পৃথিবীতে যেকোনো জীব, যখন জন্ম নেয়, তখন ছোট্ট থাকে। তারপর ধীরে ধীরে সে বড় হয়। আর বড় হতে হতে যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন একটা সময় সেই জীব মানে মানুষ বা পশু বা পাখি, যা হোক না কেন, সেটা মারা যায়, তাই না? আপনারা ভাবছেন, এটাতো আমরা সবাই জানি, এটা আবার ঘটা করে বলার কী আছে! আরে, আছে আছে! আপনারা কি কেউ মৃতগাড়ি, মৃতবাড়ি, বা মৃতরাস্তার কথা শুনেছেন, কিংবা দেখেছেন? নিশ্চয়ই দেখেননি, তাই না? কিন্তু আশ্চর্যের কথা কি জানেন, পৃথিবীতে একটা সাগরই আছে যার নাম কিনা "মৃতসাগর" বা Dead Sea! এ আবার কেমন কথা? সাগর কি কখনো মরতে পারে নাকি? আর না মরলে তাকে কেনই বা সবাই মৃতসাগর বলতে যাবে, তাই না ?
আসলে কোনোকিছু তো শুধু শুধুই হয় না, সবকিছুর পেছনেই কিছু যুৎসই কারণ থাকে। এই নামকরণের পেছনেও নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে, কি বলো আপনারা? এই মৃত সাগরটাই বা কেমন, এর আশেপাশের আবহাওয়া আর পরিবেশই বা কেমন, চলেন আমরা আজকে সেই সব অবাক করা সব গল্পই শুনে আসি।
আসলে কোনোকিছু তো শুধু শুধুই হয় না, সবকিছুর পেছনেই কিছু যুৎসই কারণ থাকে। এই নামকরণের পেছনেও নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে, কি বলো আপনারা? এই মৃত সাগরটাই বা কেমন, এর আশেপাশের আবহাওয়া আর পরিবেশই বা কেমন, চলেন আমরা আজকে সেই সব অবাক করা সব গল্পই শুনে আসি।
আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, এর নাম "মৃতসাগর" কেন? তাহলে কি এখানকার পানি বিষাক্ত? তাই তো, এটা তো একটা মহাচিন্তার বিষয়! আসলে হয়েছে কি জানেন, এই সাগরের পানিতে খনিজ দ্রব্য এবং লবণের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। আর তাই এই সাগরে প্রাণী, মাছ, উদ্ভিদ কিছুই বেঁচে থাকতে পারে না। আর এই কারণেই এই সাগরকে মৃত সাগর বলা হয়। যে সাগরে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না, সেই সাগরকে তো আর জীবিত সাগর বলা যায় না! যে বাড়িতে কোনো মানুষ থাকে না, সেই বাড়িকে আমরা কি আর বাড়ি বলি; বলি পোড়া বাড়ি। তেমনি এই সাগরে কোনো জীবিত প্রাণী বা উদ্ভিদ কিছুই নেই। কেবল কিছু ব্যাক্টেরিয়া আর ভাসমান প্ল্যাঙ্কটন আছে। একে মৃতসাগর বলবো না তো কী বলবো!
এই সাগরের কিন্তু আরো কয়েকটা নাম আছে। যেমন, "সি অফ সোডোম", "সি অফ লট", "সি অফ এ্যাসফ্যাল্ট", "স্টিংকিং সি", "ডেভিলস্ সি"। ডেড সি’র অন্য নামগুলো কেমন অদ্ভূত না! আসলে এই সাগরে কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না তো, তাই অনেক আগে, তখনো তো বিজ্ঞানের এতো উন্নতি হয়নি, এই সাগরকে ঘিরে মানুষ নানা কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করেছিলো। অনেকে মনে করতো, এই সাগরে শয়তান আছে, নয়তো শয়তানের অভিশাপ আছে, তা নইলে পানি আছে, মাছ নেই, এ কেমন করে হয়? আর তাই তারা এর নাম দিয়েছিলো ডেভিলস সি। আবার এই সাগরের তীরেই ছিলো সোডোম নামের একটি শহর। সেখান থেকেই এর নাম দেয়া হলো সি অফ সোডোম। এমনি প্রত্যেকটা নামের পেছনেও অনেক গল্প আছে। অন্যগুলো বলতে গেলে তো এই রহস্যময় সাগরের আর কোনো কথাই বলা হবে না। বাকিগুলো না হয় আরেকদিনে বলব।
আচ্ছা, সেই তখন থেকে মৃতসাগরের কথা বলছি, আর আপনারাও খুব শুনে যাচ্ছেন, অথচ এটা কি জানেন যে, মৃতসাগর কোনো সাগর না, একটা হৃদ? চারপাশে স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা বিশাল জলাশয়কে বলে হৃদ। এই হৃদে পানি আসে নদী দিয়ে। আবার নদী দিয়ে পানি এসে যদি কোনো উন্মুক্ত জলাশয় সৃষ্টি করে তখন তাকে বলে সাগর। তাহলে, এই হৃদের তো চারপাশেই স্থলভাগ, একে আবার সবাই সাগর বলে কেনো? আসলে এটা একসময় সাগরই ছিলো। সে তিন মিলিয়ন বছর আগের কথা। জর্ডান নদী, এখনকার যে মৃত সাগর সেই জলাশয় আর লোহিত সাগর এই ৩টার পানি মিলে প্রতি বছরই এমন বন্যার সৃষ্টি করতো, ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চলকে একেবারে ডুবিয়ে ছাড়তো। আর বারবার ডুবতে ডুবতে লোহিত সাগর থেকে এই মৃত সাগর পর্যন্ত একটা সরু সংযোগ তৈরি হলো। মৃতসাগর তো সাগর হয়ে খুব মজা করছিলো। কিন্তু তলে তলে সেই ডুবে যাওয়া সরু উপত্যকাটাও একটু একটু করে উঁচু হচ্ছিলো। আর ১ মিলিয়ন বছর পর সেটা এতোটাই উঁচু হয়ে গেলো, যে লোহিত সাগরের সঙ্গে মৃতসাগরের সংযোগটাই গেলো বন্ধ হয়ে। কী আর করা! মৃতসাগর হয়ে গেলো হৃদ। তাতে তো মৃতসাগরের খুবই মন খারাপ। এমনিতেই ওর শরীরে কোনো মাছ নেই। তার উপর আবার ওর নামও সাগর থেকে কাটা পড়ে গেলো। গ্রহের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর প্লুটোর যতো মন খারাপ হয়েছিলো, মৃতসাগরের মন খারাপ হলো তারচেয়েও বেশি। তাই সবাই ভাবলো, আহা! থাক না ওর নাম সাগর। আর তাই ওর নাম "মৃত সাগর"ই থেকে গেলো।
এই মৃতসাগরের পশ্চিমে ইসরায়েলের পশ্চিম তীর আর পূর্বে জর্ডান। আর পৃথিবীর লোনা পানির হৃদগুলোর মধ্যে এই মৃতসাগরের অবস্থান কতোতে জানেন? ২ নম্বরে। মানে আকৃতিতে লোনা পানির হৃদগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। আর পানিতে লবণের পরিমাণের দিক দিয়ে? এই হৃদের পানিতে শুধুই লবণ আর লবণ। এই হৃদের পানির তুলনায় আমাদের প্রিয় বঙ্গোপসাগরের পানি বলতে পারেন একরকম মিষ্টিই! অন্যান্য সাগর, মহাসাগরের চেয়ে এই হৃদের পানি ৮.৬ গুণ বেশি নোনতা! লবণাক্ততার দিক দিয়ে এই মৃত সাগরের কাছাকাছি আছে আমেরিকার উটাহ্ প্রদেশের বিশ্ববিখ্যাত লোনা পানির হ্রদ "গ্রেট সল্ট লেক"। তাও খুব একটা কাছাকাছি নেই; এই গ্রেট সল্ট লেকের পানির চেয়েও মৃত সাগরের পানি দ্বিগুণ নোনতা।
মৃতসাগরের আরেকটা মজা কি জানেন? এটাই পৃথিবীর নিম্নতম জলাশয়। অন্য সাগর মহাসাগরের পানির স্বাভাবিক যে উচ্চতা তার চেয়ে এই হৃদের পানির উচ্চতা অনেক কম, প্রায় ৪২০ মিটার মানে ১৩৭৮ ফিট নিচে। একবার ভাবেন তো, মৃতসাগরে গিয়ে যেই উচ্চতায় আপনি হাঁটু জলে নেমে পানিতে মজা করে ঝাঁপাঝাঁপি করছেন, অন্য সাগরে সেই উচ্চতায় গেলে আপনার মাথার উপরে থাকবে ৪২০ মিটার পুরু পানির স্তর! আর এই সাগরের তীরই কিন্তু পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি। তবে তো ওখানে গেলে ভীষণ মজা হবে, মনে হবে একদম পৃথিবীর কেন্দ্রে চলে গেছেন, তাই না? মজাই হবে কিন্তু, মনে হবে পাতালপুরীতে পৌঁছে গেছেন!
তবে এই সাগর কিন্তু সবসময় এতো নিচু ছিলো না। আজ থেকে মাত্র ৭০ হাজার বছর আগেও ডেড সি’র উচ্চতা এখনকার উচ্চতার চাইতে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ মিটার বেশি ছিল। প্রায় ২৬ হাজার বছর আগে এই সাগরের উচ্চতা ছিলো সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে, কী অবাক কাণ্ড! হঠাৎ করেই মৃতসাগরের উচ্চতা কমতে শুরু করলো! এমনকি ঐ সময় উচ্চতা কমতে কমতে এখনকার চেয়েও কমে গিয়েছিলো। তবে গত কয়েক হাজার বছর ধরে ‘ডেড সি’র উচ্চতা মোটামুটি ৪০০ মিটারের আশেপাশেই আছে।
মৃত সাগরের পানি আসে মূলত জর্ডান নদী থেকে। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হলো ৬৭ কিমি আর সর্বোচ্চ প্রস্থ ১৮ কিমি। গড় গভীরতা ১২০ মিটার, অর্থাৎ ৩৯৪ ফিট। আর যে জায়গাটায় সবচেয়ে গভীর, সে জায়গার গভীরতা কত হতে পারে ভাবেন তো? ৩৩০ মিটার, মানে ১০৮৩ ফিট! আর এর উপকূলের দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিমি মানে প্রায় ৮৪ মাইল।
‘ডেড সি’র আবহাওয়াটাও কিন্তু ‘ডেড সি’র মতোই। শুষ্ক আবহাওয়া, প্রায় সব সময়ই আকাশে থাকে ঝলমলে রোদ। আর বছরে গড় বৃষ্টি হয় মাত্র ৫০ মিলিমিটার, মানে খুবই কম। আমাদের দেশে তো বর্ষাকালে একদিনেই ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়! গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর শীতকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ২০ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! আর আমাদের ঢাকা শহরে কিনা গরমে তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রী হলেই আমরা ঘামতে ঘামতে হাঁপিয়ে যাই, ৩০ ডিগ্রি হলে তো বাসা থেকে বেরই হতে ইচ্ছে করে না!
মৃত সাগরের পানি আসে মূলত জর্ডান নদী থেকে। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হলো ৬৭ কিমি আর সর্বোচ্চ প্রস্থ ১৮ কিমি। গড় গভীরতা ১২০ মিটার, অর্থাৎ ৩৯৪ ফিট। আর যে জায়গাটায় সবচেয়ে গভীর, সে জায়গার গভীরতা কত হতে পারে ভাবেন তো? ৩৩০ মিটার, মানে ১০৮৩ ফিট! আর এর উপকূলের দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিমি মানে প্রায় ৮৪ মাইল।
‘ডেড সি’র আবহাওয়াটাও কিন্তু ‘ডেড সি’র মতোই। শুষ্ক আবহাওয়া, প্রায় সব সময়ই আকাশে থাকে ঝলমলে রোদ। আর বছরে গড় বৃষ্টি হয় মাত্র ৫০ মিলিমিটার, মানে খুবই কম। আমাদের দেশে তো বর্ষাকালে একদিনেই ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়! গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর শীতকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ২০ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! আর আমাদের ঢাকা শহরে কিনা গরমে তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রী হলেই আমরা ঘামতে ঘামতে হাঁপিয়ে যাই, ৩০ ডিগ্রি হলে তো বাসা থেকে বেরই হতে ইচ্ছে করে না!
মৃত সাগরে মাছ থাকতে না পারলেও, মানুষের জন্য কিন্তু মৃত সাগর যাকে বলে একেবারে স্বর্গ। কেন জানেন? এই সাগরের পানি তো খুবই ঘন। আপনি চাইলেও এই হৃদে ডুবে যেতে পারবেন না। তবে মৃত সাগরের মাহাত্ম কিন্তু অন্য জায়গায়। এই হৃদের পানিতে এত্তো খনিজ পদার্থ আছে, সে আর কী বলবো! বললাম না, এর পানিতে লবণ আর লবণ। আর এই লবণগুলোও তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। তার উপর সাগরের আশেপাশে তেমন গাছও নেই, সাগরের নিচে তো কিছুই নেই, তাই বাতাসে গাছের পরাগরেণুও নেই। নেই অ্যালার্জি হতে পারে এমন কোনো উপাদান। আবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির নাম শুনেছেন না? সূর্যের আলোর এই অংশ আকাশের আয়ন মণ্ডল অনেকটাই শোধন করে। নইলে যে আমাদের কী হতো! এই হৃদের আশেপাশের অঞ্চলে আবার সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি আসে খুবই কম। সব রোগে শোকে ভুগতে থাকা রোগীদের বায়ু পরিবর্তনের এক আদর্শ জায়গা এই মৃত সাগর। বিশেষ করে চামড়ার নানা জটিল রোগের রোগীদের থাকার জন্য এরচেয়ে ভালো জায়গা আর হয় না। আবার শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য তো এই এলাকাই একটা চিকিৎসা! এখানকার আবহাওয়া শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তবেই বলো, একে স্বর্গ বলবো না তো কী বলবেন?
আপনাদেরকে তো আগেই বলেছি, মৃতসাগরের পানি লবণে ভরা। আর লবণে ভরা এমন পানিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে "ব্রাইন"। ২০০১ সালে মৃত সাগর থেকে পাওয়া ব্রাইন দিয়ে ইসরায়েল প্রায় ২ মিলিয়ন টন পটাশ, ৪৪ হাজার ৯শ’ টন কসটিক সোডা, ২০ হাজার ৬শ’ টন ব্রোমিন, ২৫ হাজার টন ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপাদন করে! তবেই বোঝেন, কেমন উপকারী এই লোনা সাগর, থুক্কু হৃদ! আর এই লবণ তোলার জন্য কাজ করছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ!
মাছহীন এই হৃদ যে শুধু চিকিৎসার জন্যই ভালো, তাই না, ঘুরে বেড়ানোর জন্যও কিন্তু এলাকাটা খারাপ না। এখানে যে শুধু এই অদ্ভূতুড়ে হৃদই আছে তা না, আছে অদ্ভূতুড়ে কিছু গাছও, যেগুলো পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। আর পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু স্থল আর জলভাগ দেখার মজা তো আছেই। তার উপর উপরি পাওনা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে "হাইওয়ে ৯০"। কতো নিচু? সমুদ্র সমতল থেকে এই হাইওয়ে আরো ৩৯৩ মিটার নিচু। মানে পৃথিবীর অন্য কোনো সাগরের আশেপাশে হলে আর দেখতে হতো না, এই হাইওয়ে থাকতো সাগরের পানির ৩৯৩ মিটার নিচে!
কী? যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না এই অদ্ভূত সাগরে? ওখানে গেলে তো খুবই মজা করে সাঁতার কাটতে পারবেন। বললাম না, ওখানে তো আপনি চাইলেও ডুবতে পারবেন না! আবার পৃথিবীর নিম্নতম সাগর আর ভূমিতে বেড়ানোও হবে। হাঁটা যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু হাইওয়েতেও। আর কারো ত্বকে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটাও দূর হয়ে যাবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও সমস্যা নেই, ঠিক হয়ে যাবে সেটাও! তাহলে এক ঢিলে কয়টা পাখি মরবে এবার একটু হিসেব করে বলেন তো? তবে হ্যাঁ, চাইলেও কিন্তু মাছ মারতে পারবেন না। মনে নেই, ওই হৃদে তো মাছই নেই!
লেখকঃ ঋতি মৃত্তিকা নয়ন।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
মাছহীন এই হৃদ যে শুধু চিকিৎসার জন্যই ভালো, তাই না, ঘুরে বেড়ানোর জন্যও কিন্তু এলাকাটা খারাপ না। এখানে যে শুধু এই অদ্ভূতুড়ে হৃদই আছে তা না, আছে অদ্ভূতুড়ে কিছু গাছও, যেগুলো পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। আর পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু স্থল আর জলভাগ দেখার মজা তো আছেই। তার উপর উপরি পাওনা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে "হাইওয়ে ৯০"। কতো নিচু? সমুদ্র সমতল থেকে এই হাইওয়ে আরো ৩৯৩ মিটার নিচু। মানে পৃথিবীর অন্য কোনো সাগরের আশেপাশে হলে আর দেখতে হতো না, এই হাইওয়ে থাকতো সাগরের পানির ৩৯৩ মিটার নিচে!
কী? যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না এই অদ্ভূত সাগরে? ওখানে গেলে তো খুবই মজা করে সাঁতার কাটতে পারবেন। বললাম না, ওখানে তো আপনি চাইলেও ডুবতে পারবেন না! আবার পৃথিবীর নিম্নতম সাগর আর ভূমিতে বেড়ানোও হবে। হাঁটা যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু হাইওয়েতেও। আর কারো ত্বকে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটাও দূর হয়ে যাবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও সমস্যা নেই, ঠিক হয়ে যাবে সেটাও! তাহলে এক ঢিলে কয়টা পাখি মরবে এবার একটু হিসেব করে বলেন তো? তবে হ্যাঁ, চাইলেও কিন্তু মাছ মারতে পারবেন না। মনে নেই, ওই হৃদে তো মাছই নেই!
লেখকঃ ঋতি মৃত্তিকা নয়ন।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন