"কুত কুত মালা
কুত কুত দই,
দই আলাগো
বাড়ি কই?
চৌরাস্তার মোড়ে
দই লইয়া ঘোরে।"
কুত কুত দই,
দই আলাগো
বাড়ি কই?
চৌরাস্তার মোড়ে
দই লইয়া ঘোরে।"
কুত কুত খেলায় একটি বিষয় হচ্ছে দম নেয়া। দম বেশিক্ষণ নেবার জন্য আমরা এই ছোটবেলায় এই ছড়া বলে দম নিতাম। কুত কুত খেলা বিভিন্ন ধরনের আছে- যেমন বোবা কুত কুত, কেচকি কুত কুত, বক্স কুত কুত। তবে আজ কুত কুত খেলা নিয়ে কিছু বলবো না, আপনাদের কথা শুনতে চাই, আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
বন্ধুরা, আপনারা ছোটবেলায় কে কে কুতকুত খেলা খেলেছেন তা আমাদের জানান।
ফুলটোকা খেলাঃ
ছোটবেলার একটি মজার খেলা হচ্ছে ফুলটোকা খেলা। কোথাও কোথাও এটি বউরানী খেলা নামেও পরিচিত। চলুন জেনে আসি এই খেলার নিয়ম।
দুইজন রাজার অধীনে সমান সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে। মাঝখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রেখে দুইপাশে দুইটি রেখা টেনে দিতে হয়। দুইপক্ষ রেখা বরাবর বসে পড়ে। খেলার শুরুতে রাজা ফুল-ফলের নামে নিজ দলের সদস্যদের নাম ঠিক করে দেয়। তারপর সে বিপক্ষ দলের যেকোন একজনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে, ‘আয়রে আমার গোলাপ ফুল, বা আয়রে আমার টগর ফুল’ ইত্যাদি নামে ডাক দেয়। সে তখন চুপিসারে এসে চোখবন্ধ যার তার কপালে মৃদু টোকা দিয়ে নিজ অবস্থানে ফিরে যায় এবং সবাই একসাথে জোড়ে বল,
ছোটবেলার একটি মজার খেলা হচ্ছে ফুলটোকা খেলা। কোথাও কোথাও এটি বউরানী খেলা নামেও পরিচিত। চলুন জেনে আসি এই খেলার নিয়ম।
দুইজন রাজার অধীনে সমান সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে। মাঝখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রেখে দুইপাশে দুইটি রেখা টেনে দিতে হয়। দুইপক্ষ রেখা বরাবর বসে পড়ে। খেলার শুরুতে রাজা ফুল-ফলের নামে নিজ দলের সদস্যদের নাম ঠিক করে দেয়। তারপর সে বিপক্ষ দলের যেকোন একজনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে, ‘আয়রে আমার গোলাপ ফুল, বা আয়রে আমার টগর ফুল’ ইত্যাদি নামে ডাক দেয়। সে তখন চুপিসারে এসে চোখবন্ধ যার তার কপালে মৃদু টোকা দিয়ে নিজ অবস্থানে ফিরে যায় এবং সবাই একসাথে জোড়ে বল,
'ক খ গ
মাথায় হেড'
মাথায় হেড'
এরপর চোখ খুলে দিলে ওই খেলোয়াড় যে টোকা দিয়ে গেল তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করে।
সফল হলে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এবার বিপক্ষের রাজা একই নিয়ম অনুসরণ করে। এভাবে লাফ দিয়ে মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের জমি দখল না করা পর্যন্ত খেলা চলতে থাকে।
এই খেলা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার খেলা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এই খেলায় আমরা অনেক চালাকি করতাম। যেমন ইশারা ভাষা ব্যবহার করতাম। মাথায় হাত দিলে বা কান চুলকালে অমুকজন টোকা দিয়েছে তা সহজে বোঝার জন্য। কোথায় গেল আজ সেই খেলা?
আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনতে চাই!!!!
সফল হলে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এবার বিপক্ষের রাজা একই নিয়ম অনুসরণ করে। এভাবে লাফ দিয়ে মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের জমি দখল না করা পর্যন্ত খেলা চলতে থাকে।
এই খেলা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার খেলা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, এই খেলায় আমরা অনেক চালাকি করতাম। যেমন ইশারা ভাষা ব্যবহার করতাম। মাথায় হাত দিলে বা কান চুলকালে অমুকজন টোকা দিয়েছে তা সহজে বোঝার জন্য। কোথায় গেল আজ সেই খেলা?
আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনতে চাই!!!!
তখন ক্লাস এইট বা নাইনে পড়তাম। ১ টাকা দামের কাগজের ঘুড়ি বিক্রি হত। আমি ঘুড়ি উড়াতে এত পটু ছিলাম না। ঘুড়ির সুতা ছিড়ে গেলে সেটাকে ছাপ্পা বলে তখন সে ঘুড়ি যে আগে পাবে তার হয়ে যাবে। সেই ১ টাকা দামের ঘুড়ি পাওয়ার জন্য কত দৌড়িয়েছি। এখানে দামটা বিষয় না, সেই ছাপ্পা ঘুড়ি পাবার যেই আনন্দ তা লাখ টাকায় পাওয়া যাবে না। আজকাল ঢাকা শহরে ঘুড়ি উড়ানো চোখে পরে না বললেই চলে। গ্রামেও কমে গেছে। একসময় আমি নিজে ঘুড়ি বানাতাম এখন সেটাও ভুলে গেছি। অথচ এই ঘুড়ি উড়ানো খেলা সেই মোঘল আমল থেকে এই দেশে চলে আসছে। আগে রাজা-বাদশারা তাদের বিনোদনের জন্য ঘুড়ি উড়াতো। এই প্রজন্মের শিশুদের জন্য এই পোস্টটি উৎসর্গ করলাম যাতে তারা বাড়ির ছাদে হলেও ঘুড়ি উড়ায়।
ঘুড়ি (Kite):
ঘুড়ি যা আঞ্চলিক ভাষায় ঘুড্ডি নামে পরিচিত। এই ঘুড়ি আবিষ্কারের কাহিনী অনেক পুরানো। কিংবদন্তী অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়। গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এর বহুযুগ পরে এশিয়া ঘুড়ি উড়ানোতে দক্ষ হয়। চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে।
কিভাবে ঘুড়ি বানাতে হয়?
কাগজের সঙ্গে বাঁশের শলার কাঠামো লাগিয়ে সাধারণ ঘুড়ি তৈরি হয়। আমরা পলিথিন দিয়ে ঘুড়ি বানাতাম। সুতায় বেঁধে ঘুড়ি সুতার প্রান্তে রেখে আকাশে ওড়ানো হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য বাতাসের প্রবাহ দরকার হয়। সাধারণত শরৎ ও হেমন্ত ঋতুতে ঘুড়ি উড়ানো বেশি হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল নির্ভর করে বাতাসের প্রবাহের ওপর। বাতাসের প্রবাহ যেদিক থেকে আসছে সেটি বুকের দিকে রেখে ঘুড়ি খাড়া রাখলেই তা আকাশে ভেসে থাকতে পারে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতা টেনে টেনে ঘুড়ির ওপর বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি করা হয়। ঘুড়ি যেখানে উড়ছে সেখানে বায়ু প্রবাহ কমে গেলে সুতা টেনে টেনে ঘুড়ি আরো উপরে তোলা হয়।
মাঞ্জা কি এবং প্রস্তুত প্রনালীঃ
মাঞ্জা' কথাটা হল মাজনা'(মাজন+আ+ মাজন মানে ঘষা) র অপভ্রংশ! মানে ঘষা মাজা করা, তার মানে একটি অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় উন্নত করা। ঘুড্ডির ধারহীন সুতাকে ধারালো করার জন্য মাঞ্জা দেয়া হয়। আমরা ছোটবেলায় ঘুড্ডি কাটাকাটি খেলা খেলতাম। কে কার ঘুড্ডি কাটতে পারি তার প্রতিযোগিতা হত। এরজন্য ঘুড্ডির সুতাকে ধারালো করতে হত। মাঞ্জা দেওয়ার জন্য লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, আঠা, এরারুট, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। এসব মিলিয়ে মাঞ্জার মসলা তৈরি করা হয়। যে সূতায় মাঞ্জা দেওয়া হবে তা আগেই একটি নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নেওয়া হবে। মোটা কাপড়ে মাঞ্জার মসলা নিয়ে পুঁটলি পাকিয়ে ধরে থাকতে হবে। সুতা এই মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে নিয়ে আরেকটি নাটাইয়ে পেঁচাতে হবে। একাজটি করতে হবে কড়া রোদের সময়। যাতে মাঞ্জা দেওয়া সুতা নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিতে নিতেই তা শুকিয়ে যায়। কাজটি করতে হবে এভাবে দুই পাশে দুইজন বসবে দুইটি নাটাই নিয়ে। একটিতে সুতা থাকবে, আরেকটি খালি। সুতা নাটাইয়ে আছে তার পাশে মাঞ্জার মসলা পুটুলি পাকিয়ে হাতে নিয়ে বসবে আরেকজন। যে নাটাইয়ে সুতা আছে সে নাটাই থেকে সুতা ছাড়া হবে। সুতা মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে খালি নাটাইয়ে যাবে। খালি নাটাইয়ে মাঞ্জা দেওয়া সুতা গঁছে নিতে হবে।
মাঞ্জার আবার রকমফের আছে। যেমন: সুতামাঞ্জা, ভাতমাঞ্জা, ডিমমাঞ্জা ইত্যাদি। এসব মাঞ্জার মূল পার্থক্য উপকরণগত। ভাত মাঞ্জা দিতে দরকার হয় জাউভাত, কাঁচের চূর্ণ, রঙ, জবাফুলের পাতা, শিমুলের ছাল, চালতার কষ ইত্যাদি। ডিম মাঞ্জা দিতে লাগে ডিম, কাচের চূর্ণ, শিরিস, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। সুতা মাঞ্জায় লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, রঙ, সাগুদানা ইত্যাদি।
ঘুড়ির বিভিন্ন নাম আছে যেমন-পঙ্খিরাজ, পানদার, কাউকাদার, রুমালদার, দোভাঁজ, চক্ষুদার, বলদার, মালাদার। ছোটবেলায় একবার ঢাউশ ঘুড়ি দেখেছিলাম। সেটা অনেক বড় ঘুড়ি। এটা প্রায় ৮-১০ ফুট লম্বা হত।
আমাদের বাংলাদেশে মোঘল আমল থেকে ঘুড়ি উড়ানো শুরু হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে পুরান ঢাকায় আজো ঘুড়ি উৎসব হয়। কিছু বছর ধরে সেন্ট মারটিনে ঘুড়ি উৎসব হচ্ছে।
ঘুড়ি উড়াতে জায়গা দরকার নেই প্রয়োজন আকাশ। তাহলে খেলার জায়গা নেই এই অভিযোগ এখানে প্রযোজ্য নয়। ঢাকা শহরের বাড়ি ছাদে খুব সহজে ঘুড়ি উড়ানো সম্ভব। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনার সন্তানদের ঘুড়ি উড়াতে দিন এটা অনেক বুদ্ধির ও কৌশলের খেলা।
ঘুড়ি (Kite):
ঘুড়ি যা আঞ্চলিক ভাষায় ঘুড্ডি নামে পরিচিত। এই ঘুড়ি আবিষ্কারের কাহিনী অনেক পুরানো। কিংবদন্তী অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়। গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এর বহুযুগ পরে এশিয়া ঘুড়ি উড়ানোতে দক্ষ হয়। চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে।
কিভাবে ঘুড়ি বানাতে হয়?
কাগজের সঙ্গে বাঁশের শলার কাঠামো লাগিয়ে সাধারণ ঘুড়ি তৈরি হয়। আমরা পলিথিন দিয়ে ঘুড়ি বানাতাম। সুতায় বেঁধে ঘুড়ি সুতার প্রান্তে রেখে আকাশে ওড়ানো হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য বাতাসের প্রবাহ দরকার হয়। সাধারণত শরৎ ও হেমন্ত ঋতুতে ঘুড়ি উড়ানো বেশি হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল নির্ভর করে বাতাসের প্রবাহের ওপর। বাতাসের প্রবাহ যেদিক থেকে আসছে সেটি বুকের দিকে রেখে ঘুড়ি খাড়া রাখলেই তা আকাশে ভেসে থাকতে পারে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতা টেনে টেনে ঘুড়ির ওপর বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি করা হয়। ঘুড়ি যেখানে উড়ছে সেখানে বায়ু প্রবাহ কমে গেলে সুতা টেনে টেনে ঘুড়ি আরো উপরে তোলা হয়।
মাঞ্জা কি এবং প্রস্তুত প্রনালীঃ
মাঞ্জা' কথাটা হল মাজনা'(মাজন+আ+ মাজন মানে ঘষা) র অপভ্রংশ! মানে ঘষা মাজা করা, তার মানে একটি অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় উন্নত করা। ঘুড্ডির ধারহীন সুতাকে ধারালো করার জন্য মাঞ্জা দেয়া হয়। আমরা ছোটবেলায় ঘুড্ডি কাটাকাটি খেলা খেলতাম। কে কার ঘুড্ডি কাটতে পারি তার প্রতিযোগিতা হত। এরজন্য ঘুড্ডির সুতাকে ধারালো করতে হত। মাঞ্জা দেওয়ার জন্য লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, আঠা, এরারুট, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। এসব মিলিয়ে মাঞ্জার মসলা তৈরি করা হয়। যে সূতায় মাঞ্জা দেওয়া হবে তা আগেই একটি নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নেওয়া হবে। মোটা কাপড়ে মাঞ্জার মসলা নিয়ে পুঁটলি পাকিয়ে ধরে থাকতে হবে। সুতা এই মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে নিয়ে আরেকটি নাটাইয়ে পেঁচাতে হবে। একাজটি করতে হবে কড়া রোদের সময়। যাতে মাঞ্জা দেওয়া সুতা নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিতে নিতেই তা শুকিয়ে যায়। কাজটি করতে হবে এভাবে দুই পাশে দুইজন বসবে দুইটি নাটাই নিয়ে। একটিতে সুতা থাকবে, আরেকটি খালি। সুতা নাটাইয়ে আছে তার পাশে মাঞ্জার মসলা পুটুলি পাকিয়ে হাতে নিয়ে বসবে আরেকজন। যে নাটাইয়ে সুতা আছে সে নাটাই থেকে সুতা ছাড়া হবে। সুতা মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে খালি নাটাইয়ে যাবে। খালি নাটাইয়ে মাঞ্জা দেওয়া সুতা গঁছে নিতে হবে।
মাঞ্জার আবার রকমফের আছে। যেমন: সুতামাঞ্জা, ভাতমাঞ্জা, ডিমমাঞ্জা ইত্যাদি। এসব মাঞ্জার মূল পার্থক্য উপকরণগত। ভাত মাঞ্জা দিতে দরকার হয় জাউভাত, কাঁচের চূর্ণ, রঙ, জবাফুলের পাতা, শিমুলের ছাল, চালতার কষ ইত্যাদি। ডিম মাঞ্জা দিতে লাগে ডিম, কাচের চূর্ণ, শিরিস, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। সুতা মাঞ্জায় লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, রঙ, সাগুদানা ইত্যাদি।
ঘুড়ির বিভিন্ন নাম আছে যেমন-পঙ্খিরাজ, পানদার, কাউকাদার, রুমালদার, দোভাঁজ, চক্ষুদার, বলদার, মালাদার। ছোটবেলায় একবার ঢাউশ ঘুড়ি দেখেছিলাম। সেটা অনেক বড় ঘুড়ি। এটা প্রায় ৮-১০ ফুট লম্বা হত।
আমাদের বাংলাদেশে মোঘল আমল থেকে ঘুড়ি উড়ানো শুরু হয়। পৌষ সংক্রান্তিতে পুরান ঢাকায় আজো ঘুড়ি উৎসব হয়। কিছু বছর ধরে সেন্ট মারটিনে ঘুড়ি উৎসব হচ্ছে।
ঘুড়ি উড়াতে জায়গা দরকার নেই প্রয়োজন আকাশ। তাহলে খেলার জায়গা নেই এই অভিযোগ এখানে প্রযোজ্য নয়। ঢাকা শহরের বাড়ি ছাদে খুব সহজে ঘুড়ি উড়ানো সম্ভব। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনার সন্তানদের ঘুড়ি উড়াতে দিন এটা অনেক বুদ্ধির ও কৌশলের খেলা।
ষোল গুটি খেলাঃ
দাবা খেলার গ্রাম্য সংস্করণ ষোল গুটি খেলা। অলস দুপুরে সময় কাটানোর একটি মজার খেলা হচ্ছে ষোল গুটি খেলা। বুদ্ধি, ধৈর্য, কৌশল ও সতর্কতার সাথে খেলাটি খেলতে হয় বলে বয়স্ক লোকসহ সব বয়েসের লোকেরা এই খেলা খেলে থাকে। এই খেলার উপকরণ একদম সহজলভ্য।
দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই খেলা হয়ে থাকে। উভয় খেলোয়াড় ১৬ টি করে মোট ৩২ টি গুটি দিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। খেলার সুবিধার্থে উভয়পক্ষের গুটির বর্ণ আলাদা হয়। সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়।
ষোল গুটি বুদ্ধির খেলা। খেলার পদ্ধতি ছকে যুদ্ধের কৌশল প্রচ্ছন্ন রয়েছে। এদিক থেকে খেলাটি দাবার সমধর্মী বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই খেলার প্রচলন আছে। চট্টগ্রামে এই খেলাটি 'মোঘল- পাঠান খেলা' নামে পরিচিত। যুদ্ধ বিদ্যার ছায়াতেই উক্ত খেলাটি উদ্ভাসিত হয়েছে তা তার নাম দেখে বোঝা যায়। এ দেশে মোঘল পাঠান যুদ্ধ ঐতিহাসিক ব্যপার। ষোড়শ শতক এই যুদ্ধের কাল। অনুমান করা হয় যুদ্ধের স্মৃতি আশ্রিত খেলাটি ঐ সময়ের পর এদেশে চালু হতে পারে।
এখন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর যুগ। বর্তমানে কম্পিউটারে এই খেলাটি খেলা যায়।
দাবা খেলার গ্রাম্য সংস্করণ ষোল গুটি খেলা। অলস দুপুরে সময় কাটানোর একটি মজার খেলা হচ্ছে ষোল গুটি খেলা। বুদ্ধি, ধৈর্য, কৌশল ও সতর্কতার সাথে খেলাটি খেলতে হয় বলে বয়স্ক লোকসহ সব বয়েসের লোকেরা এই খেলা খেলে থাকে। এই খেলার উপকরণ একদম সহজলভ্য।
দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই খেলা হয়ে থাকে। উভয় খেলোয়াড় ১৬ টি করে মোট ৩২ টি গুটি দিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। খেলার সুবিধার্থে উভয়পক্ষের গুটির বর্ণ আলাদা হয়। সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়।
ষোল গুটি বুদ্ধির খেলা। খেলার পদ্ধতি ছকে যুদ্ধের কৌশল প্রচ্ছন্ন রয়েছে। এদিক থেকে খেলাটি দাবার সমধর্মী বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই খেলার প্রচলন আছে। চট্টগ্রামে এই খেলাটি 'মোঘল- পাঠান খেলা' নামে পরিচিত। যুদ্ধ বিদ্যার ছায়াতেই উক্ত খেলাটি উদ্ভাসিত হয়েছে তা তার নাম দেখে বোঝা যায়। এ দেশে মোঘল পাঠান যুদ্ধ ঐতিহাসিক ব্যপার। ষোড়শ শতক এই যুদ্ধের কাল। অনুমান করা হয় যুদ্ধের স্মৃতি আশ্রিত খেলাটি ঐ সময়ের পর এদেশে চালু হতে পারে।
এখন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর যুগ। বর্তমানে কম্পিউটারে এই খেলাটি খেলা যায়।
গোল্লাছুট (Gollachut): আমার শৈশব এর প্রিয় খেলা ছিল গোল্লাছুট। আমি খুব হ্যাংলা পাতলা ছিলাম। তাই খুব ভালো দৌড়াতে পারতাম। বেশিরভাগ সময়ে আমি থাকতাম গোল্লা রক্ষক। কত মজার ছিল খেলাটি। কিন্তু হায়! এখন আর সে খেলাটি খেলতে দেখি না। এখনকার সময়ের অনেক বালক এই খেলার নাম পর্যন্ত শুনে নাই। এই দায় কার??
আমির খান এর 'লাগান' ছবিটা দেখলে আমরা দেখতে পাই ব্রিটিশরা তাদের নিজস্ব খেলা প্রসারে কত কি করেছে। আসলে তাদের মধ্যে দেশ প্রেম আছে। আমাদের মধ্যে কই???
চলুন জেনে নেই এই খেলার নিয়ম। প্রথমে দুই দলে ভাগ হতে হয়। এই খেলার জন্য প্রয়োজন বড় প্রশস্ত জায়গা। প্রথমে গোল্লা নির্ধারণ করতে হয় এরপর গোল্লা থেকে ৬০/৭০ গজ দূরে নির্ধারণ করা হয় 'সীমানা'। গোল্লা থেকে সীমানা স্পর্শ করা হচ্ছে এই খেলার উদ্দেশ্য। যে গোল্লা রক্ষক সে যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে এই খেলায় বিজয়ী হয়েছে বলে ধরা হয়।
গোল্লাতে পা রেখে খেলোয়াড়রা শেকল তৈরি করে প্রতিপক্ষদের স্পশ করার জন্য। যদি প্রতিপক্ষ কাউকে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সে বাদ হয়ে যায়।
কেউ যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে বিজয়ের জন্য একধাপ এগিয়ে যাওয়া হয়। কারণ তখন গোল্লা থেকে জোড়া লাফ দিয়ে সীমানার কাছে এগিয়ে যাওয়া হয়। ফলে সীমানা কাছে চলে আসে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ যদি কোন খেলোয়াড়কেই সীমানা ছুঁতে না দেয় তাহলে তারা দান পায়। পরে প্রতিপক্ষ দলনেতা গোল্লাকে ছুঁয়ে দাঁড়ায় আর অন্য সদস্যরা তাকে ছুঁয়ে আগের মতো ঘুরতে থাকে এবং চেষ্টায় থাকে কখন ছুটে গিয়ে সীমানা ছুবে। এভাবেই ঘুরে ফিরে খেলা চলতে থাকে।
আমির খান এর 'লাগান' ছবিটা দেখলে আমরা দেখতে পাই ব্রিটিশরা তাদের নিজস্ব খেলা প্রসারে কত কি করেছে। আসলে তাদের মধ্যে দেশ প্রেম আছে। আমাদের মধ্যে কই???
চলুন জেনে নেই এই খেলার নিয়ম। প্রথমে দুই দলে ভাগ হতে হয়। এই খেলার জন্য প্রয়োজন বড় প্রশস্ত জায়গা। প্রথমে গোল্লা নির্ধারণ করতে হয় এরপর গোল্লা থেকে ৬০/৭০ গজ দূরে নির্ধারণ করা হয় 'সীমানা'। গোল্লা থেকে সীমানা স্পর্শ করা হচ্ছে এই খেলার উদ্দেশ্য। যে গোল্লা রক্ষক সে যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে এই খেলায় বিজয়ী হয়েছে বলে ধরা হয়।
গোল্লাতে পা রেখে খেলোয়াড়রা শেকল তৈরি করে প্রতিপক্ষদের স্পশ করার জন্য। যদি প্রতিপক্ষ কাউকে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সে বাদ হয়ে যায়।
কেউ যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে বিজয়ের জন্য একধাপ এগিয়ে যাওয়া হয়। কারণ তখন গোল্লা থেকে জোড়া লাফ দিয়ে সীমানার কাছে এগিয়ে যাওয়া হয়। ফলে সীমানা কাছে চলে আসে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ যদি কোন খেলোয়াড়কেই সীমানা ছুঁতে না দেয় তাহলে তারা দান পায়। পরে প্রতিপক্ষ দলনেতা গোল্লাকে ছুঁয়ে দাঁড়ায় আর অন্য সদস্যরা তাকে ছুঁয়ে আগের মতো ঘুরতে থাকে এবং চেষ্টায় থাকে কখন ছুটে গিয়ে সীমানা ছুবে। এভাবেই ঘুরে ফিরে খেলা চলতে থাকে।
মার্বেল বা কড়ি খেলাঃ
ছোট বেলায় নিষিদ্ধ খেলার মধ্যে ছিল মার্বেল খেলা, ভিডিও গেইমস খেলা। আমাদের স্কুল এর আমিনুল স্যার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যদি ক্লাস এর কেউ মার্বেল, ভিডিও গেমস খেলে তা ধরিয়ে যদি কেউ দিতে পারি। আমি ছোটবেলা থেকে ভালো ছেলে। যেহেতু নিষিদ্ধ খেলা তাই এই খেলা কখনো খেলা হয়ে উঠেনি। এই খেলায় মার্বেল প্রাপ্তি ও নিষিদ্ধ ছিল বলে অনেকের এই খেলার প্রতি ঝোক ছিল। কড়ি বা মার্বেল দিয়ে এই খেলা হত বলে এর নাম মার্বেল বা কড়ি খেলা নামে পরিচিত।
‘একটি রয়েল গুলি কিনতে পারিনি কখনো/লাঠি লজেন্স দেখিয়ে চুষেছে/লস্কর বাড়ির ছেলেরা …।’ ওপার বাংলার খ্যাতিমান সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যেন শুধু তার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন তাই নয়, দুই বাংলার শিশু-কিশোরদের মনের কথা বলেছেন এই কবিতাংশে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে শিশু-কিশোররা দুর্বার আকর্ষণের মার্বেল কেনার সামর্থ্য না থাকায় কতটা যে কষ্ট পেত তারই চিত্র যেন এই কবিতার লাইনগুলো। কোলকাতায় মার্বেলের অপর নাম রয়েলগুলো।
কালের পরিক্রমায় এই খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই খেলার সাথে বিদেশী গলফ খেলার অনেক মিল আছে। আমাদের সরকার ভিনদেশী গলফ খেলার জন্য গলফ ক্লাব খুলেছে কিন্তু আমাদের শৈশবের মজার এই মার্বেল খেলার জন্য কোন কিছুই করেনি।
ছোট বেলায় নিষিদ্ধ খেলার মধ্যে ছিল মার্বেল খেলা, ভিডিও গেইমস খেলা। আমাদের স্কুল এর আমিনুল স্যার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যদি ক্লাস এর কেউ মার্বেল, ভিডিও গেমস খেলে তা ধরিয়ে যদি কেউ দিতে পারি। আমি ছোটবেলা থেকে ভালো ছেলে। যেহেতু নিষিদ্ধ খেলা তাই এই খেলা কখনো খেলা হয়ে উঠেনি। এই খেলায় মার্বেল প্রাপ্তি ও নিষিদ্ধ ছিল বলে অনেকের এই খেলার প্রতি ঝোক ছিল। কড়ি বা মার্বেল দিয়ে এই খেলা হত বলে এর নাম মার্বেল বা কড়ি খেলা নামে পরিচিত।
‘একটি রয়েল গুলি কিনতে পারিনি কখনো/লাঠি লজেন্স দেখিয়ে চুষেছে/লস্কর বাড়ির ছেলেরা …।’ ওপার বাংলার খ্যাতিমান সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যেন শুধু তার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন তাই নয়, দুই বাংলার শিশু-কিশোরদের মনের কথা বলেছেন এই কবিতাংশে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে শিশু-কিশোররা দুর্বার আকর্ষণের মার্বেল কেনার সামর্থ্য না থাকায় কতটা যে কষ্ট পেত তারই চিত্র যেন এই কবিতার লাইনগুলো। কোলকাতায় মার্বেলের অপর নাম রয়েলগুলো।
কালের পরিক্রমায় এই খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই খেলার সাথে বিদেশী গলফ খেলার অনেক মিল আছে। আমাদের সরকার ভিনদেশী গলফ খেলার জন্য গলফ ক্লাব খুলেছে কিন্তু আমাদের শৈশবের মজার এই মার্বেল খেলার জন্য কোন কিছুই করেনি।
ডাংগুলি বাংলাদেশ ও উত্তর ভারতের একটি জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। ডাংগুলি খেলার জন্য প্রয়োজন একটি ডান যা দেড় ফুট লম্বা হয় এবং একটি টুকি যা সাধারণত পাঁচ ইঞ্চি লম্বা হয়। অনেকে ডাংগুলি খেলাকে ক্রিকেটের আদি পিতা বলেন। এই সম্পর্কে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, "ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের এক গ্রামের ক্রিকেট মাঠে খেলার দৃশ্য বাংলাদেশের অতি প্রাচীন খেলার একটির নাম ‘ডাংগুলি’। আমি ডাংগুলিকে বলি ক্রিকেটের আদি পিতা। কেন বলি তা খেলা ব্যাখ্যা করলেই বোঝা যাবে। ডাংগুলিতে একজন ব্যাটসম্যান লম্বা ডান্ডা (ব্যাট) হাতে মাঝখানে দাঁড়ায়। এর নাম ডাং। তার সঙ্গে থাকে ছয় ইঞ্চি লম্বা কাঠি (বল)। কাঠিটাকে বলে গুলি। ডাং আর গুলির খেলার নাম ডাংগুলি। খেলোয়াড় মাটিতে খানিকটা উঁচু করে রাখা গুলিকে ডাং-এর খোঁচায় শূন্যে তুলে সজোরে বাড়ি দিয়ে দূরে পাঠায়। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডাররা চেষ্টা করে কাঠিটা লুফে নিতে অর্থাৎ ক্যাচ ধরতে। ক্যাচ ধরকে পারলেই ব্যাটসম্যান আউট। ক্রিকেটের সঙ্গে ডাংগুলির অমিল হলো, এখানে কোনো বোলার নেই। যে ব্যাট করে সেই বোলার। স্ট্যাম্প আউট বলে কিছু নেই, ক্যাচ আউটই একমাত্র আউট। ভারতবর্ষের ডাংগুলি খেলা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রিটিশরা ক্রিকেট খেলা শুরু করল—এমন মনে হওয়া মোটেই বিচিত্র নয়।"
খেলায় অনেক সময় টুকি হারিয়ে যায় কারণ টুকি যত দূরে পাঠাতে পারবো তত পয়েন্ট বেশি পাওয়া যাবে। কোন কারণে টুকি হারিয়ে গেলে সাথে সাথে ছড়ায় ছড়ায় বলে উঠে,
খেলায় অনেক সময় টুকি হারিয়ে যায় কারণ টুকি যত দূরে পাঠাতে পারবো তত পয়েন্ট বেশি পাওয়া যাবে। কোন কারণে টুকি হারিয়ে গেলে সাথে সাথে ছড়ায় ছড়ায় বলে উঠে,
"ডান আমার,
টুকি তোমার,
সাত খুন মাফ"
টুকি তোমার,
সাত খুন মাফ"
এটা যে আগে বলতে পারবে তাকে টুকি ফেরত দিতে হবে না।
লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে লোরক সোসাইটি হতে।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে লোরক সোসাইটি হতে।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লোরক সোসাইটির একটি খোলা চিঠিঃ
শুভেচ্ছা নিবেন। অনেকেই বলে থাকেন সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের পোশাক। যদি আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকি তাহলে এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা কখনো কী ভেবে দেখেছেন? লোকসংস্কৃতি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলার লোকগান, লোকছড়া, লোকগল্প, লোকখেলা কতই না আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ। আমাদের শৈশব ছিল ছড়াময়। দাদি-নানির মুখে গল্প শুনে আমরা ঘুমিয়ে পড়তাম। লোকসংস্কৃতির এই উপাদান একসময় রাজা থেকে প্রজা, আমির থেকে গরিব, বুড়ো থেকে শিশু সবার আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম ছিল। কিন্তু বিশ্বায়ন এর প্রভাবে ও দিন দিন যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আজ লোকসংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন। এখনকার সময়ের কোন বালককে যদি গোল্লাছুট খেলার কথা বলা হয় তাহলে সে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে আরও কিছু দিন পর আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির কঙ্কাল বিশেষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা হয়ে যাব বস্ত্রহীন জাতির মত।
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ ও নিজের সংস্কৃতিকে ভালবেসে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ তরুণী “লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ ও প্রচার করা এবং লোকসংস্কৃতির হারানো অতীত ফিরিয়ে আনা। আমরা চাই বিশ্বের দরবারে আমাদের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে। আমাদের এই শুভ উদ্যোগে আপনার সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন। আপনার একটু চেষ্টা রক্ষা করতে পারে আমাদের লোক সংস্কৃতিকে। তাই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আসুন আমাদের লোরকের পতাকা তলে। আমরা তরুণেরাই পারি আমাদের লোকসংস্কৃতিকে রক্ষা করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিবেন। অনেকেই বলে থাকেন সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের পোশাক। যদি আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকি তাহলে এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা কখনো কী ভেবে দেখেছেন? লোকসংস্কৃতি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলার লোকগান, লোকছড়া, লোকগল্প, লোকখেলা কতই না আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ। আমাদের শৈশব ছিল ছড়াময়। দাদি-নানির মুখে গল্প শুনে আমরা ঘুমিয়ে পড়তাম। লোকসংস্কৃতির এই উপাদান একসময় রাজা থেকে প্রজা, আমির থেকে গরিব, বুড়ো থেকে শিশু সবার আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম ছিল। কিন্তু বিশ্বায়ন এর প্রভাবে ও দিন দিন যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আজ লোকসংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন। এখনকার সময়ের কোন বালককে যদি গোল্লাছুট খেলার কথা বলা হয় তাহলে সে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে আরও কিছু দিন পর আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির কঙ্কাল বিশেষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা হয়ে যাব বস্ত্রহীন জাতির মত।
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ ও নিজের সংস্কৃতিকে ভালবেসে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ তরুণী “লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ ও প্রচার করা এবং লোকসংস্কৃতির হারানো অতীত ফিরিয়ে আনা। আমরা চাই বিশ্বের দরবারে আমাদের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে। আমাদের এই শুভ উদ্যোগে আপনার সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন। আপনার একটু চেষ্টা রক্ষা করতে পারে আমাদের লোক সংস্কৃতিকে। তাই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আসুন আমাদের লোরকের পতাকা তলে। আমরা তরুণেরাই পারি আমাদের লোকসংস্কৃতিকে রক্ষা করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ আলামিন (সভাপতি)
লোরক সোসাইটি।
লোরক সোসাইটি।
লোরক সোসাইটির ছবি কি আমি ফটো ক্রেডিট উল্লেখ করে ব্যাবহার করতে পারি?
উত্তরমুছুনকেন না??
মুছুন