১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল (৩য় পর্ব)

পুর্বের পর্বঃ ১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল (২য় পর্ব)


মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব নিম্নলিখিত অনুমিতিগুলোর উপর নির্ভর করেঃ
  • ভৌত নীতিসমূহের সর্বজনীনতা।
  • মহাজাগতিক মূলনীতি।
  • কোপারনিকান মূলনীতি।
একটি ভৌত নীতি বা বৈজ্ঞানিক নীতি বা প্রাকৃতিক নীতি হল এক ধরণের বৈজ্ঞানিক সাধারণ ধারণা যা ভৌত আচারসমূহের প্রায়োগিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মাধ্যমে গঠিত হয়। কিংবা একে একেবারে সাধারণভাবে বলতে গেলে এটি এক ধরণের গাণিতিক বা যৌক্তিক সংজ্ঞাও হতে পারে। অনেক বছর ধরে পরিচালিত সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং পরীক্ষণের সার বা নির্যাস হচ্ছে এই প্রায়োগিক নীতিসমূহ। এই ভৌত নীতিগুলো এ কারণে বৈজ্ঞানিক সমাজ কর্তৃক সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য।

মহাজাগতিক মূলনীতি প্রকৃতপক্ষে কোন নীতি বা তত্ত্ব নয়, বরং এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ। এটি বিপুল পরিমাণ মহাজাগতিক তত্ত্বের কার্যকারিতাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। মহাবিশ্বের বৃহৎ-পরিসর গঠন থেকে এই স্বতঃসিদ্ধটি উৎপত্তি লাভ করে। এই নীতির বিবৃতিটি হচ্ছেঃ

বৃহৎ স্প্যাশিয়াল স্কেলে (spatial scale) মহাবিশ্ব সমসত্ব (homogeneous) এবং সমতাপীয় (isotropic)।

কোপারনিকান মূলনীতি হচ্ছে এইঃ "আমাদের পৃথিবী কোন কেন্দ্রীয় বা বিশেষভাবে সুদর্শন ও অনুগ্রহ প্রাপ্ত অবস্থানে নেই।"

বর্তমানে এই নীতির আরও সাধারণ একটি রুপ দেয়া হয়েছেঃ
মানব ইতিহাসের কোপারনিকান-উত্তর যুগে এটি আবশ্যিকভাবে ধরে নেয়া হয় যে, কোন বিজ্ঞ এবং বিচারক্ষম ব্যক্তির পক্ষে এটি ধারণা করা সম্ভব নয় যে পৃথিবী মহাবিশ্বে একটি অনন্য অবস্থান অধিকার করে আছে।

পদার্থবিজ্ঞান এবং সৃষ্টিতত্ত্ব'তে মানবীয় তত্ত্বের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ হলো, মহাবিশ্ব জীবনের এমনকি জটিল বহুকোষী জীবনের বিকাশের জন্য আশ্চর্যরকম উপযোগী, সবক্ষত্রে না হলেও অন্তত একটি বিশেষ স্থান ও কালে তো বটেই। বৃহৎ বিস্ফোরণ এর সময়কালে মহাবিশ্ব গঠনগতভাবে এতটাই সরল ছিল যে, আজতক আমরা বিশৃঙ্খলার সাদামাঠা যেসব নমুনা নিয়ে কাজ করার সামর্থ্য অর্জন করেছি, সেগুলি ছায়াপথ, গ্রহমন্ডলী কিংবা জীবনের মতো জটিল ব্যবস্থার উদ্ভবকে কিছুতেই ব্যাখ্যা করতে পারে না। মোদ্দা কথায়, মহাবিশ্বকে আজ আমরা যেরকম দেখছি, মহাবিশ্ব ঠিক তেমনটা হওয়ার কারণ হলো, যদি এটা অন্যরকম হতো তাহলে দেখার জন্য আমরা উপস্থিত থাকতাম না।

প্রথমদিকে এই আদর্শ নীতিগুলোকে স্বীকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানকালে এগুলো প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভৌত নীতিসমূহের সর্বজনীনতা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মহাবিশ্বের বয়সের উপর সূক্ষ কাঠামো ধ্রুবকের সবচেয়ে বেশী যে ব্যাত্যয়টি দেখা যায় তার পরিমাণ ১০−৫ -এর মত। মহাবিশ্বের আইসোট্রপি যা মহাজাগতিক মূলনীতিকে সংজ্ঞায়িত করে তার পরিমাপ করা হয়েছে ১০−৫ মাত্রার বিশুদ্ধরূপে; বৃহৎ পরিসর গঠনে মহাবিশ্বকে শতকরা ১০ ভাগ মাত্রার বিশুদ্ধতায় সমসত্ব হিসেবে পাওয়া গেছে।বর্তমানে কোপারনিকান মূলনীতি পরিমাপের চেষ্টা চলছে। ছায়াপথ শ্রেণী ও স্তবকগুলোর সাথে সিএমবি'র মিথস্ক্রিয়ার দিকে লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই পরিমাপ করা হচ্ছে। মিথস্ক্রিয়াটি লক্ষ্য করার জন্য Sunyaev-Zel'dovich ক্রিয়া বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শতকরা ১ ভাগ বিশুদ্ধতার আশা করা যায়।

মহাবিশ্বের বয়সঃ
বৃহৎ বিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্বের বয়স সম্ভাব্য সকল সময়ের মধ্যে দীর্ঘতম আর সময়ের সৃষ্টিকেই যদি বৃহৎ বিস্ফোরণের সমসাময়িক ধরি তাহলে তো প্রশ্নাতীতভাবেই মহাবিশ্বের বয়সের এই প্রাচীনত্বের সত্যতা পাওয়া যায়। লেখ আকারে স্থাপন করলে সুপ্রাচীন এই সময়ের রেখাটি পৃথিবীর বর্তমান সময় থেকে বিপরীত গতিতে চলে বৃহৎ বিস্ফোরণের সাথে মিলিত হয়।অবশ্য কিছু তত্ত্ব দাবী করেছে যে মহাবিশ্ব সর্বদাই ছিল এবং এর কোন শুরু নেই। যেমন স্থির অবস্থা তত্ত্ব, যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে কোয়াসি-স্থির অবস্থা তত্ত্ব নামে পরিচিত হয় এবং প্লাজমা মহাবিশ্ব তত্ত্ব। অনেক বিশ্বতত্ত্ব বিশারদই আবার মহাবিশ্বের বয়সকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু স্কেলে পরিমাপ করেছেন। এখানে বৃহৎ বিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্বের বয়স নিয়েই আলোচনা করা হবে।

ডব্লিউএমএপি'র ভিত্তিতে মহাবিশ্বের বয়সঃ
নাসার উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানিসোট্রপি প্রোব তথা ডব্লিউএমএপি নামক প্রকল্প অনুসারে মহাবিশ্বের বয়স নিম্নরূপঃ

এ অনুসারে মহাবিশ্বের বয়স প্রায় (১৩.৭ ± .২) × ১০৯ বছর । অবশ্য এই প্রকল্পের সকল মডেলকে নিখুঁত ধরে মহাবিশ্বের এই বয়স অনুমান করা হয়েছে; অন্যান্য পদ্ধতিতে ধর্তব্যের মধ্যে আনা হলে বয়সে আরও পার্থক্য হতে পারে।ক্ষুদ্রতরঙ্গের পটভূমি শক্তির বর্ণালীতে অবস্থিত প্রথম শাব্দিক চূড়ার অঞ্চলটিকে ব্যবহার করে বয়সের এই পরিমাপ করা হয়েছে। তরঙ্গ বর্ণালীর এই অঞ্চলটি ব্যবহার করে বৃহৎ বিস্ফোরণের ফলে উদ্ভূত অভিঘাত শোষণকারী তলের আকার বের করা হয়েছে যা বয়সের ধারণা দিয়েছে। সেসময় মহাবিশ্বের পুনঃসংযুক্তিকালীন অবস্থা বিরাজ করছিল।

সিএনও চক্রের ভিত্তিতে বয়সঃ
সাম্প্রতিককালে কার্বন-নাইট্রোজেন-অক্সিজেন চক্রের উপর ভিত্তি করে কিছু গবেষণা করা হয়েছে যাতে দেখা যায় এই চক্রটি আগে যত সময়ব্যাপী প্রক্রিয়া বলে ধরা হয়েছিলো তার চেয়ে দ্বিগুণ ধীরগতিসম্পন্ন। যার ফলে মহাবিশ্বের বয়স উপর্যুক্ত প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত বয়সের তুলনায় প্রায় বিলিয়ন বছর পিছিয়ে যায়।

আইসোট্রপিক বলতে এমন কোন মাধ্যমকে বোঝায় যার ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ দিকনির্ভর নয়। যেমন, মহাবিশ্ব আইসোট্রপিক বলতে বোঝায়, একজন পর্যবেক্ষক যেকোন দিকেই তাকান না কেন, মহাবিশ্ব একই রকম মনে হবে।

এই অনুমিতিগুলোকে আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সাথে একীভূত করলে বোঝা যায় যে, স্থান-কালকে একটি সমসত্ব ও আইসোপট্রপীয় মেট্রিক হিসেবে বর্ণনা করতে হবে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় যে এই মেট্রিকটি হবে এফআরডব্লিউ মেট্রিক। এই মেট্রিকগুলো একটি স্থানাংক ছকের উপর নির্ভর করে যা স্থান-কালের সকল স্থানে ছড়িয়ে আছে এবং যার মাধ্যমে আমরা মহাশূন্যে যেকোন একটি বিন্দু চিহ্নিত করতে পারি। এক্ষেত্র নির্দিষ্টভাবে ব্যবহৃত ছকটির হচ্ছে কমোভিং স্থানাংক ব্যবস্থা। এই ছকের রেখাগুলো মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের সাথে সাথে একটি হারে এবং একই নির্দেশনায় সম্প্রসারিত হয়। ফলে কোন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর স্থানাংক সকল সময়ে একই থাকে। যেকোন দুটি বিন্দুর কমোভিং দূরত্ব তথা স্থানাংক দূরত্ব একই থাকলেও এই কমোভিং বিন্দুসমূহের ভৌত দূরত্ব মহাবিশ্বের স্কেল উৎপাদকের সাথে সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়।মহাবিশ্বকে এই স্থানাঙ্কসমূহ দ্বারা ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, মহা বিস্ফোরণ একি শূন্য মহাবিশ্ব পূর্ণ করার জন্য কিছু পদার্থের নিছক একটি বিস্ফোরণ নয়, বরং মহাশূন্য নিজেই সম্প্রসারিত হয়েছে নির্দিষ্ট নিয়মে এবং এর ফলে কমোভিং বিন্দুসমূহের ভৌত দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। যে বস্তুসমূহ একীভূত থাকে (যেমন: পরমাণু, মানুষ, তারা, সৌর জগত, ছায়াপথ) তারা স্থান-কালের প্রসারণের সাথে প্রসারিত হয়ে একে অন্যের থেকে দূরে সরে যায় না; কারণ যে বল তাদেরকে একীভূত করে রেখেছে তা হাবল সম্প্রসারণের জন্য দায়ী বলের চেয়ে শক্তিশালী।

আমরা এখানে কনফরমাল সময় নামক শব্দটির অবতারণা করতে পারি, এহেন ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্থান-কাল মেট্রিক একটি স্থিতিশীল মেট্রিকের রূপ নেয় এবং এটি এই মেট্রিককে সামগ্রিক স্কেল উৎপাদক দ্বারা গুণ করে মূল মেট্রক পাওয়া যায়। কনফরমাল সময় স্থানাঙ্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি নির্দিষ্ট ভ্রমণে আলোক রশ্মি যে পরিমাণ কমোভিং দূরত্ব অতিক্রম করে তা উক্ত ভ্রমণের মধ্যবর্তী কনফরমাল সময়ের সমান। এই থেকেই স্থান-কালের কসাল গঠন বোধগম্য হয়। উদাহরণস্বরূপ; মহা বিস্ফোরণ অতীতের একটি নির্দিষ্ট কনফরমাল সময়ে সংঘটিত হয়েছিল। ধরি এই কনফরমাল সময়টি। এখন যে সকল বস্তুর কমোভিং দূরত্ব -এর চেয়ে বেশী তাদের আমাদের থেকে এতো বেশী যে সেখান থেকে আলো কখনই আমাদের কাছে পৌঁছুতে পারবেনা। অর্থাৎ আমরা অতীত মহাবিশ্বের সমগ্র অংশ কখনই দেখতে পারবোনা। এথেকে উদ্ভূত হয়েছে অতীত দিগন্তের ধারণা। মহাবিশ্ব যদি ত্বরণ সহকারে সম্প্রসারিত হতে থাকে তাহলে কেবল একটি সুনির্দিষ্টসংখ্যক কনফরমাল সময় ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে। একে দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। অবশ্য এই কনফরমাল সময়টি আমাদের ঘড়ির তুলনায় প্রায় অসীম যাকে সঠিক সময় বলা হয়। যে বস্তুর কমোভিং দূরত্ব এই এর চেয়ে বেশী সেখান থেকে আলোক রশ্মি কখনই আমাদের কাছে আসতে পারবেনা। অর্থাৎ আমরা সমগ্র মহাবিশ্বকে প্রভাবান্বিত করতে পারবো না। অর্থাৎ এর একটি ভবিষ্যৎ দিগন্ত -ও রয়েছে।


ঘড়ি (ইংরেজিঃ Clock) এমন একটি যন্ত্র যা সময় নির্ধারণে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ঘড়ি দেখতে পাওয়া যায়, যেমন হাত ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি ইত্যাদি।

ঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস-সূর্যঘড়ি এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এর উৎপত্তি।এটি আজও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের কাটা নেই,নেই কোন টিকটিক শব্দ। তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত।গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর,এ নিয়েই সূর্যঘড়ি।মাত্র ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ক্লক্কা থেকে এসেছে ক্লক।ক্লক্কা মানে ঘন্টি।যদিও ইতিহাসেও এই মূল্যবান আবিষ্কারটির আবিষ্কারক হিসেবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়না। তবে সূর্য ঘড়ির ব্যবহার শুরু অনেক কাল আগে থেকেই। ধারণা করা হয় মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর অর্থাৎ সূর্য-ঘড়ি নির্মাণ করেছিল আর ১৪ শতাব্দীতে এসে ইউরোপিয়ানরাই এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন।কিন্তু ১৪ শতকের দিকে নির্মিত ঘড়িগুলোতে শুধুমাত্র ঘন্টা নির্দেশ করতে সক্ষম হত, মিনিট বা সেকেন্ড নির্ণয় করতে পারতো না। তাছাড়া বর্তমান ঘড়ির দুই ঘন্টা ছিল সেই ঘড়ির হিসেবে এক দিন, যার মানে একদিনে ঘড়িটি মাত্র দুবার ৩৬০ ডিগ্রী কোণে ঘুড়তে পারতো। অর্থাৎ এই ঘড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ নির্ভুল ও সূক্ষ সময় গণনা করা যেত না।অবশেষে ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স ১৬৫৭ সালে এসে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে মিনিট, সেকেন্ড ও ঘন্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের যান্ত্রিক ঘড়ির নকশা করেন।

ঘড়ির রকমফেরঃ
  • সূর্যঘড়ি।
  • বালুঘড়ি।
  • পানিঘড়ি।
  • বৈদ্যুতিক ঘড়ি।
  • পারমাণবিক ঘড়ি।
হাতঘড়ি একটি ক্ষুদ্র ঘড়ি যা একটি ফিতার সাহায্যে কোন ব্যক্তির কব্জিতে যুক্ত করা হয়। নিরীক্ষন করা সময় এবং দিন, তারিখ, মাস এবং বছর কখনও কখনও প্রদর্শন করে। ১৫২৪তে, পিটার হেনেলিন প্রথম পকেট ঘড়ি তৈরি করেছিল। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বে, অধিকাংশ ঘড়িই ছিল পকেট ঘড়ি যা শেকলের মাধ্যমে পকেটের সাথে আটকে রাখা হত।। ১৯৭০ পূর্বে, সমস্ত ঘড়িতে একটি ঘুর্ণায়মান ঘন্টার কাঁটা এবং একটি দীর্ঘতর মিনিট কাঁটার সঙ্গে একটি নম্বরযুক্ত ডায়াল ছিল। ১৯৭ থেকে, ডিজিট্যাল ঘড়ি বাজারে আসে। ডিজিটাল ঘড়িতে সময় রাখতে ভেতরে ক্ষুদ্র কম্পিউটার রয়েছে। এতে ডায়লে কাঁটার পরিবর্তের একটি ডিজিটাল ঘড়ি একটি সংখ্যা হিসেবে সময় দেখায় (উদাঃ, ১০: ৩০ এএম)।

লেখকঃ লেখা পাগলা।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info