ব্রাজিল,দক্ষিণ আমেরিকা; গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২ বছর বয়সী একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। চিকিৎসকরা যখন তাকে পর্যবেক্ষণ করলেন, বিস্ময়ে রীতিমত হতবাক হয়ে গেলেন। এক্সরে রিপোর্টে শিশুটির শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া গেল ৫০টির মতো সুঁই। হ্যাঁ পাঠক, ঠিক পড়ছেন। ধাতব সুঁই! চিকিৎসকদের বিশ্বাস, এই সুঁইগুলো কেউ একজন খুব সতর্কতার সাথে তার দেহের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আরও ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে, ৫০টি সুইয়ের মাঝে ১৭টি ছিল বাচ্চা ছেলেটির পরিপাকতন্ত্রের ভেতরে!
অবিলম্বে পুলিশের তদন্ত শুরু হলো। পুলিশের ধারণা, কেউ একজন ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর অংশ হিসেবে ছেলেটির দেহে সুঁই ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে করলো এই ভয়াবহ কাজ?
অবিলম্বে পুলিশের তদন্ত শুরু হলো। পুলিশের ধারণা, কেউ একজন ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর অংশ হিসেবে ছেলেটির দেহে সুঁই ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে করলো এই ভয়াবহ কাজ?


প্রথম সুঁইটি পাওয়া গেল শিশুটির বাম ফুসফুসের ভেতরে। হতবিহবল চিকিৎসকরা এক্সরে করার পর দেখলেন শিশুটির পেট, গলা, ঘাড় ও পায়ে মোট ৫০ টির মতো সুঁই ঢুকানো হয়েছে। চিকিৎসকরা ও পুলিশ নিশ্চিত, ছেলেটি ভয়াবহ ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে তার এক আত্মীয় হাসপাতালে নিয়ে আসে কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করে নাই ডেইলি মেইল। ছেলেটির মায়ের নাম মারমা 'সু’জা স্যান্তস'। তিনি পুলিশকে জানান, যখন তিনি কর্মস্থলে যেতেন তখন শিশুটিকে দেখাশোনা করতেন শিশুটির দাদীমা। কিন্তু কেউ নিশ্চিত নন, শিশুটির দেহে কে সুঁই ঢুকিয়েছেন। প্রতিবেদনে প্রকাশ, শিশুটির দাদীমার মতে শিশুটির দেহে সুঁই ঢুকিয়েছে তার সৎ বাবা। যদিও তিনি সেটা অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ ছিল, তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিক অনুশীলন করতেন।
পুলিশ প্রধান 'হেলডার ফার্নান্দেজ সান্টানা' বলেন, 'আমরা এখনো নিশ্চিত নই কে ও কেন এই জঘন্য কাজটি করেছে। হতে পারে এটা একটি হত্যা চেষ্টা কিংবা শিশুটির প্রতি কারো প্রতিশোধ স্পৃহা। আমরা সব সম্ভাবনাই মাথায় রাখছি'। চিকিৎসকরা ছেলেটির ত্বকের নিচে থাকা সুঁই গুলো বের করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু 'লুই সিজার' বলেন, 'দেহের বেশ গভীরে থাকা সুঁই গুলো নিয়েই হয়তো শিশুটিকে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে হবে। কারণ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ গুলো বের করতে গেলে বাচ্চাটির জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।‘ তিনি আরো জানান, এর আগে কখনো তিনি এরকম ঘটনা দেখেন নাই। তিনি নিশ্চিত, এই সুঁইগুলো শিশুটি নিজ থেকে গিলে ফেলে নাই। যদিও এরপর শিশুটি ছিল বিপদমুক্ত, অন্তত সে সময়ের জন্য।
প্রশ্ন হলো, একটি ২ বছরের শিশুর দেহের ভেতরে এত গুলো সুঁই কিভাবে এলো? কে এর জন্য দায়ী? এরকম কি সম্ভব অনেক দূর থেকে কারো দেহে এরকম সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব? সন্দেহের তীর শিশুটির সৎ বাবার দিকে।
পুলিশ প্রধান 'হেলডার ফার্নান্দেজ সান্টানা' বলেন, 'আমরা এখনো নিশ্চিত নই কে ও কেন এই জঘন্য কাজটি করেছে। হতে পারে এটা একটি হত্যা চেষ্টা কিংবা শিশুটির প্রতি কারো প্রতিশোধ স্পৃহা। আমরা সব সম্ভাবনাই মাথায় রাখছি'। চিকিৎসকরা ছেলেটির ত্বকের নিচে থাকা সুঁই গুলো বের করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু 'লুই সিজার' বলেন, 'দেহের বেশ গভীরে থাকা সুঁই গুলো নিয়েই হয়তো শিশুটিকে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে হবে। কারণ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ গুলো বের করতে গেলে বাচ্চাটির জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।‘ তিনি আরো জানান, এর আগে কখনো তিনি এরকম ঘটনা দেখেন নাই। তিনি নিশ্চিত, এই সুঁইগুলো শিশুটি নিজ থেকে গিলে ফেলে নাই। যদিও এরপর শিশুটি ছিল বিপদমুক্ত, অন্তত সে সময়ের জন্য।
প্রশ্ন হলো, একটি ২ বছরের শিশুর দেহের ভেতরে এত গুলো সুঁই কিভাবে এলো? কে এর জন্য দায়ী? এরকম কি সম্ভব অনেক দূর থেকে কারো দেহে এরকম সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব? সন্দেহের তীর শিশুটির সৎ বাবার দিকে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
একর পরের ঘটনা কি
উত্তরমুছুনজানি না...
মুছুন