১০টি ভৌতিক ছবি ।। 10 Ghostly Picture

মৃত্যুর পরে আমাদের আত্মার কি হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবে তা চিরতে চলে যায় এই পৃথিবী ছেড়ে আবার অনেকেই বলবে এমন কিছু আত্মা আছে যারা এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারে না বা যেতে চায় না। ক্যামেরা আবিস্কারের পর থেকেই তাতে ধারন করা এমন অনেক ছবি আছে যা আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে যে আসলে আত্মারা পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় না বরং আমাদের মাঝেই থেকে যায়। তবে এটা বিশ্বাস আর অবিশ্বাস করা সম্পূর্নটাই আপনার নিজের লালিত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের তর্কে না যেয়ে চলুন দেখে নেই এমন ১০টি ধারন কৃত ভৌতিক ছবি যা আপনাকে অবাক করতে বিন্দু মাত্র কার্পন্ন করবে না।


০১) বুটহিল গোরস্থানঃ
উপরের ছবিটি তোলা হয় ১৯৯০ সালে বুটহিল গোরস্থানে একটি ছবি দৃশ্যায়নের সময়। ছবিটিতে আছেন 'Terry Ike Clanton' যিনি একজন Western Cowboy চরিত্রে অভিনয় করছেন। আগেরকার দিনের পশ্চিমা পোষাকে নিজের একটি ছবি সংগ্রহে রাখার জন্য তিনি এই ছবিটি তোলেন। কিন্তু এখানে যে শুধু নিজের ছবি তোলেন নাই তা তিনি তখন টের না পেলেও পরবর্তিতে ঠিকই টের পেয়ছেন। তার বা কাঁধের পিছনের দিকে ঘাসের মধ্যে একজন ব্যাক্তিকে দেখা যাচ্ছে, যার পোষাকও অনেকটা আগেরকার দিনের পশ্চিমা পোষাকেরই মত। কিন্তু তখন যে কোন ব্যাক্তি পিছের গোরস্থানে ছিল না আর থাকলেও তার অর্ধেক দেহ যে মাটির নিচে ছিল না এটা অকপটেই স্বীকার করে নেন Terry Ike Clanton।


০২) সম্পূর্ন দেহঃ
ছবিটা হওয়ার কথা ছিল ফটোগ্রাফারের ছোট মেয়ের একটি দারুন ছবি। কিন্তু ছবিতে শুরু যে তার মেয়ের ছবিই ধারন করেন নাই তা দেখলেই বোঝা যায়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন ছোট মেয়েটি তার সামনে থেকে দৌড়ে যাওয়া ভৌতিক জিনিষটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।


০৩) Raynham Hall এর ভূতঃ
উপরের এই ছবিটি নিয়ে 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখায় আলোচনা করে ছিলাম, তাই এখানে আর কিছু লিখলাম না।


০৪) রোমানিয়ান ধর্মযাজিকাঃ
ছবিটি তোলা হয় ২০০৮ সালে রোমানিয়ার ১৫০ বছর পুরাতন 'Decebal Hotel' হোটেলে। আঞ্চলিক কল্পকথা অনুসারে এই হোটেলের নিচে লুকানো আছে অনেক ধনদৌলত। যার রক্ষনাবেক্ষন করে প্রেতাত্মারা।


০৫) গ্রান্ড ক্যানিয়নের ভূতঃ
আমেরিকার 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' এর সাথে কিন্তু আগেই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। ছবিটি তোলা কিন্তু এই গ্রান্ড ক্যানিয়নে। এই ছবি প্রথম প্রকাশ করেন অনলাইনে লেখক 'Cheygavara' (তার ছদ্দ নাম)। ছবিটি তোলা হয় ১৯৮০ সালের দিকে, এটি তার চাচার ছবি। তার মতে, তার চাচারা ক'জন বন্ধুরা মিলে গ্রান্ড ক্যানিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং বিভিন্ন ছবি তুলছিলেন। এরপর তারা বাড়ি ফিরে যখন ছবি গুলি ডেভোলপ করালেন, তখন একটি ছবিতে দেখলেন একজন লোক গাছের আড়াল থেকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন লোকটির কোন পা নেই। আর ছবি তোলার সময়ও কেউ তাকে দেখে নাই।


০৬) রহস্যময় হাতঃ
একজন পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রেতা 'Montague Cooper', একটি পুরাতন টেবিলের ছবি তোলেন যাতে ক্রেতাদের তিনি দেখাতে পারেন। কিন্তু ছবিটি ডেভোলপ করার পরে দেখতে পান টেবিলের উপর একটি হাত। তার কোন ধারনাই নেই যে এই হাত ছবির মধ্যে এলো কিভাবে। হয়ত এটা এই টেবিলের মালিকের হাত, যে হয়ত বলছে টেবিলটা বিক্রি না করতে। কে জানে?


০৭) লর্ড কম্বারমেয়ার এর চেয়ারঃ
'লর্ড কম্বামেয়ার' (Lord Combermere) মৃত্যুবরণ করলে একজন ফটোগ্রাফারকে ডাকা হয় লর্ডের খালি চেয়ারের ছবি তোলার জন্য। যখন ছবিটি ডেভোলপ করা হয় তখন সবাই টের পায় যে লর্ড কম্বামেয়ার এখনও তার চেয়ার ছেড়ে দিতে রাজি নন।


০৮) দাদীর পিছে দাদাঃ
উপরের এই ছবিটি নিয়ে 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখায় আলোচনা করে ছিলাম, তাই এখানে আর কিছু লিখলাম না।


০৯) সমুদ্রে ভূতঃ
১৯২০ সাল, 'SS Waterton' জাহাজের দু'জন নাবিক 'James Courtney' এবং 'Michael Meehan' দূর্ঘটনাক্রমে বিষাক্ত গ্যাসের কারনে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় জাহাজ সমুদ্র পাড় থেকে অনেক দূরে থাকার কারনে তাদের সমাধি করা হয় সমুদ্রের পানিতে। এরপর থেকেই শুরু হয় ভৌতিক সব ঘটনা। জাহাজের সকলেই সমুদ্রের পানির মধ্যে দু'টা চেহারা দেখা শুরু করে। উপরের ছবিটি তোলেন জাহাজের ক্যাপ্টেইন, তাদের সাথে কি হচ্ছে তার প্রমান হিসেবে।


১০) ইলেকট্রিক চেয়ারঃ
ছবিটি তোলেন 'Ted Lucher' নামে একজন ইঞ্জিনিয়ার। State Of Tennessee এর কতৃপক্ষ তাকে নিয়োগ দেন মৃত্যুদন্ডের কাজে ব্যাবহৃত ইলেকট্রিক চেয়ারের উন্নতি সাধনের জন্য। আর এই কাজের অংশ হিসেবেই তিনি তোলেন এই ছবিটি। আর সাধারন এই ছবিতে আপনি খুব সহজেই একটি ভৌতিক মাথা আর তার হাত দেখতে পাবেন।

কি অবাক হচ্ছেন ছবি গুলি দেখে? হবার মতই তাই না? এরকম আরো কিছু ভৌতিক ছবি নিয়ে লেখা 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখাটি পড়লে আরো কিছু ভৌতিক ছবির সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

  1. আপনার ফেইজবুক আইডি লিংক পেতে পারি?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোন দরকার থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
      http://www.hybridknowledge.info/p/blog-page_56.html

      মুছুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info