সেন্ট জর্জ গির্জা ।। Saint George Church


লালিবেলা (Lalibela) ইথোপিয়ার উত্তর অঞ্চলের সাধারন একটি এলাকা হলেও এটি খ্রীষ্ট ধর্মালম্বিদের কাছে বেশ পবিত্র একটি শহর। কেননা এই শহরে আছে একশিলা (Monolithic) কেটে বানাবো সেন্ট জর্জ গীর্জা। আর গীর্জার নাম সেন্ট জর্জ গীর্জা।

এই গীর্জাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত প্রতিটি বিষয় যেন অন্যান্য গীর্জা থেকে একে সম্পূর্ন আলাদা করে রেখেছে। অন্যান্য গীর্জার মত এটি মাটির উপর না বানিয়ে বানানো হয়েছে মাটি খুড়ে। অগ্নিয়গিরির জমে যাওয়া লাভা কেটে বানানো হয়েছে এই গীর্জা ঘর। আর পুরাটাই একটি মাত্র শীলা খন্ড।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info

এই চার্চটি বানানো হয় ১২শ শতকের দিকে। ইথোপিয়ার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ "Zagwe Dynasty" সম্রাজ্যকালীন সময়ে তৎকালীন রাজা "Gebre Mesqel Lalibela" একদিন স্বপ্নে দেখতে পান যে সাধু জর্জ এবং স্বয়ং ঈশ্বর তাকে এই গীর্জা বানাবার জন্য দিক নির্দেশনা দিচ্ছে আর সেই স্বপ্নের পরেও তিনি তৈরি করেন এই গীর্জা ঘর। আর নাম করন করেন "সেন্ট জর্জ গীর্জা"।

এটি UNESCO দ্বারা স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে সংরক্ষিত। বর্তমানে এই গীর্জা ঘর Tewahedo Church এর অধীনে পরিচালিত হয়।

চলুন এবার দেখে নেই এই সেন্ট গীর্জা ঘরের আরো কিছু ছবি, আর ছবি গুলি যে আপনাকে অবাক করবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।


চলুন এবার গুগল ম্যাপে দেখে নেই এই সেন্ট জর্জ গির্জার অবস্থা। কিন্তু একটু সমস্যা আছে! আর তা হল গুগল এই চার্চের ছবি ব্লক করে রেখেছে। বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখুন,




লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info
জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।