বর্তমান সময়ে ত্রিমাতৃক প্রিন্ট পদ্ধতির বেশ উন্নতি ঘটেছে। ছোট খাট খেলনার জিনিষ থেকে শুরু করে নানাবিধ জিনিষ বর্তমানে নিমিষেই প্রিন্ট করা সম্ভব এই ত্রিমাতৃক প্রিন্টার দিয়ে। আর বিশেষজ্ঞরা যে এর উন্নতি সাধনে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে তার প্রমাণ 'Blade' (ব্লেড) নামেই এই সুপারকারটি। এই গাড়িটি সম্পূর্নটাই তৈরি করা হয়েছে ত্রিমাতৃক প্রিন্টারের মাধ্যমে। আর এটি যে ১০০% পরিবেশ বান্ধব আর এই পদ্ধতিতে গাড়ি তৈরির যে উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


আমেরিকার ক্যালিফোনিয়ায় অবস্থিত 'Divergent Microfactories' কোম্পানি তৈরি করেছে এই গাড়িটি। এই গাড়ি তৈরির জন্য যে ত্রিমাতৃক প্রিন্টিং প্রযুক্তি প্রয়োজন তা উদ্ভাবন করেছেন এই কোম্পানিটি। আর এই প্রযুক্তি তৈরির একটি মাত্র উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি, আর তা হল পরিবেশ বান্ধব বাহন তৈরি। আসলে পরিবেশ বান্ধব শুধু যানবাহনই নয় বরং যান্ত্রিকবাহন তৈরিকে পরিবেশ বান্ধব করাটাই এদের মূল লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যকে পূরণ করার উদ্দেশ্যেই তারা তৈরি করছে ব্লেড নামের এই সুপারকারটি। আর তাদের এই প্রযুক্তি দিয়ে যে কোন ডিজাইনের যে কোন গাড়ি পরিবেশবান্ধব উপায়েই তৈরি করা সম্ভব।
গাড়িটি দেখতে যতই মারাত্মক হোক না কেন, এটির ওজনে কিন্তু বেশ হালকা। এই ধরেন ছোটখাট একটা গাড়ির সমান। কিন্তু এর দেহ গঠন কিন্তু বেশ শক্তপোক্ত। এই গাড়িতে আছে ৭০০ অর্শ্ব শক্তির ইঞ্জিন। যার জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায় পেট্রল অথবা সিএনজি। আর এই গাড়িটি ০-৬০ মাইল প্রতি ঘন্টায় যেতে সময় নেয় মাত্র ২ সেকেন্ড।
এবার চলুন তাহলে 'ব্লেড' নামের এই সুপারকারটির আরো কিছু ছবি দেখে নেই,
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন