স্বচ্ছ বা সাদাটে ক্রিস্টালে তৈরি ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস আমাদের বেশ পরিচিত। ছবির খুলিটিকে দেখেও এমনই এক শো-পিস মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কিছু ক্রিস্টালের খুলি আছে যেগুলো যুগে যুগে মানুষের মাঝে তৈরি করেছে কৌতূহল এবং সমালোচনা। তেমনই একটি হলো এই খুলিটি যা রাখা আছে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। ধারণা করা হতো এটি তৈরি করেছে মেক্সিকোর আজটেক সভ্যতার মানুষেরা। এটাও বলা হতো, যে এলিয়েনরা আজটেক সভ্যতায় এসেছিলো এবং তাদের উন্নত প্রযুক্তির নিদর্শন হিসেবে এই খুলি রেখে গেছে। কিন্তু পরে প্রমাণিত হয় যে এটি নকল।


এই ক্রিস্টালের খুলিগুলোর অনেকের মাঝে মানব খুলির বিস্তারিত খুঁটিনাটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কোনটি একেবারেই প্রমাণ আকৃতির, কোনটি ছোট। ধারণা করা হয় সবগুলোই এসেছে মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকা থেকে। অনেকে বিশ্বাস করেন এসব খুলি হাজার হাজার বছর আগে তৈরি করা হয়েছিলো মেসোমেরিকা সভ্যতার মানুষের দ্বারা। এমনকি দাবি করা হয় এদের রয়েছে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। বেশিরভাগ 'Mysteries of the Crystal Skulls Revealed' এর লেখক 'জশুয়া শাপিরো' এর মতে, এই খুলি গুলো আসলে এক ধরণের কম্পিউটার যা কিনা বিভিন্ন ঘটনা এবং দৃশ্য রেকর্ড করে রাখতে পারে। অর্থাৎ এদের মাঝে আমাদের পৃথিবীর ইতিহাস ধারণা করা আছে। বেশিরভাগ প্রত্নতাত্বিক এবং বিজ্ঞানী অবশ্য হেসেই উড়িয়ে দেন এই ধরণের দাবি।
তবে আজটেক এবং অন্যান্য প্রাচীন মেসোমেরিকান সভ্যতায় মাথার খুলির ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হতো, তাই এসব খুলির সাথে সেই সভ্যতাগুলোর সংযোগ থাকতেই পারে। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির নৃবিদ্যার অধ্যাপক মিশেল স্মিথের মতে, বিভিন্ন আজটেক দেবতার প্রতীক ছিলো খুলি এবং খুলি তৈরির মাধ্যমে অ্যাজটেকরা এসব দেবতাকে উপস্থাপন করছিলো, তার বেশী কিছু নয়। এসব খুলির অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার কথা নাকচ করে দেন তিনি।
আর সম্প্রতি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে গবেষণার পর যে তথ্য বের হয় আসে, তা থেকে ধরে নেওয়া হয় এসব খুলি আসলে অতটা পুরনো নয়। দেখা যায়, এগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিলো আধুনিক পাথর খোদাইয়ের যন্ত্র এবং ১৮শ শতকের মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও এক সময়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তু এগুলো যেহেতু নিষ্প্রাণ বস্তু, তাই এদের সঠিক বয়স বের করার আসলে কোনও উপায় নেই। সুতরাং অজানাকে ঘিরে বিতর্ক রয়েই যায়।
লেখকঃ দিয়া।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
আর সম্প্রতি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে গবেষণার পর যে তথ্য বের হয় আসে, তা থেকে ধরে নেওয়া হয় এসব খুলি আসলে অতটা পুরনো নয়। দেখা যায়, এগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিলো আধুনিক পাথর খোদাইয়ের যন্ত্র এবং ১৮শ শতকের মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও এক সময়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তু এগুলো যেহেতু নিষ্প্রাণ বস্তু, তাই এদের সঠিক বয়স বের করার আসলে কোনও উপায় নেই। সুতরাং অজানাকে ঘিরে বিতর্ক রয়েই যায়।
লেখকঃ দিয়া।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন