কেঁচো এর সাথে পরিচিত নয়, এমন কোন বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রী আছে বলে আমার মনে হয় না। যারা বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রী না তারা আবার ক্ষেপে যেয়েন না, আমি এখানে বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীদের কথা বলছি কেননা তাদের মত অন্তত্ব আপনাদের কেঁচো কেটে কেঁচোর রচন তন্ত্র আর স্নায়ু তন্ত্র দেখানো লাগে না। আর সেটা অনেকের জন্য বেশ সুখকর সৃতি হলেও আমার জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর সৃতি।
যা হোক এবার মূল কথায় ফেরা যাক। আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব এই ধরনীর সব থেকে বড় কেঁচোর সাথে। নাম তার Megascolides Australis। সারা বিশ্বে ৪০০০ প্রজাতির কেঁচো পাওয়া যায় যার মধ্যে এক অষ্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যায় ১০০০ প্রজাতির কেঁচো। আর এই Megascolides Australis কেঁচোর বাস আবার অষ্ট্রেলিয়াতেই।
এই কেঁচো সাধারনত ৩ ফুট লম্বা এবং ১ ইঞ্চি মোটা হয়, তবে লম্বায় ৯ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এদের গায়ের রঙ নীলচে ছাই রঙ্গের হয়ে থাকে। আর এদের খুঁজে পাওয়া যায় অষ্ট্রেলিয়ার গিপ্সল্যান্ডে (Gippsland)। এদের জীবন কাল বেশ দীর্ঘ। এদের বয়স যখন সবে মাত্র ৫ হয় তখন এরা কেবল মাত্র যৌবনে পা দেয়।
এরা ডিম দেয় গ্রীস্মকালে আর এদের ডিম গুলির সংখ্যা নেহাত কম না, সব গুলি একসাথে একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে, আর ডিম গুলি মাটির নিচে লুকানো থাকে। আর এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নেয় ১২ মাসের মত আর জন্মানোর সময়ই এই কেঁচো বাচ্চারা ২০ সেঃমিঃ লম্বা থাকে।
এই কেঁচো গুলি জীবনের বেশির ভাগ সময় মাটির নিচে কাটিয়ে দেয়। সব থেকে মজার বা ভয়ংকর ঘটনা হচ্চে, এরা যখন মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করে তখন কোন কিছু কাঁটার শব্দ (Gurgling) বা কোন কিছু চোষার মত শব্দ করে। এই শব্দ সম্পর্কে আপনার জানা না থাকলে নিশ্চিত অশরীরী কোন কিছুর শব্দ ভেবে ভয় পাবেন আর যদি আপনার জানা থাকলে খুব সহজেই এদের ধরে ফেলতে পারবেন।
সবশেষে বলে রাখি এদের নাম কিন্তু বিপন্ন প্রজাতির প্রানির তালিকায় উঠে এসেছে। তাই বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ান সরকার এদের সংরক্ষনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সফল কতটুকু হবে জানা নেই তবে বিফল হলে আরেকটি প্রজাতি হারাতে বসেছে এই ধরনী থেকে।
এবার তাহলে চলুন এই ধরনীর সব থেকে বড় কেঁচো Megascolides Australis এর আরো কিছু ছবি দেখে নেই,
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।