কত ছবিতো আমরা দেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু ছবি আছে যেগুলি দেখলে সত্যিকার অর্থেই মনে হয়, এ যেন অসম্ভব। কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই না? আজ আপনাদের জন্য রয়েছে এমন কিছু ছবি যা দেখলে আপনিও বলে উঠবেন এ সম্ভব নয়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
০১) নরকের লিফটঃ
আসলে এটি নরকের কোন লিফট নয়। এটি সুইডেনের সাবওয়ে ষ্টেশনের লিফট। কিন্তু একে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, দেখে মনে হয় যেন নরকে যাবার রাস্তা এটি।
আসলে এটি নরকের কোন লিফট নয়। এটি সুইডেনের সাবওয়ে ষ্টেশনের লিফট। কিন্তু একে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, দেখে মনে হয় যেন নরকে যাবার রাস্তা এটি।


০২) সব থেকে বড় শিংঃ
যদিও দেখে আসল মনে হয় না, কিন্তু ৩৭.৫ ইঞ্চি পরিধির এই শিং সত্যিকার অর্থেই ছিল। আর এই শিং এর মালিক আফ্রিকায় বসবাসরত গরুর। দুঃখজনক ভাবে ২০১০ সালে গরুটি মারা যায়, শিং এর গোড়ায় ক্যান্সারের কারনে।
যদিও দেখে আসল মনে হয় না, কিন্তু ৩৭.৫ ইঞ্চি পরিধির এই শিং সত্যিকার অর্থেই ছিল। আর এই শিং এর মালিক আফ্রিকায় বসবাসরত গরুর। দুঃখজনক ভাবে ২০১০ সালে গরুটি মারা যায়, শিং এর গোড়ায় ক্যান্সারের কারনে।
০৩) গলিত কাঠঃ
কাঠের উপর পায়ের এই ছাপ এক বৈদ্ধ্য সন্ন্যাসীর। যে কিনা দিনে একাধিকবার একই জায়গায় বিগত ২০ বছর ধরে প্রার্থনা করে আসছে।
কাঠের উপর পায়ের এই ছাপ এক বৈদ্ধ্য সন্ন্যাসীর। যে কিনা দিনে একাধিকবার একই জায়গায় বিগত ২০ বছর ধরে প্রার্থনা করে আসছে।
০৪) ফ্লেমিংগোঃ
যদি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আমাদের সাথে মজা না করে থাকে, তাহলে ম্যাক্সিকোর কোন এক হ্রদে ফ্লেমিংগো পাখি ঝাঁক ধরে ফ্লেমিংগোর পাখির আকৃতিই দিয়েছে।
যদি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আমাদের সাথে মজা না করে থাকে, তাহলে ম্যাক্সিকোর কোন এক হ্রদে ফ্লেমিংগো পাখি ঝাঁক ধরে ফ্লেমিংগোর পাখির আকৃতিই দিয়েছে।
০৫) ঘরের ভিতরে মেঘঃ
এটা আসল কোন মেঘ না। এটি তৈরি করেছেন শিল্পী 'Berndnaut Smilde'। সে ঘরের তাপমাত্র আর আদ্রতা মেপে ঘরের ভিতরেই মেঘ তৈরি করতে পারে।
এটা আসল কোন মেঘ না। এটি তৈরি করেছেন শিল্পী 'Berndnaut Smilde'। সে ঘরের তাপমাত্র আর আদ্রতা মেপে ঘরের ভিতরেই মেঘ তৈরি করতে পারে।
০৬) আতঙ্কজনক মেঘঃ
মেঘের কথা বলতে বলতে আবার মেঘ চলে আসল। এটি কোন সিনেমার পৃথিবী ধ্বংসের সময়ের কোন দৃশ্য না। এটি আমেরিকার আইওয়া শহরের একটি দৃশ্য।
মেঘের কথা বলতে বলতে আবার মেঘ চলে আসল। এটি কোন সিনেমার পৃথিবী ধ্বংসের সময়ের কোন দৃশ্য না। এটি আমেরিকার আইওয়া শহরের একটি দৃশ্য।
০৭) ডরিটোস পর্বতঃ
ছবি দেখে আবার ভেবে বইসেন না যে কেই এই পর্বতে লাল রঙ করছে। আসলে এটি সূর্য ঊদয় হবার সময়কার ছবি। আর এই পর্বতের অবস্থান মন্টানার 'গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক' (Glacier National Park) এ।
ছবি দেখে আবার ভেবে বইসেন না যে কেই এই পর্বতে লাল রঙ করছে। আসলে এটি সূর্য ঊদয় হবার সময়কার ছবি। আর এই পর্বতের অবস্থান মন্টানার 'গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক' (Glacier National Park) এ।
০৮) গোলাপি নদীঃ
সেনেগালের হৃদ 'রেটবা' (Retba) দেখতে কিন্তু আসলেই বেশ গোলাপি। আর এই গোলাপি রঙের কারন হচ্ছে এই হৃদের পানির অত্যাধিক লবনাক্ততা (প্রায় ৪০%)। আর অত্যাধিক লবনের কারনেই এই হৃদের পানিতে জন্ম নেয় 'Dunaliella salina' নামের এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া। আর এই ব্যাক্টেরিয়ার কারনেই গোলাপি রঙ ধারন করে পানি।
সেনেগালের হৃদ 'রেটবা' (Retba) দেখতে কিন্তু আসলেই বেশ গোলাপি। আর এই গোলাপি রঙের কারন হচ্ছে এই হৃদের পানির অত্যাধিক লবনাক্ততা (প্রায় ৪০%)। আর অত্যাধিক লবনের কারনেই এই হৃদের পানিতে জন্ম নেয় 'Dunaliella salina' নামের এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া। আর এই ব্যাক্টেরিয়ার কারনেই গোলাপি রঙ ধারন করে পানি।
০৯) রত্ন ভুট্টাঃ
এই ভুট্টা গুলিকে না রঙ করা হয়েছে, এমনকি এগুলি কাঁচের কোন শিল্পও না। এগুলি হাইব্রিড সম্পূর্ন ভাবে খাবার উপযুক্ত ভুট্টা।
এই ভুট্টা গুলিকে না রঙ করা হয়েছে, এমনকি এগুলি কাঁচের কোন শিল্পও না। এগুলি হাইব্রিড সম্পূর্ন ভাবে খাবার উপযুক্ত ভুট্টা।
১০) সেলফিঃ
ভেবে বসেন না এটি কোন ফটোশপের কাজ। সেলফি পাগল লোকজন নিজেদের সেলফি তোলার জন্য উঁচু বিল্ডিংয়ের টাওয়ারও যে বেছে নিয়ে পারে এটাই তার প্রমান।
ভেবে বসেন না এটি কোন ফটোশপের কাজ। সেলফি পাগল লোকজন নিজেদের সেলফি তোলার জন্য উঁচু বিল্ডিংয়ের টাওয়ারও যে বেছে নিয়ে পারে এটাই তার প্রমান।
১১) কালো, সাদা এবং লালঃ
ফটোশপের কথা বলতে বলতে আরেকটা ছবি চলে আসল। এটিও কিন্তু ফটোশপের কোন কাজ না। এই জবা ফুলটি ফুটেছিল যখন ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির ছাই চারিদিক ঢেকে ফেলেছিল।
ফটোশপের কথা বলতে বলতে আরেকটা ছবি চলে আসল। এটিও কিন্তু ফটোশপের কোন কাজ না। এই জবা ফুলটি ফুটেছিল যখন ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির ছাই চারিদিক ঢেকে ফেলেছিল।
১২) নামিব মরুভূমিঃ
ছবি দেখে যতই অবাস্তব মনে হোক না কেন, এটি কিন্তু ১০০% আসল ছবি। আফ্রিকার নামিব মরুভূমি (Namib Desert) মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া 'Sossusvlei' নদীর ছবি এটি। যদিও যুগের পর যুগ ধরে ভূতত্ত্ববিদ্যারা এখানকার ভূপৃষ্ঠের এই উদ্ভট গঠনের রহস্য বের করার চেষ্টা করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন আবিস্কারই তারা করতে পারেন নি।
ছবি দেখে যতই অবাস্তব মনে হোক না কেন, এটি কিন্তু ১০০% আসল ছবি। আফ্রিকার নামিব মরুভূমি (Namib Desert) মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া 'Sossusvlei' নদীর ছবি এটি। যদিও যুগের পর যুগ ধরে ভূতত্ত্ববিদ্যারা এখানকার ভূপৃষ্ঠের এই উদ্ভট গঠনের রহস্য বের করার চেষ্টা করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন আবিস্কারই তারা করতে পারেন নি।
১৩) ক্রিস্টাল গুহাঃ
মাটির নিচে প্রায় অর্ধ-মাইল এলাকা জুড়ে এই ক্রিস্টাল গুহার অবস্থান মেক্সিকোর নাইকা পাহাড়ে।
মাটির নিচে প্রায় অর্ধ-মাইল এলাকা জুড়ে এই ক্রিস্টাল গুহার অবস্থান মেক্সিকোর নাইকা পাহাড়ে।
১৪) অদ্ভুত তরঙ্গঃ
দেখে নিশ্চই ভাবছেন এটা ফটোশপ জাতীয় কিছু দিয়ে তৈরি। আরে না এটা একদম বাস্তব ছবি, আর এই অবস্থা তৈরি হয় যখন সমুদ্রের ঢেই আড়াআড়ি ভাবে এসে মিলে। এর ব্যাখ্যা কিন্তু আনেক আগেই মিলেছে। এই ঢেউয়ের ব্যাখ্যা ছোট একটা সাধারন সূত্র দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়।
দেখে নিশ্চই ভাবছেন এটা ফটোশপ জাতীয় কিছু দিয়ে তৈরি। আরে না এটা একদম বাস্তব ছবি, আর এই অবস্থা তৈরি হয় যখন সমুদ্রের ঢেই আড়াআড়ি ভাবে এসে মিলে। এর ব্যাখ্যা কিন্তু আনেক আগেই মিলেছে। এই ঢেউয়ের ব্যাখ্যা ছোট একটা সাধারন সূত্র দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়।
সূত্র্টা দেখে ভাবছিলাম ছোট কিন্তু এখন দেখি বেশ জটিল। না এই সূত্রের আগামাথা কিছু বুঝলাম না।
১৫) গুগল ম্যাপে মানুষের নামঃ
'Al Futaisi' নামের এই দ্বীপের মালিকের নাম 'Sheikh Hamad Bin Hamadan Al Nahyan'। সে দুবাইয়ের শাষক পরিবারের কোটিপতিদের মধ্যে একজন। আর তার শখ পুরন করার জন্য দু'মাইল চওড়া আর দেড় মাইল উঁচু করে নিজের নাম লিখলেন। কিন্তু এটা মনে হয় পরিবারের অন্যদের পছন্দ হয় নি। আর একারনেই এই নাম প্রকাশের পরের দিনই তা মুছে ফেলা হয়।
'Al Futaisi' নামের এই দ্বীপের মালিকের নাম 'Sheikh Hamad Bin Hamadan Al Nahyan'। সে দুবাইয়ের শাষক পরিবারের কোটিপতিদের মধ্যে একজন। আর তার শখ পুরন করার জন্য দু'মাইল চওড়া আর দেড় মাইল উঁচু করে নিজের নাম লিখলেন। কিন্তু এটা মনে হয় পরিবারের অন্যদের পছন্দ হয় নি। আর একারনেই এই নাম প্রকাশের পরের দিনই তা মুছে ফেলা হয়।
১৬) লেগো শহরঃ
দেখে মনে হয়ে এটি কোন বাচ্চার লেগো সেটের শহরের ছবি। কিন্তু না, এটি ম্যাক্সিকোর 'San Buenaventura complex' এর ছবি।
দেখে মনে হয়ে এটি কোন বাচ্চার লেগো সেটের শহরের ছবি। কিন্তু না, এটি ম্যাক্সিকোর 'San Buenaventura complex' এর ছবি।
১৭) আধা-আধি বিড়ালঃ
প্যারিসের ভেনাস শহরে ২০০৯ শহরে জন্ম নেওয়া এই বিড়ালকে দেখলে আপনার কি মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে না দুটা বিড়ালকে আধা-আধি করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে!!
প্যারিসের ভেনাস শহরে ২০০৯ শহরে জন্ম নেওয়া এই বিড়ালকে দেখলে আপনার কি মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে না দুটা বিড়ালকে আধা-আধি করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে!!
১৮) হাঙ্গরের পেটে হাঙ্গরঃ
বিজ্ঞানীরা পূর্বেই ট্যাগ করা একটি হাঙ্গর ধরার চেষ্টা করছিল। যেই না তারা তাদের হাঙ্গরটিকে ধরেছে ওমনি বিশাল এক সাদা হাঙ্গর এক ঝাপেই ছোট হাঙ্গরটিকে খেয়ে ফেলে। আর ঠিক সেই মূহুর্তেই তোলা হয় এই ছবিটি।
বিজ্ঞানীরা পূর্বেই ট্যাগ করা একটি হাঙ্গর ধরার চেষ্টা করছিল। যেই না তারা তাদের হাঙ্গরটিকে ধরেছে ওমনি বিশাল এক সাদা হাঙ্গর এক ঝাপেই ছোট হাঙ্গরটিকে খেয়ে ফেলে। আর ঠিক সেই মূহুর্তেই তোলা হয় এই ছবিটি।
১৯) গ্র্যান্ড প্রিজমেটিক স্প্রিংসঃ
দেখে মনে হয় যেন কেউ রঙধনুর ছবি এঁকেছে। কিন্তু এই 'গ্র্যান্ড প্রিজমেটিক স্প্রিংস' এর অবস্থান 'Yellowstone National Park'-এ। আসলেই এই রঙের জন্য দায়ি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া। বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া গুলি।
দেখে মনে হয় যেন কেউ রঙধনুর ছবি এঁকেছে। কিন্তু এই 'গ্র্যান্ড প্রিজমেটিক স্প্রিংস' এর অবস্থান 'Yellowstone National Park'-এ। আসলেই এই রঙের জন্য দায়ি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া। বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া গুলি।
২০) মানুষের দাঁতওয়ালা মাছঃ
এই মাছ কিন্তু সত্যিই আছে। অনেকেই এই মাছ খায় এবং আপনিও খেতে পারেন। কিন্তু আমার খাবার কোন ইচ্ছা নাই।
এই মাছ কিন্তু সত্যিই আছে। অনেকেই এই মাছ খায় এবং আপনিও খেতে পারেন। কিন্তু আমার খাবার কোন ইচ্ছা নাই।
২১) ভাসমান দৈত্যঃ
আরে না ভাই এটা কোন দৈত্য না। তিমি মাছের মৃত দেয় ভেসে আসছে সমুদ্র তীরের দিকে।
আরে না ভাই এটা কোন দৈত্য না। তিমি মাছের মৃত দেয় ভেসে আসছে সমুদ্র তীরের দিকে।
২২) মাথায় ছিদ্রঃ
মুখের ভিতরে ক্যান্সার হবার কারনে এই ব্যাক্তিত মুখের উপরের অংশ এবং এক পাশের চোখ ফেলে দেয় চিকিৎসকেরা। আর এই কারনেই এই অদ্ভুত কাজ করতে সক্ষম এই ব্যাক্তি।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
মুখের ভিতরে ক্যান্সার হবার কারনে এই ব্যাক্তিত মুখের উপরের অংশ এবং এক পাশের চোখ ফেলে দেয় চিকিৎসকেরা। আর এই কারনেই এই অদ্ভুত কাজ করতে সক্ষম এই ব্যাক্তি।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন