“এডলফ হিটলার” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান এবং সমালোচিত জার্মান ফুয়েরার যিনি তার নাৎসি বাহিনীর কাছে ছিলেন প্রবল জনপ্রিয় ও প্রতাপশালী ব্যাক্তিত্ব। তার আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পড়ে তার স্বপ্নের “থার্ড রাইখ” প্রতিষ্ঠার দিকে প্রবল প্রতাপে এগিয়ে যান। কিন্তু যুদ্ধের একদম শেষ লগ্নে পরাজয়ের গ্লানি থেকে রক্ষা পেতে ১৯৪৫ এর ৩০ শে এপ্রিল নিজ বাঙ্কারে প্রেমিকা “ইভা ব্রাউন” এর সাথে আত্মহত্যা করেন। ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ এ তার আত্মহত্যার পূর্ব পর্যন্ত এই উগ্র জাতীয়তাবাদী কঠোর হাতে শাসন করেছেন জার্মানি। সমালোচনার শেষ নেই হিটলারকে নিয়ে। কিন্তু তার একটা গুন যা তার সমালোচকরাও স্বীকার করতে বাধ্য হন তা হলো তার অসাধারণ বাগ্মিতা। তার এই অসাধারণ বাগ্মিতার গুনেই তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পড়ে নাৎসি পার্টির দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন।
ডক্টর জোসেফ গোয়েবলস |
নাৎসি জার্মানির “মিনিস্টার অফ প্রোপাগান্ডা” ডক্টর জোসেফ গোয়েবলস “হিটলার” এর বাগ্মিতা নিয়ে লেখা তার একটি প্রবন্ধে বলেছেনঃ
“His ability to reach the masses is unique and remarkable, fitting no organizational scheme or dogma. It would be ridiculous to think he attended some sort of speaker school; he is a rhetorical genius who developed his own abilities with no help from anyone else. One cannot imagine that the Fuhrer ever spoke differently than he does today, or that he will ever speak differently. He speaks his heart, and therefore reaches the hearts of those who hear him. He has the amazing gift of sensing what is in the air. He has the ability to express things so clearly, logically and directly that listeners are convinced that that is what they have always thought themselves. That is the true secret of the effectiveness of Adolf Hitler’s speeches. The Fuhrer is neither a speaker from reason nor from the heart. He uses both, depending on the needs of the moment. The essential characteristics of his speeches to the people are: clear organization, irrefutable logical reasoning, simplicity and clarity of expression, razor-sharp dialectic, a developed and sure instinct for the masses and their feelings, an electrifying emotional appeal that is used sparingly, and the ability to reach out to the souls of the people in a way that never goes unanswered.”
হাইনরিখ হফম্যান |
হিটলার এর বক্তৃতা অনুশীলনরত এই ছবি গুলো তার ব্যাক্তিগত আলোকচিত্রকার “হাইনরিখ হফম্যান” (১৮৮৫-১৯৫৭) এর তোলা। হিটলার এই ছবি গুলো দেখবার পড়ে নষ্ট করে দিতে বলে ছিলেন। কিন্তু হফম্যান এগুলো গোপনে সংগ্রহে রেখে দেয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পড়ে ছবি গুলো উদ্ধার করা হয়।
চলুন তাহলে দেখে আসি “হিটলার” এর বক্তৃতা অনুশীলনরত দুর্লভ কিছু ছবি,
লেখকঃ অগ্নিপাখি।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।