"মানুষ" নামের এক আজব প্রজাতির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব আজ। এটা সৃষ্টির এমন এক আজব প্রজাতির জীব যারা সকল সৃষ্টির মধ্যে এক মাত্র, যারা নিজেদের প্রজাতির গায়ের গন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারে না। আর একারনেই তারা ব্যাবহার করে নানা ধরনের সুগন্ধি। কি আজব তাই না?
এই আজব প্রজাতির মধ্যে আছে আরেক আজব এক প্যাচাল। এরা আবার জাত বিশেষে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন প্রজাতি। যদিও শারীরিক গঠনে সকলে এক তারপরেও রয়েছে নিজেদের মধ্যে এক অদৃশ্য এবং অটুট এক বিভেদ।
এই প্রজাতির জীবের নারীদের কে আবার ভাগ করা হয়েছে দু'টি ভাগে, "ফর্সা" এবং "কৃষ্ণকলি"। এই নারী প্রজাতির মধ্যে যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা আবার বিপরীত লিংগকে খুব বেশি আকর্ষন করতে পারে, যা কৃষ্ণকলি প্রজাতির নারীদের ক্ষেত্রে হয় একদম উল্টা। এই কৃষ্ণকলি প্রজাতির নারীরা ছোট বেলা থেকেই এমন মন মানষিকতা নিয়ে বড় হয় যে তাদের রূপ না থাক কিন্তু গুনে তাদের হতে হবে অনন্য। আর একারনেই দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই কৃষ্ণকলি নারীরাই হয়ে ওঠে সব থেকে গুণবতী কন্যা, স্ত্রী এবং মা। অপর দিকে ফর্সা প্রজাতির যে নারীরা থাকে তারা ছোট বেলা থেকেই কেমন যেন একটু দ্বম্ভ নিয়ে বড় হয়। অনেক সময় নিজের স্বামীকে "পায়ের নিচে দাবিয়ে রাখতে হবে" নীতিতে বড় হয়। বলছি না সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়।
এই আজব প্রজাতির মধ্যে আছে আরেক আজব এক প্যাচাল। এরা আবার জাত বিশেষে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন প্রজাতি। যদিও শারীরিক গঠনে সকলে এক তারপরেও রয়েছে নিজেদের মধ্যে এক অদৃশ্য এবং অটুট এক বিভেদ।
এই প্রজাতির জীবের নারীদের কে আবার ভাগ করা হয়েছে দু'টি ভাগে, "ফর্সা" এবং "কৃষ্ণকলি"। এই নারী প্রজাতির মধ্যে যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা আবার বিপরীত লিংগকে খুব বেশি আকর্ষন করতে পারে, যা কৃষ্ণকলি প্রজাতির নারীদের ক্ষেত্রে হয় একদম উল্টা। এই কৃষ্ণকলি প্রজাতির নারীরা ছোট বেলা থেকেই এমন মন মানষিকতা নিয়ে বড় হয় যে তাদের রূপ না থাক কিন্তু গুনে তাদের হতে হবে অনন্য। আর একারনেই দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই কৃষ্ণকলি নারীরাই হয়ে ওঠে সব থেকে গুণবতী কন্যা, স্ত্রী এবং মা। অপর দিকে ফর্সা প্রজাতির যে নারীরা থাকে তারা ছোট বেলা থেকেই কেমন যেন একটু দ্বম্ভ নিয়ে বড় হয়। অনেক সময় নিজের স্বামীকে "পায়ের নিচে দাবিয়ে রাখতে হবে" নীতিতে বড় হয়। বলছি না সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়।
কি ভাবছেন আজ আবার এই গায়ের রঙ নিয়ে কেন লেখা লিখছি? আচ্ছা আপনি কি কখনো কল্পনা করেছেন আপনার নিজের অজান্তেই আপনি নিজেই হয়ে উঠেছেন একজন বর্ণবাদ মানুষ। যে মানুষের গুন দিয়ে নয় বরং গায়ের রঙ দিয়ে বিচার করছেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না? আচ্ছা আপনি কি কখনো দেখেছেন কোন অনুষ্ঠানে কালো কবুতর উড়াতে? না দেখেন নাই, আচ্ছা আপনি কি কখনো দেখেছেন বর্তমান সময়ের কোন ধর্মের নেতাকে একদম কালো পোষাক পরতে? না দেখেন নাই কেননা সাদা হচ্ছে পবিত্রতার আরেক নাম, তাই না? এরকম যদি উদাহরন দেওয়া শুরু করি তাহলে কয়েক বছর লেগে যাবে লেখা শেষ করতে। তাই উদাহরনের এখানেই ইতি টেনে শুধু আপনাদের একটা কথাই বলব, "মানুষের গায়ের রঙ আল্লাহ নির্ধারন করে দেয়, আর মানুষের জন্য কোনটা সব থেকে বেশী মঙ্গলকর সেটা নিশ্চয়ই আল্লাহর থেকে বেশি কেউ জানে না।" এ নিয়ে কি আপনার কোন সন্দেহ আছে?
বর্নবাদ নিয়ে সুন্দর একটা কবিতা,
বর্নবাদ নিয়ে সুন্দর একটা কবিতা,
And you calling me colored??
------
When I born, I black.
When I grow up, I black.
When I go in sun, I black.
When I scared, I black.
When I sick, I black.
And when I die, I still black.
And you white people.
When you born, you pink.
When you grow up, you white.
When you go in sun, you red.
When you cold, you blue.
When you scared, you yellow.
When you sick, you green
And when you die, you grey…
And you calling me colored??
------
When I born, I black.
When I grow up, I black.
When I go in sun, I black.
When I scared, I black.
When I sick, I black.
And when I die, I still black.
And you white people.
When you born, you pink.
When you grow up, you white.
When you go in sun, you red.
When you cold, you blue.
When you scared, you yellow.
When you sick, you green
And when you die, you grey…
And you calling me colored??
কবিতাটি ২০০৬ সালে The United Nations কতৃক ঘোষিত ঐ সালের সেরা কবিতা ছিল। কবিতাটির লেখক সম্ভাবত একজন আফ্রিকান কিশোর। তার নাম খুঁজে পাই নাই তাই উল্লেখ করতে পারলাম না।
যাহোক, আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানি গায়ের রঙ সাদা বা আরো বেশি উজ্জ্বল করার জন্য অনেক ধরনের প্রসাধনি বাজারে ছেড়েছে এবং ছাড়ছে। কিন্তু আপনার বিশ্বাস হবে কিনা জানি না তবে এগুলা কোন ভাবেই কার্যকর না। আর যেগুলা দেখবেন কাজ করছে, ধরে নিবেন সেগুলির মধ্যে আছে ক্ষতিকর মার্কারি যা আপনার ত্বকে অর্থাৎ চামড়ায় ক্যান্সার সৃষ্টি করবেই করবে। বিশ্বাস না হলে ইন্টারনেটে গুগল মামার কাছে জিজ্ঞাসা করুন, প্রমান সহ আপনার সামনে তুলে ধরবে গুগল মামা।
আমাদের দেশের বিখ্যাত কোম্পানি "স্কয়ার" কে একটু ধন্যবাদ দিব। তারা "মেরিল" নামে যে সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারি সামগ্রি গুলি বাজারজাত করে থাকে, সেগুলির প্রচারনায় যদিও তারা অনেক "ফর্সা সুন্দরি মডেল" ব্যাবহার করে, তারপরেও তাদের বর্তমান এই বিজ্ঞাপনের জন্য তাদের একটা ধন্যবাদ দেয়া যায়। আগে চলুন তাদের বিজ্ঞাপনটি দেখে নেই,
এই বিজ্ঞাপনে দেখানো বাংলাদেশের যে রূপ তা কি আপনি কোন ভাবে অস্বীকার করতে পারবেন? যদি না পারেন তাহলে এখন সময় এসেছে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের। আর হ্যাঁ যারা কৃষ্ণকলি তাদেরকেও বলছি, আপনার গায়ের রঙ নির্ধারন করে না আপনি কে, আপনি নির্ধারন করবেন আপনি কে, আর আপনি যদি নিজেকে না দমান তাহলে এই পৃথিবীর কারো ক্ষমতা নেই আপনাকে দমাতে পারবে।
লেখকঃ জানা অজনার পথিক।
লেখকঃ জানা অজনার পথিক।
হায় হায়... মাইয়া খুজতেছে বিয়া করাবে তাই... এখন দিলেন প্যাঁচ লাগাইয়া... :(
উত্তরমুছুনভাই গুনীজনেরা একটা কথা বলছে আর তা হল... "জাতের মাইয়া কালো ভাল"... আরো বলেছে... "চকচক করলেই সোনা হয় না"... আরো বলেছেন... "ভাবিয়া কর কাজ, করিয়া ভেবো না"... এখন আপনি কি করবেন নিজেই ঠিক করুন... :D
মুছুনNice writing :)
উত্তরমুছুনLove the advertisement video..
Specially the thought.
ধন্যবাদ :)
মুছুন