এখন আপনাদের যে মাছটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিব সেটি প্রানি জগতের নতুন সংযোজন। এই মাছ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা সম্ভব না হলেও যা আবিস্কার হয়েছে আপনাকে অবাক করতে কার্পন্ন করবে না।
নিউনিল্যান্ডের যখন প্রথম এই মাছ ধরেন তখন অনেকটা অবাক হয়েছিলেন। কেমন মাছ এটি সম্পূর্ন স্বচ্ছ। মাছটি সমুদ্রের পানির একদম উপরি ভাগ থেকে সাঁতার কেটে যাচ্ছিল।
যদিও এখন পর্যন্ত নব্য আবিস্কৃত এই মাছে কোন নাম নির্ধারন করা হয় নায়, তবে অনেকেই মনে করে এটি SALPA MAGGIORE প্রজাতির মেরুদন্ডহীন কোন এক সামুদ্রিক প্রানী।
Salps প্রজাতির প্রানিদের সাধারনত পাওয়া যায় পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর শীতল পানিতে, আর যেহেতু নিউজিল্যান্ডের কারানকারি পেনিনসুলা (Karikari Peninsula) নিরক্ষীয় বরাবর শীতল সমুদ্র অঞ্চলের মধ্যে পরে তাই বিষেষজ্ঞদের মতে এখানে এরকম স্বচ্ছ প্রানীদের খোঁজ আরো অনেক বেশি পাওয়া যেতে পারে।
এই অঞ্চলে এরকম স্বচ্ছমাছ আরো অনেক দেখা গেছে। এই মাছ গুলি একা আবার কখনও দলবদ্ধ ভাবে ঘুরে বেড়ায়। এরা অন্যান্য মাছের মত লেজ নেড়ে সাঁতার কাটে না বরং এদের আঠালো স্বচ্ছ দেহ থেকে পানি পাম্প করে পানির মধ্যে চলাচল করে।
নিরিহ এই স্বচ্ছ মাছ গুলির খাবার হচ্ছে সমুদ্রের পানিতে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন অনুজীব। যেহেতু এদের দেহ স্বচ্ছ তাই সহজেই এরা শিকারি মাছা বা অন্য যে কোন সামদ্রিক প্রানিদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে
এই মাছের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা যখন খাদ্য অভাবে থাকে তখন এরা এমিবার মত নিজেদের দেহ ভাগ করে নিজের ক্লোন তৈরি করতে পারে। বহু কোষি প্রানিদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা বিরল।
এখন পর্যন্ত বেশি কিছু আবিস্কার না হলেই ইতি মধ্যেই যে এই স্বচ্ছ মাছের বৈশিষ্ট্য গুলি সকলের নজর কেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।