প্রাচীনকালে বিড়াল পুরোপুরি বুনো একটা জন্তু ছিলো। তারপর এরা কেমন করে যেন মানুষের পোষা প্রাণী হয়ে গেল। তাও প্রায় কয়েক হাজার বছর আগের কথা। এরা এখন আমাদের আশেপাশেই থাকে। একটা সময় ছিলো যখন প্রাচীন মিশরে বিড়ালকে দেবী হিসেবে ধরা হতো। মিশরীয়রা তাদের বিড়াল দেবীর নাম দিয়েছিলো নেফাদেত দেবী। তাদের তখন রীতিমতো ধুমধাম করে পূজো দেয়া হতো। বোঝেন অবস্থা!
হাজার বছর ধরে বিড়াল আমাদের আশেপাশে আছে। এরা আমাদের বাড়ীতে ঘুমায়, খায়, আরও কত কী! নিশ্চয়ই ভাবছেন, বিড়াল নিয়ে আর চিন্তাভাবনার কী আছে, তাই না? বিড়াল আমাদের আশেপাশে থাকলেও এদের সম্পর্কে আসলে আমরা সবকিছু জানি না। এই যেমন ধরেন, বিড়াল কী করে ঘড়ঘড় শব্দ করে, এ প্রক্রিয়া মানুষ জেনেছে মাত্রই কিছুদিন হলো।
হাজার বছর ধরে বিড়াল আমাদের আশেপাশে আছে। এরা আমাদের বাড়ীতে ঘুমায়, খায়, আরও কত কী! নিশ্চয়ই ভাবছেন, বিড়াল নিয়ে আর চিন্তাভাবনার কী আছে, তাই না? বিড়াল আমাদের আশেপাশে থাকলেও এদের সম্পর্কে আসলে আমরা সবকিছু জানি না। এই যেমন ধরেন, বিড়াল কী করে ঘড়ঘড় শব্দ করে, এ প্রক্রিয়া মানুষ জেনেছে মাত্রই কিছুদিন হলো।


পৃথিবীতে ছোট বড় যত বিড়াল আছে (একবারে বাঘ সিংহ সহ) সব বিড়ালই ঘড়ঘড় শব্দ করতে পারে। আপনি, আমি কিংবা বেশিরভাগ প্রাণীই কিন্তু এই কাজটা করতে পারি না। তাহলে বিড়াল কী করে ঘড়ঘড় শব্দ করে? খুবই সমপ্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ ধাঁধাঁর সমাধান করেছেন।
যখন কোন বিড়াল ঘড়ঘড় করে তখন বেশ একটা কাঁপুনি টের পাওয়া যায়। এই সময় বিড়ালের শরীরের যে কোন জায়গায় হাত দিলেই তা টের পাওয়া যায়। কাঁপুনির জন্যেই কিন্তু বিড়ালের এই ঘড়ঘড়ানি বেশ রহস্যময় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ঘড়ঘড় শব্দটা বিড়ালের কোথায় তৈরি হয়? বুকে নাকি গলায়?
বিড়ালের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট্ট মাইক্রোফোন চেপে ধরে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, এই শব্দ তৈরি হয় বিড়ালের গলায়। ঠিক ল্যারিংস বরাবর। "Larynx" এর বাংলা হচ্ছে "স্বরযন্ত্র"। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোফোন লাগিয়ে আরেকটা জিনিস বোঝা গেছে। তা হচ্ছে ঘড়ঘড় শব্দের বেশির ভাগই আসে মুখ এবং নাক দিয়ে।
যখন কোন বিড়াল ঘড়ঘড় করে তখন বেশ একটা কাঁপুনি টের পাওয়া যায়। এই সময় বিড়ালের শরীরের যে কোন জায়গায় হাত দিলেই তা টের পাওয়া যায়। কাঁপুনির জন্যেই কিন্তু বিড়ালের এই ঘড়ঘড়ানি বেশ রহস্যময় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ঘড়ঘড় শব্দটা বিড়ালের কোথায় তৈরি হয়? বুকে নাকি গলায়?
বিড়ালের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট্ট মাইক্রোফোন চেপে ধরে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, এই শব্দ তৈরি হয় বিড়ালের গলায়। ঠিক ল্যারিংস বরাবর। "Larynx" এর বাংলা হচ্ছে "স্বরযন্ত্র"। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোফোন লাগিয়ে আরেকটা জিনিস বোঝা গেছে। তা হচ্ছে ঘড়ঘড় শব্দের বেশির ভাগই আসে মুখ এবং নাক দিয়ে।
ঘড়ঘড়ানি কোন রাস্তায় বেরুচ্ছে তা আসলে মূল বিষয় না। কারণ ওই একই রাস্তা, মানে নাক এবং মুখ দিয়েই অন্যান্য শব্দ বের হয়। আমরা যখন কথা বলি তখন শব্দ স্বরযন্ত্রে তৈরি হয়ে মুখ দিয়ে বের হয়।
যখন আমরা কথা বলি বা বিড়াল মিউ মিউ শব্দ করে, তখন স্বরযন্ত্রের মধ্যে পাতলা পর্দার মতো টিস্যুর কাঁপুনিতে তৈরি হয় শব্দ। এই পাতলা পর্দা গুলোকে বলা হয় 'ভোকাল কর্ড'। কথা বলার সময় আমরা বুক থেকে যে, বাতাস প্রেরণ করি তাতে ভোকাল কর্ড কাঁপে। কোন বাদ্যযন্ত্রের পর্দা বা তার কাঁপলে যেমন শব্দ তৈরি হয় এখানেও সেই একই বিষয়।
ভোকাল কর্ডের সাহায্যে বিড়াল মিউ মিউ করে। ঘড়ঘড় করার জন্যে আলাদা কিছু আছে কিনা বিজ্ঞানীরা তাই খুঁজছিলেন। সেরকম কিছু পাওয়া গেল না। তখন তারা ধারণা করলেন, বোধহয় বুকের কোন পেশীয় মাধ্যমে বিড়ালরা ঘড়ঘড় করে। অন্য কিছু খোঁজার কারণ আছে। বিড়াল বা আমরা যখন কথা বলি (বিড়াল কথা বলেনা, মিউ মিউ করে) তখন আমরা বাতাস ছাড়ি। আপনারা অবশ্য শ্বাস নিতে নিতে কথা বলার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিছু বিড়াল শ্বাস ছাড়া বা গ্রহণ করা দুসময়তেই ঘড়ঘড় শব্দ করতে পারে। অদ্ভুত না?
যখন আমরা কথা বলি বা বিড়াল মিউ মিউ শব্দ করে, তখন স্বরযন্ত্রের মধ্যে পাতলা পর্দার মতো টিস্যুর কাঁপুনিতে তৈরি হয় শব্দ। এই পাতলা পর্দা গুলোকে বলা হয় 'ভোকাল কর্ড'। কথা বলার সময় আমরা বুক থেকে যে, বাতাস প্রেরণ করি তাতে ভোকাল কর্ড কাঁপে। কোন বাদ্যযন্ত্রের পর্দা বা তার কাঁপলে যেমন শব্দ তৈরি হয় এখানেও সেই একই বিষয়।
ভোকাল কর্ডের সাহায্যে বিড়াল মিউ মিউ করে। ঘড়ঘড় করার জন্যে আলাদা কিছু আছে কিনা বিজ্ঞানীরা তাই খুঁজছিলেন। সেরকম কিছু পাওয়া গেল না। তখন তারা ধারণা করলেন, বোধহয় বুকের কোন পেশীয় মাধ্যমে বিড়ালরা ঘড়ঘড় করে। অন্য কিছু খোঁজার কারণ আছে। বিড়াল বা আমরা যখন কথা বলি (বিড়াল কথা বলেনা, মিউ মিউ করে) তখন আমরা বাতাস ছাড়ি। আপনারা অবশ্য শ্বাস নিতে নিতে কথা বলার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিছু বিড়াল শ্বাস ছাড়া বা গ্রহণ করা দুসময়তেই ঘড়ঘড় শব্দ করতে পারে। অদ্ভুত না?
আরও একটি বিষয় আছে। বিড়ালের মিউমিউ এর যে তীক্ষ্মতা তার চেয়ে ঘড়ঘড়ানির তীক্ষ্মতা অনেক কম। বিড়ালের মিউমিউ এর সময় বা আমাদের কথা বলার সময় ভোকাল কর্ড প্রতি সেকেন্ডে দুইশ বার বা তারচে বেশি পরিমাণ কাঁপে। কিছু ঘড়ঘড়ানির কম্পাংক প্রতি সেকেন্ডে মাত্র পঁচিশবার।
মিউ এর সময় শেষের দিকে তীক্ষ্মতা যেমন কমে ঘড়ঘড়ের সময় কিন্তু তা হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তীক্ষ্মতা একই থাকে।
আরও মজার বিষয় হচ্ছে, আমাদের পোষা বিড়াল এবং বনের বাঘের ঘড়ঘড়ানির তীক্ষ্মতা একই রকম। সমস্যাটা এখানেই। বিশাল একটা ঘন্টার ঢং ঢং শব্দের তীক্ষ্মতা কিছু ছোট ঘন্টার টিং টিং শব্দের তীক্ষ্মতার চেয়ে কম। বিড়ালের ক্ষেত্রেও বড় এবং ছোট আকারের জন্যে একই কথা প্রযোজ্য হবার কথা ছিলো।
মিউ এর সময় শেষের দিকে তীক্ষ্মতা যেমন কমে ঘড়ঘড়ের সময় কিন্তু তা হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তীক্ষ্মতা একই থাকে।
আরও মজার বিষয় হচ্ছে, আমাদের পোষা বিড়াল এবং বনের বাঘের ঘড়ঘড়ানির তীক্ষ্মতা একই রকম। সমস্যাটা এখানেই। বিশাল একটা ঘন্টার ঢং ঢং শব্দের তীক্ষ্মতা কিছু ছোট ঘন্টার টিং টিং শব্দের তীক্ষ্মতার চেয়ে কম। বিড়ালের ক্ষেত্রেও বড় এবং ছোট আকারের জন্যে একই কথা প্রযোজ্য হবার কথা ছিলো।
শেষ আরেকটা সমস্যার কথা বলি। বিড়ালের ঘড়ঘড়ানির সময় এর স্বরযন্ত্রের কিছু পেশী বৈদ্যুতিক সিগনাল প্রেরণ করে। তাতে দেখা যায় এরা প্রতি সেকেন্ডে পঁচিশ বার কাঁপে।
এবার ঘড়ঘড়ানির যাবতীয় রহস্যের সমাধান টুকু বলি।
বিড়ালের ঘড়ঘড়ানির মধ্যে শ্বাস ছাড়ার কোন কৌশল নেই। মূল কৌশল এর ভোকাল কর্ডে। এরা ঘড়ঘড়ানির সময় বাতাসকে একবারে বেরুতে দেয় না। একটু একটু করে বের করে। ঘড়ঘড়ানির সময় বিড়ালের মস্তিষ্ক স্বরযন্ত্রের বিশেষ পেশীতে সিগনাল পাঠায়। তখন দু’পাশের ভোকাল কর্ড একসাথে ঢেউ এর মতো করে আটকে যায়। একে বলে পিঞ্চিং মেকানিজম। এর পর আটকে যাওয়া ভোকাল কর্ড অল্প একটু খুলে অল্প একটু বাতাস বেরবার সিগনাল আসে ব্রেইন থেকে। ভোকাল কর্ড খোলে, বাতাস বের হয়। একে বলে রিলাক্সিং মেকানিজম। এই পিঞ্চিং এবং রিলাক্সিং মেকানিজম হয় প্রতি সেকেন্ডে পঁচিশবার।
বিড়াল তো অনেক সময়ই ঘড়ঘড় করে। এ ব্যাটা যদি জানতো, প্রক্রিয়াটা এতো জটিল তাহলে বোধহয় ভয়েই ঘড়ঘড়ানি বন্ধ করে দিতো।
এবার ঘড়ঘড়ানির যাবতীয় রহস্যের সমাধান টুকু বলি।
বিড়ালের ঘড়ঘড়ানির মধ্যে শ্বাস ছাড়ার কোন কৌশল নেই। মূল কৌশল এর ভোকাল কর্ডে। এরা ঘড়ঘড়ানির সময় বাতাসকে একবারে বেরুতে দেয় না। একটু একটু করে বের করে। ঘড়ঘড়ানির সময় বিড়ালের মস্তিষ্ক স্বরযন্ত্রের বিশেষ পেশীতে সিগনাল পাঠায়। তখন দু’পাশের ভোকাল কর্ড একসাথে ঢেউ এর মতো করে আটকে যায়। একে বলে পিঞ্চিং মেকানিজম। এর পর আটকে যাওয়া ভোকাল কর্ড অল্প একটু খুলে অল্প একটু বাতাস বেরবার সিগনাল আসে ব্রেইন থেকে। ভোকাল কর্ড খোলে, বাতাস বের হয়। একে বলে রিলাক্সিং মেকানিজম। এই পিঞ্চিং এবং রিলাক্সিং মেকানিজম হয় প্রতি সেকেন্ডে পঁচিশবার।
বিড়াল তো অনেক সময়ই ঘড়ঘড় করে। এ ব্যাটা যদি জানতো, প্রক্রিয়াটা এতো জটিল তাহলে বোধহয় ভয়েই ঘড়ঘড়ানি বন্ধ করে দিতো।
লেখকঃ ফারজানা হক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন