পল দ্যা অক্টোপাস ।। Paul The Octopus

অক্টোপাসের গল্প তো আপনারা সবাই শুনেছেন। সাগরের বুকে জাহাজ ধরে ধরে ডুবিয়ে দেয়। ভীষণ হীংস্র আর মানুষ পেলেই আট পা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরেও তারা। সাগরতীরে যে মানুষ গুলো থাকে তাদের জন্য তো অক্টোপাস মানে রীতিমতো এক মূর্তিমান দুঃস্বপ্ন। আসলে কিন্তু এরা ওরকম ভয়ংকর কিছু নয়, উল্টো এরা ভীষণ ভীতু এক প্রাণী। আপনাকে দেখলেও হয়তো ভয় পেয়ে কালি ছুঁড়ে পালিয়ে যাবে সে। হ্যাঁ, ওরা আবার ভয় পেলে কালি ছুঁড়ে পানি ঘোলা করে পালিয়ে যায়। তবে আজকে আপনাদের এক তারকা বনে যাওয়া অক্টোপাসের গল্পই শোনাবো। এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের পরে এই অক্টোপাসের ভক্ত হয়ে পড়েছেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ।


অনেকেই হয়তো ভাবছেন, ব্যাপারটার পুরোটাই মিথ্যে। তবে যারা এরই মধ্যে জানেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, আমি পলের কথা বলছি। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি, পল হলো জার্মানির একটা অক্টোপাস। দেখতে আর সব অক্টোপাসের মতো হলেও এই অক্টোপাসটির কিন্তু একটি বিশেষত্ব আছে। আর তা হলো, এই অক্টোপাসটি ফুটবল ম্যাচের আগেই বলে দিতে পারে ঠিক কোন দলটি জিততে চলেছে। কিভাবে? সে কথায় পরে আসছি। পলকে জার্মান অক্টোপাস বললেও ওর জন্ম কিন্তু জার্মানিতে নয়। ওর জন্ম ইংল্যান্ডের ওয়েমাউথে। সেখানে একটি সি লাইফ সেন্টারে জন্ম হয় পলের। তখন ২০০৮ সাল। পরে ঐ বছরই তাকে জার্মানির ওবারহাইসেনে নিয়ে আসা হয়। ওর নামটাও কিন্তু জার্মানদেরই দেয়া। বিখ্যাত জার্মান ছড়াকার বয় লর্নসেনের একটি কবিতা আছে ‘ডার টিনটেনফিশচ পল অক্টোপাস’ নামে। চিন্তা করছেন, এ আবার কেমন নাম? জার্মান ভাষার কবিতা তো, শুনতে একটু খটমটেই লাগবে। সে কবিতায় পল নামে একটি অক্টোপাস থাকে। সেই অক্টোপাসটির নাম অনুসারেই ওর নাম রাখা হয়েছে পল। পল যে সাধারণ কোনো অক্টোপাস নয়, সেটা কিন্তু শৈশবেই নাকি বেশ বোঝা গিয়েছিলো। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? কথাটা আসলে আমার নয়। পল এখনো ওবারহাইসেনের যে সি লাইফ সেন্টারে থাকত, তার পরিচালক ডেনিয়েল ফে’ই কথাটা বলেছেন। ছোটবেলা থেকেই ও অন্য অক্টোপাসদের থেকে আলাদা আচরণ করতো। কোনো দর্শক ওকে দেখতে আসলে ও দর্শকের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকতো! যা কোনোভাবেই সাধারণ কোনো অক্টোপাসের দৃষ্টির সঙ্গে মেলানো যেতো না। তাই তখন থেকেই তারা চেষ্টা শুরু করলো পলের কোনো বিশেষ প্রতিভা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে। পলের প্রতিভা খুঁজে বের করতে তাদের খুব বেশি সময় লাগলো না। শিগগিরিই তারা আবিষ্কার করলো, জার্মানির কোনো ফুটবল খেলা থাকলে পল তার নিখুঁত ভবিষ্যতবাণী করছে। ২০০৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নস লীগের জার্মানির ৬টি খেলার ৪টিরই সঠিক ভবিষ্যতবাণী করেছিলো পল। আর এরসঙ্গে সঙ্গেই পল কেড়ে নিলো সবার দৃষ্টি।


নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, কিভাবে পল এই ভবিষ্যতবাণী করে? ওর ভবিষ্যতবাণী করার পদ্ধতিটাও কিন্তু খুবই মজার। আপনারা অনেকেই ইতিমধ্যে তা হয়তো দেখেও ফেলেছেন। জার্মানির কোনো খেলা থাকলে তার আগেরদিন পলকে দুটো প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার দেয়া হয়। একটিতে জার্মানির পতাকা আঁকা থাকে। আর অন্যটিতে আঁকা থাকে বিপক্ষ দেশের পতাকা। পল যে বাক্সটি খুলে তার খাবার খায় ধরা হয় সেই বাক্সে আঁকা পতাকার দলটিই জিতবে। কি হাস্যকর মনে হচ্ছে? আপনার মতো যারা প্রথম প্রথম পুরো ঘটনাটা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলো তাদের হাসি কিন্তু পল বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বকাপে জার্মানির ম্যাচগুলো নিয়ে একের পর এক সঠিক পূর্বানুমান করে সে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।



পল কিভাবে জানে কে জিতবে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য কেউ জানে না। তবে ইতিমধ্যেই পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। অবশ্য তারা এমনি এমনি প্রশ্ন তোলেনি। যেমন ধরেন, এই কয়েকদিন আগে শিকাগোর ন্যাচারাল হিস্টরি ফিল্ড মিউজিয়ামে কর্মরত জ্যানেট ভয়েট বললেন, অক্টোপাস নাকি কোনো রঙই দেখে না। তাদের মধ্যে নাকি রঙের কোনো বোধই নেই। তাহলে পল পতাকা গুলোকে আলাদা করে কিভাবে! আবার এর উত্তর দিয়েছেন বাঙ্গুর ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত সালেঘ মালহ্যাম। তিনি জানিয়েছেন, অক্টোপাস রং না দেখলে কি হবে, ওরা উজ্জ্বলতার পার্থক্য আর আড়াআড়ি আকৃতি ও দাগ বুঝতে পারে। পল এগুলো প্রয়োগ করেই দুটি পতাকা আলাদা করতে পারে। তা না হয় হলো, পল পতাকা দুটোকে আলাদা করে চিনলো। কিন্তু সে কিভাবে তাদের একটিকে বেছে নেয়? এর একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন গ্রিফসওয়াল্ড ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী ভোলার মিস্ক। তার মতে, বাক্সদুটোর কাছাকাছি পানিতে কিছু রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি আর অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পল সিদ্ধান্তটি নেয়। কিন্তু বাথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্রিস বাড আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড স্পিজেলহার্টার বললেন পুরো উল্টো কথা। পলের এই ভবিষ্যতবাণী নাকি পুরোপুরি টস করার মতো। আপনি জিততেও পারেন, আবার হারতেও পারেন। অর্থাৎ ঠিকও হতে পারে, ভুলও হতে পারে। কোনো ব্যাখ্যাও নেই, কোনো সত্যতাও নেই। তাই বলে কিন্তু পলের ভবিষ্যতবাণীকে আপনি উড়িয়ে দিতে যাবেন না। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানির সবগুলো ম্যাচেরই সঠিক ভবিষ্যতবাণী করেছে পল। জার্মানি এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে ১৩ জুন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। তার আগের দিন পলকে জার্মানি আর অস্ট্রেলিয়ার পতাকা আঁকা দুটো বাক্সে খাবার দেয়া হলো। একটুও চিন্তা না করে পল জার্মানির পতাকা আঁকা বাক্স খুলে খাবার খেয়ে নিলো। আর ম্যাচে জার্মানি অস্ট্রেলিয়াকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে জিতলো ৪-০ গোলে। সবাই বললো এ আর এমন কি। এতো সবাই-ই জানতো।


পল প্রথম সবাইকে অবাক করলো সার্বিয়ার সাথে ম্যাচের আগের দিন। জার্মানির পতাকা আঁকা বাক্স থেকে না খেয়ে সে খেলো সার্বিয়ার পতাকা আঁকা বাক্সের খাবার। সবাই তো এবারে তাচ্ছিল্যের হাসিই হাসলো। জার্মানির মতো দল আবার হারবে সার্বিয়ার সাথে! ফুঃ! কোথাকার কোন এক অক্টোপাস এসেছে ভবিষ্যতবাণী করতে! আপনিই বলেন, এ কথা শুনলে আপনি কি বিশ্বাস করতেন? নিশ্চয়ই করতেন না। কিন্তু আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা জার্মানি এদিন পুঁচকে সার্বিয়ার কাছে হেরে গেলো ০-১ গোলে। তাচ্ছিল্যের হাসি ভুলে চোখ বড়ো বড়ো করে এবারে সবাই নতুন করে পলের দিকে মনোযোগ দিলো। জার্মানির পরের ম্যাচ ২৩ জুন, ঘানার সঙ্গে। জার্মানিকে জিততেই হবে। নয়তো প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে যেতে হতে পারে তাদের। এবারে পল জার্মানির পতাকা লাগানো বাক্স থেকে খাবার খেয়ে বলে দিলো, ভয় নেই। জার্মানি ঘানাকে হারিয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে। আর জার্মানিও ঘানাকে ১-০ গোলে হারিয়ে উঠে গেলো দ্বিতীয় রাউন্ডে। তখনো অবশ্য অনেকেরই সন্দেহ যায়নি। তাদের সন্দেহ দূর করার জন্যই হয়তো জার্মানির খেলা পড়লো গিয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। আর এবারে পল কোনোদিকে না তাকিয়ে বাক্সদুটো দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাঁতরে জার্মানির পতাকা আঁকা বাক্স খুলে খাবার খাওয়া শুরু করলো। আর জার্মানিও ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে উঠে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে।


এবারে জার্মানির খেলা পড়লো ম্যারাডোনা-মেসির আর্জেন্টিনার সঙ্গে। কে জিতবে জানার জন্যে দুটো বাক্সে খাবার ভরে পাঠানো হলো পলের কাছে। গুনিন পল এবার যেন গুনতে বসলো। ১ ঘন্টা কেটে যায়, কোনো বাক্সই বেছে নেয় না পল। অবশেষে নড়েচড়ে উঠলো পল। সোজা সাঁতরে গেলো কালো-লাল-হলুদ পতাকা আঁকা বাক্সটার দিকে। খুলে বের করে নিলো খাবার। তাই দেখে পলের ইন-চার্জ বললো, খেলাটা হবে খুবই জমজমাট। কিন্তু শেষমেষ ভাগ্যের জোরে জিতবে জার্মানিই। আর তা শুনে তো আর্জেন্টিনা দলের শেফ অক্টোপাসের একটা রেসিপিই ফেঁদে বসলেন। ভাব খানা এমন যে, জার্মানিকে হারিয়ে বেশ মজা করে ব্যাটা পলকে ভাজা করে খাওয়া যাবে। কিন্তু এবার যেনো পলকে ভুল প্রমাণ করতেই জার্মানি আর্জেন্টিনাকে হারালো ৪-০ গোলের বড়ো ব্যবধানে। ইতিমধ্যেই জার্মানদের সাফল্যের ভবিষ্যতবাণী করে জার্মানদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলো পল। কিন্তু এবারে কিন্তু সে জার্মানদের একরকম খেপিয়েই তুললো। সেমিফাইনালের আগে যখন জার্মানি আর স্পেনের পতাকা আঁকা বাক্স দেয়া হলো তার সামনে। সে প্রথমে জার্মানির পতাকা আঁকা বাক্সটাই জড়িয়ে ধরলো। তারপর কি মনে করে স্পেনের পতাকা আঁকা বাক্সের খাবার বের করে খাওয়া শুরু করলো। আর জার্মানরা প্রার্থনা করা শুরু করলো, গত ইউরোর ফাইনালের মতো এবারও যেনো পলের অনুমান ভুল হয়। গত ইউরোতে পল ভবিষ্যতবাণী করেছিলো জার্মানি জিতবে। কিন্তু জার্মানি ঐবার এই স্পেনের কাছেই হেরে গিয়েছিলো ০-১ গোলে।


কিন্তু এবার পলের অনুমান ভুল হলো না। স্পেনের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেলো জার্মানি। স্পেনের সাথে সমানে সমানে লড়তে না পারলেও স্পেনকে ঠিকই গোলবঞ্চিত রাখছিলো জার্মানরা। কিন্তু ম্যাচের ৭৩ মিনিটের সময় কর্নার থেকে গোল করে স্পেনকে জিতিয়ে দেন পুয়োল। আর সেইসঙ্গে জার্মানরা খেপে ওঠে পলের ওপর। এক জার্মান সমর্থক তো বলেই বসলেন পলকে রান্না করে খাওয়ার কথা। শুনে সঙ্গে সঙ্গেই স্পেনের প্রধানমন্ত্রী হোসে জাপাতেরো জানিয়ে দিলেন ওরকম কিছু যদি সত্যিই হতে যায়, তাহলে পলকে স্পেনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেয়া হবে। বুঝতেই পারছেন, দুজনেই মজা করে কথাগুলো বলেছেন। এরপরও কিন্তু পলের কারিকুরি শেষ হলো না। সেমিফাইনালে হেরে গেলেও জার্মানি তো ৩য় স্থান নির্বাচনী ম্যাচও খেলবে উরুগুয়ের সঙ্গে। তো সে ম্যাচে কি হবে? জানার জন্য আবারও বাক্স পাঠানো হলো পলের কাছে। এবার পল বেছে নিলো জার্মানির পতাকা আঁকা বাক্সটিই। আর খেলার ফলাফল? দ্বিতীয়ার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতে বিশ্বকাপে আবারও তৃতীয় হলো জার্মানি। আবারও পল দেখিয়ে দিলো তার অনুমান টসের মতো ফিফটি-ফিফটি সম্ভাবনা নয়, সে জার্মানির খেলার সঠিক ভবিষ্যতবাণীই করে। এ পর্যন্ত পল জার্মানির সব খেলার ভবিষ্যতবাণী করলেও অন্য কোনো দলের খেলার ভবিষ্যতবাণী করেনি। কিন্তু মানুষ ছাড়বে কেনো? ২০১০ বিশ্বকাপ এর ফাইনাল খেলা ছিলো স্পেন আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে। সবার জানার আগ্রহ পল কি বলে তা নিয়ে। পলের সবচে বড়ো পরীক্ষা ছিলো এই খেলার ভবিষ্যতবাণী করা। এবারেও কি পল ঠিক ঠিক বলতে পারবে কে জিতবে? নাকি তার সব কারিকুরি শুধু জার্মানির খেলাতেই সীমাবদ্ধ? তাকে নেদারল্যান্ড আর স্পেনের পতাকা আঁকা বাক্সে খাবার দেয়া হলে সে খেলো স্পেনের লাল-হলুদ রঙের বাক্সের খাবার। আর এবারেও বাজিমাত করে দিলো পল। সুন্দর ফুটবল খেলা স্পেনের সঙ্গে এদিন নেদারল্যান্ডও কম যায়নি। জমজমাট এক ম্যাচের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের একেবারে শেষ দিকে গোল দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতলো এবারই প্রথম ফাইনালে ওঠা স্পেন। আর এই বিশ্বকাপে পলের সাফল্যও হলো শতভাগ। বিশ্বকাপে ওর সবগুলো ভবিষ্যতবাণীই সত্যি হলো।


তবে এই বিশ্বকাপে পলের সব অনুমান ঠিক হলেও এ পর্যন্ত ওর সব অনুমানই যে একেবারে ঠিক হয়েছে তা নয়। যে ২০০৮ সালের ইউরোতে পলের এই ক্ষমতা আবিষ্কৃত হয়েছিলো সেই ইউরোতেই সে জার্মানির দুটো খেলার ভুল ভবিষ্যতবাণী করেছিলো। পল বলেছিলো, গ্রুপ রাউন্ডের দ্বিতীয় খেলায় জার্মানি ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে জিতবে। কিন্তু জার্মানি ম্যাচটি ১-২ গোলে হেরে যায়। তারপর অবশ্য পলের কথা অনুযায়ী জার্মানি সবগুলো ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায়। সেখানে তাদের দেখা হয় স্পেনের সঙ্গে। সেবার পল বলেছিলো জার্মানি জিতবে। কিন্তু সেবারও জার্মানি ০-১ গোলে স্পেনের কাছে হেরেছিলো। এরপর পল জার্মানির আর কোনো ম্যাচের ভুল ভবিষ্যতবাণী করেনি। এমনকি জার্মানি ছাড়া যে ফাইনাল হলো সেটারও একদম ঠিক ঠিক ভবিষ্যতবাণী করে দিলো সে। এ পর্যন্ত পল মোট ১৪ টি খেলার ভবিষ্যতবাণী করে ভুল করেছে মাত্র ২টি। ভুল গুলিও করেছিলো সে অনেক আগে। এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যেকটি খেলাতেই সে সঠিক ভবিষ্যতবাণী করেছে। এতোদিন পর্যন্ত জার্মানির খেলার ভবিষ্যতবাণী করে এবারই প্রথম সে অন্যদলের ভবিষ্যতবাণী করেছে এবং তা ঠিকও হয়েছে।


সব জল্পনা কল্পনা সব কিছুর ইতি ঘটিয়ে বিশ্ব কাপের এই কেন্দ্রবিন্দু পল ২৬ শে অক্টোবর ২০১০ সালে ফুটবল প্রেমিদের কাদিয়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।

লেখকঃ নাবীল শুভ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info