চীনের ঘরোয়া প্রযুক্তি (১ম পর্ব)

মানুষের মধ্যে আবিস্কারের নেশা না থাকলে পৃথিবী এতদিনে এক জায়গায় স্থবির হয়ে যেত। মানুষ সব সময় নিজের মেধা ও মননকে নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষায় লিপ্ত হতে ভালোবাসে। এর থেকে বেরিয়ে আসে নতুন কিছু আবিস্কার, যা উৎসাহিত করে আরও কিছু মানুষকে সামনের দিকে এগোবার। বিস্তৃত পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে পৃথিবীর বড় বড় আবিস্কারগুলোর কথা আমরা সকলেই কম-বেশী জানি। কিন্তু রনরবে নির্ভতে সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রযুক্তিতে এই আবিস্কারগুলো যখন সম্পন্ন হয় তখন সেগুলো আমাদের কাছে চমকের মতো লাগে বৈকি। চলুন পরিচিত হই চীনের এই ধরনের কিছু ইউনিক আবিস্কারের সাথে।


০১) নিজের তৈরী রোবটের সাহায্যে রিকশা টানছেন কৃষক উলু। ১৯৮৬ সাল থেকে রোবট তৈরী করতে শুরু করেন। এটি তার সবচেয়ে বড় এবং কার্যকর রোবট।


০২) এই বল কন্টেইনারটির আবিস্কারক ইয়াং জংযো। মাত্র দুই বছরে তিনি এটি তৈরী করেন। এর ধারণক্ষমতা ৬ টন।


০৩) নিজের তৈরী মোটর সাইকেল ড্রাইভ করছেন ৩০ বছর বয়সী আবুলাজন। ১৩০০ মার্কিন ডলার ব্যয়ে মাত্র এক বছরে তিনি এটি তৈরী করেছেন। মোটর সাইকেলটির ওজন ০.৩ টন, দৈর্ঘ ৪.৩ মিটার এবং উচ্চতা ২.৪ মিটার। এটি ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম।


০৪) রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা চালিত নিজের তৈরী রোবট দেখছেন তাও জিয়াংলি। তিনি রোবটটির নাম দিয়েছেন কিং অব ইননোভেশন। এক বছরের কম সময়ে ৩৯,০৩৭ মার্কিন ডলার ব্যয়ে তিনি এটি তৈরী করতে সক্ষম হন। রোবটটির উচ্চতা ৬.৯ ফুট এবং ওজন ৪৮০ কেজি।


০৫) ঝেং উই তার নিজের তৈরী সাব মেরিনে বসে আছেন।


০৬) জাও হেনজি ২০১০ সালে এই হেলিকপ্টারটি তৈরী করেন। মাত্র এক মাসের কিছু বেশী সময়ে এক বন্ধুর সহযোগীতায় তিনি এ কাজটি করতে সক্ষম হন। হেলিকপ্টারটি লম্বায় ৬ মিটার, ওজন ৩৬০ কেজি।


০৭) এটি একটি সিঙ্গেল সীটার সাবমেরিন। এটির ডিজাইন করেছেন ঝেং উই ২০১২ সালে।


০৮) লিও ওয়ানইয়ং তার নিজের তৈরী বাইসাইকেলে পারফরম করছেন। ২০১৩ সালে তিনি এটি তৈরী করেছেন।


০৯) ৫৮ বছর বয়সী কৃষক লী জিংচান এই এয়ারক্রাফটি তৈরী করেছেন ২০১২ সালে। মিটার লম্বা ও ১.৫ মিটার প্রশস্ত। এটি তৈরীতে খরচ হয়েছে ৬৩৪৯ মার্কিন ডলার।


১০) সু মানশেং এই ফ্লায়িং ডিভাইসটি তৈরী করেছেন ২০১১ সালে। ৩১৩৫ মার্কিন ডলার ব্যয়ে তৈরী এটি তার পঞ্চম মডেল। ডিভাইসটি ৮টি মটর সাইকেলের ইঞ্জিনের ক্ষমতাসম্পন্ন।


১১) এটি একটি ইউনিসাইকেল। লী ইয়ংলী এটি তৈরী করেন ২০০৪ সালে।

লেখকঃ সুফিয়া।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info