এক দেশে এক রাজা ছিল। তার ছিল চার মেয়ে। একদিন তিনি ভাবলেন তার চার মেয়ে তাকে কেমন ভালোবাসে তা পরীক্ষা করা যাক। তিনি মেয়েদের কাছে গিয়ে বললেন, “তোমরা কে আমাকে কেমন ভালোবাসো?” তার বড় মেয়ে বললো, “বাবা আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি।”
রাজা শুনে খুব খুশী হলেন।
মেজ মেয়ে বললো, “বাবা আমি তোমাকে গুড়ের মতো ভালোবাসি।”
রাজা শুনে বললেন, বাহ্ বাহ্।
তারপরে তিনি তার সেজ মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো?” সেজ রাজকুমারী বললো, “বাবা আমি তোমাকে মধুর মতো ভালোবাসি।” রাজা বললেন, “মা সত্যিই তোমরা আমাকে দারুন ভালোবাসো।”
এরপর রাজা তার সবচেয়ে প্রিয় ছোট মেয়ের কাছে গেল। তার ছোট মেয়েকে তিনি বললেন, “মা, তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো?” ছোট মেয়েটা বললো, “বাবা আমি তোমাকে লবণের মতো ভালোবাসি।” শুনে রাজা খুব রেগে গেলেন। বললেন, “লবণ তো মিষ্টি না। তুমি আমাকে মোটেও ভালোবাস না। যাও, তুমি আমার চোখের সামনে থেকে দুরে চলে যাও।” বলে রাজা তার লোকদের বললেন একে জঙ্গলে ছেড়ে আয়।
রাজার লোকজন ছোট রাজকুমারী এক জঙ্গলে রেখে এলেন। সেই জঙ্গলে এক কাঠুরিয়া তাকে পেয়ে বিয়ে করে ফেললো। এদিকে রাজার বড় মেয়েদের বিয়ে হলে গেল রাজকুমারদের সঙ্গে। অনেকদিন পর রাজা ঠিক করলেন তিনি তার মেয়েদের বাড়ী বেড়াতে যাবেন। দুপুরে বড় মেয়ে রাজাকে খেতে দিল। রাজা খেয়ে দেখেন সব খাবারের মধ্যেই চিনি দেওয়া হয়েছে। রাজা খেতে পারলেন না।
এরপর রাজা গেলেন মেজ মেয়ের বাড়ি। সেখানকার সব রান্নায় গুড়। রাজা না খেয়ে উঠে গেলেন। এপর রাজা গেলেন সেজ মেয়ের বাড়ী। সেখানকার সব রান্নায় ব্যবহার করা হয়েছে মধু। খুবই বিরক্ত হলেন রাজা। এখানেও না খেয়ে উঠে গেলেন। রাজা ক্লান্ত হয়ে গেলেন এক বনের ধারে। দেখেন এক কাঠুরিয়া। রাজাকে সে নিজের বাড়ীতে নিয়ে গেল। সেখানে সব খাবারে পরিমানমতো লবন দেওয়া হয়েছে। আর রান্নাও এত সুন্দর হয়েছে যে রাজা বললেন, “এত সুন্দর রান্না কে করেছে তাকে সামনে নিয়ে আস।” রাজার ছোট মেয়ে সামনে চলে এলো। রাজা বললো, “আজ আমি বুঝতে পারলাম লবণ কতো দরকারি।”
রাজা শুনে খুব খুশী হলেন।
মেজ মেয়ে বললো, “বাবা আমি তোমাকে গুড়ের মতো ভালোবাসি।”
রাজা শুনে বললেন, বাহ্ বাহ্।
তারপরে তিনি তার সেজ মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো?” সেজ রাজকুমারী বললো, “বাবা আমি তোমাকে মধুর মতো ভালোবাসি।” রাজা বললেন, “মা সত্যিই তোমরা আমাকে দারুন ভালোবাসো।”
এরপর রাজা তার সবচেয়ে প্রিয় ছোট মেয়ের কাছে গেল। তার ছোট মেয়েকে তিনি বললেন, “মা, তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো?” ছোট মেয়েটা বললো, “বাবা আমি তোমাকে লবণের মতো ভালোবাসি।” শুনে রাজা খুব রেগে গেলেন। বললেন, “লবণ তো মিষ্টি না। তুমি আমাকে মোটেও ভালোবাস না। যাও, তুমি আমার চোখের সামনে থেকে দুরে চলে যাও।” বলে রাজা তার লোকদের বললেন একে জঙ্গলে ছেড়ে আয়।
রাজার লোকজন ছোট রাজকুমারী এক জঙ্গলে রেখে এলেন। সেই জঙ্গলে এক কাঠুরিয়া তাকে পেয়ে বিয়ে করে ফেললো। এদিকে রাজার বড় মেয়েদের বিয়ে হলে গেল রাজকুমারদের সঙ্গে। অনেকদিন পর রাজা ঠিক করলেন তিনি তার মেয়েদের বাড়ী বেড়াতে যাবেন। দুপুরে বড় মেয়ে রাজাকে খেতে দিল। রাজা খেয়ে দেখেন সব খাবারের মধ্যেই চিনি দেওয়া হয়েছে। রাজা খেতে পারলেন না।
এরপর রাজা গেলেন মেজ মেয়ের বাড়ি। সেখানকার সব রান্নায় গুড়। রাজা না খেয়ে উঠে গেলেন। এপর রাজা গেলেন সেজ মেয়ের বাড়ী। সেখানকার সব রান্নায় ব্যবহার করা হয়েছে মধু। খুবই বিরক্ত হলেন রাজা। এখানেও না খেয়ে উঠে গেলেন। রাজা ক্লান্ত হয়ে গেলেন এক বনের ধারে। দেখেন এক কাঠুরিয়া। রাজাকে সে নিজের বাড়ীতে নিয়ে গেল। সেখানে সব খাবারে পরিমানমতো লবন দেওয়া হয়েছে। আর রান্নাও এত সুন্দর হয়েছে যে রাজা বললেন, “এত সুন্দর রান্না কে করেছে তাকে সামনে নিয়ে আস।” রাজার ছোট মেয়ে সামনে চলে এলো। রাজা বললো, “আজ আমি বুঝতে পারলাম লবণ কতো দরকারি।”
সত্যিই তাই। কারণ লবণ না হলে আমরা রান্না খেতে পারি না। লবণ শরীরের জন্য খুব দরকারী একটা উপাদান। আর তরকারিতে তো লবণ দিতেই হয়। অনেকে আমরা লবণকে নুন বলেও ডাকি। লবণ শুধু মানুষেরই নয় সব প্রাণীদেহের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। মানুষরা না হয় খাবারের মধ্যে লবণ ছিটিয়ে দেয় কিন্তু প্রাণীরা লবণ পায় কোথা থেকে। তারা তাদের শরীরের প্রয়োজনীয় লবণ জোগাড় করে নেয় তাদের খাবার থেকে।
লবণ খুব ভালো প্রিজারভেটিভ অর্থাৎ লবন দিয়ে অনেকদিন খাবার সংরক্ষণ করা যায়। খাবার বা কোন কিছু অনেকদিন ঠিক রাখার জন্য তাতে লবণ মাখিয়ে নিলে সেটি অনেক দিন টিকে থাকে। তাতে সহজে পচন ধরে না।
লবণের মূল উপাদানের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। লবণের স্বাদ না থাকলে কোন খাবারই খেতে পারা যায় না। তবে মানুষ নানা ভাবে লবণ গ্রহণ করে। প্রকৃতিতে অপোরিশোধিত লবণ পাওয়া যায়, যেমন সমুদ্রের পানি। রিফাইন বা পারিশোধন করে যে উপাদান পাওয়া যায় তাকে আমরা বলি খাবার লবণ। আর ইংরেজিতে একে বলে টেবিল সল্ট। আর তার সাথে আয়োডিন মিশিয়ে তৈরি করা হয় আয়োডাইজ সল্ট বা আয়োডিন লবণ।
লবণ খুব ভালো প্রিজারভেটিভ অর্থাৎ লবন দিয়ে অনেকদিন খাবার সংরক্ষণ করা যায়। খাবার বা কোন কিছু অনেকদিন ঠিক রাখার জন্য তাতে লবণ মাখিয়ে নিলে সেটি অনেক দিন টিকে থাকে। তাতে সহজে পচন ধরে না।
লবণের মূল উপাদানের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। লবণের স্বাদ না থাকলে কোন খাবারই খেতে পারা যায় না। তবে মানুষ নানা ভাবে লবণ গ্রহণ করে। প্রকৃতিতে অপোরিশোধিত লবণ পাওয়া যায়, যেমন সমুদ্রের পানি। রিফাইন বা পারিশোধন করে যে উপাদান পাওয়া যায় তাকে আমরা বলি খাবার লবণ। আর ইংরেজিতে একে বলে টেবিল সল্ট। আর তার সাথে আয়োডিন মিশিয়ে তৈরি করা হয় আয়োডাইজ সল্ট বা আয়োডিন লবণ।
কোথা থেকে আসে লবনঃ
আমাদের খাবার লবণের বেশির ভাগ আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের পানিতে আছে লবণ। আর সেই পানি থেকেই বেশির ভাগ লবণ তৈরি করা হয়। আবার খনি থেকেও লবণ পাওয়া যায়। মানুষ অনেক প্রাচীনকাল থেকেই খনি থেকে লবণ সংগ্রহ করতে পারতো। এমনিতে সাধারণ লবণ দেখতে সাদা হলেও খনি থেকে তোলা লবণ বিভিন্ন রঙের হতে পার।
লবণেরও আছে ইতিহাসঃ
এখন থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ খাবারে লবণ ব্যবহার করতে শেখে। এর জন্য তারা খনি থেকে লবণ তোলা শিখে নিয়েছিল। খৃস্টের জন্মের ৬০০০ হাজার বছর আগে আগেও মানুষ খনি থেকে লবণ তুলতে পারত। চীনের সানশি প্রদেশের ইয়নচুনে এ রকম এক খনির কথা আজও জানা যায়। এটাই এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন খনি যেখান থেকে মানুষ মাটি খুড়ে লবণ বের করতো।
আমাদের খাবার লবণের বেশির ভাগ আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের পানিতে আছে লবণ। আর সেই পানি থেকেই বেশির ভাগ লবণ তৈরি করা হয়। আবার খনি থেকেও লবণ পাওয়া যায়। মানুষ অনেক প্রাচীনকাল থেকেই খনি থেকে লবণ সংগ্রহ করতে পারতো। এমনিতে সাধারণ লবণ দেখতে সাদা হলেও খনি থেকে তোলা লবণ বিভিন্ন রঙের হতে পার।
লবণেরও আছে ইতিহাসঃ
এখন থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ খাবারে লবণ ব্যবহার করতে শেখে। এর জন্য তারা খনি থেকে লবণ তোলা শিখে নিয়েছিল। খৃস্টের জন্মের ৬০০০ হাজার বছর আগে আগেও মানুষ খনি থেকে লবণ তুলতে পারত। চীনের সানশি প্রদেশের ইয়নচুনে এ রকম এক খনির কথা আজও জানা যায়। এটাই এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন খনি যেখান থেকে মানুষ মাটি খুড়ে লবণ বের করতো।
যেহেতু লবণের অনেক গুন, তাই তাকে পবিত্র উপাদান মনে করা হত। এখন থেকে হাজার হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রা লবণকে পবিত্র বলে মনে করতো। তারা তাদের সমাধিতে লবণ রাখতো। তারা জানতো, মৃতদেহ লবণ দিয়ে মাখালে তা টিকে থাকে অনেক দিন। তাই তারা মৃত মানুষদের কবর দেবার সময় সেখানে খানিকটা লবণ রেখে দিত। এমনকি মিশরীয়রা লবণ মাখিয়ে খাবারও সংরক্ষণ করতে পারতো। তারা মৃত মাছ ও পাখী লবণ মাখিয়ে সমাধিতে রেখে দিত। মিশরীয়রা মাছে লবণ মাখিয়ে বিক্রি করতো ফিনিশিয়দের কাছে।
যেহেতু লবণ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান সেই কারনে লবণ নিয়ে ব্যবসা হত। তাই লবণ বিক্রির জন্য একটা আলাদা রাস্তা আফ্রিকায় তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তা আফ্রিকার সাহারা মরুভুমির মধ্যে দিয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে টুয়ারেগ নামের এক জাতি বছরে প্রায় ১৫০০০ টন লবণ নিয়ে যেত।
অষ্ট্রিয়ার একটি এলাকার নাম সালজবুর্গ। যার মানে লবণের শহর। এই এলাকটি এক লবণের খনির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর সতের কিলোমিটারের এলাকা জুড়ে রয়েছে এই খনি। তেমনি সেল্টিক বা স্কটল্যান্ড, গ্রীক এবং মিশরিয় বিভিন্ন এলাকার নাম তৈরি হয়েছে লবণের কারণে।
লবণ দিয়েই এক সময় অনেক কাজ করা হত। প্রাচীন রোমের সৈন্যদের বেতন হিসেবে লবণ পেত। ইংরেজিতে সোলজার মানে হচ্ছে সৈন্য আর স্যালারি মানে বেতন। এই দুটি শব্দ এসেছে সল্ট তথা লবণ থেকে। আজ আমরা যে সালাদ খাই বা সেই শব্দটিও এসেছে সল্ট থেকে সলটেড হয়ে।
যেহেতু লবণ অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান সেই কারনে লবণ নিয়ে ব্যবসা হত। তাই লবণ বিক্রির জন্য একটা আলাদা রাস্তা আফ্রিকায় তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তা আফ্রিকার সাহারা মরুভুমির মধ্যে দিয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে টুয়ারেগ নামের এক জাতি বছরে প্রায় ১৫০০০ টন লবণ নিয়ে যেত।
অষ্ট্রিয়ার একটি এলাকার নাম সালজবুর্গ। যার মানে লবণের শহর। এই এলাকটি এক লবণের খনির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর সতের কিলোমিটারের এলাকা জুড়ে রয়েছে এই খনি। তেমনি সেল্টিক বা স্কটল্যান্ড, গ্রীক এবং মিশরিয় বিভিন্ন এলাকার নাম তৈরি হয়েছে লবণের কারণে।
লবণ দিয়েই এক সময় অনেক কাজ করা হত। প্রাচীন রোমের সৈন্যদের বেতন হিসেবে লবণ পেত। ইংরেজিতে সোলজার মানে হচ্ছে সৈন্য আর স্যালারি মানে বেতন। এই দুটি শব্দ এসেছে সল্ট তথা লবণ থেকে। আজ আমরা যে সালাদ খাই বা সেই শব্দটিও এসেছে সল্ট থেকে সলটেড হয়ে।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লবণের একটা বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী ডান্ডি মার্চ নামের এক লম্বা যাত্রা করেন। যেটিক বাংলা বলে লবণ আইন অমান্য অভিযান বা লবন সত্যাগ্রহ। ইংরেজিতে এটি সল্ট মার্চ বলে পরিচিত। লবনের উপর বৃটিশ সরকার কর আরোপ করায় এই প্রতিবাদ যাত্রার আয়োজন করেন গান্ধী। এই যাত্রায় মহাত্মার সঙ্গে সঙ্গী হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ।
অনেক ধর্মে লবণ খুব পবিত্র জিনিষ। জাপানের শিন্টোরা যে কোন স্থান এবং মানুষকে পরিশুদ্ধ বা পবিত্র করতে লবণ ছিটিয়ে দেয়। এ কারনে যখন কোন সুমো কুস্তিগীর লড়াইয়ে নামে তখন তার উপর লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
লবণের কারণে অনেক যুদ্ধও হয়েছে, শহর সৃষ্টি হয়েছে। ইটালির ভেনিস নামের একটি শহরের সাথে জেনোয়া নামের আরেকটি শহরের লড়াইয়ের কারণ ছিল স্রেফ এই লবণ।
১৮০০ সালের দিকে ইংল্যান্ডের এক জায়াগায় লবণ পাওয়া যায়। এই লবণ সরবরাহ করতে গিয়েই লিভারপুল নামের এক বিশাল বন্দর গড়ে ওঠে।
অনেক ধর্মে লবণ খুব পবিত্র জিনিষ। জাপানের শিন্টোরা যে কোন স্থান এবং মানুষকে পরিশুদ্ধ বা পবিত্র করতে লবণ ছিটিয়ে দেয়। এ কারনে যখন কোন সুমো কুস্তিগীর লড়াইয়ে নামে তখন তার উপর লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
লবণের কারণে অনেক যুদ্ধও হয়েছে, শহর সৃষ্টি হয়েছে। ইটালির ভেনিস নামের একটি শহরের সাথে জেনোয়া নামের আরেকটি শহরের লড়াইয়ের কারণ ছিল স্রেফ এই লবণ।
১৮০০ সালের দিকে ইংল্যান্ডের এক জায়াগায় লবণ পাওয়া যায়। এই লবণ সরবরাহ করতে গিয়েই লিভারপুল নামের এক বিশাল বন্দর গড়ে ওঠে।
লবণের চাষঃ
পৃথিবীর বেশীর ভাগ লবণ আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি জমা করে রাখে বড় বড় জমিতে। তারপর সেই জমির চারপাশ বাধ দিয়ে পানি আটকে ফেলা হয়। তারপর সুর্যের আলোতে সেই পানি বাষ্প হয়ে গেলে তার নীচে পড়ে থাকে লবন। পরে সেই লবন আবার পরিস্কার করে বাজারে বিক্রি হয়।
তবে অনেক সময় শরীরে আয়োডিনের অভাব হয়। সে অভাব পুরনের জন্য লবণে আয়োডিন মিশিয়ে নেওয়া হয়। কেন লবণে আয়োডিন মেশানে হয় তার কারণ কিন্তু সহজ। কারণ লবণ প্রায় সব খাবারেই দেওয়া হয়।
পৃথিবীর বেশীর ভাগ লবণ আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি জমা করে রাখে বড় বড় জমিতে। তারপর সেই জমির চারপাশ বাধ দিয়ে পানি আটকে ফেলা হয়। তারপর সুর্যের আলোতে সেই পানি বাষ্প হয়ে গেলে তার নীচে পড়ে থাকে লবন। পরে সেই লবন আবার পরিস্কার করে বাজারে বিক্রি হয়।
তবে অনেক সময় শরীরে আয়োডিনের অভাব হয়। সে অভাব পুরনের জন্য লবণে আয়োডিন মিশিয়ে নেওয়া হয়। কেন লবণে আয়োডিন মেশানে হয় তার কারণ কিন্তু সহজ। কারণ লবণ প্রায় সব খাবারেই দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যের জন্য লবণঃ
লবনে আছে সোডিয়াম। আর এই সোডিয়াম শরীরের জন্য দরকারী অন্যতম ইলেকট্রোলাইট। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম অপরিশোধিত লবণে পাওয়া যায়। শরীরে র লবণ বেড়ে যাওয়া বা লবণের পরিমান কম হওয়া দুটি দেহের জন্য বিপদজনক।
লবণের প্রকার ভেদঃ
আমরা সাদা লবণ দেখি এই লবণ সমুদ্র থেকে পরিশোধিত লবণ। লবণ কিন্তু কালো হতে পারে। এই ধরনের লবণ বেশি তৈরি হয় ভারতে। সেখানে একে বলা হয় কালা নমক। এটি খনি থেকে আনা হয়। এর মধ্যে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়রন, সালফার কম্পাউনড। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ব্লাক সল্ট বা কালো লবণ ব্যবহার করা হয়। মাটি খুড়ে যে লবন তোলা হয় সে লবণ বেশ কয়েক রকম রঙের হতে পারে।
গল্প দিয়েই লবণের কথা শুরু করেছিলাম। গল্প দিয়েই লবণের কথা শেষ করি।
আরব্য রজনীর ‘আলীবাবা ও চল্লিশ ডাকাত’ গল্পে আছে, চল্লিশ ডাকাতের সর্দার যখন কারো বাড়ীতে ডাকাতি করতে যেত তখন সে বাড়ীতে সে অতিথি সেজে যেত। আর সে বাড়ীর বাড়তি নুন সে খাবারের পাতে নিত না। কারণ নুন নিলে সে নাকি নেমক হারামি করতে পারবে না। এই দেখেই নাকি আলিবাবার পরিচারিকা মর্জিনা ধরে ফেলেছিল যে অতিথি বেশে এরা ডাকাত।
কথায় বলে, নুন খাবো যার গুন গাবো তার। তাহলে আমরাও লবণের একটু গুন গাইবো না তা কি হয়।
লেখকঃ বিজয় মজুমদার।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লবনে আছে সোডিয়াম। আর এই সোডিয়াম শরীরের জন্য দরকারী অন্যতম ইলেকট্রোলাইট। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম অপরিশোধিত লবণে পাওয়া যায়। শরীরে র লবণ বেড়ে যাওয়া বা লবণের পরিমান কম হওয়া দুটি দেহের জন্য বিপদজনক।
লবণের প্রকার ভেদঃ
আমরা সাদা লবণ দেখি এই লবণ সমুদ্র থেকে পরিশোধিত লবণ। লবণ কিন্তু কালো হতে পারে। এই ধরনের লবণ বেশি তৈরি হয় ভারতে। সেখানে একে বলা হয় কালা নমক। এটি খনি থেকে আনা হয়। এর মধ্যে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়রন, সালফার কম্পাউনড। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ব্লাক সল্ট বা কালো লবণ ব্যবহার করা হয়। মাটি খুড়ে যে লবন তোলা হয় সে লবণ বেশ কয়েক রকম রঙের হতে পারে।
গল্প দিয়েই লবণের কথা শুরু করেছিলাম। গল্প দিয়েই লবণের কথা শেষ করি।
আরব্য রজনীর ‘আলীবাবা ও চল্লিশ ডাকাত’ গল্পে আছে, চল্লিশ ডাকাতের সর্দার যখন কারো বাড়ীতে ডাকাতি করতে যেত তখন সে বাড়ীতে সে অতিথি সেজে যেত। আর সে বাড়ীর বাড়তি নুন সে খাবারের পাতে নিত না। কারণ নুন নিলে সে নাকি নেমক হারামি করতে পারবে না। এই দেখেই নাকি আলিবাবার পরিচারিকা মর্জিনা ধরে ফেলেছিল যে অতিথি বেশে এরা ডাকাত।
কথায় বলে, নুন খাবো যার গুন গাবো তার। তাহলে আমরাও লবণের একটু গুন গাইবো না তা কি হয়।
লেখকঃ বিজয় মজুমদার।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন