টাইটানিক যাদুঘর


'টাইটানিক যাদুঘর' অনেকটাই সত্যিকার টাইটানিক জাহাজের মতই। ১৮ ফুট উচ্চতার টাইটানিক জাহাজের অর্ধেক অংশের আকৃতিতে নির্মিত এই যাদুঘর। এই যাদুঘরে ঘুরতে গেলেই আপনাকে যে টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হবে তাতে লেখা থাকবে টাইটানিক জাহাজের কোন এক যাত্রির নাম। আর সেই নাম নিয়েই আপনাকে ঘুরতে হবে এই যাদুঘরে। এই যাদুঘর নির্মিত হয়েছে টাইটানিকের সব সৃতি নিয়ে। টাইটানিক জাহাজের আসবাবপত্র আর যাত্রীদের ছবি নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে এই যাদু ঘর। এই যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতার নাম 'জন জসলা' (John Josly)।


দু'তলা এই যাদুঘর চালু করা হয় ২০০৬ সালে। যাদুঘরের চারিপাশে পানি দিয়ে ঘেরা। যা দেখল মনে হয় যেন এটি সত্যিকার অর্থেই পানির মধ্যে রয়েছে। এই যাদু ঘরে মোট ২০টি গ্যালারী রয়েছে, যাতে এযাবৎ টাইটানিকের আবিষ্কৃত প্রায় ২০০টি জিনিষ সংরক্ষিত আছে দর্শনের জন্য।


যাদুঘরে স্থাপিত স্মারক প্রাচীরে সংরক্ষিত আছে ২,২০০ জন যাত্রীর নাম এবং তাদের জীবনবৃত্ত্বান্ত। পাশেই আছে টাইটানিক দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা ৭১২ জন যাত্রীর নাম এবং তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি স্মারক প্রাচীর। এই সকল স্মারক প্রাচীরের মধ্য দিয়ে একজন দর্শনার্থি খুব সহজেই টাইটানিকের প্রতিটি যাত্রীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবে খুব সহজেই।


২০১৪ সালে সর্বশেষ একটি গ্যালারী চালু করা হয় যেখানে দর্শনার্থিরা দেখতে পাবেন টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া সেই ৮জন বাদ্যযন্ত্রবাদকের বাদ্যযন্ত্র সমূহ।


টাইটানিকের উপর নির্মিত এটিই সব থেকে বড় এবং সমৃদ্ধ যাদুঘর। যাদুঘরটি যেমন তৈরি করা হয়েছে টাইটানিক জাহাজের আদলে, তেমনি দেখানো হয়েছে সেই বরফ খন্ডটি, যার সাথে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক ডুবে যায়। আর এর ভিতরে রয়েছে টাইটানিকের অনেক দূর্লব কিছু জিনিষ। এটি বিশ্বের টাইটানিকের সব থেকে বড় মডেল। এছাড়াও টাইটানিক জাহাজের ১ম শ্রেনীর যাত্রীদের জন্য নির্মিত কক্ষ এবং ৩য় শ্রেনীর যাত্রীদের জন্য নির্মিত কক্ষের হুবাহু প্রতিরূপ রয়েছে।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

১০টি মন্তব্য:

  1. অসাধারণ জ্ঞানের ভান্ডার এই ব্লগ,আমার নিজের ব্লগ আছে কিন্তু এতটা অসাধারণ নয়।

    উত্তরমুছুন
  2. এক টাইটানিক নিয়ে যে আর কত কিছু হবে......!!!!

    উত্তরমুছুন
  3. কোথায় তাতো উল্লেখ করলেন না

    উত্তরমুছুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info