টাইম ম্যাগাজিন ও নিউ ইয়র্ক টাইমস্ পত্রিকা দুটির ১৯৩৩ সালের একটি মৃত্যু সংবাদ প্রকাশিত হয়। যে লোকটি মারা গিয়েছিল তার নাম ছিল "চিং ইউন"।
দুটি পত্রিকার মতেই চিং ইউন তার জীবন দ্বশায় ২৩ জন স্ত্রী পরলোকগমন করেন এবং তার প্রায় ১৮০ জন বংশধর পৃথিবীতে আগমন করে। অবশেষ তিনি যখন মৃত্যু বরণ করেন তখন তার বয়স হয়েছিল ২৫৬ বছর।
"ওউ ফু" নামক একজন সন্মানিত যোদ্ধা চিং ইউনকে নিজের বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে অতি দীর্ঘ জীবনের ফরমূলা জানতে চান। আর চিং ইউনের উপদেশ ছিল এমন “নিজের হৃদয়কে শান্ত রাখ, কচ্ছপের মত বসে থাক, কবুতরের মত প্রানবন্তভাবে হাঁট, কুকুরের মতো ঘুমাও”।
চিং ইউন সবসময়ই তার অভ্যন্তরীন স্থিরতা এবং প্রশান্তি বজায় রেখে চলতেন। তার মতে এটাই ছিল তার অস্বাভাবিক দীর্ঘ জীবনের কারন। তার খাদ্য ছিল মূলত ভাত এবং এক ধরনে ওয়াইন।
স্বাভাবিক ভাবেই চিং ইউনের ছোট বেলা সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। তিনি মনে করতে পারেন, চীনের Szechwan প্রদেশে তার জন্ম এবং দশ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি বিভিন্ন ঔষধি লতাগুল্ম সংগ্রহের জন্য চীনের Kansu, Shansi, Tibet, Annam, Siam and Manchuria ইত্যাদি অঞ্চলে ভ্রমনও করেন। এর পরই তার স্মৃতি ঘোলাটে হয়ে যায়। চিং ইউন তার জন্মস্থান সেই Szechwan প্রদেশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রায় ১০০ বছর ধরে চিং ইউন তার নিজের সংগ্রহ করা লতাগুল্ম বিক্রি করে এবং পরবর্তিতে অন্যদের সংগ্রহ করা লতা পাতা বিক্রি করে জীবন ধারন করতেন।
টাইম ম্যাগাজিনের মতে তার ডান হাতে প্রায় ৬ ইঞ্চি লশ্বা একটা নখ ছিল।
তার বয়স অনুযায়ী তার দেহ যতটা দূর্বল, কুচকানো, চামড়া সিথিল এবং কুজো ভাবে চলার কথা এর কিছুই তার তত বেশি ছিল না। একারনেই অনেকেই সন্দেহের আঙ্গুল তুলে ধরেন। সত্যিই কি তিনি এত বৃদ্ধ?
চিং ইউনের মতে তার জন্ম ১৭৩৬ সালে এবং তার বয়স ১৯৭ বছর। কিন্তু ১৯৩০ সালে Minkuo University এর ডিন ওউ চিং চিনের কিছু দলিল দস্তাবেজ খুজে পান যা থেকে প্রমান পাওয়া যায় যে চিং ইউনের প্রকৃত জন্ম সাল আসলে ১৬৭৭। যাতে প্রমান হিসেবে দেখানো হয় যে চায়নার রাজা চিং ইউনকে তার ১৫০ তম এবং ২০০ তম জন্ম বার্ষিকিতে অভিনন্দন জানিয়েছিল।
যদি চিং ইউন সেই চিং ইউন নাও হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো চাইনিজ সরকার যে চিং ইউনকে অভিনন্দন জানিয়েছিল সেই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের এক মহিলা ১২৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন। যা ছিল অফিসিয়ালি পৃথিবীর সবচেয়ে বয়সে কারো মৃত্যু বরন।
কিন্তু যদি সত্যিই চিং ইউনের কথা সত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি অফিসিয়াল হিসেবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি থেকেও প্রায় ১৩০ বছর বেশি বেঁচে ছিলেন।
চিং ইউন যখন মারা জান তখন এত প্রযুক্তি ছিল না, যে তার প্রকৃত বয়স কত তা বের করা যায়। এ কারনে প্রকৃত সত্য এখনো রয়েছে আড়ালে।
হয়তো আমরা প্রকৃত সত্য কখনোই জানতে পারবো না কিন্তু পৃথিবীতে কত রহস্যময় কিছুইতো ঘটে। মেডিকেল সাইন্স এটা প্রমান করে দেখাতে পারেনি যে মানুষের পক্ষে এত দীর্ঘ সময় বাঁচা অসম্ভব। তাই এটা বলা যায় যে, হয়ত চিং ইউনের মত পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকাও অসম্ভব নয়।
লেখকঃ তারেক মাহমুদ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
দুটি পত্রিকার মতেই চিং ইউন তার জীবন দ্বশায় ২৩ জন স্ত্রী পরলোকগমন করেন এবং তার প্রায় ১৮০ জন বংশধর পৃথিবীতে আগমন করে। অবশেষ তিনি যখন মৃত্যু বরণ করেন তখন তার বয়স হয়েছিল ২৫৬ বছর।
"ওউ ফু" নামক একজন সন্মানিত যোদ্ধা চিং ইউনকে নিজের বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে অতি দীর্ঘ জীবনের ফরমূলা জানতে চান। আর চিং ইউনের উপদেশ ছিল এমন “নিজের হৃদয়কে শান্ত রাখ, কচ্ছপের মত বসে থাক, কবুতরের মত প্রানবন্তভাবে হাঁট, কুকুরের মতো ঘুমাও”।
চিং ইউন সবসময়ই তার অভ্যন্তরীন স্থিরতা এবং প্রশান্তি বজায় রেখে চলতেন। তার মতে এটাই ছিল তার অস্বাভাবিক দীর্ঘ জীবনের কারন। তার খাদ্য ছিল মূলত ভাত এবং এক ধরনে ওয়াইন।
স্বাভাবিক ভাবেই চিং ইউনের ছোট বেলা সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। তিনি মনে করতে পারেন, চীনের Szechwan প্রদেশে তার জন্ম এবং দশ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি বিভিন্ন ঔষধি লতাগুল্ম সংগ্রহের জন্য চীনের Kansu, Shansi, Tibet, Annam, Siam and Manchuria ইত্যাদি অঞ্চলে ভ্রমনও করেন। এর পরই তার স্মৃতি ঘোলাটে হয়ে যায়। চিং ইউন তার জন্মস্থান সেই Szechwan প্রদেশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রায় ১০০ বছর ধরে চিং ইউন তার নিজের সংগ্রহ করা লতাগুল্ম বিক্রি করে এবং পরবর্তিতে অন্যদের সংগ্রহ করা লতা পাতা বিক্রি করে জীবন ধারন করতেন।
টাইম ম্যাগাজিনের মতে তার ডান হাতে প্রায় ৬ ইঞ্চি লশ্বা একটা নখ ছিল।
তার বয়স অনুযায়ী তার দেহ যতটা দূর্বল, কুচকানো, চামড়া সিথিল এবং কুজো ভাবে চলার কথা এর কিছুই তার তত বেশি ছিল না। একারনেই অনেকেই সন্দেহের আঙ্গুল তুলে ধরেন। সত্যিই কি তিনি এত বৃদ্ধ?
চিং ইউনের মতে তার জন্ম ১৭৩৬ সালে এবং তার বয়স ১৯৭ বছর। কিন্তু ১৯৩০ সালে Minkuo University এর ডিন ওউ চিং চিনের কিছু দলিল দস্তাবেজ খুজে পান যা থেকে প্রমান পাওয়া যায় যে চিং ইউনের প্রকৃত জন্ম সাল আসলে ১৬৭৭। যাতে প্রমান হিসেবে দেখানো হয় যে চায়নার রাজা চিং ইউনকে তার ১৫০ তম এবং ২০০ তম জন্ম বার্ষিকিতে অভিনন্দন জানিয়েছিল।
যদি চিং ইউন সেই চিং ইউন নাও হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো চাইনিজ সরকার যে চিং ইউনকে অভিনন্দন জানিয়েছিল সেই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের এক মহিলা ১২৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন। যা ছিল অফিসিয়ালি পৃথিবীর সবচেয়ে বয়সে কারো মৃত্যু বরন।
কিন্তু যদি সত্যিই চিং ইউনের কথা সত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি অফিসিয়াল হিসেবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি থেকেও প্রায় ১৩০ বছর বেশি বেঁচে ছিলেন।
চিং ইউন যখন মারা জান তখন এত প্রযুক্তি ছিল না, যে তার প্রকৃত বয়স কত তা বের করা যায়। এ কারনে প্রকৃত সত্য এখনো রয়েছে আড়ালে।
হয়তো আমরা প্রকৃত সত্য কখনোই জানতে পারবো না কিন্তু পৃথিবীতে কত রহস্যময় কিছুইতো ঘটে। মেডিকেল সাইন্স এটা প্রমান করে দেখাতে পারেনি যে মানুষের পক্ষে এত দীর্ঘ সময় বাঁচা অসম্ভব। তাই এটা বলা যায় যে, হয়ত চিং ইউনের মত পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকাও অসম্ভব নয়।
লেখকঃ তারেক মাহমুদ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন