখিয়া আসিতে পারেন।
যাহাহক আজ আমরা আলোচনা করিবো নড়ন-চড়ন সেতুর আরো একটি ধরন লইয়া। এই সেতু নাম- “উত্তলন সেতু” বা “Lift bridge”। বরাবরে মত বলিয়া লইতেছি বাংলা নামগুলিকে আমলে না নিলেও চলিবে।
আপনারা দেখিয়া বা জানিয়া থাকিবেন যে বড়বড়-উঁচু দালানগুলিতে লিফ্ট বসানো হইয়া থাকে। যাহাতে করিয়া ব্যক্তিবর্গ স্বল্প সময় ও বিনা পরিশ্রমেই দালানের উঁচ্চতম অংশে যাইতে পারে। ভাবিতেছেন- “নদী বা খালের উপরে কি কারণে লিফ্ট লাগানো হইবে? যানবাহন গুলি সেতু দিয়া নদী বা খাল পার হইবে, তাহাদের লিফ্টে চড়িয়া উঁচুতে উঠিবার ভীমরতি কেনো হইবে? এইবার নিঃশ্চই মরুভূমিতে ব্যাপক বন্য হওয়ার আশঙ্কায় দস্যুর মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হইয়াছে। আর কোনো নড়ন-চড়ন সেতু খুঁজিয়া না পাইয়া এই উদ্ভট বাতিল মাল পাঠকদিগকে খাওয়াতে চাহিতেছে।”
এই খানে “মরুভূমির জলদস্যু” আপনাদের শুধু এইটুক বলিতে পারে- মস্তিষ্ক তাহার ঠিকই রহিয়াছে, উত্তপ্ত হয় নাই। একটু ধৈর্য ধরিলেই আপনাদের সামনে “উত্তলন সেতুর” পর্দা উত্তলন করিতে পারিবো আশা করিতেছি।
“উত্তলন সেতু” কি ?
যখন কোনো সেতু তাহার নিচ দিয়া নৌযানদিগকে চলিয়া যাইতে দিবার জন্য নিজেকে উত্তলিতো করিয়ালইতে পরে বা করিয় লয় তখন সেই সেতুকে আমরা উত্তলন সেতু নামে অবহিত করিতে পারি।চাইলে এই সমস্ত সেতুদিগকে “উত্তলিত সেতু” নামেও ডাকা যাইতে পারে। নিচের চিত্রে একটি উত্তলিতো সেতুর নমুনা পেশ করিলাম।
আপনারা দেখিয়া বা জানিয়া থাকিবেন যে বড়বড়-উঁচু দালানগুলিতে লিফ্ট বসানো হইয়া থাকে। যাহাতে করিয়া ব্যক্তিবর্গ স্বল্প সময় ও বিনা পরিশ্রমেই দালানের উঁচ্চতম অংশে যাইতে পারে। ভাবিতেছেন- “নদী বা খালের উপরে কি কারণে লিফ্ট লাগানো হইবে? যানবাহন গুলি সেতু দিয়া নদী বা খাল পার হইবে, তাহাদের লিফ্টে চড়িয়া উঁচুতে উঠিবার ভীমরতি কেনো হইবে? এইবার নিঃশ্চই মরুভূমিতে ব্যাপক বন্য হওয়ার আশঙ্কায় দস্যুর মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হইয়াছে। আর কোনো নড়ন-চড়ন সেতু খুঁজিয়া না পাইয়া এই উদ্ভট বাতিল মাল পাঠকদিগকে খাওয়াতে চাহিতেছে।”
এই খানে “মরুভূমির জলদস্যু” আপনাদের শুধু এইটুক বলিতে পারে- মস্তিষ্ক তাহার ঠিকই রহিয়াছে, উত্তপ্ত হয় নাই। একটু ধৈর্য ধরিলেই আপনাদের সামনে “উত্তলন সেতুর” পর্দা উত্তলন করিতে পারিবো আশা করিতেছি।
“উত্তলন সেতু” কি ?
যখন কোনো সেতু তাহার নিচ দিয়া নৌযানদিগকে চলিয়া যাইতে দিবার জন্য নিজেকে উত্তলিতো করিয়ালইতে পরে বা করিয় লয় তখন সেই সেতুকে আমরা উত্তলন সেতু নামে অবহিত করিতে পারি।চাইলে এই সমস্ত সেতুদিগকে “উত্তলিত সেতু” নামেও ডাকা যাইতে পারে। নিচের চিত্রে একটি উত্তলিতো সেতুর নমুনা পেশ করিলাম।
ভাবিতেছেন “মরুভূমির জলদস্যু” এইবার ধরা খাইয়াছে। বাস্তবে এইরূপ সেতু খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। কিন্তু আমি আপনাদের আস্বস্ত করিতে পারি- ইহাদের অস্তিত্ব রহিয়াছে।
নিচে কিছু উত্তলিত সেতুর ছবি দিয়া দিতেছে সাথে তাহাদের আবস্থনওগত ঠিকানাও দিবার চেষ্ঠা করিলাম। আমার কথাতে বিশ্বাস করিতে না পারিলে নিজ চোক্ষে দেখিয়া আসিতে পারেন, সুযোগ থাকিলে।
শতর্কতাঃ পোঁকায় খাওয়া দাঁতের মালিকানা যাহাদের রহিয়াছে, তাহারা কিছু-কিছু সেতু, নদী, খাল ও স্থানের নাম নিজ দায়িত্বে উচ্চারন করিবেন। দুই-একটা দূর্বল দাঁত পড়িয়া গেলে দস্যু দায়ি হইবে না।
নিচে কিছু উত্তলিত সেতুর ছবি দিয়া দিতেছে সাথে তাহাদের আবস্থনওগত ঠিকানাও দিবার চেষ্ঠা করিলাম। আমার কথাতে বিশ্বাস করিতে না পারিলে নিজ চোক্ষে দেখিয়া আসিতে পারেন, সুযোগ থাকিলে।
শতর্কতাঃ পোঁকায় খাওয়া দাঁতের মালিকানা যাহাদের রহিয়াছে, তাহারা কিছু-কিছু সেতু, নদী, খাল ও স্থানের নাম নিজ দায়িত্বে উচ্চারন করিবেন। দুই-একটা দূর্বল দাঁত পড়িয়া গেলে দস্যু দায়ি হইবে না।


Ryde Bridge |
এই সেতু খানি অস্ট্রেলিয়ার Sydney তে Parramatta নদীর উপরে রহিয়াছে। ১৯৩৫ সালের ডিসেম্ভার মাসের ৭ তারিখে সেতুখানি উদ্বোধন করা হইয়া ছিলো।
![]() |
The Bridgewater Bridge |
অস্ট্রেলিয়ার Derwent নদীর উপরে রহিয়াছে এই সেতুখানি।
কানাডার Welland Canal এর উপরে রহিয়াছে বেশ কয়েকখানি উত্তলিত সেতু। নিচে তাহাদের নাম ও ফটো দিতেছে,
কানাডার Welland Canal এর উপরে রহিয়াছে বেশ কয়েকখানি উত্তলিত সেতু। নিচে তাহাদের নাম ও ফটো দিতেছে,
![]() |
Glendale Avenue Bridge |
Allanburg Bridge |
![]() |
Dain City Railway Bridge |
![]() |
The Second Narrows Bridge |
![]() |
Pont Gustave-Flaubert (Gustave Flaubert Bridge) |
ফ্রান্সের Seine নদীর উপরে রহিয়াছে ইওরপের সবচাইতে উঁচু এই উত্তলিত সেতু খানি। ৫৫ মিটার উঁচু জাহাজ “জলদস্যুরও হইতে পারে” ইহার নিচ দিয়া অনায়াশে চলিয়া যাইতে পারে। ৬৭০ মিটার লম্বা সেতুখানি ২০০৮ সালের ২৫শে সেপ্টম্বর অফিসিয়াছি চালু করা হইয়াছিলো।
![]() |
Pont Levant de Crimée |
Paris এর এই উত্তলিত সেতুটি রহিয়াছে Ourcq খালের উপরে।
![]() |
Chikugo River Lift Bridge |
জাপানের Chikugo নদীর উপরে রহিয়াছে “Chikugo River Lift Bridge” যাহা Ōkawa, Fukuoka ও Saga, Saga এর মাঝে সংযোগ স্থাপন করিয়াছে।
Alphen aan den Rijn |
Netherlands এর Gouwe নদীর উপরে Alphen aan den Rijn নামের এই উত্তলিত সেতু রহিয়াছে। আমেরিকাতে অনেকগুলি উত্তলিত সেতু রহিয়াছে, উল্লেখযোগ্য কিছু সেতুর ছবি শেয়ার করিতেছে নাম সহ।
![]() |
Aerial Lift Bridge |
![]() |
Aerial Lift Bridge |
![]() |
Arthur Kill Vertical Lift Bridge |
![]() |
ASB Bridge |
![]() |
Broadway Bridge |
![]() |
Canal Street railroad bridge |
![]() |
Cape Cod Canal Railroad Bridge |
![]() |
Cape Fear Memorial Bridge |
আমেরিকার আরো রহিয়াছেঃ
United Kingdom এর কিছু উত্তলিতো সেতু এইবার দেখাইতে চাহিতেছি,
- Chesapeake & Delaware Canal Lift Bridge
- Claiborne Avenue Bridge
- Conrail Bridge
- Danziger Bridge
- Fourteenth Street Bridge (Ohio River)
- Green Island Bridge
- Hastings Rail Bridge
- Hawthorne Bridge
- Interstate Bridge
- Main Street Bridge
- Marine Parkway-Gil Hodges Memorial Bridge
- Murray Morgan Bridge
- Park Avenue Bridge
- Portage Lake Lift Bridge
United Kingdom এর কিছু উত্তলিতো সেতু এইবার দেখাইতে চাহিতেছি,
![]() |
Kingsferry Bridge |
![]() |
Kingsferry Bridge |
Turnbridge Lift Bridge |
Turnbridge Lift Bridge |
সেতুখানি Huddersfield Broad খালের উপরে তৈরি করা হইয়াছে।
![]() |
Salford Quays lift bridge |
Manchester Ship খালের উপরে তৈরি করা এই সেতুখানি ৯৫ মিটার লম্বা, যাহা ২০০০ সালে চালু করা হইয়াছে।
নড়ন-চড়ন সেতুর খুব বেশি নড়াচড়ায় কাহিল হইয়া গিয়া থাকিলে আমাকে ক্ষমা করিয়া দিয়েন। আরো কিছু নড়ন-চড়ন সেতু রহিয়াছে আমার থলেতে। ভাবিতেছি, ইহার পরে আর কোনো পথিক রাজি হইবে কিনা সেই সমস্ত সেতুতে আমার সাঙ্গে উঠিবার জন্য!!!
লেখকঃ মরু ভূমির জলদস্যু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
নড়ন-চড়ন সেতুর খুব বেশি নড়াচড়ায় কাহিল হইয়া গিয়া থাকিলে আমাকে ক্ষমা করিয়া দিয়েন। আরো কিছু নড়ন-চড়ন সেতু রহিয়াছে আমার থলেতে। ভাবিতেছি, ইহার পরে আর কোনো পথিক রাজি হইবে কিনা সেই সমস্ত সেতুতে আমার সাঙ্গে উঠিবার জন্য!!!
লেখকঃ মরু ভূমির জলদস্যু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন