অক্টোপাস নিয়ে একটা উপন্যাস লিখে রাতারাতি প্যারিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন ভিক্টর হুগো। ‘লা ট্র্যাভেইলার্স দে লা মারে’ নামে ওই উপন্যাসে তিনি লিখে গেছেন মানুষ আর অক্টোপাসের মধ্যে মরণপণ এক যুদ্ধের কথা। ‘কাঁটাওয়ালা চাবুক গুলো আঠার মতো সেঁটে যায় শরীরে,’ অক্টোপাসের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি, ‘তার চেয়েও ভয়াবহ হলো চাকতির মত এর চোষক গুলো। একটু একটু করে দেবে যায় গায়ে, বের করে আনে মাংস...।’
সালটা ছিল ১৮৬৬। বইটা প্রকাশিত হবার পর বেশ কিছুদিন ধরে প্যারিসে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল অক্টোপাস। পত্র পত্রিকার পাতাজুড়ে থাকতো এই বজ্জাত প্রাণীর কাহিনী, হোটেল রেস্তরাঁর বিজ্ঞাপনে লেখা থাকতো স্পেশাল অক্টোপাস ডিশের আকর্ষণের কথা। এমনকি মহিলাদের জন্য পালক লাগানো ‘অক্টোপাস হ্যাট’ও বের করে, কোর কারিগর সুযোগ বুঝে দু’পয়সা কামিয়ে নেয়।
হুগোর দেয়া সেই বর্ণনা এরপর প্রায় একশো বছর ধরে সত্যি বলে মেনে নেয় মানুষ, যদিও এর বেশিরভাগই ছিল কাল্পনিক, অতিরঞ্জন। চাকতির মত চোষক লাগানো রয়েছে অক্টোপাসের শুঁড়ে এটা সত্যি কথা, তবে চোখা চোখা কোন কাঁটা বসানো নেই ওগুলোতে। শক্ত আর চোখা শুধু একটা জিনিসই রয়েছে এদের শরীরে, ঠোঁট। উত্তেজিত অবস্থায় অনেক সময় নাকি অক্টোপাস কামড়েও দিয়েছে মানুষকে।
ডুবুরিদের জন্য একসময় ভয়ের কারণ বলে গণ্য হলেও দিন দিন যতো উন্নত হচ্ছে স্কুবা ডাইভিং স্যুট, ভয়টা ততোই কেটে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে। গভীর সাগরতল থেকে এদের ছবি তুলে আনছেন ফটোগ্রাফাররা, বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন সব তথ্য।
হুগোর দেয়া সেই বর্ণনা এরপর প্রায় একশো বছর ধরে সত্যি বলে মেনে নেয় মানুষ, যদিও এর বেশিরভাগই ছিল কাল্পনিক, অতিরঞ্জন। চাকতির মত চোষক লাগানো রয়েছে অক্টোপাসের শুঁড়ে এটা সত্যি কথা, তবে চোখা চোখা কোন কাঁটা বসানো নেই ওগুলোতে। শক্ত আর চোখা শুধু একটা জিনিসই রয়েছে এদের শরীরে, ঠোঁট। উত্তেজিত অবস্থায় অনেক সময় নাকি অক্টোপাস কামড়েও দিয়েছে মানুষকে।
ডুবুরিদের জন্য একসময় ভয়ের কারণ বলে গণ্য হলেও দিন দিন যতো উন্নত হচ্ছে স্কুবা ডাইভিং স্যুট, ভয়টা ততোই কেটে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে। গভীর সাগরতল থেকে এদের ছবি তুলে আনছেন ফটোগ্রাফাররা, বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন সব তথ্য।
অনেক জাতের অক্টোপাস রয়েছে সাগরে। সবচেয়ে বড়ো গুলোকে বলে ‘জায়ান্ট অক্টোপাস’। পুরুষগুলোর ওজন পঞ্চাশ পাউণ্ড হয়, মাদীগুলো হয় তেত্রিশ পাউণ্ড এর কাছাকাছি। আকারে হয় প্রায় আট ফুটের মতো লম্বা। ১৯৫৭ সালে কানাডার কাছে অতিকায় এক জায়ান্ট পাওয়া গিয়েছিল, একত্রিশ ফুট ছিল সেটা লম্বায়, ওজন ছিল ছ’শো পাউণ্ড। ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে আলাস্কা পর্যন্ত সাগরে পাওয়া যায় ‘প্যাসিফিক জায়ান্ট অক্টোপাস’, পুর্ব দিকে জাপান পর্যন্ত বিস্তৃত এদের আবাস।
প্রাণীকুলের মাঝে মোলাস্কু বলে একটা গোত্রে ফেলা হয় অক্টোপাসকে, সেফালোপড বলে ডাকা হয় এদের। সেফালোপড কথাটার অর্থ ‘মস্তকপদী’। মানে মাথা থেকেই যাদের পা শুরু হয়েছে। কথাটা সত্যি, থলির মতো একটা মাথা রয়েছে অক্টোপাসের, ওটাই তার শরীর। এখান থেকেই শুরু হয় এর আটটি পা, শুঁড়ের মতো কিলবিল করে চারপাশে। আরও অনেক রকমের সেফালোপড রয়েছে সাগরের পানিতে। স্কুইড, কাট্ল্ফিশ, নটিলাস, এই প্রাণীগুলোর একেকটার সাথে দশটা কি তারও বেশি করে শুঁড় রয়েছে।
স্বভাব চরিত্রের কথা উঠলে বলতে হয়, স্বাভাবিক প্রাণী সুলভ সব রকমের বৈশিষ্ট্যই রয়েছে এদের মাঝে। নিজের জন্য একটা জায়গা আলাদা দখল করে রাখে অক্টোপাস, দখল বজায় রাখতে প্রয়োজনে বেপরোয়াও হয়ে উঠতে পারে সময় সময়। এ ছাড়াও ভয় কৌতুহল সবই আছে এদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাধারণ পোষা বেড়ালের মাথায় যতটুকু বুদ্ধি, এদের মাথাতেও আছে ততোটাই।
প্রাণীকুলের মাঝে মোলাস্কু বলে একটা গোত্রে ফেলা হয় অক্টোপাসকে, সেফালোপড বলে ডাকা হয় এদের। সেফালোপড কথাটার অর্থ ‘মস্তকপদী’। মানে মাথা থেকেই যাদের পা শুরু হয়েছে। কথাটা সত্যি, থলির মতো একটা মাথা রয়েছে অক্টোপাসের, ওটাই তার শরীর। এখান থেকেই শুরু হয় এর আটটি পা, শুঁড়ের মতো কিলবিল করে চারপাশে। আরও অনেক রকমের সেফালোপড রয়েছে সাগরের পানিতে। স্কুইড, কাট্ল্ফিশ, নটিলাস, এই প্রাণীগুলোর একেকটার সাথে দশটা কি তারও বেশি করে শুঁড় রয়েছে।
স্বভাব চরিত্রের কথা উঠলে বলতে হয়, স্বাভাবিক প্রাণী সুলভ সব রকমের বৈশিষ্ট্যই রয়েছে এদের মাঝে। নিজের জন্য একটা জায়গা আলাদা দখল করে রাখে অক্টোপাস, দখল বজায় রাখতে প্রয়োজনে বেপরোয়াও হয়ে উঠতে পারে সময় সময়। এ ছাড়াও ভয় কৌতুহল সবই আছে এদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাধারণ পোষা বেড়ালের মাথায় যতটুকু বুদ্ধি, এদের মাথাতেও আছে ততোটাই।
শিকারঃ
শিকার ধরার সময় হলে এক জায়গায় বসে পড়ে অক্টোপাস। কুঁতকুঁতে চোখদুটো মেলে চারপাশে খোঁজ করে খাবারের। গা ঝাড়া দিয়ে সচল হয় একসময়, থলির মত ম্যাণ্টেলের একপাশ থেকে টেনে নেয় পানি, সাইফনের মত বেরিয়ে আসতে থাকে অন্যপাশ থেকে। এর ফলে এরা তীরবেগে ধেয়ে যেতে পারে সাগরতলে মাটির সামান্য ওপর দিয়ে। মাঝে মাঝে শুঁড়গুলো খাবারের সন্ধানে ছুঁয়ে দেখে মাটি। পাওয়া গেলে আর কথাই নেই, হতভাগ্য শিকারের ওপর ছাতার মত ঝুপ করে নেমে আসে আটটা পা। সেই মরণ আলিঙ্গন থেকে রক্ষা পাবার সাধ্য হয় না কারও।
ভোজনপর্বঃ
শুধু মরা সামুদ্রিক জীবই নয়, জীবন্ত অনেক কিছুই রয়েছে এদের খাবারের তালিকায়; যেমন, কাঁকড়া। শিকারে বেরুলে শুঁড় গুলোর ফাঁকে ফাঁকে চামড়ার ভাঁজে একবারে ডজন খানেকের মত জীবন্ত কাঁকড়াকে ধরে নিয়ে আসতে পারে অক্টোপাস। এমনও দেখা গেছে কাঁকড়ার সন্ধানে সাগরতীরে পানি ছেড়ে বালুচড়ায় উঠে এসেছে এরা। অ্যাবালোন বলে এক ধরনের সামুদ্রিক জীব আছে। এই প্রাণীগুলো অক্টোপাস এর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হলেও খাবারের তালিকা থেকে তারাও বাদ যায় না। খিদে পেলে জাতভাই টাতভাই মানে না অক্টোপাস, স্বজাতি ধরে খেয়ে ফেলতে পারে অনেক সময়। অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকতে থাকতে শেষে নিজের শুঁড় নিজেই খেয়ে ফেলেছে অক্টোপাস, এমন নজিরও রয়েছে। টিকটিকির লেজের মত এদের শুঁড়গুলো, কাটা পড়লেও পরে গজায় আবার। তিমি, ডলফিন, সীল কিংবা সী লায়নের মত অনেক সামুদ্রিক জীবের কাছে আবার পছন্দ অক্টোপাসের এই শুঁড়। কামড় দিয়ে কোনো প্রাণী হয়তো আলাদা করে ফেলে একটা শুড়কে, শিকারী ওটাকে আলাদা চিবুতে চিবুতেই বাকি সাতটা সহ প্রাণ নিয়ে পালায় অক্টোপাস।
শিকার ধরার সময় হলে এক জায়গায় বসে পড়ে অক্টোপাস। কুঁতকুঁতে চোখদুটো মেলে চারপাশে খোঁজ করে খাবারের। গা ঝাড়া দিয়ে সচল হয় একসময়, থলির মত ম্যাণ্টেলের একপাশ থেকে টেনে নেয় পানি, সাইফনের মত বেরিয়ে আসতে থাকে অন্যপাশ থেকে। এর ফলে এরা তীরবেগে ধেয়ে যেতে পারে সাগরতলে মাটির সামান্য ওপর দিয়ে। মাঝে মাঝে শুঁড়গুলো খাবারের সন্ধানে ছুঁয়ে দেখে মাটি। পাওয়া গেলে আর কথাই নেই, হতভাগ্য শিকারের ওপর ছাতার মত ঝুপ করে নেমে আসে আটটা পা। সেই মরণ আলিঙ্গন থেকে রক্ষা পাবার সাধ্য হয় না কারও।
ভোজনপর্বঃ
শুধু মরা সামুদ্রিক জীবই নয়, জীবন্ত অনেক কিছুই রয়েছে এদের খাবারের তালিকায়; যেমন, কাঁকড়া। শিকারে বেরুলে শুঁড় গুলোর ফাঁকে ফাঁকে চামড়ার ভাঁজে একবারে ডজন খানেকের মত জীবন্ত কাঁকড়াকে ধরে নিয়ে আসতে পারে অক্টোপাস। এমনও দেখা গেছে কাঁকড়ার সন্ধানে সাগরতীরে পানি ছেড়ে বালুচড়ায় উঠে এসেছে এরা। অ্যাবালোন বলে এক ধরনের সামুদ্রিক জীব আছে। এই প্রাণীগুলো অক্টোপাস এর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হলেও খাবারের তালিকা থেকে তারাও বাদ যায় না। খিদে পেলে জাতভাই টাতভাই মানে না অক্টোপাস, স্বজাতি ধরে খেয়ে ফেলতে পারে অনেক সময়। অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকতে থাকতে শেষে নিজের শুঁড় নিজেই খেয়ে ফেলেছে অক্টোপাস, এমন নজিরও রয়েছে। টিকটিকির লেজের মত এদের শুঁড়গুলো, কাটা পড়লেও পরে গজায় আবার। তিমি, ডলফিন, সীল কিংবা সী লায়নের মত অনেক সামুদ্রিক জীবের কাছে আবার পছন্দ অক্টোপাসের এই শুঁড়। কামড় দিয়ে কোনো প্রাণী হয়তো আলাদা করে ফেলে একটা শুড়কে, শিকারী ওটাকে আলাদা চিবুতে চিবুতেই বাকি সাতটা সহ প্রাণ নিয়ে পালায় অক্টোপাস।
দু’শো থেকে দুটোঃ
শীতকালে শুরু হয় এদের প্রজনন ঋতু। স্ত্রী অক্টোপাস, একসাথে প্রায় আশি হাজারের মত ডিম পাড়ে। আকারে একেকটা চালের দানার চেয়ে বড় হবে না ওগুলো, দেড়শো থেকে দু’শোটা করে থাকে একেকটা গুচ্ছে। দেহ নিঃসৃত আঠালো তরল দিয়ে আস্তানার ছাদের সাথে ডিমের গুচ্ছ আটকে দেয় মা, সারাক্ষণ নজর রাখে সেগুলোর ওপর। ডিম ফুটে বেরোবার পর পরই ওপরের দিকে রওনা দেয় শিশু, সামুদ্রিক শৈবাল প্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বাঁচিয়ে রাখে অস্তিত্ব। বেশিরভাগের কপালেই অবশ্য অস্তিত্ব রক্ষা আর হয়ে ওঠে না, মাঝ রাস্তাতেই পরিণত হয় কাঁকড়া আর ছোট ছোট মাছের উপাদেয় খাবারে। একেকটা ডিমের গুচ্ছ থেকে খুব বেশি হলে দুটো মাত্র অক্টোপাস টিকে থেকে থাকতে পারে পরিণত বয়স অবধি। এমনিতে এরা বাঁচে চার বছর।
ডিম ফুটে যতক্ষণ না শিশু অক্টোপাস বের হয় ততক্ষণ জায়গা ছেড়ে নড়ে না মা অক্টোপাস। থলি থেকে বেরোনো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখে ওগুলোকে, শুঁড় নেড়ে নেড়ে আশেপাশে ঘেঁষতে দেয় না কোন কিছুকেই। ছ’মাস কি তারও বেশি সময় হয়তো লাগে ডিম ফুটতে। পুরোটা সময় এভাবে পাহারা দেয় সে, খেতে পর্যন্ত ভুলে যায়। বেশিরভাগ সময়েই এ কারণে না খেয়ে মারা পড়ে মা। তখন ডিমগুলো পরিণত হয় অন্যদের সহজ খাবারে।
শীতকালে শুরু হয় এদের প্রজনন ঋতু। স্ত্রী অক্টোপাস, একসাথে প্রায় আশি হাজারের মত ডিম পাড়ে। আকারে একেকটা চালের দানার চেয়ে বড় হবে না ওগুলো, দেড়শো থেকে দু’শোটা করে থাকে একেকটা গুচ্ছে। দেহ নিঃসৃত আঠালো তরল দিয়ে আস্তানার ছাদের সাথে ডিমের গুচ্ছ আটকে দেয় মা, সারাক্ষণ নজর রাখে সেগুলোর ওপর। ডিম ফুটে বেরোবার পর পরই ওপরের দিকে রওনা দেয় শিশু, সামুদ্রিক শৈবাল প্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বাঁচিয়ে রাখে অস্তিত্ব। বেশিরভাগের কপালেই অবশ্য অস্তিত্ব রক্ষা আর হয়ে ওঠে না, মাঝ রাস্তাতেই পরিণত হয় কাঁকড়া আর ছোট ছোট মাছের উপাদেয় খাবারে। একেকটা ডিমের গুচ্ছ থেকে খুব বেশি হলে দুটো মাত্র অক্টোপাস টিকে থেকে থাকতে পারে পরিণত বয়স অবধি। এমনিতে এরা বাঁচে চার বছর।
ডিম ফুটে যতক্ষণ না শিশু অক্টোপাস বের হয় ততক্ষণ জায়গা ছেড়ে নড়ে না মা অক্টোপাস। থলি থেকে বেরোনো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখে ওগুলোকে, শুঁড় নেড়ে নেড়ে আশেপাশে ঘেঁষতে দেয় না কোন কিছুকেই। ছ’মাস কি তারও বেশি সময় হয়তো লাগে ডিম ফুটতে। পুরোটা সময় এভাবে পাহারা দেয় সে, খেতে পর্যন্ত ভুলে যায়। বেশিরভাগ সময়েই এ কারণে না খেয়ে মারা পড়ে মা। তখন ডিমগুলো পরিণত হয় অন্যদের সহজ খাবারে।
অক্টোপাস যেচে পরে কারও সাথে লাগতে যায় না, এটা সবারই জানা। শত্রুর চোখে ধুলো দেবার জন্যে চারপাশে কালো এক ধরনের তরল ছিটিয়ে দেয় এরা। আগে সেটাকে নেহাতেই একটা ধোঁয়াটে পর্দা বলে মনে করা হত, ইদানিং নতুন নতুন সব তত্ত্ব বেরিয়েছে। থলি থেকে বেরোবার পর নাকি অক্টোপাসের মতই অবয়ব নেয় কালিটা, পানির ভেতর ঝুলে থাকে এক জায়গায়। শিকারী ভাবে, ওটাই বোধ হয় তার শিকার, আসল শিকার ততক্ষণে পালায় অন্যদিকে।
গায়ে কঙ্কাল বলতে কিছু নেই অক্টোপাসের। সুবিধেই হয়েছে এর ফলে। জালে আটকে পড়লে খোঁজ করে ফাঁকফোকরের, কোনমতে একটা শুঁড় বের করে দিতে পারলেই হলো। চেপে চেপে গোটা শরীরটাই এরপর বের করে আনে এক সময়। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে ভিডিওটি দেখুন, তাহলে বুঝে যাবেন।
এদের আরও একটা বৈশিষ্ট্য হলো রঙ বদলানো। গায়ের রঙ সাধারণত গাঢ় লাল হয় জায়ান্ট অক্টোপাসের, বিপদ টের পেলে নিমেষে পাল্টে ফেলে সে রঙ, চারপাশের রঙের সাথে মিশে গিয়ে নিশ্চল হয়ে বসে থাকে। আত্মরক্ষা ছাড়াও শিকার ধরতে সাহায্য করে এই ক্ষমতা। চোখের পলকে সাদা করে ফেলতে পারে এরা শরীর, ওপর থেকে সূর্যের আলো পড়লে তাই ভালমত বোঝা যায় না কোথায় রয়েছে। সমুদ্র তলদেশে পৌঁছাবার সাথে সাথে আবার ফিরে পায় গাঢ় লালচে রঙ। বোকা বনে যায় শিকার, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে ফেলেছে সে ততক্ষণে!
লেখকঃ অনীশ দাস অপু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লেখকঃ অনীশ দাস অপু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন