আমাদের এই পৃথিবীতে কত রকমের প্রানী আছে। কত আমরা জেনেছি আর এখনও না জানি কত আমাদের অজানা রয়েছে। আল্লাহর সৃষ্টি এই প্রানী জগত সম্পূর্নটা জানতে না জানি আমাদের কত দিন লাগবে। যা হোক এত ভারী ভারী কথা চিন্তা না করে চলুন আজ জেনে আসি নতুন এক পরজীবি সম্পর্কে যে সম্পর্কে মানুষ খুব বেশি কিছু এখনও জানে না।
আচ্ছা মূল কথায় যাবার আগে আপনাদের একটা গল্প বলি কি বলেন তাহলে ভালই জমবে। তাহলে ধরে নিন আপনি সমুদ্রের হরেক রঙ্গে আঁকা সুন্দর এক মাছ। নীল সমুদ্রের গভির জলে আপনার বসবাস। সারা দিন সমুদ্রে সাতার কেটে আপনার বসবাস। বেশ সুখেই আছেন। এর মধ্যে আপনার উপর এক অজ্ঞাত প্রানী আক্রমন করল। যে আপনার ফুলকার ছিদ্র দিয়ে ঢুকে চলে গেল আপনার মুখের মধ্যে। তারপর নিজের ধারালো পা দিয়ে নিজেকে গেথে নিল আপনার জিব্বার সাথে। সে তার ধারালো পা দিয়ে একে একে ছিন্ন করে দিল আপনার জিব্বার রক্তো পরিবহন ব্যাবস্থা। ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে আপনার জিব্বার মৃত্যু ঘটল আর সেই জীবটি হয়ে উঠল আপনার জিব্বার পরিপূরক ব্যাবস্থা। সে কাজ করল আপনার জিব্বার বিপরিতে খাবার গ্রহন করল আপনার শরীর থেকে।
আচ্ছা মূল কথায় যাবার আগে আপনাদের একটা গল্প বলি কি বলেন তাহলে ভালই জমবে। তাহলে ধরে নিন আপনি সমুদ্রের হরেক রঙ্গে আঁকা সুন্দর এক মাছ। নীল সমুদ্রের গভির জলে আপনার বসবাস। সারা দিন সমুদ্রে সাতার কেটে আপনার বসবাস। বেশ সুখেই আছেন। এর মধ্যে আপনার উপর এক অজ্ঞাত প্রানী আক্রমন করল। যে আপনার ফুলকার ছিদ্র দিয়ে ঢুকে চলে গেল আপনার মুখের মধ্যে। তারপর নিজের ধারালো পা দিয়ে নিজেকে গেথে নিল আপনার জিব্বার সাথে। সে তার ধারালো পা দিয়ে একে একে ছিন্ন করে দিল আপনার জিব্বার রক্তো পরিবহন ব্যাবস্থা। ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে আপনার জিব্বার মৃত্যু ঘটল আর সেই জীবটি হয়ে উঠল আপনার জিব্বার পরিপূরক ব্যাবস্থা। সে কাজ করল আপনার জিব্বার বিপরিতে খাবার গ্রহন করল আপনার শরীর থেকে।
কি গল্পোটা শুনে কি গায়ে কাঁটা দিল? আপনাদের কি হয়েছে জানি না তবে আমার কিন্তু ঠিকই গায়ে কাঁটা দিয়েছে। আর হ্যাঁ আজ এই রকম ভাবে বেঁচে থাকা আর সদ্য আবিস্কৃত এক জীবের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব। তাহলে চলুন এবার মূল লেখা শুরু করা যাক।
Cymothoa exigua অথবা Tongue Eating Louse নামে পরিচিত এই পরজীবিরা Cymothoidae গোত্রের অন্তরভূক্ত। আর উপরে গল্পেতো আপনাদের বলেছি কি ভাবে এর মাছের জিব্বা কে সরিয়ে দিয়ে নিজেরা জিব্বার জায়গা দখল করে নেয়। এই পরজীবির স্ত্রী প্রজাতি গুলি মাছের জিব্বার সামনে দিকে লেগে থাকে আর পুরুষ গুলি ঠিক স্ত্রী পরজীব গুলির পিছন দিকে লেগে থাকে। স্ত্রী পরজীবি গুলি লম্বার সর্বোচ্চ ৮-২৯ মিমি লম্বা এবং চওড়ায় ৪-১৪ মিমি হয়ে থাকে আর পুরুষ পরজীবি গুলি ৭.৫-১৫ মিমি লম্বা এবং ৩-৭ মিমি চওড়া হয়ে থাকে।
এই পরজীব গুলির সব থেকে মজার দিক হচ্ছে মাছ এদের কে ঠিক নিজেদের জিব্বার মত ব্যাবহার করতে পারে। মানে এই Cymothoa exigua শুধু মাত্র মাছের জীবের জায়গা দখল করে নেয়। এছাড়া আর কোন ক্ষতি করে না। Cymothoa exigua বেঁচে থাকে মাছের রক্তের উপর। তবে তা এমন নয় যে মাছের জন্য তা মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়াতে পারে। মাছ তার জীবন কাল পাড়ি দিতে পারে এই পরজীবিকে তার মূখের ভিতরে রেখে।
Cymothoa exigua নামক এই পরজীবটি বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে বিস্তার লাভ করেছে। প্রথম দিকে এটি পাওয়া যেত ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র অঞ্চল থেকে ইকুয়েডরের সমুদ্র অঞ্চলের মধ্যে। কিন্তু মাছেরা যেমন সারা সমুদ্র ঘুরে বেড়ায় সাথে এই পরজীবি গুলিও ঘুরে বেড়ায়। আর এভাবেই সমগ্র সমুদ্র জুড়ে এদের বিস্তার লাভ ঘটছে বলে ধারনা করা হয়।
এই পরজীব গুলির জীবন চক্র সম্পর্কে খুব বেশী ধারনা পাওয়া যায় না। এরা যৌন মিলনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। ধরনা করা হয় এদের বাচ্চারা প্রথমে মাছের ফুলকার সাথে লেগে থাকে। আর এখানেই তারা বড় হয়ে ওঠে এবং যৌন মিলন ঘটায়। প্রথম দিকে এই বাচ্চারা সবাই পুরষ থাকে কিন্তু কিছু কিছু পুরুষ পরবর্তিতে স্ত্রীতে পরিনত হয়। আবার এমন হয় যে মাছের ফুলকার মধ্যে থাকা বাচ্চদের মধ্যে একটিও স্ত্রী নেই বরং দু'টি পুরুষ তাহলে যে কোন একটি পুরষ স্ত্রীতে পরিনত হয় এবং যৌন মিলন সম্পন্ন করে। এই পুরুষ থেকে স্ত্রীতে রূপান্তর হওয়ার আগে এর দৌহিক আকার বৃদ্ধি পায় এবং তা লম্বায় প্রায় ১০মিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটতে পারে তারপর এর লিংগের পরিবর্তন ঘটে। যৌন মিলন সম্পন্ন হলে স্ত্রীটি মাছের জিব্বার অগ্রভাবে অবস্থান গ্রহন করে।
এতক্ষনে নিশ্চই আপনার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, এগুলি তাহলে মানুষের জন্য কি ক্ষতিকর। ক্ষতিকর ততক্ষন না যতক্ষন এরা মৃত, কেননা জীবিতরা কামড় বসাতে দ্বিধা করে না। আর কেউ যদি এর দেহের কোন অংশ বা সম্পুর্নটুকু রান্না করে খেয়ে ফেলে তারপরেও কোন প্রকার ক্ষতি হবে না যদিও মাঝখানে একবার দাবি করা হয়েছিল এরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
এই বৃষ্টি বাদলের দিনে মাছের মুড়িঘন্টো খেতে ভালই লাগবে কি বলেন।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন