বিশ্বের সব থেকে দামি ১৬টি উপকরণ (শেষ পর্ব)

পূর্বের পর্বঃ বিশ্বের সব থেকে দামি ১৬টি উপকরণ (১ম পর্ব)

বিশ্বের সব থেকে দামি উপকরণের নাম কি? এই প্রশ্ন করার সাথে সাথেই নিশ্চয়ই ভাবছেন সোনা বা হীরা!! তাই না?? কিন্তু না; এগুলা মোটেও বিশ্বের সব থেকে দামি উপকরণ নয়। বরং এর থেকেও দামি উপকরণ আছে এই পৃথিবীর বুকে। আর আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব সেই সব উপকরণ গুলির সাথে। তবে পরিচয় করাব সব থেকে দামি ১৬টি উপকরণের সাথে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


০৮) LSD: ৩,০০০ মার্কিন ডলার প্রতি গ্রামঃ
এটি মূলত চিত্তপ্রভাবকারী চেতনানাশক পদার্থ যা খুবই দামি। সেমি-সিন্থেটিক এই ড্রাগটি তৈরি করতে নানা ধরনের প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাওয়া লাগে উৎপাদনকারীকে। আর এই কারনেই এর দাম এত বেশি।


০৭) প্লুটোনিয়ামঃ ৪,০০০ মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
রূপার মত রঙয়ের, বেশ ভঙ্গুর তেজস্ক্রিয় প্রদার্থ এটি। এর ব্যবহার নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিদ্যুৎ তৈরিতেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে।


০৬) পেইনাইটঃ ৯,০০০ মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
এই পাথর এতটাই বিরল যে, এর অস্তিত্ব যে আছে তা জানত গুটি কয়েক লোক মাত্র। আর এখনতো আপনারা সকলেই জেনে গেলেন। এর রঙ কমলা রঙ্গের বা লালচে বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে। এইত মাত্র ৬৫ বছর আগে এর আবিষ্কার হয়। বর্তমান বিশ্বে কয়েক শত টুকরা রয়েছে এই পাথরটির।


০৫) ট্যারাফেইটঃ ২০,০০০ মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
দামি এই পাথর পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি রঙ্গে। বেগুনি, গোলাপী, লাল বা সাদা রঙ্গে পাওয়া যায় এই পাথর গুলি। এই পাথর গুলির এত দামি হবার মুল কারন এই বিরলত্ব। হীরা থেকে প্রায় কোটি গুন কম পাওয়া যায় এই পাথর গুলি। যদিও এই পাথর গুলির দাম অনেক বেশি কিন্তু অলঙ্কার হিসেবে এর কোন ব্যবহার নেই বললেই চলে। হয়ত এই কারনেই এই পাথরের দাম তুলনামূলক অনেক কম।


০৪) ত্রিটিয়ামঃ ৩০,০০০ মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
বিভিন্ন রঙের আলোর লাইট তৈরিতে এর ব্যবহার করা হয়ে। এক পাউন্ড পরিমান ত্রিটিয়াম তৈরিতে খরচ পরে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


০৩) হীরাঃ ৫৫,০০০ মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
এই নিয়ে আর কি বলব। মেয়েদের সব থেকে প্রিয় জিনিষ এই হীরা।


০২) ক্যালিফর্নিয়ামঃ ২৫-২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
বিশ্বের সব থেকে দামি রাসায়নিক পদার্থ এটি। ১৯৫০ সালে আবিস্কারের পরে, মাত্র একবার এটি তৈরি করা হয়েছে।


০১) এন্টিম্যাটারঃ ৬২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিগ্রামঃ
এর থেকে দামি আর কিছু কি আছে? না নেই। এক মিলিগ্রাম তৈরিতে খরচ পরে ২৫ মার্কিন ডলার। অনেকের বিশ্বাস এই এন্টিম্যাটার ভবিষ্যতে মহাকাশ যানের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু বর্তমানে তৈরি করার খরচ এত বেশি যে একে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা অনেকটা অসম্ভব। তাই কম খরচে এর উৎপাদন না করা পর্যন্ত একে আর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info