তিব্বতিদের আকাশ সমাধি


উপরের ছবি দেখে যারা মনে করছেন খুব দৃষ্ট নন্দন কোন কিছু নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য তাহলে বলব, আপনারা যারা দূর্বল মানষিকতার অধিকারি তারা এই লেখাটি পড়বেন না।

তিব্বত (তিব্বতি ভাষায়: བོད་, আ-ধ্ব-ব: [pʰø̀ʔ] ফ্যো’) বা শিচাং (চৈনিক: 西藏 শিৎসাং) গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এ অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। তিব্বতীয় মালভূমির গড় উচ্চতা ১৬,০০০ ফুট, যার কারণে এই অঞ্চলকে পৃথিবীর ছাদও বলা হয়।

এখানে প্রচলিত আছে "আকাশ সমাধির" প্রচলন। এখানে কোন মানুষ মারা গেলে তাকে ২ থেকে ৩ দিন ঘরে রাখা হয় এবং এ সময় তিব্বতি সাধুদের পারিবারিক ভাবে অনুরোধ করা হয় যেন তারা প্রচলিত প্রথা অনুযায়ি নেচে গেয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মার শান্তি কামনা করে এবং যাতে তার আত্মা পূর্ব পুরুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

সকল প্রথা পূরন করার পরে একজন লোক মৃত ব্যাক্তির শরীর কে নিয়ে যায় আকাশ সমাধির স্থলে। সেখানে শুরু হয় এই সমাধির পরবর্তি পদক্ষেপ।

এখন আমি সচিত্র প্রতিটি ধাপ আলোচনা করব। আমি আবার মনে করিয়ে দিতে চাই যারা দূর্বল মানষিকতা অধিকারি তারা আর পড়বেন না।

এনি সেই ব্যাক্তি যিনি আকাশ সমাধি সম্পন্ন করবেন
গাড়িতে করে নিয়ে আশা হয়েছে মৃত ব্যাক্তির লাশ
পিঠ মোড়া দিয়ে এভাবে বেধে লাশ আনা হয়
একটা ছুরি হাতে প্রস্তুত
লাশটির পীঠ ছুরি দিয়ে চিরে ফেলা হয়
চিরে চলেছে
চিরে চলেছে
চিরে চলেছে
আকাশে শুরু হয়ে গেছে শকুনের আনাগোনা
যত টুকু সম্ভব আলাগা করে ফেলা হয় মাংসকে
শেষ হল বুঝি তার কাজ
মৃতু ব্যাক্তিকে ফেলে রাখা হয়েছে শকুনের খাদ্য রূপে
শকুনরা চিরে চিরে খাওয়া শুরু করেছে মানুষের দেহ
খাওয়া চলছে / আকাশ সমাধি চলছে
খাওয়া চলছে / আকাশ সমাধি চলছে
লোকটি তাকিয়ে তাকিতে দেখছে সমাধি ঠিক মত চলছে কিনা
শরীরের কিছুই বাকি নাই, আছে শুধু খুলি
খাওয়া শেষে চলে যাচ্ছে শকুন
পরে রয়েছে শুধু খুলি
লোকটি এবার গুছিয়ে নিয়ে আসছে পরে থাকা হাড়
সমাধি পূরনের প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হল, দেহ অবশেষ কিছুই বাকি রাখা যাবে না। কিন্তু বাকি রয়ে গেল। মাথার খুলির ভিতরের ঘিলু আর কিছু হাড়। এখন কি হবে? 

যেহেতু সমাধির দায়িত্ত লোকটির কাধে, তাই তিনি এখন শকুনের রেখে যাওয়া হাড়কে হাতুড়ি দিয়ে গুরা করবেন, এমনকি মাথার খুলিকে ভেঙ্গে বের করবেন যাতে শকুনের খেতে কোন অসুবিধা না হয়।

হাতুড়ি দিয়ে ভাঙ্গছে হাড়
হাড় ভাঙ্গা চলছে
হাড় ভাঙ্গা চলছে
মাথার খুলি থেকে ঘিলু বের করছেন
মাথার খুলি থেকে ঘিলু বের করছেন
আবার শকুন এল আর শুরু হল
এই আকাশ সমাধি কালে মৃত লোকটির কোন আত্মীয় সমাধি স্থলে যেতে অনুমতি প্রাপ্ত নয়। এমন কি সমাধির ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মৃত ব্যাক্তির বাড়িতে কারো যাওয়া নিষেধ থাকে।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info