নরকের ব্যাঙ ।। Frog Of Hell


ব্যাঙ কত বড় হয়? একটা টেনিস বলের মতো! হলো না? আচ্ছা, ধরলাম একটা বার্গারের মতোন বড় হয়। তাও হয় নি? তাহলে জানি না কত বড় হয়। কি? একটা ব্যাঙ বলের সমান বড়ো? তাও আবার একটা বিচ বলের সমান? অসম্ভব!

সত্যিই বলছি, আমিও প্রথমে মোটেও বিশ্বাস করিনি যে একটা ব্যাঙ এতো বড়ো হবে। শেষে বিজ্ঞানীরা এমন সব কথা বলতে শুরু করলেন যে আমি আর বিশ্বাস না করে থাকতেই পারলাম না। সবচেয়ে চমকে গিয়েছিলাম কখন জানেন? যখন জানলাম, একটা ব্যাঙ নাকি ছোটখাটো একটা ডাইনোসরও খেতে পারতো। আমি তো শুনে হা। হা বলে হা। মুখ আর আমার বন্ধই হয় না।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info


আপনারাও নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন এই ভেবে যে, এও কি সম্ভব? ব্যাঙ কতো ছোট আর ডাইনোসর কতো বিশাল। ব্যাঙ খাবে ডাইনোসরকে? কিন্তু আমার কি দোষ! বিজ্ঞানীরাই তো এই কথা বলেছেন। আর তারা তো এমনি এমনি কিছুই বলেন না। কি বলেছেন তারা শুনবেন? তারা নাকি মাদাগাস্কার এলাকা থেকে এক বিরাট ব্যাঙ এর ফসিল পেয়েছেন। আর ফসিল কাকে বলে আপনারা তো তা জানেনই। তবুও বলি, অনেক অনেক বছর ধরে কোনো জন্তু জানোয়ার গাছপালা ইত্যাদির মৃতদেহ যদি পড়ে থাকে, তবে এর উপর শক্ত একটা খোলস তৈরি হয়। একেই বলে ফসিল। বিজ্ঞানীরা যে বিশাল ফসিলটা পেয়েছেন তার নাম দিয়েছেন 'বেলজিবুফো' বা 'নরকের ব্যাঙ' । তার মানে বোঝেন এবার! কতো বড়ো সেটি!


আরো একটা কথা শুনে তো আমি আবার হা করতে শুরুই করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেছি। কথাটা শোনেন, এই ফসিলটার বয়স নাকি ৭ কোটি বছর! চিন্তা করেন, কি ভয়ানক কথা।

অদ্ভুত কথা শোনার যে আরো বাকি ছিলো তা কিন্তু আমি মোটেও চিন্তা করিনি। আমি যখন এই সব শুনে উঠে আসতে যাবো তখনই বিজ্ঞানীরা কি বললেন জানেন? এই নরকের ব্যাঙ নাকি বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যাঙ গোলিয়াথের চেয়েও দুইগুণ বড় ছিলো। এদের মাথা ছিলো বিরাট আর ছিলো চওড়া মুখ। পা ছাড়াই নাকি এদের শরীর ছিলো ৪০ সে.মি. লম্বা আর ওজন ছিলো ৪ কেজি। আর মেজাজও নাকি ছিলো ভীষণ চড়া। ক্ষেপে গেলে নাকি হিংস্র ভাবে শিকার ধরতো এই বেলজিবুফোরা। সাধারণত, এই ব্যাঙ নাকি পোকা মাকড়, টিকটিকি এসবই খেতো। সবচেয়ে ভয়ানক হলো এরা নাকি ডাইনোসরের বাচ্চাও ধরে ধরে খেতো। একবার ভাবেন তো, একটা ব্যাঙ ডাইনোসরের বাচ্চা ধরে ধরে খাচ্ছে! উফ আমি আর ভাবতেও পারছি না।


এই হলো সেই নরকের ব্যাঙ। আমাদের ভাগ্য কিন্তু ভালোই। কারণ? কারণ আমাদেরকে এই ব্যাঙের মুখোমুখি আর কখনোই হতে হবে না। এই কথা ভেবে আমার কি যে ভালো লেগেছে তা আর কি বলবো আপনাদের।

লেখকঃ তাপসী রায়।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।