চায়নায় পিরামিড এবং এলিয়েন

পিরামিড শব্দটা আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। বিশেষ করে মিশরের পিরামিড গুলিকে আমরা বেশি চিনি। আসলে কি এই পিরামিড? এই প্রশ্নের জবাবে অনেকেই বলবে শুধু মাত্র রাজা বাদশাদের সমাধি স্থল আবার অনেকেই বলবে শুধু সমাধি স্থান নয় বরং এর মধ্যে লুকিয়ে আছে আরো গভীর কোন কিছু। হতে পারে এই পিরামিডে লুকিয়ে আছে কোন বিশাল অজানা রহস্য। আচ্ছা এই পিরামিড কি শুধু ইজিপ্টের মরুভূমিতেই আছে? এক কথায় উত্তর দিলে, "না"। শুধু মিশরে না, অতীতের সকল উন্নত মানব সভ্যতা ঘাটলে পাওয়া যাবে পিরামিডের অস্তিত্য।

অতীতের এরকম এক উজ্জ্বল উন্নত মানব সভ্যতা হচ্ছে চীনা সভ্যতা। সত্যি বলতে এদের মত এত বেশি সমৃদ্ধ ইতিহাস খুব কম জাতীগোষ্ঠীর আছে। আর এত উন্নত সভ্যতা যখন ছিল তখন নিশ্চই পিরামিডও ছিল, কি বলেন? হ্যাঁ, চায়নাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮টির মত পিরামিড আবিস্কৃত হয়ছে। কিন্তু এগুলি কিন্তু সম্পূর্নটাই মিশরের পিরামিডের মত না। বাহ্যিক আঁকারে পার্থক্য এক জায়গা আর তা হল মিশরের পিরামিড গুলির মাথা সুচালো আর চায়নায় খুঁজে পাওয়া পিরামিড গুলির মাথা কাঁটা বা সমান করা। বলতে পারেন অনেকটা মেক্সিকোর "সূর্য পিরামিড" এর মত।

কিন্তু চায়নার এই পিরামিডে বিভিন্ন গবেষনা করার সময় এমন অনেক তথ্য খুঁজে পাওয়া গেছে যা আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে চায়নার এই পিরামিড গুলি ছিল ভিনগ্রহের প্রানিদের অবতরন স্থল। আর আজ আপনাদের এই সব তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এমন সব জিনিষ তুলে ধরব যা আপনাকে অবাক করতে বিন্দু মাত্র কার্পন্ন করবে না। চলুন তাহলে শুরু করা যাক,
 
জিয়ানইয়ান পিরামিড
পিরামিড গুলির খোঁজ পাবার পরে এ নিয়ে আরো বিস্তর ভাবে জানার জন্য চায়নার প্রত্নতাত্তিকবিদেরা এসকল পিরামিড নিয়ে বিস্তর গবেষনা শুরু করেন। আর এই গবেষনার সময়ে প্রায় ১২,০০০ বছর পুরাতন এই সকল পিরামিড থেকে আবিস্কার হতে থাকে এমন সব জিনিষ যা প্রমান করে অতীতে এই সকল পিরামিড ব্যাবহৃত হত ভীন গ্রহের প্রানিদের যান অবতরন কেন্দ্র হিসেবে। বিশেষ করে মধ্য চায়না এবং উত্তর চায়নায় অবস্থিত পিরামিড গুলির মধ্যে বেশি তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।

সারিবদ্ধ ভাবে বানানো পিরামিড
এরকম একটি পিরামিড হচ্ছে চায়নার "কিংহাই" প্রদেশে অবস্থিত "মাউন্ট বেগন" (Mount Baigong) পাহাড়ের এর চূড়ার উপর অবস্থিত "জিয়ানইয়ান পিরামিড" (Xianyang pyramid)। আজ আপনাদের মূলত পরিচয় করিয়ে দিব এই পিরামেডের সাথে, কেননা এখানেই পাওয়া গেছে এলিয়েনদের অস্থিত্বের অসংখ্য প্রমান।


অতীত চায়নার কল্পকাহিনী আর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। আর এই সব কল্পকাহিনী ঘাটলে এমন অনেক বড় বড় চাকতির বা যানের কথা পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে বলা আছে এগুলি সব স্বর্গের যান। যা অতীত চাইনিজদের স্বর্গে যাবার যান হিসেবে ব্যাবহৃত হয় বলে মনে করা হত।

কিন্তু শুধু কল্পকাহিনীতে থাকলেই চলবে না, এই সব পিরামিড নিয়ে যারা গবেষনা করছিল তাদের প্রমান করতে হবে যে সত্যি সত্যিই এসব পিরামিদের সাথে এলিয়েনের সম্পর্ক রয়েছে। তাহলেই গ্রহন যোগ্যতা পাবে তাদের ধারনা। আর এই প্রমান যোগার করতেই শুরু হল তোড়জোর। আর শেষমেষ খুঁজে পেল তারা কঠিন কিছু প্রমান যা তাদের ধারনাকে সত্য প্রমানিত করে।

পিরামিডের উপরে সমান মাথা
২০০ ফিট উচ্চতার এই জিয়ানইয়ান পিরামিডের মধ্যে প্রথমেই খুঁজে পাওয়া গেল অনেক গুলি পাইপ। যা তৈরির কারন আর উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত জানা নেই। পাইপ গুলি পিরামিডের মধ্য থেকে চলে গেছে ভূগর্ভে। পিরামিড গুলি যদি শুধু মাত্র সবাধি স্থলের জন্য ব্যাবহৃত হত তাহলে সেখানে পাইপ দেবার কোন কারন নেই। তার মানে এই পাইপ গুলি বানাবার নিশ্চই কোন উদ্দেশ্য আছে।

খুঁজে পাওয়া এই পাইপ লাইন গুলির নাম দেওয়া হয় "বেইগন পাইপ"। পাইপ গুলি খুঁজে পাবার পরে এই পাইপ তৈরির মূল উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার জন্য তৈরি করা হয় নয় জন বিশেষজ্ঞের একটি দল, যারা এই পাইপ তৈরির উদ্দেশ্য এবং কাজ নিয়ে গবেষনা করবে।

বেইগন পাইপ পর্যবেক্ষন করছেন এক জন বিশেষজ্ঞ
বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ভাবে তাদের পর্যবেক্ষন পরিচালনা করেন। অবশেষে তারা বলেন যে, "জিয়ানইয়ান পিরামিডের ভিতরে তিনটি ত্রিকোন আকৃতির কক্ষ রয়েছে যেগুলি লাল রঙের এই পাই দিয়ে পরিপূর্ন। এই পাইপ গুলি পিরামিডের মধ্য থেকে শুরু করে বেগন পাহাড়ের মধ্য দিয়ে তা পার্শবর্তি নোনা পানির লেকের মধ্যে চলে গেছে।

এই পাইপ গুলি অনেকটা অদ্ভুদ, কেননা এগুলি যা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা এই পিরামিডের আসে পাশে পাওয়া পাথরের মতই। আর এগুলির রঙ ঝাপসা লালচে খয়রি রঙয়ের।

এখানে দু'টি প্রশ্ন আসে। প্রথমত, তৎকালীন সময়ে কি মানুষ সেই প্রযুক্তি আবিস্কার করেছিল যে তার চারিপাশের পাথর গুলিকে কেটে এরকম লম্বা পাইপে পরিনত করতে পারবে আর যদি ধরে নেই সে পারবে, তাহলে পাথরের পাহাড়ের মধ্যে খোদাই করে এত দূর নেওয়া কি তার পক্ষে সম্ভব ছিল? দ্বিতীয়ত, সমাধি স্থানে পাইপের কি দরকার। আচ্ছা ধরে নেই টয়লেট বানাবার জন্য এটা করেছে!! আরে ভাই কি বলেন, বর্তমান সময়েই ইন্ডিয়ার বেশির ভাব মানুষ এখনও খোলা উদ্দানে টয়লেট করে আর ১২,০০০ বছর আগে টয়লেট বানাবার জন্য এত কষ্টো করে পাইপ বানিয়েছে?! একটু কেমন হয়ে গেল না?

বেইগন পাইপের ভাংগা অংশ
আরো অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে পাইপ গুলি এই নোনা পানির লেকের মধ্যে যেয়ে পরেছে, এর মধ্যে কিছু কিছু পাইপ লেকের পার ধরে আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেছে আবার কিছু কিছু পাইপ চলে গেছে এই এই নোনা পানির লেকের একদম মাঝে।

বোঝেন এবার, কতটা উন্নত প্রযুক্তির ব্যাবহার হয়েছিল সে সময়ে, যে তারা পাথর কেটে পাইপ বানিয়ে, পাহাড়ের মধ্য দিয়ে টেনে নিয়ে গেছে একদম বিশাল লেকের মাঝে।

পাইপের ভাংগা একটি টুকরা
ঐ যে বলেছিলাম নয় জন বিশেষজ্ঞের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছিল, এরা এই পাইপের অবস্থান নিয়ে তাদের বক্তব্য দিলেও এই পাইপ বানাবার উদ্দেশ্য কিন্তু তারা প্রকাশ করেনি বা তারা খুঁজে বের করতে সক্ষম ছিল না।

তবে চায়নার বিশেষজ্ঞরা কিছুটা ধারনা দেন এই পাইপের কার্যক্রম নিয়ে। তারা বলেন যে, "যেহেতু পাইপ তাই ধরেই নেওয়া যায় এর মধ্য থেকে তরল কিছু পরিবরন করা হত। তবে এই তরল যে কি তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব না, হতে পারে পানি অথবা অতীতে লেকের মধ্যে সমৃদ্ধ খনিজ তেল।

প্রশ্ন কিন্তু আবার এসে যায়, পানি হোক আর তেল হোক তা তোলার পাম্প মেশিন কোথায় পাবে? নোনা পানি কোন কাজে লাগবে না ধরে যদি শুধু ধরে নেই তেল তুলবে এটা ধরে নেই, তাহলে লেকের নিচে যে তেল আছে তা বোঝার প্রযুক্তি কিন্তু ১২,০০০ আগেতো মানুষের জানা ছিল না। মানুষের জানা না থাকতেই পারে কিন্তু ভীনগ্রহবাসীদের কি জানা ছিল?

পিরামিডের আসেপাশে তৈরি করা উদ্ভট স্থাপনা
আচ্ছা চাইনিজ সভ্যতা গোড়া পত্তন কত সালের দিকে হয় তা কি আপনাদের জানা আছে? না থাকলেও সমস্যা নেই আমিই বলে দেই। প্রায় ১০,০০০ খ্রীষ্টপূর্বে, আর এই পাইপের বয়স কিন্তু এর থেকেও বেশি। অর্থাৎ এখানে মানব সভত্যার সূচনা পূর্বেই তৈরি হয়েছে এই পাইপ গুলি। এ নিয়ে বেশ দ্বিধায় আছে চাইনিজ বিশেষজ্ঞরা।

চায়নার সরকারের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা Qin Jianwen এই পাইপ গুলি সম্পর্কে অফিসিয়াল বক্তব্যে বলেন যে, "The large content of silicon dioxide and calcium oxide is a result of long interaction between iron and sandstone, which means the pipes must be very old"।

আর পাইপের বয়স নির্ধারনের এই পরিক্ষা করেন ইঞ্জিনিয়ার Liu Shaolin।

সব থেকে অবাক করার তথ্য হচ্ছে এই পাইপ গুলি তৈরি করার উপাদান। পাইপ গুলি মূলত তৈরি হয়েছে সিলিকন ডাই অক্সাইড এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইড দিয়ে, যা পাইপের ৯২% গঠন করে আর বাদবাকি ৮% এ যে কি ব্যাবহার করা হয়েছে তা আবিস্কার করা সম্ভব হলেও তার সাথে পৃথিবীতে পাওয়া কোন মৌলিক পদার্থের কোন মিল নেই।

তাহলে এই পাইপ গুলি সত্যি ভীনগ্রহবাসীরা তৈরি করেছিল?


অব্যাখ্যায়িত চায়নার এই সকল স্থাপনা অনেকের কাছে বিস্ময়কর হলেও অনেক প্রত্নতাত্তিকদের মতে এগুলা তেমন কিছুই না, এগুলা শুধু মাত্র চাইনিজদের হেয়ালিপনায় বানানো কিছু স্থাপনা মাত্র। কিন্তু তাদের এই উক্তি যে মোটেও গ্রহন যোগ্যতা পায়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

চলুন আবার ফিরে যাই চায়নার কল্পকথার দুনিয়ায়, মনে আছে বলেছিলাম কল্প কথায় আছে অনেক যানের কথা। এই সকল যানকে তৎকালীন সময়ে ডাকা হত "লৌহ ড্রাগন" নামে। আর শুধু যে এই যানের কথা উল্লেখ করা আছে তাই না এই সকল যানে করে যে মানুষ আকৃতির কেউ আসত তাদের কথাও উল্লেখ করা আছে। এদের নাম দেওয়া হয় "আকাশ মানুষ" অথবা "ঈশ্বরের পুরুষ"। আর এরাই এই লৌহ ড্রাগনে করে আসত পৃথিবীর বুকে।

আচ্ছা তাহলে কি আগুন ছোড়া ড্রাগনের উৎপত্তি এভাবেই হয়েছে? ঠিক ধরেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের ধারনা এভাবেই হয়েছে। যেহেতু বর্তমানে এলিয়েনেরা আর আগের মত এর বেশি আসে না, তার মানে ধরে নেওয়া যায় যে কোন এক সময় মানব জাতীর সাথে তাদের কোন এক দ্বন্ধ হয়েছিল। আর সে সময় তারা তাদের যান দিয়ে মানুষের উপর হামলা চালায়। অর্থাৎ ড্রাগনের মুখ দিয়ে আগুন নিক্ষেপিত হয়, মানে আগুন না বলে বলতে পারেন লেজার রশ্মি। যার সংস্পর্শে আসা সব কিছুতেই আগুল লেগে যেত।

এবার বুঝলেন এই আগুন নিক্ষেপন কারি ড্রাগনের উৎপত্তি কিভাবে হল। তবে এটা ধারনা মাত্র। কেউ নিশ্চিত করে বা জোড় গলায় কেউ কিছু বলতে পারেনি।

ডর্পা পাথর
এবার আসি এই জিয়ানইয়ান পিরামিডের মধ্যে এবং আশেপাশে খুঁজে পাওয়া কিছু অদ্ভুদ জিনিষ সম্পর্কে।

জিয়ানইয়ান পিরামিডের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যত গুলি জিনিষ পাওয়া যায় তার মধ্যে সব থেকে বিস্ময় কর হচ্ছে এই "ডর্পা পাথর"। এই পাথরের গায়ে ছবি একে বেশ কয়েকটি লাইন লেখা আছে। একটি ডর্পা পাথরের এই ছবি গুলির ভাষান্তর করে Dr. Tsum Um Nui।

ডর্পা পাথরে লেখা, "The Dropas came down from the clouds in their aircraft. The men, women and children of the neighboring peoples (Ham) hid in the caves ten times before sunrise. When at last they understood the sign language of the Dropas, they realized that the newcomers had peaceful intentions..."

এই পাথর গুলির বয়স জানেন কত? ১২,০০০ বছরের বেশি।

এই পাথর গুলি প্রথম আবিস্কার করেন Chi Pu Tei, যার নেতৃত্বে ১৯৩৮ সালে প্রথম বারের মত চায়নার Baian Kara Ula পাহাড়ি অঞ্চলের ভীনগ্রহবাসীদের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হয়। তাদের এই জড়িপ চালানোর সময় তারা এই এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ি জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেন আর এ সময় তারা বিভিন্ন গুহার মধ্যে তারা ভিবিন্ন ধরনের চিত্রলিপি আবিস্কার করেন। অবাক করার বিষয় হচ্ছে এ গুলি হুবাহু আমাদের সৌরজগতের ছবি। বলে রাখি, সালটা কিন্তু ১৯৩৮ সাল আর সে এলাকায় জড়িপ চালাচ্ছিলেন সেটি ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম্য অঞ্চল। আর তখন সৌরজগত সম্পর্কে যে সচারাচর কেউ জানতনা বললেই চলে।

ডর্পা পাথর
শুধু এই সৌর জগতের ছবি পাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না তাদের আবিস্কার। এই গুহার মধ্যে হঠাত নজর কারে একটি পাথরের টুকরা। উঠিয়ে দেখেন যে এই পাথরের মধ্যে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন ছবি। এরপর Chi Pu Tei সকলকে নির্দেশ দেন গুহাটি ভাল মত খোঁজার জন্য। নিরাশ হতে হয়নি তাকে, একে একে খুঁজে পেলেন ৭১৩টি পাথরের টুকরা। এর মধ্যে কয়েকটি দেখতে প্রাক ঐতিহাসিক যুগের মত, কয়েকটি অক্ষত আবার কয়েকটি ভেংগে টুকরা হয়ে গেছে।


পরবর্তীতে এই পাথর গুলি আরো ভালমত পর্যবেক্ষন করে পাওয়া গেল চিত্রলিপিতে বর্ণমালা। হয়ত এই ডিস্ক গুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে আরো অনেক অজানা তথ্য। তবে সে সব সম্পর্কে কাউকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সব জানানো হয়নি।

ডর্পা পাথর
যদিও এই পাথর গুলিতে নানা অজানা ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা। কিন্তু এতে যে ভাষায় লেখা হয়েছে তা কেউ পড়তে না পারায় এর গুরুত্ব অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। এ কারনে অযত্নে এগুলিকে সংগ্রহ করে রাখা হয় মিউজিয়ামে। কিন্তু Dr. Tsum Um Nui প্রথম বার কর্তিপক্ষকে এর গুরূত্ব বোঝাতে সক্ষম হন এবং প্রতিটি পাথরের উপর আঁকা ছবি নিজের গবেষনার জন্য প্রতিলিপি বানাতে সক্ষম হন।

এখন প্রশ্ন একটাই আর তা হল এই পাথর গুলি আসল কি ভাবে? ধারনা করা হয় এলিয়েনরা যখন পৃথিবী ভ্রমনে এসেছিল তখন তাদের যানের কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে তাদের যানটি ভূপাতিত হয়। এর ফলে বেঁচে যাওয়া এলিয়েনরা আশ্রয় নেয় হিমালয়ের Baian Kara Ula পাহাড়ের এই গুহায়। আর এসময় তারা ছোট ছোট পাথরে নিজেদের বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে আর সাথে তারা গুহার দেওয়ালে সৌর জগতের ছবিটি বানায়। এর থেকে গ্রহন যোগ্য ব্যাখ্যা আর দাড় করানো সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে।

এছাড়াও ঐ অঞ্চলের ইতিহাস ঘাটলে এমন সময়ের কথা উল্লেখ করা আছে যখন গ্রামের সকলে মিলে আকাশ থেকে আসা শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তাহলে কি সেই যুদ্ধেই মারা হয়েছিল বিধ্বস্ত উড়োজানের সকল এলিয়েনকে?

Dr. Tsum Um Nui মিউজিয়ামের সব ডর্পা পাথরের যে প্রতিলিপি বানিয়েছিলেন তিনি সেগুলির উপর গবেষনা করা শুরু করে দেন। আর তার মতে এগুলির সব গুলির ভাষান্তর তিনি বানাতে সক্ষম হন। সব নথিপত্র তিনি জমা দেন Chinese Academy of Prehistory। কিন্তু Chinese Academy of Prehistory এই তথ্য গুলি প্রকাশ করতে অপারগতা জানায়। আর Dr. Tsum Um Nui কে জানানো হয় এগুলির জন্য বিশ্ব এখন পর্যন্ত প্রস্তুত না। আর তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধান মাও এর নির্দেশে এটি নিয়ে ভবিষ্যত গবেষনা বন্ধো রাখতে বাধ্য করা হয় আর Dr. Tsum Um Nui কে কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় যেন দেশের বাইরে কারো সাথে এ নিয়ে কোন আলোচনা না করে।

কিন্তু Dr. Tsum Um Nui তার কয়েকজন ভাল বন্ধু আর সহ গবেষকদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেন, আর তাদের কারো একজনের মাধ্যমেই আজ সকলে জানতে পেরেছে এই ডর্পা পাথরের অস্তিত্বের কথা।

২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে, বিশ্ব দরবারে প্রথম বারের মত এই ডর্পা পাথরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় লস এঞ্জেলেসের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান। তারা এই ডর্পা পাথর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করে।

তথ্য গুলিঃ
  • “Russian archaeologists are puzzling over a remarkable collection of stone discs, thousands of years old, found in the mountains bordering China and Tibet. So hard is it to explain them in terms of earthly experience that the archaeologists do not rule out the possibility that the discs may have come from outer space.
  • “A total of 716 discs, like Stone Age ‘gramophone records’ have been picked up in recent years by men exploring caves in the Bayan-Kara-Ula mountain range, reports the Soviet Union’s new English language magazine, Sputnik.
  • “Each disc has a central hole and irregular grooves spiraling out to the edge, but the report says (quite seriously) that the groves are not sound tracks. It is thought that they are some form of ancient writing, but scientists have so far failed to decipher them.
  • “Chinese archaeologists estimate that the discs are about 12,000 years old, but have made no headway at all in trying to explain their purpose or how they came to be in the caves.
  • “The Russians, who have examined some of the discs in a Moscow laboratory, claim to have made two important discoveries. One is that the discs contain certain traces of metal, particularly cobalt.
  • “The second discovery, according to Vyacheslav Zaitsev, author of the Sputnik report, is that the discs when scraped free of rock particles ‘vibrate as if they carried an electric charge…’
  • “Zaitsev, who has spent 30 years collecting evidence that intelligent beings from outer space have had contact with the earth, believes that the discs may give substance to ancient Chinese legends of ‘small, gaunt, yellow faced men who came down from the clouds’ many centuries ago.
  • “‘In some of the Bayan-Kara-Ula caves,’ he writes, ‘archaeologists and spelaeologists have found 12,000 year old vestiges of graves and skeletons. The remains belong to human beings with huge craniums and underdeveloped skeletons.’
  • “‘The Chinese expeditions which discovered the burial grounds reported that they had found an extinct species of ape,’ adds Zaitsev. ‘But so far as is known apes do not bury each other in graves or write hieroglyphic symbols on stone discs.’”
উপরের তথ্য থেকে আন্দাজ করতে পারছেন যে এই গবেষনার মধ্যে রাশিয়াও ঢুকে পরেছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে চিন বা রাশিয়া কেউই কোন তথ্য দেয় নি।

আনুষ্টানিকে ভাবে কোন তথ্য না দিলেও রাশিয়ানদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যায় এই ডর্পা পাথর নিয়ে গবেষনার ২টা তথ্য ফাঁস হয়ে যায়,
  • এই ডিস্ক গুলির মধ্যেকার একটিতে কোবাল্ট পাওয়া গেছে।
  • এই ডিস্ককে যখন একটি নির্দিষ্ট গতীতে ঘোরানো হয়, তখন এক ধরনের শব্দ তৈরি করে।
বেশ রহস্যে ঘেরা এই পাথর গুলি। যদিও সব তথ্য প্রকাশ করা হয় নি, কিন্তু যতটুকু হয়েছে তা কি আর কম বিষ্ময়ের।


ডর্পা পাথর নিয়ে অনেক কথা হল এবার চলুন অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করা যাক। উপরে যে ছবিটি দেখছেন এটি আবিস্কার করা হয় ১৯৫৭ সালে। এটি প্রথম আবিস্কার করেন প্রফেসর Tsj'i Pen Lai। ১৯৫৭ সালে তার নেতৃত্বে পরিচালিত নৃতত্ববিদ বৈজ্ঞানিক অভিজানের সময় Toengt'ing লেকের মধ্যে অবস্থিত Jotuo দ্বীপে এই ছবিটি খুঁজে পান।

ছবিটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অতীতে চাইনিজ লোকদের সাথে এলিয়েনদের যোগাযোগ হয়েছিল, যদিও ছবিটিতে দেখা যায় মানুষ এলিয়েনদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।

ললাডপ ডিস্ক প্লেট
উপরে ডর্পা পাথরের ছবি গুলি দেখেছেন, এবার দেখুন ললাডপ ডিস্কের ছবি। এই ললাডপ ডিস্ক পাওয়া যায় নেপালে। এই ডিস্কের মধ্যখানে আছে সূর্য আর দেখেন মার্জিন বরাবর আছে একটি এলিয়েনের ছবি। এটি নিয়ে পরে বিস্তর আলোচনা করব।


এই ছবিটি আবার জাপানের। এখানে দেখা যাচ্ছে জাপানের এক ব্যাবসায়ি UFO এর সাথে ব্যাবসা করছে মানে কোন কিছু বিক্রি করছে।

এবার UFO এর উপরের লেখা খেয়াল করুন। একদম ডান দিকের লেখা কিন্তু জাপানি লেখা না। এখানে যে লেখা আছে তা কিন্তু ডর্পা পাথরের উপর লেখার সাথে হুবাহু মিলে যায়।

আজ আর না, জাপান নেপাল সহ আরো বহু দেশের অতীত ইতিহাসে রয়েছে এই এলিয়েনদের অস্তিত্বের প্রমান। তা নিয়ে না হয় অন্য আরেক দিন বিস্তর আলোচনা করা যাবে।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

৬টি মন্তব্য:

  1. ভাই আমার একটা প্রশ্ন যদি ufo স্ওিই থাকত না তাহলে পাথ কাটা হলো কী দিয়ে????

    উত্তরমুছুন
  2. ভাই যদি ufo সত্যিই থাকতো,,তাহলে তারা এখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে না কেন?তারা কি আমাদের দেকে ভয় পাচ্ছে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. তারা যে এখনও দেখা করে নাই... আপনি নিশ্চিত তো????

      মুছুন
  3. You write very nice..those stone are made by Aliens..When the came to the earth ..they visit all over the earth.Suddenly their fuiled gas hydra was finished and they start making the pyramid and pipes..and staying long days on the hill..that times they write their activities and hope that would be a safe place...about 14000years earlier they was making the pipe and stone disks

    উত্তরমুছুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info