ঘোর বর্ষায় শহর ছাড়িয়ে একটু গ্রামের দিকে গেলেই কিন্তু ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ ডাক শোনাটা খুব বেশি অস্বাভাবিক নয়। বরং না শোনাটাই অস্বাভাবিক। ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে সেই ডাকের উৎসের পিছু হয়তো অনেকেই নিয়েছেন। বর্ষকালে কোলা ব্যাঙের এই ডাক না থাকলে কেমন যেনো পানসে পানসেই লাগে! বৃষ্টির থেমে যাওয়ার পর এই শব্দ আমাদের মনে এক নতুন শিহরণ দিয়ে যায়। তবে এই ডাকটা আসলে শোনা যায় বছরে একটা ঋতুতেই। কুনো ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ এগুলো তো হরহামেশাই দেখা যায়। আর বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে গেলে তো কুনো ব্যাঙ নিয়ে ডিসেকশন টেবিলে এর ব্যবচ্ছেদ না করলে নম্বরই মিলে না। আপাত দৃষ্টিতে ব্যাঙ খুব নিরীহ প্রাণী। ‘করে নাকো ফোসফাস মারে নাকো ঢুসঢাস’ প্রকৃতির। এটা কিন্তু আমাদের ভাগ্যই বলতে হবে। কারণ কিছু কিছু দেশে এই ব্যাঙই আবার ভয়ানক বিষধর প্রাণী। সিনেমায় দেখা রেড ইন্ডিয়ানদের বিষ মাখানো তীরের বিষও আসলে এক প্রজাতির ব্যাঙেরই শরীর থেকেই নেয়া।
সত্যিই তাই। আমাদের দেশে পাওয়া না গেলেও দক্ষিণ এশিয়া, আমাজনের গহীন জঙ্গল, গুয়ানা আর দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই বিষধর প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায়, যাদের স্পর্শে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কারও। বিষধর ব্যাঙের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যই হলো এদের শরীরে থাকে উজ্জ্বল রঙ। রঙীন ব্যাঙ দেখলেই তাই বনের পশু পাখিরা সব সতর্ক হয়ে যায়।
আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের নিয়ে সিনেমায় হয়তো অনেকেই দেখেছেন, তারা বাঁশের মতো চিকন পাইপে ফুঁ দিয়ে তীর ছুঁড়ে শিকার করে। এই পাইপকে বলে ‘ব্লো পাইপ বা ব্লো গান’ আর তীরটাকে বলে ‘ডার্ট’। তাদের এই তীরের ডগায় বিষ মাখানো থাকে। আর এই বিষ আসে বিষধর ব্যাঙের পিঠ থেকে। তার জন্যে ব্যাঙ মারতেও হয় না। কেবল সেই বিষধর ব্যাঙের পিঠে ডার্টের মাথাটা ঘষে নিলেই হয়। সেই থেকে এই ব্যাঙগুলোর নাম হয়ে গেলো Poison Dart Frog/Poison Arrow Frog। ১৭৫ প্রজাতির বিষধর ব্যাঙ রয়েছে পৃথিবীতে। চলেন, এর মাঝে কয়েকটি ব্যাঙের সঙ্গে পরিচিত হয়ে আসি।
সত্যিই তাই। আমাদের দেশে পাওয়া না গেলেও দক্ষিণ এশিয়া, আমাজনের গহীন জঙ্গল, গুয়ানা আর দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই বিষধর প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায়, যাদের স্পর্শে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কারও। বিষধর ব্যাঙের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যই হলো এদের শরীরে থাকে উজ্জ্বল রঙ। রঙীন ব্যাঙ দেখলেই তাই বনের পশু পাখিরা সব সতর্ক হয়ে যায়।
আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের নিয়ে সিনেমায় হয়তো অনেকেই দেখেছেন, তারা বাঁশের মতো চিকন পাইপে ফুঁ দিয়ে তীর ছুঁড়ে শিকার করে। এই পাইপকে বলে ‘ব্লো পাইপ বা ব্লো গান’ আর তীরটাকে বলে ‘ডার্ট’। তাদের এই তীরের ডগায় বিষ মাখানো থাকে। আর এই বিষ আসে বিষধর ব্যাঙের পিঠ থেকে। তার জন্যে ব্যাঙ মারতেও হয় না। কেবল সেই বিষধর ব্যাঙের পিঠে ডার্টের মাথাটা ঘষে নিলেই হয়। সেই থেকে এই ব্যাঙগুলোর নাম হয়ে গেলো Poison Dart Frog/Poison Arrow Frog। ১৭৫ প্রজাতির বিষধর ব্যাঙ রয়েছে পৃথিবীতে। চলেন, এর মাঝে কয়েকটি ব্যাঙের সঙ্গে পরিচিত হয়ে আসি।
সোনা রঙা ব্যাঙ (Golden poison frog):
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর ব্যাঙের মধ্যে প্রথম স্থানটি অধিকার করে আছে এ সোনা রঙা ব্যাঙ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে কলম্বিয়ার রেইন ফরেস্টে এদের দেখা মেলে। প্রচুর বৃষ্টিপাত আর মাঝারি তাপমাত্রা এদের বসবাসের জন্যে উপযুক্ত। Golden poison frog প্রজাতির এই ব্যাঙগুলো লম্বায় ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয় না। বুঝতেই পারছেন, সে একদমই ছোট্ট দেখতে। কিন্তু দেখতে ছোট হলে কি হবে! নিজের শরীরের চেয়েও অনেকগুণ বেশি পরিমাণ খাবার এরা খেতে পারে! এজন্যই বোধহয় এদের আরেক নাম হলো খাদক ব্যাঙ।
শরীরের সোনালী চামড়াই এদের বিষের ভান্ডার। এদের বিষ এতোটাই শক্তিশালী যে, এর ১ মিলিগ্রাম ১০,০০০ ইঁদুর কিংবা ১০ থেকে ২০ জন মানুষ মেরে ফেলতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? একটা সত্য ঘটনা বলি। একবার এক টুকরো ছোট্ট কাপড়ের উপর দিয়ে এই ব্যাঙ হেঁটে গিয়েছিলো, তো একটু পরে সেই কাপড়ের টুকরোটির উপর দিয়ে একটি কুকুর ও আর মুরগীও তার পিছন পিছন হেঁটে গেলো। কিছুক্ষণ পরই কুকুর আর মুরগি, দুটোই মারা গিয়েছিলো। এমনই শক্তিশালী এর বিষ! পিঠের সামান্য স্পর্শেই মৃত্যু ঘটতে পারে যে কারও।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর ব্যাঙের মধ্যে প্রথম স্থানটি অধিকার করে আছে এ সোনা রঙা ব্যাঙ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে কলম্বিয়ার রেইন ফরেস্টে এদের দেখা মেলে। প্রচুর বৃষ্টিপাত আর মাঝারি তাপমাত্রা এদের বসবাসের জন্যে উপযুক্ত। Golden poison frog প্রজাতির এই ব্যাঙগুলো লম্বায় ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয় না। বুঝতেই পারছেন, সে একদমই ছোট্ট দেখতে। কিন্তু দেখতে ছোট হলে কি হবে! নিজের শরীরের চেয়েও অনেকগুণ বেশি পরিমাণ খাবার এরা খেতে পারে! এজন্যই বোধহয় এদের আরেক নাম হলো খাদক ব্যাঙ।
শরীরের সোনালী চামড়াই এদের বিষের ভান্ডার। এদের বিষ এতোটাই শক্তিশালী যে, এর ১ মিলিগ্রাম ১০,০০০ ইঁদুর কিংবা ১০ থেকে ২০ জন মানুষ মেরে ফেলতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? একটা সত্য ঘটনা বলি। একবার এক টুকরো ছোট্ট কাপড়ের উপর দিয়ে এই ব্যাঙ হেঁটে গিয়েছিলো, তো একটু পরে সেই কাপড়ের টুকরোটির উপর দিয়ে একটি কুকুর ও আর মুরগীও তার পিছন পিছন হেঁটে গেলো। কিছুক্ষণ পরই কুকুর আর মুরগি, দুটোই মারা গিয়েছিলো। এমনই শক্তিশালী এর বিষ! পিঠের সামান্য স্পর্শেই মৃত্যু ঘটতে পারে যে কারও।
কালো পেয়ে ব্যাঙ (Black legged dart frog):
বিষাক্ত ব্যাঙদের মাঝে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে এই কালো পেয়ে ব্যাঙেরা। এই ব্যাঙের দেহে দুটি রঙ থাকে। উত্তর কলম্বিয়ার সান জুয়ান নদীর কাছের নিচু জমিতেই এদের বেশি দেখা যায়। এলাকার নাম ‘চকো’। এখানকার চকো ইন্ডিয়ানরা ব্লো পাইপের তীরের মাথায় এই ব্যাঙের বিষ মাখিয়েই শিকার করে। তারা ব্যাঙটির নাম দিয়েছে ‘নিয়ারি’। এর ১৫০ মাইক্রোগ্রাম বিষ একজন সুস্থ সবল মানুষকে এক নিমিষেই মেরে ফেলতে পারে।
বিষাক্ত ব্যাঙদের মাঝে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে এই কালো পেয়ে ব্যাঙেরা। এই ব্যাঙের দেহে দুটি রঙ থাকে। উত্তর কলম্বিয়ার সান জুয়ান নদীর কাছের নিচু জমিতেই এদের বেশি দেখা যায়। এলাকার নাম ‘চকো’। এখানকার চকো ইন্ডিয়ানরা ব্লো পাইপের তীরের মাথায় এই ব্যাঙের বিষ মাখিয়েই শিকার করে। তারা ব্যাঙটির নাম দিয়েছে ‘নিয়ারি’। এর ১৫০ মাইক্রোগ্রাম বিষ একজন সুস্থ সবল মানুষকে এক নিমিষেই মেরে ফেলতে পারে।
রংধনু ব্যাঙ (Dyeing dart frog):
বিষাক্ত ব্যাঙদের মাঝে দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে বড় Dyeing dart frog, প্রায় ২ ইঞ্চি। গুয়ানা, সুরিনাম, ব্রাজিল, ফ্রেঞ্চ গুয়ানায় এদের বসবাস। পাহাড়ী অঞ্চলে এদের কখনই দেখতে পাওয়া যায় না। এসব অঞ্চলের আদিবাসীরা বাচ্চা টিয়া পাখির গায়ে Dyeing dart frog এর চামড়া ঘষে দেয় যাতে তার নানা রঙের পালক গজায়।
বিষাক্ত ব্যাঙদের মাঝে দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে বড় Dyeing dart frog, প্রায় ২ ইঞ্চি। গুয়ানা, সুরিনাম, ব্রাজিল, ফ্রেঞ্চ গুয়ানায় এদের বসবাস। পাহাড়ী অঞ্চলে এদের কখনই দেখতে পাওয়া যায় না। এসব অঞ্চলের আদিবাসীরা বাচ্চা টিয়া পাখির গায়ে Dyeing dart frog এর চামড়া ঘষে দেয় যাতে তার নানা রঙের পালক গজায়।
হলুদ ডুরে ব্যাঙ (Yellow banded poison dart frog):
দক্ষিণ আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, গুয়ানা, ব্রাজিল, পূর্ব কলম্বিয়ার কিছু এলাকায় এই ব্যাঙ দেখা যায়। হলুদের মাঝে কালো ডুরে চেহারার এই ব্যাঙগুলো বৃষ্টিবহুল এলাকায় বেশি দেখা যায়। ব্যাঙ সাধারণত পুরো শীতকালটা ঘুমিয়ে কাটালেও Yellow banded poison dart frog ই একমাত্র, যারা গ্রীষ্মকালে গ্রীষ্মনিদ্রা দেয়।
দক্ষিণ আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, গুয়ানা, ব্রাজিল, পূর্ব কলম্বিয়ার কিছু এলাকায় এই ব্যাঙ দেখা যায়। হলুদের মাঝে কালো ডুরে চেহারার এই ব্যাঙগুলো বৃষ্টিবহুল এলাকায় বেশি দেখা যায়। ব্যাঙ সাধারণত পুরো শীতকালটা ঘুমিয়ে কাটালেও Yellow banded poison dart frog ই একমাত্র, যারা গ্রীষ্মকালে গ্রীষ্মনিদ্রা দেয়।
নীলাম্বরী ব্যাঙ (Blue poison arrow frog):
৩-৪ সেমি দৈর্ঘ্যের, নীলের মাঝে কালো ফোঁটা দেয়া এই ব্যাঙগুলো ব্রাজিলের সবখানেই দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় ইন্ডিয়ানরা এর নাম দিয়েছে Okopipi। এই ব্যাঙের রঙ ছাড়াও আর যে জিনিসটি সহজেই চোখে পড়ে, সেটি হলো কুঁজ। এক মাত্র Blue poison arrow frog এরই কুঁজ থাকে। আর সব বিষধর ব্যাঙের মতোই এরও খাদ্যাভাস একই। পিঁপড়া, মাকড়সা, শুঁয়োপোকা এসবই এর খাদ্য।
৩-৪ সেমি দৈর্ঘ্যের, নীলের মাঝে কালো ফোঁটা দেয়া এই ব্যাঙগুলো ব্রাজিলের সবখানেই দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় ইন্ডিয়ানরা এর নাম দিয়েছে Okopipi। এই ব্যাঙের রঙ ছাড়াও আর যে জিনিসটি সহজেই চোখে পড়ে, সেটি হলো কুঁজ। এক মাত্র Blue poison arrow frog এরই কুঁজ থাকে। আর সব বিষধর ব্যাঙের মতোই এরও খাদ্যাভাস একই। পিঁপড়া, মাকড়সা, শুঁয়োপোকা এসবই এর খাদ্য।
করোবোরি ব্যাঙ (Corroboree frog):
এই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের Corroboree উৎসবের নামে। এই উৎসবে সবাই হলুদ কালো রঙ দিয়ে নিজেদের সাজাতো। করোবোরি ব্যাঙের শরীরের রঙও এরকমের হওয়ায় নামটাও হয়ে গেছে সেই উৎসবের নামেই। এদের কেবল অস্ট্রেলিয়াতেই খুঁজে পাওয়া যাবে। করোবোরি ব্যাঙের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো আর সব প্রজাতির বিষের উৎস খাবার হলেও, এটিই একমাত্র ব্যাঙ যে নিজের বিষ নিজের শরীরেই তৈরী করে। এরা উঁচুভূমিতে বাস করে। তাই সমুদ্র সীমার অন্তত পক্ষে ১৩০০ মিটার উপরেই কেবল তাদের দেখা যায়।
এই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয় আদিবাসীদের Corroboree উৎসবের নামে। এই উৎসবে সবাই হলুদ কালো রঙ দিয়ে নিজেদের সাজাতো। করোবোরি ব্যাঙের শরীরের রঙও এরকমের হওয়ায় নামটাও হয়ে গেছে সেই উৎসবের নামেই। এদের কেবল অস্ট্রেলিয়াতেই খুঁজে পাওয়া যাবে। করোবোরি ব্যাঙের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো আর সব প্রজাতির বিষের উৎস খাবার হলেও, এটিই একমাত্র ব্যাঙ যে নিজের বিষ নিজের শরীরেই তৈরী করে। এরা উঁচুভূমিতে বাস করে। তাই সমুদ্র সীমার অন্তত পক্ষে ১৩০০ মিটার উপরেই কেবল তাদের দেখা যায়।
স্ট্রবেরি ব্যাঙ (Strawberry poison dart frog):
নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা ও পানামার চারপাশে এই স্ট্রবেরি জাতীয় ব্যাঙের দেখা মেলে। স্ট্রবেরি ব্যাঙের পরিচিতির মূল কারণ হচ্ছে এর শরীরের রঙ। একটি প্রজাতিতেই ১৫-৩০ ধরনের রঙ থাকতে পারে। তবে স্ট্রবেরি রঙের প্রাধান্য বেশি বলেই এর নাম Strawberry poison dart frog ই রাখা হয়েছে।
নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা ও পানামার চারপাশে এই স্ট্রবেরি জাতীয় ব্যাঙের দেখা মেলে। স্ট্রবেরি ব্যাঙের পরিচিতির মূল কারণ হচ্ছে এর শরীরের রঙ। একটি প্রজাতিতেই ১৫-৩০ ধরনের রঙ থাকতে পারে। তবে স্ট্রবেরি রঙের প্রাধান্য বেশি বলেই এর নাম Strawberry poison dart frog ই রাখা হয়েছে।
কালো কানের ব্যাঙ (Black eared mantilla):
২৩ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ব্যাঙ শুধুমাত্র মাদাগাস্কারেই দেখা যায় । সারা বছর এদের দেখা না গেলেও নভেম্বর-ডিসেম্বরে তাদের কর্মচাঞ্চল্য ভালো করেই চোখে পড়ে। এদের গায়ের রঙ Strawberry poison dart frog এর মতো হলেও কানটা কালো হওয়ায় এর এমন নামকরণ। এরাও বিষের দিক থেকে কম যায় না কিন্তু।
২৩ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ব্যাঙ শুধুমাত্র মাদাগাস্কারেই দেখা যায় । সারা বছর এদের দেখা না গেলেও নভেম্বর-ডিসেম্বরে তাদের কর্মচাঞ্চল্য ভালো করেই চোখে পড়ে। এদের গায়ের রঙ Strawberry poison dart frog এর মতো হলেও কানটা কালো হওয়ায় এর এমন নামকরণ। এরাও বিষের দিক থেকে কম যায় না কিন্তু।
সবুজ ও কালো ব্যাঙ (Green and black poison dart frog):
নিকারাগুয়া, পানামা, কোস্টারিকায় এদের বসবাস। পানির কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করে এরা। ১.২৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই বিষধর ব্যাঙগুলো ৭-১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বাচ্চা ব্যাঙ বা ব্যাঙাচিদের নিকারাগুয়া, পানামা, কোস্টারিকার ছোটো ছোটো জলাশয়েই দেখা যায়। আর বড় হলেই তারা চলে যায় সব হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। সবুজ আর কালো রঙা এই ব্যাঙগুলোর দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি খুবই ভালো। সেজন্য মানুষের চোখেও এরা ধরা পড়ে কম। একটু নড়াচড়ার আভাস পেলেই বেমালুম গায়েব হয়ে যায় চোখের পলকে।
নিকারাগুয়া, পানামা, কোস্টারিকায় এদের বসবাস। পানির কাছাকাছি থাকতেই বেশি পছন্দ করে এরা। ১.২৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই বিষধর ব্যাঙগুলো ৭-১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বাচ্চা ব্যাঙ বা ব্যাঙাচিদের নিকারাগুয়া, পানামা, কোস্টারিকার ছোটো ছোটো জলাশয়েই দেখা যায়। আর বড় হলেই তারা চলে যায় সব হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। সবুজ আর কালো রঙা এই ব্যাঙগুলোর দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি খুবই ভালো। সেজন্য মানুষের চোখেও এরা ধরা পড়ে কম। একটু নড়াচড়ার আভাস পেলেই বেমালুম গায়েব হয়ে যায় চোখের পলকে।
বলিভিয়ান ব্যাঙ (Phantasmal poison frog):
গাঢ় বাদামী আর হলুদের চওড়া ডোরাকাটা এই ব্যাঙগুলো বলিভিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে দেখা যায়। এর বিষও যথেষ্ট শক্তিশালী। সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। কারণ বলিভিয়ান ব্যাঙের বিষ থেকে যে ব্যাথানিরোধক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে তা মরফিন থেকেও ২০০ গুণ বেশি কার্যকরী।
এই ব্যাঙগুলোর বাহারি রঙ রয়েছে, দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু এই সুন্দর রঙের আড়ালে তাদের রয়েছে ভয়ংকর রূপ। এদের যে কেউ তাদের একটি মাত্র স্পর্শের মাধ্যমে অনেক বড় বড় প্রাণীকে মেরে ফেলতে পারে চোখের নিমেষেই। আমাদের সৌভাগ্য যে তারা দয়া করে আমাদের দেশে একবারও ঘুরতে আসেনি! যদি আসতো, তাহলে কি হতো একবার ভেবে দেখেছেন!
লেখকঃ সাদীয়া কামাল।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
গাঢ় বাদামী আর হলুদের চওড়া ডোরাকাটা এই ব্যাঙগুলো বলিভিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে দেখা যায়। এর বিষও যথেষ্ট শক্তিশালী। সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। কারণ বলিভিয়ান ব্যাঙের বিষ থেকে যে ব্যাথানিরোধক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে তা মরফিন থেকেও ২০০ গুণ বেশি কার্যকরী।
এই ব্যাঙগুলোর বাহারি রঙ রয়েছে, দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু এই সুন্দর রঙের আড়ালে তাদের রয়েছে ভয়ংকর রূপ। এদের যে কেউ তাদের একটি মাত্র স্পর্শের মাধ্যমে অনেক বড় বড় প্রাণীকে মেরে ফেলতে পারে চোখের নিমেষেই। আমাদের সৌভাগ্য যে তারা দয়া করে আমাদের দেশে একবারও ঘুরতে আসেনি! যদি আসতো, তাহলে কি হতো একবার ভেবে দেখেছেন!
লেখকঃ সাদীয়া কামাল।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন