মানুষের হাড় দিয়ে সাজানো গীর্জা ঘর ।। Chapel Decorated With Human Bone


কিছুটা অদ্ভুদ হলেও সত্যি যে পেরাগুয়ের রাজধানী থেকে ৭০ কিঃমিঃ দুরে ছোট একটি শহর "সেডলেক" (Sedlec), আর এই শহরে এমন একটি গীর্জা ঘর আছে যা সাজানো হয়েছে মানুষের হাড় দিয়ে। এই গীর্জা ঘরের নাম "Sedlec Ossuary" যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, "সেডলেকের অস্থিসংরক্ষনাগার" বা "সেডলেকের অস্থি আধার"।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info

এই গীর্জা ঘর তৈরির ইতিহাস শুরু সেই ১২১৮ সালে, আবট হেনরি (Abbot Henry) চালু করেন এই। তিনি কবরস্থান থেকে মাটি এনে ছড়িয়ে দেন এবং এই গীর্জা ঘরের মধ্যেই চালু করেন সমাধি ঘর। এই সমাধি ঘরে মৃত্যুর পর কবর না দিয়ে, মৃত দেহ এই ঘরের মধ্যে রাকা হত। যেহেতু চার্চের সাথেই এই সমাধি ঘর তাই এই Sedlec Ossuary কে স্থানীয়রা অনেকটাই পবিত্র মনে করতে থাকে। আর যারা বিত্তবান ব্যাক্তি তারা নিজেদের মৃত্যুর পর মাটির মধ্যে কবর দেওয়ার থেকে এই ঘরের দেওয়ালের মধ্যে নিজেদের দেহ রেখে দেওয়াকে সামাজিক ভাবে উঁচু স্তরের কাজ ভাবতে শুরু করেন। এর ফলে ১৩১৮ সালের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৫১১ সালের মধ্যে এই সমাধি ঘরে ৩০,০০০ এর উপরে দেহ সমাধি করা হয়।

কিন্তু এই সমাধি ঘরে এত গুলি দেহ ধারন করার জায়গা না থাকায়, এই সমাধি ঘরের কতৃপক্ষ অনেকটাই বাধ্য হয় পুরাতন মৃত দেহ গুলিকে সমাধি স্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে নতুন জায়গা বানাবার জন্য। কিন্তু পুরাতন দেহ গুলিকেতো আর ফেলে দেওয়া যায় না, এজন্যই ১৮৭০ সালের দিকে "Duke of Shwartzenberg" কিছু লোক জোগাড় করেন যারা এই ফেলে দেওয়া দেহ কঙ্কাল গুলিকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে এই গীর্জা ঘর এবং সমাধি ঘরকে সাজিয়ে তোলেন। প্রায় ৪০,০০০ মৃত মানুষের হাড় দিয়ে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয় এই গীর্জা ঘরকে।

বর্তমান সময়ে মানুষের হাড় দিয়ে সাজানো এই চার্চ বেশ বিস্ময় কর। অনেকের কাছে এটি পরিত্র জায়গা অনেকের কাছে আবার সব থেকে ভয়াবহ গীর্জা ঘর। সে যাই হোক মানুষের হাড় দিয়ে সাজানো গীর্জা ঘর আর কটি আছে বলুন। এবার চলুন দেখে নেই এই গীর্জা ঘরের কিছু ছবি,


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।