১০টি বুদ্ধিমান প্রানী ।। 10 Intelligent Animal

এই পৃথিবীর প্রানী বৈচিত্র যে কত সমৃদ্ধ তা বুঝি আর বলে বুঝাতে হবে না আপনাদের। কিন্তু এই প্রানী জগতের মধ্যে সবাই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বার অধিকারি। মানুষ হিসেবে আমরা এই প্রানী জগতের অন্তর্গত হলেও আমরা কিন্তু অন্যান্ন প্রানী হতে সম্পূর্ন আলাদা। অন্যান্ন প্রানীদের মধ্যে কারো আছে ধারালো নখ, কারো আছে ধারালো দাঁত, কেউ আবার বিশাল আকৃতির আবার কারো চামরা এতই মোটা যে তাকে স্পর্শ করলে সাত দিন পর টের পায়। মানুষ হিসেবে নিজেদের নেহাত নিরীহ মনে হচ্ছে এই সকল প্রানীদের তুলনায়; তাই না? কিন্তু মানুষ এক দিক থেকে সকল প্রানীর থেকে উপরে। মানুষের মস্তিস্কের আকৃতি অতীত এবং বর্তমানের সকল প্রানীর তুলনায় সব থেকে বড়। আর সে কারনেই মানুষের বুদ্ধি অন্নান্য সকল প্রানী থেকে অনেক বেশি। তাই মানুষ বাদের আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন ১০টি প্রানীর সাথে যারা তাদের মস্তিকের কার্যক্ষমতার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,


১০) ধুসর তোতাপাখিঃ
তোতাপাখি কিন্তু বেশ আগের থেকেই পরিচিত বুদ্ধিমান প্রানী। আগে মনে করা হত এই তোতাপাখি মানুষের পরে সব থেকে বুদ্ধিমান প্রানী। একারনে দেখবেন আগের দিনের জলদস্যুরা একটা করে তোতাপাখি পুষত। তৎকালীন সময়ে মনে করা হত এই তোতা পাখি জাহাজের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে জাহাজের সব খবরা খবর জাহাজের ক্যাপ্টেনকে বলে। তাছাড়াও বর্তমান সময়ে দেখা গেছে এই তোতাপাখি ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন রঙয়ের এবং আকৃতির বস্তু চিনতে সক্ষম। এছাড়াও স্বল্প পরিমানে হলেও মানুষের মত কথা বলতে সক্ষম এরা।


০৯) গোলাপি শুকরঃ
এই প্রজাতির শুকর গুলির দারুন সৃতি শক্তি থাকে। এরা নিজেদের নামে সাড়া দিতে সক্ষম, এছাড়াও এরা নিজেদের পরিবারের সবাইকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম আর পরিবারতন্ত্র দারুন ভাবে মেনে চলে। অনেকের ধারনা এরা যদি খেতে এত সুস্বাদু না হত তাহলে একে কুকুরের জায়গায় পোষা যেত।


০৮) হাতিঃ
হাতিদের বুদ্ধি বেশ প্রখর। এরা এদের আত্মীয় স্বজনদের, তাদের মাথার খুলি দেখে সনাক্ত করতে সক্ষম। যা অন্য কোন প্রানী পারে না বললেই চলে। এরা খুবই সামাজিক প্রানী, পরিবারের সবাই একসাথে থাকে। এদের মধ্যে কেউ মারা গেলে এরা মৃত দেহর প্রতি শোক পালন করে, মৃত দেহ পচা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এরা মৃত দেহর পাশেই অবস্থান নেয়।


০৭) শীল মাছঃ
সার্কাসেতো অনেক দেখেছেন বল নিয়ে এই শীল মাছের খেলা কিন্তু জানেন কি এই শীল মাছ অংকের সূত্র পর্যন্ত মনে রেখে অংক করতে পারে। বিজ্ঞানিরা কয়েকটি শীল মাছের উপর পরীক্ষা চালায় আর তারা শীল মাছ গুলিকে দু'টি সূত্র মুখস্ত করায়। সূত্র দু'টি a=b এবং b=c, আর এই সূত্র ধরে শীল মাছ গুলি প্রমান করে a=c, অংকটি খুব ছোট মনে হলেও শীল মাছের পক্ষে এই অংক করা বেশ কঠিন কাজ বটে।


০৬) শিম্পাঞ্জিঃ
শিম্পাঞ্জি যে অনেক বুদ্ধিমান প্রানী তা আর বলে বোঝাবার দরকার নেই কিন্তু ক'দিন আগে বিশেষজ্ঞরা আবিস্কার করেছেন যে শিম্পাঞ্জিরা ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে আর সেই অনুসারে কাজ করে।


০৫) কুকুরঃ
কুকুরকে বলা হয় মানুষের সব থেকে বিশ্বস্ত বন্ধু। আর এই কুকুর মানুষের বলা ৩০০টি শব্দ পর্যন্ত আলাদা আলাদা ভাবে বুঝতে পারে। আর পূর্ন বয়স্ক কুকুরের বুদ্ধি ১ বছর বয়স্ক মানুষের বুদ্ধির সমান হয়।


০৪) কাকঃ
ছোট বেলায় সবাই তো পড়েছেন কলস থেকে কাকের পানি খাবার গল্প। আর এই কাকের মস্তিস্কের আঁকার সকল পাখির মধ্যে সব থেকে বড়। এই কাক আসে পাশের পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে, আর কোন কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে সেই কাজ করার দক্ষতা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমন কি কাক কোন কাজ করার জন্য দরকারি জিনিষ পর্যন্ত তুলে কাজে লাগাতে পারে।


০৩) আফ্রিকান ব্যাবুনঃ
বিজ্ঞানীদের মতে এই আফ্রিকান ব্যাবুনের আচার আচারন অনেকটাই মানুষের মত যদিও বেশ হিংস্র প্রকৃতির হয় এরা। এদের সামাজিক ব্যাবস্থা অনেকটাই মানুষের সামাজিক ব্যাবস্থার মত। আর এরা ভবিষ্যত পরিকল্পনা করে কাজ করতে সক্ষম।


০২) পিঁপড়াঃ
পিঁপড়া খুবই ধূর্ত প্রকৃতির প্রানী। এরা সংঘ বদ্ধ ভাবে সামাজিক ভাবে বসবাস করে আর এদের সামাজিক ব্যাবস্থায় বিভিন্ন স্তর থাকে, আর প্রতিটি স্তরের সদস্যদের কাজের সীমানা ভিন্ন ভিন্ন হয়। পিঁপড়া সূর্যের অবস্থান নির্নয়ের মাধ্যমে নিজের পথ চিনে নিতে পারে।


০১) ডলফিনঃ
মানুষ বাদে হাতে গোনা কয়েকটি প্রজাতি আছে যারা নিজেদের আয়নায় নিজেদের চিনতে পারে আর ডলফিন তাদের মধ্যে পরে। আর ডলফিন তার নিজের মাকে চিনতে পারে অনেক বছর পরে দেখা হলেও এছাড়া তাদের দলের যে নেতা তাকেও তারা চিনতে পারে। বলা হয়ে জলের সব থেকে বুদ্ধিমান প্রানী এই ডলফিন।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info