পূর্বের পর্বঃ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (১ম পর্ব)
মৃত্যু দন্ড, অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যু দন্ড দেবার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত গুলি আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে। আজ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন বীভৎস কিছু পন্থার সাথে যা সম্পর্কে জানলে আপনারও ভয় লাগবে, শুধু একবার চিন্তা করুন আসামির জায়গায় আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা সম্পর্কে,
তক্তার উপরঃ
আগের পর্বে নিশ্চই মনে আছে পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দু'টি পদ্ধতি। এক্ষেত্রেও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পানিতে ফেলে দেওয়া হলেও, সে কিন্তু পানিতে ডুবে মারা যেত না!! কি অবাক হচ্ছেন? আচ্ছা একটু ভেংগে বলি। এই উপায়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করত সাধারনত জলদস্যুরা যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাহাজ আক্রমন করে জাহাজের সব কিছু লুটে নিত আর যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলত তাদের বিরুদ্ধে তাদের এই ভাবে শাস্তি দিত। এক্ষেত্রে ব্যাক্তিকে শুধুমাত্র তক্তার উপর দিয়ে হাটিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হত কিন্তু তার হাত পা কিছুই বাঁধা থাকত না। দিব্বি পানিতে ভেসে থাকতে পারবে। কিন্তু পানিতে ভাসমান এই সব জাহাজের চারিপাশে সব সময় কিছু হাঙ্গড় মাছ ঘুরে বেড়াত, আর পানিতে ফেলার সাথে সাথেই হাংগড়ের আক্রমনের শিকার হত। আর এভাবেই মৃত্যু কার্যকর হত।
বেস্টিয়ারাইঃ
বেস্টিয়ারাই (Bestiarii), আদি রোমান রম্রাজ্যের একটা খেলা। যেখানে বীরেরা হিংস্র প্রানির সম্মুক্ষিন হয়ে তাদের পরাস্ত করত। কিন্তু এই খেলাকেও ব্যাবহার করা হত মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উপায় হিসেবে। যাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হত তাদের উলঙ্গ করে ছেড়ে দেওয়া হত হিংস্র প্রানিদের মাঝে। আর কোন প্রতিরোধ ছাড়াই হিংস্র প্রানিরা মেরে ফেলত মৃত্যুর সাজা পাওয়া ব্যাক্তিকে এবং খেয়ে ফেলত। আর এই মৃত্যু দেখে এই খেলা দেখতে আসা দর্শকেরা উল্লাসে গলা ফাটাতো। তাদের জন্য এটা ছিল শুধু মাত্র বিনোদন।
মাজাটেল্লোঃ
মাজাটেল্লো (Mazzatello),মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সব থেকে বীভৎস প্রক্রিয়া গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এক্ষেত্রে শহরের মাঝে উঁচু মঞ্চে আসামিকে এনে তার মাথায় কাঠের তৈরি এক হাতুরি দিয়ে জোড়ে আঘাত করে তার মাথা থেতলে দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত। এই প্রক্রিয়া চালু ছিল ১৮শ দশকের দিকে ইউরোপের সেসকল দেশে, যেখানে পোপের আইন চালু ছিল।
ন্যায়ের ঝাঁকিঃ
ন্যায়ের ঝাঁকি (Upright Jerker) এর প্রথা প্রথম চালু হয় আমেরিকাতে, কিন্তু আমেরিকাতে বর্তমানে এই পদ্ধতি নিষিদ্ধ হলেও বর্তমানে ইরানে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। অনেকটা বাংলাদেশে চালু ফাঁসির কার্যকর করার পদ্ধতির মত হলেও কিছুটা ভিন্ন। এক্ষেত্রে আসামিকে জনসম্মুক্ষে গলায় দড়ি পরিয়ে দড়িটি উপরে দিকে টেনে তোলা হয়। আর দড়িটি তোলার সময় ঝাকি দেওয়া হয়, যাতে আসামির ঘাড় ছিড়ে যায়। দড়িটি তুলতে সাধারনত ক্রেন ব্যাবহার করা হয়।
করাত দ্বারা মৃত্যুদন্ডঃ
এই পদ্ধতি আগে চালু ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলিতে। এক্ষেত্রে মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত আসামি কে উলঙ্গ করে উল্টা করে দু'পা ফাঁক করে বেঁধে রাখা হত। এরপর আসামির যৌনাঙ্গ বরাবর কড়াত রেখে দেহকে মাঝা বরাবর কেটে ফেলা হত। আর উল্টা করে ঝুলাবার কারনে আসামির মস্তিস্ক যথেষ্ট পরিমান রক্ত পেত যাতে আসামি এই চিড়ে ফেলাল ব্যাথা সম্পূর্নটাই অনুভব করতে পারে। গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ কাঁটার আগ পর্যন্ত আসামি বেঁচে থাকত।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
আমি বাক রুদ্ধ... -_-
উত্তরমুছুনআমিও... -_-
মুছুনMe 3 ... :p
মুছুনVERY SAD
উত্তরমুছুনঅন্যায়কারীর শাস্তির মধ্যে কঠরতা না থাকলে যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব ব্যপার...
মুছুন